নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন করে গৃহকর্মী নেয়ার ঘোষনা সউদির, কিন্তু গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১১

ছবি: অন্তর্জাল।

নতুন করে গৃহকর্মী নেয়ার ঘোষনা সউদির, কিন্তু গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে?

বাংলাদেশ থেকে নতুন করে গৃহকর্মী নেয়ার সউদি ঘোষনায় আনন্দে আত্মহারা হওয়ার কিছু নেই, সর্বাগ্রে প্রয়োজন গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হ্যাঁ, সউদি আরবের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশসহ ৮ দেশ থেকে কর্মী নেবে তারা। সৌদি আরবের সংবাদপত্র আল ইকতিসাদিয়াহকে দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ আল হামিদ বলেছেন, নতুন আট দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরও ৮টি দেশের সঙ্গে একই বিষয়ে চুক্তি করেছে সউদি সরকার। সেই ৮টি দেশ থেকেও গৃহকর্মী নেওয়া হবে। মোট ১৬টি দেশ এ সুযোগ পাবে। সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমতি পাওয়া দেশগুলো হলো ফিলিপাইন, নাইজার, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, মৌরিতানিয়া, উগান্ডা, ইরিত্রিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া, মালি ও কেনিয়া।

উপরের দেশগুলো থেকে গৃহকর্মী নিবে সউদি সরকার। গৃহকর্মীর তালিকায় সাধারণত: বেশিরভাগই থাকেন নারী। এ লক্ষ্যে সউদি সরকার শিগগিরই গৃহকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও জানিয়েছে। সে দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। কথা হচ্ছে, গৃহকর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশের এই সংবাদটি নি:সন্দেহে আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতায় আমরা যা দেখেছি, বিভিন্ন দেশ হতে আগত সউদিতে অবস্থানরত গৃহকর্মীদের প্রতি যেভাবে অন্যায় অত্যাচার আর অবিচারের স্টিম রোলার চালানো হয়ে থাকে তা এককথায় রোমহর্ষক। বিশেষ করে, অসংখ্য নারী গৃহকর্মীর প্রতি তাদের ঘৃণ্য যৌন অপরাধ বর্ণনা করার মত ছিল না। বাংলাদেশের অনেক নারী গৃহকর্মীর লাশ আমরা পেয়েছি, যাদেরকে নিপীড়ন করে করে, যেীন হেনস্তা করে করে, নির্যাতনে পিষ্ট করে করে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। অনেকের লাশও দেশে ফেরত আসেনি। তাদের লাশের অপেক্ষায় হয়তো স্বজনেরা আজও তাকিয়ে আছেন।

বস্ততঃ সউদি সরকার এসব অভিযোগের বিষয়ে তার দেশের নাগরিকদের আইনের আওতায় এনেছেন, এমনটা খুব কম ক্ষেত্রেই শোনা গেছে। আসলে সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ সউদি নাগরিকই হয়তো ভেবে থাকেন যে, তারা নিজেরা মুনিব আর ভিনদেশ থেকে আগত ভূখাফাঁকা, হা-ভাতে লোকগুলো, যারা তাদের বাসা বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে থাকেন, এরা দাস মাত্র। দাস-দাসীদের আবার মানবাধিকার বলে কিছু থাকতে হয় না কি? মুনিবের চিত্তরঞ্জনই তো তাদের কাজ! মুনিবের ইচ্ছাই তো তাদের জীবন! সউদির আদালতগুলোও কি এই মানসিকতা ধারণ করেন কি না, বোধগম্য নয়। কারণ, সেখানকার নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই ধরণের বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্বেও তারা গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় কার্যকর এবং টেকসই ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? এটা তো শুধুমাত্র তাদের সদিচ্ছারই বিষয়। তারা ইচ্ছে করলেই এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। গৃহকমীদের সুরক্ষায় তারা তাদের স্বরাষ্ট্র বা অন্য যে কোনো মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি হেল্প ডেস্ক খুলতে পারে, এক বা একাধিক টোল ফ্রি নাম্বার রাখতে পারে সেখানে, যে নাম্বার প্রতিটি গৃহকর্মীকে সউদিতে প্রবেশের সাথে সাথে দিয়ে দেয়া হবে। তারা যে কোনো বিপদে পতিত হলে বা কোনোভাবে তাদের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে মনে করলে, তারা উক্ত নাম্বারে ফোন করে যাতে তাৎক্ষনিকভাবে সহায়তা নিতে পারে।

অথবা, প্রতিটি গৃহকমীর সাথে যোগাযোগের অন্য যে কোনো ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারে, যাতে করে তারা নিয়োগকর্তা বা তার নিকটাত্মীয়দের দ্বারা নিগৃহিত ও নির্যাতিত হয়ে থাকেন কি না, তা নিয়মিত পর্যবেক্ষন করা সম্ভব হয়।

কই, এই ধরণের কোনো উদ্যোগ আজ অবদি সউদি সরকার নিয়েছে? এই বিষয়ে তাদের কোনো আন্তরিকতা দেখা গেছে এ পর্যন্ত? লাশ বানিয়ে একেকজন গৃহকর্মীকে যারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছেন, সেই নির্যাতকদের বিষয়ে সেখানকার আদালত কি রায় দিয়েছে? এসব ঘটনায় তাদের একজনকেও কি কোনো শাস্তি দেয়া গেছে? না কি, স্বাক্ষী প্রমানের অভাবে পার পেয়ে গেছেন প্রত্যেকেই?

অবশ্য গৃহকর্মী নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গহণের জন্য ইতোপূর্বে আমরা শুনেছিলাম যে, সউদির রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ ও সউদির কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন পূর্বে বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি অনলাইন ডেটাবেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত তথ্য প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ আসলে শেষমেষ কতটুকু আলোর মুখ দেখেছে, তা জানা যায়নি।

আসলে এগুলো এখন ভাবনায় নিতে হবে। আমাদেরকেই এইসব বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। অপরাধ নিয়ে মুখ না খুললে তো অপরাধীদের দন্ত-নখর আঁচড়ে আঁচড়ে, খামচে দিয়ে রক্তাক্ত করে তুলবে বাকিদেরও।

তবে, আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীতভাবে নিবেদন করতে চাই, সউদি সরকার যদি তার দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে উত্থিত অভিযোগগুলো তাদের ভাবনায় নিতে না চান, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনাকে তারা যদি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে না চান, বরাবরের মত যদি পাশ কাটিয়ে যেতে চান ও উদাসীনতা প্রদর্শন করেই যান, তাহলে স্পষ্ট করে বলি, আল্লাহর কসম, তাদের সীমাহীন নির্লিপ্ততা এবং এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আমাদের মাননীয় কর্তৃপক্ষের গত বেশ কয়েক বছরের অন্তহীন সহ্যশক্তি আর অনি:শেষ নির্লিপ্ততা কোটি প্রাণে নিয়তই রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে, সউদির কাড়ি কাড়ি রিয়াল, বস্তা বস্তা ডলার কিংবা রাশি রাশি স্বর্ণ - ওগুলো আমাদের জন্য নয়, আমার দেশের সরলা-অবলা নারীদের জন্য ওসব নয়, আপনার পায়ে হাত রেখে অনুরোধ, আপনি পিতা, স্বামী বা অন্য যে পর্যায়ের অভিভাবকই হোন না কেন, নিরাপত্তার গ্যারান্টি না দেয়া পর্যন্তু আপনার মেয়েকে, আপনার স্ত্রীকে, আপনার প্রিয়জনকে সেখানে পাঠাবেন না, আমার দেশের একজন মা-বোনও তাদের দেশে গৃহকর্মী হিসেবে পা দিবে না, আমার দেশের মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে কোনো অর্থ উপার্জন নয়, এমন নিকৃষ্ট অর্থ-বিত্ত দিয়ে কি করবো আমরা? মানবতার মূলে কুঠারাঘাতকারী এমন ধ্বংসাত্মক অর্থ আমরা চাই না। চাই না। চাই না।

সউদি আরব যদি বাংলাদেশ হতে গৃহকর্মী সত্যিই নিতে আগ্রহী হয়ে থাকে, তার সাথে বসুন, কথা বলুন, স্পষ্ট করে তাকে জানিয়ে দেন যে, এরপরে আর একজন নারীর প্রতি অবিচার দেখতে চাই না, কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলে কথা বলতে এসো, অন্যথায় বিকল্প রাস্তা খুঁজে নাও। একজন নারীর প্রতি অবিচার হলে, সহিংতার ঘটনা সঙ্ঘটিত হলে তোমাদের সাথে চুক্তি বাতিল করা হবে। দেখুন, তারা পথ নিশ্চয়ই বের করে নিয়ে আসবে। কিন্তু সেই সাহস তো আমাদের থাকতে হবে। সেই পাটা তো বুকে ধারণ করতে হবে। বিড়ালের মত হয়ে ৫০০ বছর বেঁচে না থেকে সিংহের মত এক ঘন্টা মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা গৌরবের। বাঙালীর আজ ভাতের অভাব নেই। অভাবে বাঙালী আজ আর মরছেও না, মরতে চলেছে স্বভাবে.. । স্বভাবের দোষে...।

সংবাদ সূত্র দেখুন: বাংলাদেশসহ ৮ দেশ থেকে কর্মী নেবে সৌদি আরব

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

স্প্যানকড বলেছেন: প্রতিবার নেয় পরে পোয়াতি বা গনি মতের মাল করে ছাড়ে ! আল্লাহ ওদের হেফাজত করুক। ভালো থাকবেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



এদের মুখের উপরে কথা বলা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো পথ দেখি না। উচিত শিক্ষা হওয়া উচিত এই নীতিহীনদের।

ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সচেতন কেউ যাচ্ছে না গৃহকর্মী হিসেবে। যারা 'অসেচতন', তাদের পাঠাতে ফাঁদ পেতেছে 'সচেতন' ভিসা ব্যবসায়ীরা। উত্তরণের উপায় জানা নেই। শুনেছি গৃহকর্মী না পাঠালে পুরুষ কর্মীর ভিসা কমিয়ে দেয়...

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



গৃহকর্মী না পাঠালে পুরুষকর্মীর ভিসা কমিয়ে দেয়...

বুঝুন তাহলে! ওরা যে নীতিভ্রষ্ট ওদের কাজেকর্মেই তার প্রমান মেলে। নারী গৃহকমীদের নিবেও আবার তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নিবে না। মামুর বাড়ির আবদার পেয়েছে, মনে হচ্ছে। ওরা যদি ঘাড় বাঁকা করে, বাংলাদেশেরও উচিত একইভাবে আরেকটু বেশি বাঁকা করে দেখানো। ওদের শিক্ষা দিতে হলে এমনটাই দরকার। আর এরকম কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান আশা করা যায় না।

শুভকামনা।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০

মামুinসামু বলেছেন: লেখক বলেছেন: "আসলে সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ সউদি নাগরিকই হয়তো ভেবে থাকেন যে, তারা নিজেরা মুনিব আর ভিনদেশ থেকে আগত ভূখাফাঁকা, হা-ভাতে লোকগুলো, যারা তাদের বাসা বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে থাকেন, এরা দাস মাত্র। দাস-দাসীদের আবার মানবাধিকার বলে কিছু থাকতে হয় না কি?"....
... আমাদের দেশের গৃহকর্মীদের মানবাধিকারের পরিস্থিতি কি রকম?
... আমাদের দেশের শ্রমিক হিসবে যারা কাজ করেন তাদের মানবাধিকারের পরিস্থিতি কি রকম?
... আমাদের দেশের সো কল্ড "কর্পোরেট" প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তাদের মানবাধিকারের পরিস্থিতি কি রকম?
...সউদি আরবের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কতটুকু?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



... আমাদের দেশের গৃহকর্মীদের মানবাধিকারের পরিস্থিতি কি রকম?

আমাদের দেশের গৃহকর্মীদের মানবাধিকারের অবস্থাও বিশ্লেষন করলে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করা যায় না। এককথায় বলা চলে তথৈবচ। তাদের নিয়ে সাম্প্রতিক এই পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন-

ইসলামের সদাচরণের শিক্ষাই সমুন্নত করতে পারে গৃহকর্মীদের অধিকার

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

নতুন বলেছেন: আসলে সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ সউদি নাগরিকই হয়তো ভেবে থাকেন যে, তারা নিজেরা মুনিব আর ভিনদেশ থেকে আগত ভূখাফাঁকা, হা-ভাতে লোকগুলো, যারা তাদের বাসা বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে থাকেন, এরা দাস মাত্র। দাস-দাসীদের আবার মানবাধিকার বলে কিছু থাকতে হয় না কি? মুনিবের চিত্তরঞ্জনই তো তাদের কাজ! মুনিবের ইচ্ছাই তো তাদের জীবন! সউদির আদালতগুলোও কি এই মানসিকতা ধারণ করেন কি না, বোধগম্য নয়। কারণ, সেখানকার নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই ধরণের বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্বেও তারা গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় কার্যকর এবং টেকসই ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?

ইসলামের শুরুই যেই দেশে, যেই দেশে নামাজের সময় সব কিছু বন্ধ করে সবাই নামাজ আদায় করে। যেই দেশে শরিয়া আইনে বিচার হয়। যেই দেশে মদ, গান বাজনা, মুভি, বাজে রকমের সব কিছুই বন্ধ।

সেই দেশের মানুষ এমন কেন করছে? ১৪০০ বছরে কি ইসলামের শিক্ষা তাহলে তারা অনুসরন করছে না?
:|

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলামের শুরুই যেই দেশে, যেই দেশে নামাজের সময় সব কিছু বন্ধ করে সবাই নামাজ আদায় করে। যেই দেশে শরিয়া আইনে বিচার হয়। যেই দেশে মদ, গান বাজনা, মুভি, বাজে রকমের সব কিছুই বন্ধ।

সেই দেশের মানুষ এমন কেন করছে? ১৪০০ বছরে কি ইসলামের শিক্ষা তাহলে তারা অনুসরন করছে না?
:|


-নামকাওয়াস্তে কিংবা কেতাদুরস্ত হওয়া ইসলামের শিক্ষা নয়। বাস্তব জীবনে সত্যিকারের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার উন্নত ও সর্বোত্তম আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে নির্দেশ দেয় ইসলাম। সউদির সকল সাধারণ নাগরিক নীতিহীন নন। মুষ্টিমেয় সংখ্যক উচ্চবিত্ত ক্ষমতাধর লোক রাজ আনুকূল্য পেয়ে গোটা দেশটির মানুষের বদনাম করছে। সর্বোপরি তাদের কারণে ইসলামের বদনাম হচ্ছে। আর এর ফলে অনেক লোক না বুঝে সউদি আরব আর ইসলামকে একাকার করে ফেলছে, যা আরেক বোকামি।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সরকার এই বিষয়ে কিছু গবেষণা করতে পারে এবং সেই মত কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে, যারা যাচ্ছে, তারা কারা এবং কি করলে ভাল হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ঠিক বলেছেন। জটিল এই সমস্যার সমাধানে আমাদের দেশের সরকারের একটা কিছু অবশ্যই করা উচিত। পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের কিশোরী চাকরাণী ও যুবতী ঝি'দের অবস্হা একই রকম।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, তাদের মানবাধিকার নিয়ে ভাবা দরকার। কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলতে হবে।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৪৮

সোবুজ বলেছেন: শরীয়া আইনে দাসীর সাথে সহবত করা নিষেধ নাই।আমাদের নবীজী ও সাহাবীরা সবাই এটা করেছেন।ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কোন অপরাধ নয়।সৌদিরা কাজের মেয়েকে দাসীই মনে করে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



শরিয়া আইনে দাসীর সাথে সহবাস করতে নিষেধ করা হয়নি ঠিক আছে, কিন্তু শরিয়া আইনের কোথাও 'দাসীর সাথে সহবাস করো' এমন নির্দেশনা কি প্রদান করা হয়েছে? দেখাতে পারবেন? আমরা শিউর যে, এমন কোনো প্রমান হাদিসের কিতাবগুলোতে পাবেন না। ইতিহাসের আলোকেও এমন কথার অস্তিত্ব পাবেন না। তাহলে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে লাভ কি?

দাস দাসীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার সর্বপ্রথম ইসলামই দিয়েছে। চোখ, কান এবং হৃদয়, মন খুলে ইতিহাস পড়ে দেখুন। কারণ, তালাবদ্ধ অন্তরে সত্যের স্থান হয় না।

যেভাবে অবলীলায় বললেনে যে, বিশ্বনবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সাহাবায়ে কেরাম সবাই এটা করেছেন, মনে হচ্ছে, আপনিও তাদের সাথেই ছিলেন এবং স্বচক্ষে সবকিছু দেখে এসেই বর্ণনা করে শোনাচ্ছেন। 'কান চিলে নিয়ে যাওয়ার' কথায় বিশ্বাস করার সেই অন্ধকার দিন কি তাহলে এখনও রয়ে গেছে? যা বললেন তার প্রমান দিতে পারবেন?

সবচেয়ে বড় কথা, বর্তমান বিপদগামী সউদি রাজ পরিবার আর তাদের কিছু দোসর যারা তেল ও স্বর্ণ বিক্রির অর্থে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিয়ে নীতিহীনতায় নিমজ্জিত, ভ্রষ্ট নষ্ট এসব উচ্চবিত্তদের দিয়ে ইসলামকে পরিমাপ করা চরম বোকামি এবং রীতিমত দুঃখজনক!

শুভকামনা।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

সোবুজ বলেছেন: যেহেতু দাসীর সাথে সহবাস করার নির্দেশ শরিয়া আইনে দেয়া নাই অতয়েব যারা সহবাস করেছে তারা পাপ করেছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি ক্লিয়ারলি বুঝার জন্য আপনি ইচ্ছে করলে নিচের লিঙ্কযুক্ত লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন-

ইসলামে ক্রীতদাসির সাথে যৌন সম্পর্কের বৈধতা কতটুকু?

শুভকামনা আবারও পোস্টে এসে মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না । সৌদিদের বিশ্বাস করা বিশেষ করে নারীগত বিষয়ে বোকামি ছাড়া কিছুই না ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কথা ঠিক আছে, কিন্তু সউদিদের বিশ্বাস করতে যাচ্ছি কেন আমরা? বারবার বিশ্বাস ভঙ্গ হবার পরেও বিশ্বাস বলে কিছু থাকতে পারে কি?

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: সোবুজ বলেছেন: শরীয়া আইনে দাসীর সাথে সহবত করা নিষেধ নাই।আমাদের নবীজী ও সাহাবীরা সবাই এটা করেছেন।ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কোন অপরাধ নয়।সৌদিরা কাজের মেয়েকে দাসীই মনে করে।


যান আপনার বাড়িতে যে কাজের মেয়ে বা মহিলা আছেন তারে পোয়াতী বানান। ধর্ম আপনাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছে ।

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদিরা আজও কেন বর্বর? এই শিরোনামে একটা পোষ্ট লিখুন।

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম ধর্মের বড় প্রলোভন ভরনপোষণ।
লোভ ভালো নয়। ধর্মই লোভ, জাতিগত বিদ্বেষ, নজরী বিদ্বেষের জন্ম দেয়।

ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

নতুন বলেছেন: -নামকাওয়াস্তে কিংবা কেতাদুরস্ত হওয়া ইসলামের শিক্ষা নয়। বাস্তব জীবনে সত্যিকারের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার উন্নত ও সর্বোত্তম আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে নির্দেশ দেয় ইসলাম। সউদির সকল সাধারণ নাগরিক নীতিহীন নন। মুষ্টিমেয় সংখ্যক উচ্চবিত্ত ক্ষমতাধর লোক রাজ আনুকূল্য পেয়ে গোটা দেশটির মানুষের বদনাম করছে। সর্বোপরি তাদের কারণে ইসলামের বদনাম হচ্ছে। আর এর ফলে অনেক লোক না বুঝে সউদি আরব আর ইসলামকে একাকার করে ফেলছে, যা আরেক বোকামি।

সৌদি আবর আর ইসলাম এক না এই কথা শুনলে একটা কথা মনে হয়।

আমাদের দেশে অনেকেই এখন আরবদের চেয়ে ইসলাম বুঝি। অনেকেই বলতে শুনেছি বাংলাদেশীরাই বেহেস্তে বেশি যাবে আরবদের থেকে কারন এখন আরবেরা অনেক অকামে লিপ্ত।

এই সমস্যা যে কেন হয় সেটা আমাদের দেশের একটা উদাহরন দেই।


আমাদের মানুষ বাংলা ভাষার ব্যবহারে অনেক বিদেশী শব্দ ব্যবহার করে। কেন করে? কারন এটাই বাস্তবতা, পরির্বতন আসবেই।

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমেরিকার আনুকূল্য পেয়ে সৌদিতে এখনো রাজতন্ত্র টিকে আছে। রাজতন্ত্র বিলোপ হলে এমন অসংখ্য সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

বিটপি বলেছেন: আমার ঘরের কাজ করার জন্য দশ হাজার টাকায় বুয়া পাইনা। আর সৌদিতে মাসে ১৮ হাজার টাকার লোভে বুয়ারা ৫০ হাজার টাকা দালালদের দিয়ে সৌদী যায় গণিমতের মাল হতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.