নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুমিনের হাতিয়ার: দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাত ইলাল্লাহ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

মুমিনের হাতিয়ার: দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাত ইলাল্লাহ

ছবিঃ অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

মানুষ আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে সম্মানিত তখনই হয়, যখন সে তার প্রভুর সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হয়। এই সংযুক্তির অন্যতম মাধ্যম হলো দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাত ইলাল্লাহ। মুমিনের জীবনে এসবের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা কুরআনে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে এসবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

দুআ: মুমিনের মূল অস্ত্র

দুআ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করা, তার কাছে সাহায্য চাওয়া। এটি মুমিনের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:

وَقَالَ رَبُّكُمُ ٱدْعُونِىٓ أَسْتَجِبْ لَكُمْ

“তোমাদের প্রভু বলেছেন, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” -সূরা গাফির, আয়াত: ৬০)

এ থেকে বোঝা যায়, দুআ আল্লাহর কাছে মুমিনের নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম। এটি কেবল প্রার্থনা নয়, বরং আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ও ভরসার বহিঃপ্রকাশ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"الدُّعَاءُ هُوَ العِبَادَةُ" -“দুআই হলো ইবাদত।” -তিরমিজি: ৩৩৭২

মুমিন দুআর মাধ্যমে তার অন্তরের সব দুঃখ, কষ্ট এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা আল্লাহর কাছে পেশ করে। এটি এমন এক মাধ্যম যা মুমিনকে আল্লাহর অসীম দয়া ও ক্ষমার সাথে সংযুক্ত রাখে।

ইস্তিগফার: পাপ থেকে মুক্তির পথ

ইস্তিগফার অর্থ হলো আল্লাহর কাছে পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়া। এটি মুমিনের জন্য অপরিহার্য একটি ইবাদত। মানুষ পাপমুক্ত নয়; তাই আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করার মাধ্যমে সে তার পাপের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:

وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُۥ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا

“আর যে কেউ মন্দ কাজ করে বা নিজের প্রতি অন্যায় করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে অতিশয় ক্ষমাশীল ও দয়ালু হিসেবে পাবে।” -সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১০

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত ইস্তিগফার করতেন। তিনি বলেছেন:

"وَاللهِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً"

“আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন সত্তরের বেশি বার আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করি এবং তার দিকে ফিরে আসি।” -বুখারি: ৫৯৪৮

ইস্তিগফার কেবল পাপ থেকে মুক্তির জন্য নয়, বরং আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ লাভের একটি মাধ্যম।

ইনাবাত ইলাল্লাহ: আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন

ইনাবাত ইলাল্লাহ অর্থ হলো আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তার প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা। এটি মুমিনের জীবনকে আল্লাহমুখী করে তোলে এবং তাকে গুনাহ থেকে দূরে রাখে। কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَأَنِيبُوٓاْ إِلَىٰ رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُواْ لَهُۥ

“তোমরা তোমাদের প্রভুর দিকে ফিরে আসো এবং তার প্রতি আত্মসমর্পণ করো।” -সূরা আজ-যুমার, আয়াত: ৫৪

ইনাবাতের মাধ্যমে মুমিন তার জীবনকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুযায়ী পরিচালিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এটি এমন এক গুণ, যা মুমিনের আত্মিক শুদ্ধি নিশ্চিত করে এবং তাকে ইহকাল ও পরকালের সফলতার দিকে নিয়ে যায়।

দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাতের প্রভাব

মুমিনের জীবনে দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাতের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এগুলো তাকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে এবং তার অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"مَن لَزِمَ الاِسْتِغْفَارَ جَعَلَ اللهُ لَهُ مِن كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجًا، وَمِن كُلِّ هَمٍّ فَرَجًا، وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ"

“যে ব্যক্তি ইস্তিগফারকে আঁকড়ে ধরে, আল্লাহ তার জন্য প্রতিটি বিপদ থেকে মুক্তির পথ তৈরি করবেন, দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিতভাবে রিজিক দান করবেন।” -আবু দাউদ: ১৫১৮

সাইয়িদুল ইসতিগফার

হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

سَيِّدُ الِاسْتِغْفَارِ أَنْ تَقُولَ: اللّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ. قَالَ: وَمَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ، وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ .

অর্থাৎ, সাইয়িদুল ইসতিগফার হচ্ছে এইরূপ বলা- اللّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ.

‘ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার রব। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনার বান্দা। আমি যথাসাধ্য মেনে চলব আপনার বিধান ও ফরমান।

আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি নিজ কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে। স্বীকার করছি আমাকে প্রদত্ত আপনার সকল দান আর স্বীকার করছি আমার পাপ। কাজেই আমাকে ক্ষমা করুন। আপনি ছাড়া আর কেউ নেই, যে গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে পারে।’

তিনি বলেন, যে এই কথাগুলো দিনের বেলা মন থেকে বলে আর ঐ দিন সন্ধ্যার আগে মারা যায়, সে জান্নাতীদের শামিল হবে। তেমনি যে তা রাতের বেলায় মন থেকে বলে আর ভোর হওয়ার আগেই মারা যায় সে জান্নাতীদের শামিল হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩০৬, ৬৩২৩

সাইয়্যিদুল ইসতিগফার সম্বলিত অত্র হাদিসের সূত্র-আলোচনা

এই হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস ইবনে ছাবিত রা. একজন আনসারী খাযরাজী সাহাবী। বিখ্যাত শায়ের সাহাবী হযরত হাসসান ইবনে ছাবিত রা.-এর ভাতিজা। তাঁর বাবা আওস ইবনে ছাবিত রা. বদরের যুদ্ধে শামিল ছিলেন। আর অহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন-

شداد بن أوس من الذين أوتوا العلمَ والحلم، ومن الناس من أوتي أحدهما.

শাদ্দাদ ইবনে আওস ঐসব ব্যক্তিদের একজন, যাদের ‘ইলম’ ও ‘হিলম’ (জ্ঞান ও সহনশীলতা) দুটোই দেয়া হয়েছে। অথচ অনেক মানুষ আছে যারা শুধু একটি প্রাপ্ত হয়েছেন।

তাঁর সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে-

فضل شداد بن أوس الأنصارَ بخصلتين : ببيان إذا نطق، وبكظم إذا غضب.

আনসারীদের মাঝে শাদ্দাদ ইবনে আওস শ্রেষ্ঠ দুটি স্বভাব দ্বারা : এক. স্পষ্ট বক্তব্যে আর দুই. ক্রোধ সংবরণে।

ইমাম তবারানী রাহ. স্বীয় সনদে তাঁর জীবনের একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন যে, একবার শাদ্দাদ ইবনে আওস রা. মরণাপন্ন হয়ে পড়েন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে ছিলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ما لك يا شداد؟ শাদ্দাদ! তোমার কী হয়েছে? তিনি বললেন, ضاقت بي الدنيا পৃথিবী আমার জন্য সংকুচিত হয়ে গেছে! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

ليس عليك، إنّ الشّام سيفتح، وبيت المقدس سيفتح، وتكون أنت وولدك من بعدك أئمّة فيهم إن شاء اللَّه تعالى.

না, তোমার কিছু হবে না। শাম বিজিত হবে। বাইতুল মাকদিস বিজিত হবে। আর তুমি ও তোমার পরে তোমার সন্তানেরা সেখানে নেতৃস্থানীয় হবে ইনশাআল্লাহ!

পরে তিনি শামে চলে যান। এক ক্বওল অনুসারে ৫৮ হিজরীতে ৭৫ বছর বয়সে ফিলিস্তীনে ইন্তিকাল করেন।

(আল ইসাবা ফী তাময়ীযিস সাহাবা, ইবনে হাজার আসকালানী ৩/২৫৮)

হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. বলেন, সহীহ বুখারীতে তাঁর সূত্রে এই একটি হাদীসই বর্ণিত হয়েছে। -ফাতহুল বারী ১১/৯৯

এই মহান সাহাবীর সূত্রে এই হাদীস ইমাম বুখারী রাহ. ছাড়াও ইমাম ইবনে আবী শাইবা, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম নাসায়ী প্রমুখ স্ব স্ব সনদে বর্ণনা করেছেন। (দ্র. আলমুসান্নাফ, ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩০০৫২ ও টীকা শায়েখ মুহাম্মাদ আওয়ামা)

সহীহ বুখারীর ‘কিতাবুদ দাআওয়াত’-এর দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে এই হাদীসটি (৬৩০৬) রয়েছে। পরিচ্ছেদের শিরোনাম ‘বাবু আফযালিল ইসতিগফার’। আফযালুল ইসতিগফার মানে শ্রেষ্ঠ ইসতিগফার। সহীহ বুখারীর ভাষ্যকার হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (৮৫২হি.) বলেছেন-

وَتَرْجَمَ بِالْأَفْضَلِيَّةِ وَوَقَعَ الْحَدِيثُ بِلَفْظِ السِّيَادَةِ وَكَأَنَّهُ أَشَارَ إِلَى أَنَّ الْمُرَادَ بِالسِّيَادَةِ الْأَفْضَلِيَّةُ وَمَعْنَاهَا الْأَكْثَرُ نَفْعًا لِمُسْتَعْمِلِهِ.

অর্থাৎ ইমাম বুখারী রাহ. ‘আফযাল’ শব্দের দ্বারা শিরোনাম গঠন করেছেন। তিনি সম্ভবত এর দ্বারা হাদীসের ‘সাইয়িদ’ শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ সাইয়িদুল ইসতিগফার অর্থ আফযালুল ইস্তিগফার বা শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার। আর এর শ্রেষ্ঠত্বের তাৎপর্য হচ্ছে, পাঠকারীর পক্ষে সর্বাধিক উপকারী হওয়া। -ফতহুল বারী ১১/১০১

মুমিন যখন দুআ করে, তখন সে আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা প্রকাশ করে। ইস্তিগফার তাকে পাপের বোঝা থেকে মুক্তি দেয় এবং ইনাবাত ইলাল্লাহ তার জীবনের লক্ষ্যকে আল্লাহমুখী করে তোলে।

উপসংহার

দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাত ইলাল্লাহ—এগুলো মুমিনের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো মুমিনকে আল্লাহর সঙ্গে গভীর সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে এবং তাকে ইহকাল ও পরকালের সফলতার পথে পরিচালিত করে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দুআ, ইস্তিগফার ও ইনাবাতের মাধ্যমে তার নৈকট্য লাভের তাওফিক দান করুন।

اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنَا مِنَ المُسْتَغْفِرِينَ وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ المُخْلِصِينَ

“হে আল্লাহ! আমাদেরকে তাওবাকারী, ইস্তিগফারকারী এবং আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।” আমিন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ তাআ'লা আপনার প্রার্থনা কবুল করুন। আমিন।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আদদোয়াউ ইয়ারুদ্দুল কাদার।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আল্লাহর কাছে চাইতে হলে অবশ্যই দোআ'র মাধ্যমে চাইতে হবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ঠিক বলেছেন। আল্লাহ তাআ'লার কাছেই প্রার্থনা করা উচিত। তিনিই একমাত্র প্রার্থনা গ্রহণকারী। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: নিজের জীবনে অসংখ্যবার পরিক্ষীত ও প্রমাণিত।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরান। আল্লাহ তাআ'লা আপনার প্রতি রহম করুন।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমিন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আমিন। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০২

এ পথের পথিক বলেছেন: ঠিক মনে করতে পারছিনা ২০২০ এ বা তার আগে "দুয়া মুমিনের হাতিয়ার" শিরনামে খুব সুন্দর একটি লেকচার শুনেছিলাম । পরে চেষ্টা করেও আর খুঁজে পায়নি ।
জাযাকাল্লাহ খাইর । এমন পোস্টের ধারা অব্যাহত থাকুক । সাইয়িদুল ইস্তিগফার সংযুক্ত করলে আরো সুন্দর হয়ে উঠত, সদাকায়ে জারিয়া হয়ে থাকত ।
সাইয়িদুল ইস্তিগফারঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’।
ফজিলতঃ যে ব্যাক্তি দিনের (সকাল) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ ইস্তিগফার পড়বে আর সন্ধা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যাক্তি রাতের (প্রথম) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ দু’আ পড়ে নেবে আর সে ভোর হওয়ার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে।
সোর্সঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৫৮৬৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৬৩০৬

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পরামর্শ অনুযায়ী সাইয়্যিদুল ইসতিগফার যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলিই আমরা করি না। শুধু বিতর্ক আর দলাদলি করে সময় কাটাই।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



যথার্থ বলেছেন। শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
আপনার লেখাটা পড়ি নাই। কেন পড়ি নাই? কারন আমি সময় নষ্ট করতে চাই না। সময় মূল্যবান।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জেনে খুশী হলাম যে, আপনার সময় এতই মূল্যবান। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.