নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

রংপুর জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে তৈরী মডেল মসজিদের ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া।

বাংলাদেশে ইসলামের নামে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বাস্তবে তার অনেকগুলোই লোক দেখানো বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনা সরকারের মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রকল্প তার একটি অন্যতম উদাহরণ। ইসলামকে ব্যবহার করে সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যার বাস্তবিক কোনো দীর্ঘমেয়াদী সুফল জনগণ পাবে না।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ও বাস্তবতা

২০১৭ সালে শেখ হাসিনা সরকার ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেয়, যা প্রায় ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা বাজেটের একটি প্রকল্প। সরকারের দাবি অনুযায়ী, এ প্রকল্পের লক্ষ্য—

✔ ইসলামিক মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসার,
✔ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন,
✔ হজ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা,
✔ মুসল্লিদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান,
✔ নারী ও প্রতিবন্ধীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা।

কিন্তু বাস্তবে কী ঘটেছে?

১. প্রকল্পের নামে বিশাল অর্থ অপচয় ও লুটপাট

মডেল মসজিদ প্রকল্পের প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা বাজারদরের তুলনায় অনেক বেশি।

# প্রতিটি মসজিদের গড় নির্মাণ ব্যয় ১৫-২০ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের সাধারণ নির্মাণ খরচের তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি।
# ঠিকাদার ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।
# অনেক মসজিদের নির্মাণকাজ নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে করা হয়েছে, যা কয়েক বছরের মধ্যেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়তে পারে।

2. ইসলামিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের নামে ভণ্ডামি

সরকার দাবি করেছিল, এই মডেল মসজিদগুলো ইসলামের প্রচার ও গবেষণার কেন্দ্র হবে। কিন্তু দেখা গেছে—

# মসজিদগুলোতে প্রকৃত ইসলামী গবেষণার কোনো উদ্যোগ নেই।
# সেখানে ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ শেখানোর পরিবর্তে সরকারপন্থী বক্তব্য প্রচার করা হয়।
# কিছু জায়গায় কেবল নামমাত্র ইসলামী বই রাখা হয়েছে, যার বাস্তবিক কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম নেই।

3. মসজিদ বানিয়ে ইসলামপ্রেমী সাজা, অন্যদিকে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

সরকার একদিকে মডেল মসজিদ বানিয়ে ইসলামপ্রেমী ভাবমূর্তি তৈরি করতে চায়, অথচ বাস্তবে দেখা যায়—

# মাদ্রাসা শিক্ষাকে অবহেলা করা হয়েছে— ২০১৩ সালে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, অথচ মডেল মসজিদ বানিয়ে ইসলামি ভাবমূর্তি গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
# ইসলামি দল ও আলেমদের দমন করা হয়েছে— ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের গণহত্যা, ২০২১ সালে মাওলানা মামুনুল হকের গ্রেপ্তার তার উদাহরণ।
# শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামবিরোধী কারিকুলাম সংযোজন— নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় অনুশাসন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ মডেল মসজিদ বানিয়ে ধর্মীয় ভাবধারার সরকার হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।

4. রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার

শেখ হাসিনার সরকার জানে, বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলাম নিয়ে সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। তাই রাজনৈতিকভাবে সুবিধা নেওয়ার জন্য মডেল মসজিদ প্রকল্পকে প্রচারণার হাতিয়ার বানানো হয়েছে।

# সরকারের তহবিল থেকে মসজিদ নির্মাণ হলেও তাতে শেখ হাসিনার ছবি লাগানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী।
# এসব মসজিদে ইসলামের প্রকৃত দিক প্রচারের পরিবর্তে সরকারি ভাষণ প্রচার ও দলীয় প্রচারণার কেন্দ্র বানানো হয়েছে।

মূলকথা, প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য ইসলাম নয়, রাজনৈতিক ফায়দা

মডেল মসজিদ প্রকল্প ইসলামকে ব্যবহার করে জনগণের মন জয় করার একটি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। প্রকৃতপক্ষে, ইসলামের নামে জনগণের করের টাকা অপচয় করে দলীয় প্রচারণা চালানোই ছিল সরকারের মূল উদ্দেশ্য।

✅ যদি সত্যিই ইসলাম প্রচার-প্রসার সরকারের উদ্দেশ্য হতো, তাহলে—

✔ কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসাগুলোতে উন্নয়ন হতো,
✔ ইসলামী গবেষণা ও শিক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হতো,
✔ আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হতো।

কিন্তু বাস্তবে, এটি ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার আরেকটি ভণ্ডামির নমুনা ছাড়া কিছুই নয়।

তথ্যসূত্র:

গণপূর্ত অধিদপ্তরের মডেল মসজিদ প্রকল্পের তথ্য

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রতিবেদন

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির অভিযোগ

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে ইসলামিক শিক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কিত রিপোর্ট

আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, সঙ্গে ছিলেন মসজিদে নববির ইমাম

সারাদেশে মডেল মসজিদ- শেখ হাসিনার আরো একটি দুরদর্শী সিদ্ধান্ত

৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প

দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ প্রকল্প

মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প

দ্রষ্টব্য: বিশেষ কারণে ইতোপূর্বে সম্পূর্ণ পোস্টটি কোনোভাবেই এখানে পাবলিশ করতে পারিনি বলে নতুন পোস্ট আকারে প্রকাশ করা হলো।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইস! আমি লিখতে চেয়েছিলাম । :-B

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



লিখে ফেলুন! আপনি লিখলে বিশদ তথ্য সহকারে আরও ভালোভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারবেন হয়তো। পাঠক আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফাটাফাটি লুটপাটের ফাটাফাটি পোস্ট !

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। এই প্রকল্পের লুটপাট আসলেই ফাটাফাটি ছিল! একবার ভাবুন তো! চিন্তা করা যায়! রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের কি বিশাল যজ্ঞ! এমন লুটতরাজ আর হয় না! ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার শ্রাদ্ধ! প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, যেসব স্থানে এই মসজিদগুলো নির্মান/ স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশেরই আশপাশে আগে থেকেই মসজিদ রয়েছে। সুতরাং, নতুন করে এসব মসজিদের আদৌ কোনো প্রয়োজনই ছিল না।

অথচ হাজার হাজার কোটি টাকার বিশাল এই অর্থ বিনিয়োগ করে দেশের বেকার যুবসমাজের জন্য উৎপাদনশীল যে কোনো পণ্যের শিল্প কারখানা স্থাপন করে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হলে হাজার হাজার পরিবারের অভাব ঘুচে যেত। দেশ এগিয়ে যেত।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫

অগ্নিবাবা বলেছেন: ৯০% মুসলমানের দেশে আল্লাহর ঘর বানাতেও যদি দুর্নিতী হয়, তাহলে প্রমান হয়ে যায় বেশীরভাগ মুসলমানই অসৎ। নামাজ, রোজা মুসলমানদের সৎ পথে চলতে সাহায্য করে না, বরং অসৎ মুসলমানেরা পাপ মোচন করতে কালা পাথরে চুম্মা দেয়। আল্লাহ অসৎ মুসলমানদের বিশেষ সুবিধাটি দিয়ে রাখছে, এই কোটায় হাজীরা সারা জীবন কালা টাকা আয় করে আর শেষ জীবনে কালা পাথরে চুম্মাচাটি করে পার পেয়ে যায়। আপনার এই ধর্ম সারা বিশ্বে বিধর্মীদের শান্তি খাই্ছে, এখন নিজেরা নিজেদের গোস্ত খাইতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এই আল্লাহই একদিন কেন্দে কেন্দে আপসোস করবে, ক্যান যে আমি ইসলাম পয়দা করলাম? আপনারা আল্লাহর মান সম্মান ধুলায় মিশায়ে দিছেন। ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যে কিছু ব্যক্তিগত মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে, তবে এতে কিছু ভুল ধারণাও রয়েছে। যেমন:

১. ব্যক্তি ও ধর্ম আলাদা: কারও অসৎ কাজ ধর্মের দোষ হতে পারে না। ইসলাম সৎপথের শিক্ষা দেয়, কিন্তু ব্যক্তি যদি সেটি না মেনে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা।

২. ইবাদত ও চরিত্র: নামাজ-রোজা সৎ পথে চলতে সহায়তা করে, তবে কেউ যদি তা সত্ত্বেও অসৎ হয়, তাহলে সমস্যা তার নিয়তে, ধর্মে নয়।

৩. হজ ও পাপ মোচন: হজ শুধু বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আত্মশুদ্ধির একটি মাধ্যম। কালো পাথর (হাজরে আসওয়াদ) চুম্বন করা ফরজ বা পাপ মোচনের উপায় নয়, এটি ভালোবাসা ও স্মরণ করার একটি প্রতীকী আচরণ মাত্র।

৪. ইসলামের সার্বজনীনতা: ইসলাম শান্তি, ন্যায় ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। কিছু মানুষের কর্ম ইসলামকে সংজ্ঞায়িত করে না।

ধর্ম ও ব্যক্তির আচরণকে এক করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এখন ভাইঙ্গা ফালান।
ফ্যাসিস্টের বানানো মসজিদ রাখতে হয় না।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলতে উৎসাহিত করেছেন। এ ধরনের মন্তব্য ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উসকানি ছড়াতে পারে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তি দিয়ে বলা যায়:

১. উপাসনালয় ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয়: মসজিদ বা যেকোনো উপাসনালয় মানুষের ইবাদতের স্থান। যদি কোনো শাসক বা শাসনব্যবস্থার সাথে কারও মতপার্থক্য থাকে, সেটার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে, ধ্বংসের মাধ্যমে নয়।

২. ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ: মসজিদ শুধু ধর্মীয় স্থানই নয়, এটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। যেকোনো স্থাপনা তার নির্মাতার চেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সময়ের সাথে।

৩. ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ন্যায়সঙ্গত, কিন্তু ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা নয়: যদি কেউ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়, তা শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক উপায়ে হতে হবে। উপাসনালয় ধ্বংসের মাধ্যমে নয়।

আবারও বলতে হচ্ছে, এ ধরনের মন্তব্য অযৌক্তিক, উসকানিমূলক এবং সৌহার্দ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪২

নকল কাক বলেছেন: আমার লেখা বড় গল্প "গনি মিয়ার গুপ্তধন" পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, ভালো লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। মসজিদ প্রকল্প নিয়ে তো কিছু বললেন না!

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশের এমন কোনো যায়গা নাই যেখানে শেখ পরিবারের কোনো না কোনো নাম জড়িয়ে আছে-সেখানে দুর্নীতির মচ্ছব হয়নি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



১০০% সত্য বলেছেন। ধন্যবাদ। শেখ পরিবার মানে বস্তাপচা দুর্ণীতির গল্প। শেখ পরিবারের আত্মীয় (উদাহরণতঃ একজন তাকসিম এ খান) মানে দুর্ণীতির বরপুত্র! এস আলমকে দিয়ে একে একে ৭ টা ব্যাংক দখল, দরবেশ বাবাকে দিয়ে শেয়ার বাজার লুট করিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পাচারের প্রতিটি ঘটনায় শেখ পরিবারের কারও না কারও হাত ছিল। শেখ পরিবারের সদস্যদের মোটা অংকের কমিশন দিয়েই দেশটা দুর্ণীতির অতল তলে ডুবেছিল! মেগা মেগা প্রকল্পে মেগা মেগা লুটপাট হয়েছে। সমস্ত লুটপাটের নেতৃত্বে ছিল এই পরিবার।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

Sulaiman hossain বলেছেন: যেসকল মাসজিদ তাকওয়ার ভিত্তিতে বানানো হয়নি,সেসকল মাসজিদে নামাজ পড়া ঠিক নয়।যদি কেউ এধরনের মাসজিদে নামাজ পড়ে তাহলে তার অন্তরে মুনাফেকি পয়দা হবে,

০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ! আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে বলেছেন। ইসলামে তাকওয়া ও বিশুদ্ধ নিয়তের ভিত্তিতে নির্মিত মসজিদে নামাজ পড়ার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআনে (সূরা তাওবা: ১০৭-১০৮) বর্ণিত "মসজিদে দিরার" -এর ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। সুতরাং, মুমিনদের উচিত শুদ্ধ নিয়তে প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নামাজ আদায় করা। একইভাবে, ইখলাসের সাথে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করা এবং বিভেদ নয়, বরং ঐক্য ও তাকওয়ার পথ অনুসরণ করা। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথ দেখান।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২০

কামাল১৮ বলেছেন: পড়ার জন্য কোরান চুরি করলে কি পাপ হয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



হ্যাঁ, কুরআন পড়ার উদ্দেশ্য হলেও চুরি করা পাপ। ইসলাম ধর্মে চুরি করা স্পষ্টভাবে হারাম এবং এটি গুরুতর অপরাধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে কেউ চুরি করলে সে মুমিন থাকে না সে মুহূর্তে" (সহিহ বুখারি, ২৪৭৫)।

কুরআন পড়তে চাইলে হালাল উপায়ে সংগ্রহ করা উচিত—যেমন কারও কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া, মসজিদ থেকে পড়া, অথবা বিনামূল্যে অনলাইনে পড়া। আল্লাহর বাণী শেখার জন্য হারাম পথ অবলম্বন করলে তা নাজায়েজ হয়ে যায়, এবং এতে বরকত নষ্ট হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৩

তাসফিন সালেহ (আহনাফ) বলেছেন: ভালো লেখেছেন। কোন দল করেন?

০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ!

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:৪৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: বেশি বলে ফেলেছেন। আমাদের জন্য কিছু রাখুন। ভরা বাজারে এত অপমান! লীগের মানুষদের ঠিক মানুষ না, কি যে বলা উচিত... ধর্মকেও বাদ দিল না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



দুর্নীতি একটি জটিল সামাজিক সমস্যা যা অনেক দেশেই বিদ্যমান। বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভও রয়েছে। তবে বিগত আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি দুর্ণীতি হয়েছে। তারা ধর্ম আর ধার্মিকদের টার্গেট করেছিল নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ ও দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে। পশ্চিমা বিশ্বকে তারা এটা দেখিয়ে সমর্থন আদায় করার চেষ্টা করেছে যে, আওয়ামীলীগ উগ্রবাদ দমনে সক্ষম একমাত্র শক্তি।

মোটকথা, ভন্ডামী, মিথ্যাচার, দুর্ণীতি, অন্যায়, অপরাধ, লুন্ঠন, ধর্ষন, বিচারহীনতা, ভোটচুরি, রাতের ভোট, পাতানো নির্বাচন থেকে শুরু করে হেন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি।

আচ্ছা, আপনার কথা রক্ষার্থে কিছু রেখে দিচ্ছি। আপনি এসব নিয়ে লিখলে খুশি হবো। তবে তাদের বিশাল লুটতরাজের ইতিহাস লিখে এত সহজে শেষ করা যাবে বলে বিশ্বাস হয় না।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮

বিড়ি বলেছেন: লেখাটা থেকে এআই এর গন্ধ আসছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.