নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্পের গোয়ার্তুমির পরিণতি: শুল্কে তিন মাসের বিরতি

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪

ট্রাম্পের গোয়ার্তুমির পরিণতি: শুল্কে তিন মাসের বিরতি

রয়টার্স থেকে।

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য অঙ্গনে একের পর এক অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়ে অবশেষে নিজেরই নেওয়া সিদ্ধান্তের বিপরীত পথে হাঁটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মাসের শুরুতে যেভাবে হঠাৎ করেই ৭৫টির বেশি দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেমন চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল, তেমনি শুরু হয়েছিল শেয়ারবাজারে বিপর্যয়ের ঢেউ। তবে শেষ পর্যন্ত, বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্পের এক ধরণের 'বোধোদয়' হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

গোয়ার্তুমি ও অনড় অবস্থানঃ

ট্রাম্পের এই শুল্ক যুদ্ধের সূচনা হয় চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখার অজুহাতে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগানের আড়ালে তিনি একের পর এক শুল্ক আরোপ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। বিশেষ করে চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করা ছিল একেবারেই বিপরীতমুখী সিদ্ধান্ত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ট্রাম্পের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

উদ্ভট আচরণে উদ্বেগঃ

যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘অতি চালাক’ প্রেসিডেন্ট নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া ঘোষণায় দাবি করেছেন, "চীন বাজারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়নি। তাই আমরাও দেখাব না।" আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও বাণিজ্যে এমন উদ্ভট ও আক্রমণাত্মক ভাষার ব্যবহার নজিরবিহীন। চীনের পাল্টা জবাব হিসেবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ মার্কিন প্রশাসনের জন্য ছিল এক কড়া সতর্কবার্তা। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপে রাজি হয়, যা ট্রাম্পের কড়া অবস্থানকে ধাক্কা দেয়।

বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাবঃ

ট্রাম্পের ঘোষণার জেরে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতন লক্ষ্য করা গেছে। এশিয়া থেকে ইউরোপ, সর্বত্রই সূচকের বড় ধরনের পতন হয়। স্বাস্থ্যসেবা, খনি, তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ার দাম কমে যায় নজিরবিহীন হারে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম নেমে আসে প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে—যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এসব ইঙ্গিত করে যে, ট্রাম্পের এই একগুঁয়ে অবস্থান বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কাকে আরও গভীর করেছে।

শেষত শোধরানো: শুল্ক স্থগিতের ঘোষণাঃ

এই বাণিজ্যিক কাণ্ডজ্ঞানহীনতা ও বৈশ্বিক চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ট্রাম্প তিন মাসের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত করেছেন। যদিও এই সময়েও ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বহাল থাকবে, তবু এটিকে বিশ্ববাজারের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ প্রেসিডেন্টের কাছে শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ জানায়, যার ফলেই এই স্থগিতাদেশ আসে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়ে একটি পোস্টও করেন। এতে স্পষ্ট যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও কিছুটা হলেও যুক্তরাষ্ট্রকে চাপের মুখে ফেলে।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র আগেও পরাজিত হয়েছিলঃ

১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহামন্দার প্রেক্ষাপটে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে স্মুট-হাওলি ট্যারিফ অ্যাক্ট পাশ করে, যার ফলে সব দেশের জন্য শুল্ক ২০% বাড়ানো হয়। এতে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে এবং বিশ্ববাণিজ্য দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়। বহু ব্যাংক দেউলিয়া হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে একঘরে হয়ে পড়ে। ফলে ১৯৩২ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হুবার পরাজিত হন এবং নতুন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ১৯৩৪ সালে রেসিপ্রোকাল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টস অ্যাক্ট পাশ করে শুল্কহার কমান। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ট্যারিফ–যুদ্ধে পরাজিত হয়।

মূলকথাঃ

ট্রাম্পের অতি উৎসাহী ও একরোখা সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিকে যে কতটা নাড়িয়ে দিতে পারে, তা আবারও প্রমাণিত হলো। রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্যে নেওয়া বেপরোয়া সিদ্ধান্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হয়ে দাঁড়ায় এক ভয়াবহ বিপদ। এবার অন্তত কিছুটা সচেতন হয়েছেন তিনি। তবে পরবর্তী ৯০ দিনে আসল চ্যালেঞ্জ হবে—এই আলোচনাকে কিভাবে কার্যকর সমঝোতায় রূপান্তর করা যায়। বিশ্ব এখন চায়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব গঠনমূলক কিছু একটা হোক, ধ্বংসাত্মক নয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬

নতুন বলেছেন: এটা ট্রাম্পের একটা স্ট্রাটেজি। হুমকি দিয়ে আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসে সুল্ক বাড়ানো।

এটা পরাজয় না বরং এখন সকল দেশই আলোচনায় বসবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ইহা স্রেফ পাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ট্রাম্প বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি। এই দানবকে রুখবে এমন কোনো শক্তি বর্তমান দুনিয়ায় নাই।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আমেরিকার দোকান পাট, মার্কেটগুলো ফাঁকা। ব্যবসায়ীদের কপালে হাত। এই বদ্ধ পাগল আমেরিকানদের হাতেই ধোলাই খাবে।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: এসব উদ্ভট কান্ডে কারো জন্য মঙ্গল নয়

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। সেটাই।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: আগাম বার্তা বোঝা যায়। সে ব্যবসা ভাল বুঝে কিন্তু দেশ চালানো কিছুটা ভিন্ন ব্যাপার। দেখা যাক জনগণ hold কতক্ষণ করতে পারে!

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, ব্যবসা ও দেশ চালানো দুটি আলাদা বিষয়। জনগণের প্রতিক্রিয়া কতটুকু হবে, তা সময়ই বলবে।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভেতর খবর শুনুন, জানুন- শেখ হাসিনা ট্রাম্পকে ফোন করে বলেছেন, শুল্ক কমাও।
ট্রাম্প রাজী হয়েছেন।

এর আগে ইউনুস সাহেব কিছুতেই মোদির সাথে দেখা করতে পারছিলেন না। শেখ হাসিনা মোদিকে বলেছেন, ইউনুস সাহেবের সাথে দেখা করুন। মোদি দেখা করেছেন।

মূলত শেখ হাসিনা দেশকে ভালোবাসেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। ইহা কি আপনার নিজের অভিমত? না কি, চেংগিস খানের?

আপনার মতামত থেকে বোঝা যায়, আপনি শেখ হাসিনার কূটনৈতিক শঠতায় অন্ধভাবে আস্থা রাখেন। সময়ই প্রমাণ দেবে কে দেশের জন্য কতটা অবদান রাখছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.