![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
রাসূল (সা.) যেভাবে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতেন অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
আমাদের দেশে ‘ঈদ মোবারক’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ রয়েছে। যদিও এটা বৈধ, তবে সালামের আগে ‘ঈদ মোবারক’ বলার প্রচলন শরিয়তসম্মত পদ্ধতি নয়। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের উত্তম রীতি হলো সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে এই দোয়া পাঠ করা—
"تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ"
অর্থ: আল্লাহ আমাদের ও আপনার পক্ষ থেকে (আমল) কবুল করুন।
ওয়াসিলা ইবনে আসকা‘ (রাঃ) বলেন, “আমি ঈদের দিনে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।’ তিনি বললেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।’” -বায়হাকি: ৩/৪৪৬
ঈদের দিন সালাম ও মুসাফাহা করাও ইসলামী সৌজন্যের একটি অনুষঙ্গ। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ সালামের মাধ্যমে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দেন এবং মুসাফাহার মাধ্যমে গুনাহ মাফ করে দেন। হযরত বারা ইবনে আজেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “দুই মুসলমান পরস্পর সাক্ষাতে মুসাফাহা করলে, তাদের আলাদা হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” -আবু দাউদ: ৫২১৪; তিরমিজি: ২৭২৭
দীর্ঘদিন পরে দেখা হলে বা বিশেষ মুহূর্তে একে অপরের ঘাড়ের সঙ্গে ঘাড় মিলিয়ে বুকের দিকে জড়িয়ে ধরার নাম "মুয়ানাকা"। এটি রাসূল (সা.)-এর সুন্নত হিসেবে বর্ণিত। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, “হযরত জায়েদ ইবনে হারিসা (রাঃ) যখন মদীনায় এলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন আমার ঘরে ছিলেন। তিনি জায়েদের আগমনে নিজ হাতে কাপড় ঠিক করে উঠে এলেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন এবং চুম্বন করলেন।” -তিরমিজি: ২৭৩২
মুয়ানাকা অর্থ কাউকে গলা জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন করা। এটা ফরজ, ওয়াজিব বা নিয়মিত সুন্নাত নয়; বরং একটি আবেগপূর্ণ ইসলামী শিষ্টাচার, যা প্রয়োজনে করা যেতে পারে। দীর্ঘদিন পর দেখা হলে, ঈদের দিনে বা বিদায় মুহূর্তে মুয়ানাকা করা বৈধ এবং শরিয়তসম্মত। তবে প্রতিবার সালামের পর মুয়ানাকা করা হাদিসে প্রমাণিত নয়, বরং তা বিদআত হিসেবে গণ্য হতে পারে।
মুয়ানাকা করার পদ্ধতি হলো— একে অপরের ডান কাঁধ বরাবর ঘাড় মিলানো। বুকের সঙ্গে বুক লাগলে সমস্যা নেই। তবে একবার মুয়ানাকা করাই যথেষ্ট। তিনবার মুয়ানাকা করার কথা কোনো সহিহ হাদিস বা নির্ভরযোগ্য ফিকহি গ্রন্থে নেই। -আহসানুল ফাতাওয়া: ৯/৭৭
মুয়ানাকার সময় পড়া যেতে পারে এই দোয়া:
“اللَّهُمَّ زِدْ مُحَبَّتِي لِلَّهِ وَرَسُولِهِ”
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার জন্য এবং আপনার রাসূলের জন্য আমাদের ভালোবাসা আরও বাড়িয়ে দিন। -জামেউস সুনান: ১৫৯
সুতরাং, ঈদের শুভক্ষণে সালাম, দোয়া, মুসাফাহা এবং প্রয়োজন অনুসারে মুয়ানাকা— এগুলো ইসলামি আদব ও সুন্নাহর আলোকে পালন করলে তা হবে পরিপূর্ণ ঈদ উদযাপন, যা আত্মিক বন্ধন ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।
১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
না, নবীজি (সা.) কর্তৃক ঈদের সালামি দেওয়ার কোনো প্রমাণ হাদীসে পাওয়া যায় না। ঈদে সালামি দেওয়া একটি সামাজিক রেওয়াজ, ধর্মীয় বিধান নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি ইদের সালামি দিতেন না?