নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খোকাভাই! তুমি আমার জীবনের এক অবাক বিস্ময়! এক আশ্চর্য্য ভালো লাগা এবং খুব খুব হাহাকার আর এক বুক অতৃপ্তির পরেও প্রিয় এক ভালোবাসার নাম। তুমি আসলে এমনই এক ভালোবাসা যা বাংলাদেশের সকল কিশোরীমনেই চাপা থেকে যায় আজন্মকাল। আসলে আমি কখনই কাউকেই বলে বুঝাতে পারবোনা তুমি আমার কাছে ঠিক কি ছিলে! তুমি আমার কাছে কি ছিলে, কতখানি ছিলে সে শুধু আমিই জানি! তোমাকে আমি যতটা জানতাম তুমিও হয়ত তোমার নিজেকেও ততখানি জানোনি কখনও। যাইহোক এই তোমাকে জানাজানি নিয়ে এত করে যে একদিন ভাববো তাও কখনও ভাবিনি আমি। তোমাকে আমি নিশুতি রাতের অগোচরে নিশ্চুপে ঝরে পড়া বকুলের মত সর্বদা অগোচরেই রেখেছিলাম। তুমি ছিলে আমার একার সম্পত্তি। এক অমূল্য রতন! সবচেয়ে মজার ব্যপারটা হলো এক বাড়ি মানুষের মাঝে থেকেও খুব সযতনে খুব গোপনে তোমার আর আমার সেই ভালোবাসার কাহিনী কখনও কোথাও যেন প্রকাশ না পায় সেই চেষ্টাই করেছি আজীবন। কখনও ভুল করেও কোথাও প্রকাশ করে ফেলতে পারবো স্বপ্নেও ভাবিনি আমি। যাইহোক মানুষ ভাবে এক আর সময়ের বিবর্তনে হয় আরেক আর মানুষের দেহ বা শরীরের সাথে সাথে বদলায় মনও। সে যতই আমরা অস্বীকার করি না কেনো। মানুষ আসলে এক একজন রুপান্তরিত হৃদয়, রুপান্তরিত মানুষ...... যাইহোক গল্পটা শুরু হোক তাহলে......
সেদিনটার কথা, আমার খুব মনে পড়ে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দেখলাম, দাদুর বিছানার পাশের বড় চেয়ারটায় বসে আছে এক উদাসী বালক। যদিও আমাদের যশোরের বাড়িটা ছিলো একান্নবর্তী পরিবার আর এ বাড়ির মেজো সেজো ত, ন সব মিলিয়ে পাঁচ ছেলে আর তিন মেয়ের তেরো জন ছেলেমেয়ে, নাতিপুতি দিয়ে সারাবাড়ী গম গম করতো সারাটাক্ষন। তবুও দাদুর ঘরটার আশেপাশে থাকতো এক থমথমে গাম্ভীর্য্যের নীরবতা। দাদু হই হট্টগোল একেবারেই পছন্দ করতেন না। তাই সকলেরই কড়া নির্দেশ ছিলো দাদু যেন বিরক্ত হয় এমন কিছু না করার।
শুনেছি দাদুর বাবা নাকি জমিদার ছিলেন। ও বাড়ির বসার ঘরটার দেওয়ালে ঝুলানো ছিলো তার শিকারী জীবনের বীরত্বের সাক্ষী মৃত হরিনের মাথা, মৃত পাখির পালকের মধ্যে খড় টড় পুরে অবিকল জীবন্ত কিন্তু নট নড়ন চড়ন পাখি বানিয়ে রাখা আশ্চর্য্য সব আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট। এসবই ছিলো সেই অদেখা বিষম মেজাজী বদরাগী লোকটার শিকারের নানা নিদর্শন এবং সাথে তার কারুকার্য্যময় হাতল বিশিষ্ঠ চাবুক আর তার বাপ দাদার আমলের দুইখানা বিশাল জং ধরা তলোয়ার। ঐ তলোয়ার সিলগালা দিয়ে বন্ধ করা ছিলো। চাইলেই কেউ ইয়াহু করে সেই তলোয়ার খাপ থেকে বের করে এনে লাফ দিয়ে পড়তে পারতো না।
সে যাইহোক দাদুর জন্মের বহু আগেই তার বাবার জমিদারী চলে গিয়েছিলো কিন্তু দাদু কি করে যেন সেই জমিদারী মেজাজ ধরে রেখেছিলেন। সেই সব কথা ভাবলে এখন আমার অবাক লাগে! ঐ বাড়ির মানুষগুলোও তখন কেমন ছিলো ভাবলে আমি শিউরে উঠি মাঝে মাঝে! জমিদারীহীন দাদু সেই আমলের অন্যায়কারী জমিদারদের মত অনেক অন্যায়ই করেছিলেন উনার বংশ গৌরবে বা অকারণ দম্ভে। বিশেষ করে তার সেই সব অকারন অহমিকার বলি ছিলো ঐ বাড়ির কাজের লোকজন আর আমার চাচীমারা এবং স্বয়ং দাদীমা। আমার আজ সেসব কিছু ঘটনাবলী ভাবলে মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার ফুপু, বাবা এবং চাচাদের মাঝেও আমি দেখেছি সেই অকারণ আত্ম অহমিকার প্রকট প্রকোপ।
যাইহোক বলছিলাম সেদিনের কথা। স্কুল থেকে ফিরে দাদুর ঘরে উঁকি দিতেই দেখলাম এক উস্কোখুস্কো চুলের উদাসী বালক দাদুর খাঁটের মাথার কাছের চেয়ারে বসে আর দাদু সেই অকারণ দম্ভ আর অহমিকার মিশেলে মুখ বানিয়ে উনার বিশাল সাবেকী আমলের পালঙ্কের উপর নতমুখে বসে। পা দুটি নীচে ঝুলানো। দু হাত দু পাশে বিছানার উপর রাখা। ঠিক তার সামনেই মেঝের উপরে বসে ঘোমটা মাথায় একজন দীর্ঘাকায়া মহিলা। উল্টোদিক করে থাকায় মুখ দেখা যাচ্ছিলো না। কিন্তু উনার পরণে ছিলো মলিন সাদা শাড়ি। নিচুস্বরে কিছু বলছিলেন তিনি। বোঝা যাচ্ছিলো না।
কিন্তু এক পলকেই আমার বুঝতে বাকী রইলো না যে উনি কে? উনি আমার বড় চাচীমা। যাকে কখনও কোনোদিন জন্মের পর হতে দেখিনি আমি। তবুও আমার সহজাত বুদ্ধিতেই এক নিমিষে চিনে ফেললাম তাকে। পর্দার ফাঁক দিয়ে চুপিসারে দেখছিলাম আমি। দাদু বা চাচীমা কেউ আমাকে না দেখলেও ঐ উদাসী বালক ঠিকই চোখ তুলে তাকালো আমার দিকে। তারপর দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো।
সেই খোকাভাইকে আমার প্রথম দেখা। যদিও তাদের গল্প অনেক শুনেছি আমি। জন্মের পর থেকেই ও বাড়িতে কানাঘুষোয় কিন্তু বহুল প্রচলিত এবং গোপনে বলা গল্প ছিলো সে আমার বড় চাচার অবাধ্যতার গল্প, পালিয়ে বিয়ে করার গল্প। বড়চাচা দাদুর কড়া অমত সত্তেও প্রেমে পড়েছিলেন দরিদ্র প্রতিবেশি আদালতের সেরেস্তাদারের মেয়ের প্রেমে এবং দাদু রাজী না হওয়ায় রাতের আঁধারে পালিয়ে গিয়েছিলেন ঐ মেয়েকে নিয়ে বহুদূরে অজানায়। তারপর তার খবরও কেউ নেইনি। সেও তার নিজের খবরও কখনও দেয়নি কাউকেই এ বাড়ির। দাদু জেদ করেছিলেন তবে বড় চাচাও তার বাবার মতই সেই জেদ নিজেও রেখেছিলেন। ফেরেননি কখনও কোনোদিন।
তবে ফিরেছিলো তার রক্তের অংকুরিত বীজ আর তার প্রিয়তমা। আমার খোকাভাই, আমার বিধবা চাচীমা। ও বাড়ির কেউ তাদেরকে কোনোদিন ভালোবাসেনি। এতটুকু সন্মানও করেনি। বড়চাচা ছিলেন দাদুর তাজ্যপুত্র আর তাই তার বংশধর ও ও বাড়ির বড় বৌ ছিলো ও বাড়িতে শুধুই দাদুর দয়ায় আশ্রিত পরাশ্রয়ী পরগাছা। তাদের কোনো দাবী দাওয়া ছিলো না। ও বাড়ির বংশধর হওয়া স্বত্ত্বেও উত্তরাধিকারের অধিকার দেওয়া হয়নি তাদেরকে কখনও।
আর তাই তো মনে হয় খোকাভাই অত অভিমানী ছিলো। হ্যাঁ খোকাভাই কখনও কাউকেই বলেনি তার অভিমানের কথা। কখনও কোনো অভিযোগও করেনি কারো বিরুদ্ধেই তবুও আমি তার শান্ত, গভীর, বড়বড় চোখজোড়াতে দেখেছিলাম এক সমুদ্র কষ্ট আর অভিমান। খোকাভায়ের সেই একটু এলোমেলো চুলের মুখটা আমি চোখ বুজলেই দেখতে পাই আজও আর দেখতে পাই সেই প্রথম দিনের প্রথম দেখার ক্ষনটা। দাদুর খাটের পাশে বসে থাকা,আত্মপ্রত্যয়ী অজানা অচেনা ছেলেটাকে।
যাইহোক আমার চির দাম্ভিক আর হার না মানা দাদু সব কিছু শোনার পর আর ফিরিয়ে দিতে পারেননি সেদিন আমার বড় চাচীমা আর তার একমাত্র ছেলে আমার খোকাভাইকে। তবে এরপরেও তাদের আশ্রয় হলো ও বাড়িতে বড় অবহেলায়। এতগুলো বছর পর বড় চাচীমার প্রত্যাবর্তন তাও আবার এক ছেলে সহ এটা মনে হয় মনে মনে মেনে নিতে পারলো না ও বাড়ির কেউই। শুধু দাদুর নির্দেশে মেনে নিতে বাধ্য হলো। অতো বড় বিশাল বাড়ি তবুও মা ছেলের জন্য কোনো ভালো ঘরের ব্যবস্থা করা হলো না। চাচীকে আশ্রয় নিতে হলো ও বাড়ির বিশাল হেসেলের কাছাকাছি এক অব্যবহৃত ভাঁড়ার ঘরে। ঝেড়ে মুছে সাফ করে সেখানেই উঠলেন চাচীমা।
কিন্তু খোকাভাই? তার তো সেখানেও থাকবার অনুমতি হলো না। খোকাভাইকে থাকতে হলো ছাঁদের ঘরের চিলেকোঠার এক রুমের ছোট্ট একটা এক জানালার ঘরে। ঐ ঘরটায় একটা ভ্যাপসা গন্ধ ছিলো। সিমেন্ট বালি দিয়ে নতুন ঢালাই এর পর এক অদ্ভুত চাপা গন্ধ। চুপ করে চোখ বুজে থাকলেই কয়েক সেকেন্ডেই সেই গন্ধটা আজও পাই আমি। এক আশ্চর্য্য মাদকতার গন্ধ। আমার কিশোরীকাল, আমার খোকাভায়ের স্মৃতিময় সেই গন্ধে বিভোর হই আমি।
খুব ছোট থেকেই বড় কৌতুহলী ছিলাম আমি। হোক সে বাগানের ঘাসে এক রতি ছোট্ট গুবরে পোকা বা কাঁটাওয়ালা শুয়োপোকা বা বিশাল কালো ভুতুড়ে প্রজাপতির মথ। সব কিছুতেই বড় কৌতুহল ছিলো আমার। আমাদের ঐ বাড়ির বিশাল বাগানে যে কত রকমের গাছ ছিলো। ছেলেবেলা থেকেই আমি তাই পুস্প বিশারদ। সাথে পোকা মাকড় শামুক ঝিনুকও ছিলো আমার কৌতুহলের কারনগুলো। আমার ছেলেবেলার সবচেয়ে আশ্চর্য্য সুন্দর গাছেদের কথা ভাবি যখন আমি আমার চোখে ভাসে ফুলে ভরা বাবলা গাছের হলুদ সৌন্দর্য্য আর এক বিশেষ ভালোলাগা কুঁচফল এ ছেয়ে থাকা কুঁচ গাছের তলা। শিউলী কুড়ানো ভোর এবং স্থলপদ্মের অন্যরকম পাতলা ফিনফিনে সৌন্দর্য্যের পাপড়িগুলি আমার বুকে আজও বইয়ে দেয় এক অনাবিল চাপা আনন্দ। সে যাই হোক আমার তখন সদ্য কৈশোর পেরুনো বেলা। সব কিছুতেই অকারণ আনন্দে ভেসে যাবার ক্ষন। মায়ের কড়া শাসন আর সারাক্ষন নজরে নজরে রাখার ব্যাপারগুলি মোটেও ভালো লাগতো না আমার। কিন্তু ঐ যে মা থাকতেন ডালে ডালে আর আমি পাতায় পাতায়।
সে যাইহোক আমার তখন সকল কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু খোকাভাই আর আমার বিধবা চাচীমা। মা লুকিয়ে বললেন খবরদার ওদের আশেপাশে যাবিনা। দুনিয়ার হাভাতে সব এত যুগ পরে এসেছে হাড় জ্বালাতে। আর ঐ ছেলে যেন ভুলেও নীচে না আসে। কি না কি আবার চুরি টুরি করে পালায় কে জানে! আমার কৌতুহল তো তখন তুঙ্গে! কারা এরা? চির পরিচিত আমাদের বাড়ির সকল বাসিন্দা থেকে আলাদা করে দেওয়া এই নতুন বাসিন্দারাই তখন আমার গবেষনার বিষয়বস্তু। আমি কারণে অকারণে চাচীমার ঘরে উঁকি দিতাম। কি চাদর পেতে রেখেছে সে, কেমন তার শাড়ি কাপড় আলনা, কেমন তার বাক্স পেটরা এসব আমাকে নতুন কৌতুক আর আনন্দ এনে দিলো জীবনে। সাথে খোকাভায়ের ঘর। কিন্তু ঐ দুই ঘরেই উঁকিঝুকি দেওয়া নিষেধ ছিলো আমার। তবুও আমারে বাঁধবি তোরা সেই বাঁধন কি তাদের আছে! কারোই আছে!
খুব কদিনের মধ্যেই চাচীমা ঐ বাড়ির রাঁধাবাড়ার কাজ সব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। আর তাতে আমার পাঁচ চাচার বউ মানে আমার মা সহ অন্য চাচীরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। চাচীমা সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাঁটাখাটনী করে তার ও তার ছেলের ভরন পোষনের মূল্য দিতে শুরু করলেন। কিন্তু সকলের খাবার সময় বা কোনো আনন্দে তাদের ডাকা হত না। চাচীমা থাকতেন রান্নাঘরে আর খোকাভাই যথারীতি তার ছাঁদের ঘরটাতে। খোকাভাই ভীষন চুপচাপ আর একটু যেন একগুয়ে ছিলো। সবসময় নিজেকে গুটিয়ে রাখতো। কারো সাথে তেমন কথাই বলতো না। তাদের উপরে মনে মনে সকলেই যেমন অসন্তুষ্ট ছিলো খোকাভাইও ঠিক তেমনই। এ বাড়ির আর কারো সাথে কখনও সখ্যতা হয়নি তার। শুধু আমার কাছে খোকাভাই হয়ে উঠেছিলো আমার খেলার সবচেয়ে প্রিয় পুতুলটা।
ঠিক এমনই এক বিকেলে। সেজোচাচার ছোট ছেলেটার এক বছরের জন্মদিন ছিলো সেদিন। বিশাল বড় দুই তলা কেক কাটা হলো সেজোচাচীর ঘরে। আমাদের ঐ মফস্বল শহরের চাইনীজ থেকে আমাদের পরম আরাধ্য ফ্রায়েড রাইস, চিকেন ফ্রাই আরও কি কি সব আনা হয়েছিলো। সবাই হাপুস হুপুস খাচ্ছিলো। কিন্তু কেউ ডাকলোনা আমার খোকাভাইকে। বড় চাচীমার তো সেখানে থাকার কোনো প্রশ্নই ছিলো না। এমনকি কারোরই মনে পড়লো না একটাবারও যে ছাদের ঘরে একাকী নিরজনে এ বাড়ির সব চেয়ে বড় ছেলেটার একমাত্র পুত্র একাকী অবহেলায় দিন কাটাচ্ছে। এ আয়োজনে তারও কিছু দাবী আছে।
সন্ধ্যার আরও কিছু পরে সকলেই হই হই করে যে যার ঘরে ফিরে গেছে। ছোটরা পড়তে বসেছে। বড়রা গেছে তাস পাশা বা তাদের প্রতিদিনের সান্ধ্য আড্ডায়। আমি চুপি চুপি এক টুকরো কেক আর একটা ছোট কাঁচের বোতলে পেপসি নিয়ে উঠে গেলাম ছাঁদের ঐ ঘরে।
খোকাভাই তখন ঐ রুমের কম পাওয়ারের মিটমিটে একটা মাত্র বাল্বের আলোয় বিছানার উপরে বসে ঝুঁকে পড়ে কি যেন ঠিক করছিলো। সামনে ছড়িয়ে ছিলো ছোট ছোট যন্ত্রাংশ। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেও খেয়াল করলো না একটুও। দেখলাম পুরোনো দেওয়াল ঘড়ি খুলে বোধ হয় ঠিক করার চেষ্টা করছে। এত কাছে দাঁড়িয়ে আমি কিন্তু খোকাভাই মাথা তুলে তাকালোও না। আসলে তার সেই ছাঁদের ঘরের ঐ অবহেলিত আবাসে কেউ তার কাছে কখনও আসতে পারে স্বপ্নেও ভাবেনি হয়ত।
আমার খুব মায়া হলো। কিসের মায়া আর কেনো জানিনা আমি। কিন্তু এখন জানি। এখন আমি সেই মায়ার কারনগুলি হয়ত জানি। সেই ১৪ বছরের এক কিশোরীর মনে ১৬ বছরের এক কিশোরের জন্য কি মায়া জাগে তা জেনেছি আমি আজ এতদিনে। কিন্তু তখন জানতাম না শুধুই এক অকারণ মায়ায় মন ভরে থাকতো। খোকাভাইকে খুশি করার জন্য আমার ছিলো আপ্রাণ চেষ্টা। মনে হত তার জগতে সব আনন্দের আলো নিভে গেছে। আমাকে আবার জ্বালিয়ে দিতে হবে তার সেই নিভে যাওয়া আলোখানি।
জানিনা কি দ্বিধা বা দ্বন্দে ডাকিনি আমি সেদিন খোকাভাইকে। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম সামনে। বেশ খানিকটা সময় হবে। হঠাৎ বুঝি আমার পায়ের পাতায় নজর পড়লো তার। খোকাভাই মুখ তুলে চাইলো। ভ্রু কুঁচকে উঠলো তার। অস্ফুটে জানতে চাইলো,
-কি?
দিন রাত ২৪ ঘন্টাই বক বক করা রিতীমত বাঁচাল উপাধি পাওয়া আমি হঠাৎ কথা খুঁজে পেলাম না। কিন্তু সামলে নিলাম। বললাম,
-কেক
- কেক! কিসের কেক?
- কেনো জানোনা বুঝি? আজকে আমাদের সেজোচাচার ছেলে রনির জন্মদিন ছিলো।
ধপ করে বসে পড়লাম খোকাভায়ের সামনে। খোকাভাই বললো,
- কি করে জানবো? আমি কি এ বাড়ির কিছু জানি?
একটু বিরক্তি তার কন্ঠে।
- কেনো তুমি কি এ বাড়ির কেউ না?
- না আমি এ বাড়ির কেউ না।
গম্ভীর এবং বিষন্ন গলায় বললো খোকাভাই। আমার বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠলো। আমি বললাম,
- ঠিক আছে কেক খাও।
- না
- না!!!
বিস্মিত হলাম আমি!
- কেনো তুমি কেক খাওনা ?
- খাই। কিন্তু খাবো না।
-কেনো! ( এক রাশ বিস্ময়ে জানতে চাইলাম আমি) খোকাভাই কিছুক্ষন চুপ করে রইলো। তারপর বললো,
- ঘেন্না লাগে। ( ক্রোধ আর ঘৃনা ঝরে পড়লো খোকাভায়ের চোখে। আমার ভয় লাগছিলো। তবুও অনুনয় করলাম। বললাম,
- আমি এনেছি। আজকে খাও।
খোকাভাই হেসে ফেললো। আমি মুগ্ধ হলাম। হাসলে কি সুন্দর লাগে তাকে। বললাম,
- হাসলে তোমাকে অনেক ভালো লাগে। সারাক্ষন মুখ গোমড়া করে থাকো কেনো?
খোকাভাই অবাক হলো। সাথে সাথে গম্ভীর হয়ে গেলো আবারও।
- সারাক্ষম মুখ গোমড়া করে থাকি! তুমি জানো কেমনে!
- আমি তো সারাক্ষনই তোমাকে নজরে রাখি খোকাভাই। তুমি জানোনা।
খোকাভাই আবারও হেসে ফেললো। বললো,
- তাই! আমাকে নজরে রাখার কি? আমাকে লুকিয়েই বা দেখার কি হলো? আশ্চর্য্য তো!
- এমনি! আমার ভালো লাগে তাই?
অবাক হলো খোকাভাই!
- ভালো লাগে! আমাকে দেখতে!
চিন্তায় পড়লো বুঝি সে.....
আমি লজ্জায় চুপ হয়ে রইলাম। দুষ্টুমি করে নিজের চোখ ঢেকে রাখলাম ওড়না পেঁচিয়ে লম্বা দড়ি করে। খোকাভাই জোর করে সেই দড়ি পাকানো ওড়না ধরা আমার দুই হাত নামিয়ে দিয়ে বললো,
- আর লজ্জা পেতে হবে না।
আমি চোখ বড় বড় করে বললাম,
-সত্যি!
খোকাভাই বললো
-হুম! আর লুকিয়ে লুকিয়ে দেখাও লাগবেনা আমাকে........
এমন সময় নীচে থেকে ভেসে এলো মায়ের গলা-
- নীরু!!!!!!!!!!!!!!! ঐ নীরা!!!!! কোথায় তুই!!!!!!!!!!!!!!!
আমি চমকে উঠে এক দৌড়ে পড়িমড়ি করে সিড়ি ভেঙ্গে নীচে চলে এলাম এক্কেবারে সোজা আমার দাদীমার ঘরে। ছোট থেকেই মায়ের হাত থেকে মার বকা সব কিছু খাওয়ার থেকে বাঁচার নিরাপদ স্থানে। তারপর সেখান থেকে চেঁচিয়ে বললাম,
এই তো এখানে মা!! আসছি!!!!!!!!!!!!!!!!!
কিন্তু দাদীমা তখন ঝিমাচ্ছিলো তার সান্ধ্যকালীন অবসরে। আমার চিল চিৎকারে দাদীমার সন্ধ্যার ঝিমানী ছুটে গেলো। রাগ করে বললেন,
- ঐ ছুটকী এমন গাক গাক করে চিল্লাছিস কেনো এখানে এসে!!!
আমি দাদীমার গলা জড়িয়ে ধরে বললাম।
- এমনি এমনি আনন্দে!!!!!!!!!!
দাদীমা বললো,
- ঢং দেখে বাঁচিনা! যা পড়তে বস.........
চলবে...
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১০
অপ্সরা বলেছেন: হা হা দুই বছর পরে আসলাম!!!
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১২
ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
সব মেয়ের জীবনে কতো প্রেম, কতো ভালবাসা! তবে কি আমাকে নিয়েও অগোচরে কেউ এভাবে ভাবতো? যদিও এমন কেউ খুঁজে পাই না
যাইহোক, লিখাতে কোনো ধরণের ক্যাঁচাল নেই তাই পড়ে বড্ড প্রশান্তি পেলাম।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
অপ্সরা বলেছেন: ক্যাচাল ছাড়া প্রেম কি বাংলাদেশে হয় ভাইয়াজান??
প্রেমে পড়লেন তো মা বাবা ভাই বোন সকলে সাধু সন্যাসী আর আপনিই দাগী আসামী।
ধরো মারো কাটো শেষ করে ফেলো।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৭
ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
সেতো বটেই। কিন্তু যতোটা পড়েছি তাতেতো এখনও কোনো ক্যাঁচালের আভাস পাওয়া যায়নি, তাই আপাতত প্রশান্তি নিয়েই থাকি।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২০
অপ্সরা বলেছেন: কারণ সকল কিছুর পরেও ভালোবাসার এক আশ্চর্য্য ক্ষমতা আছে।
প্রশান্তির কাছে সকলি পরাজিত হয়।
তবুও কেচাল আর তাই তো কবি গায়......
সখি ভালোবাসা কারে কয়!
সে কি কেবলি যাতনাময়.......
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৭
ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
সখী ভালবাসা কারে কয়?
ইহা কিন্তু বাস্তবিকই একখানা ক্যাঁচালময় প্রশ্ন
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ।
বিশ্বকবিও কেচালে পড়েছিলেন বুঝাই যায়।
আর আমরা তো কোন ছার!!!!!!!!!!
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৯
অক্পটে বলেছেন: "কিন্তু ঐ যে মা থাকতেন ডালে ডালে আর আমি পাতায় পাতায়।" এই পর্যন্ত পড়া হল বাকিটা পরে এসে পড়ব। খুব ভালো লাগছে আসলে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
তবে আর একটু ছিলো। কি এমন তাড়ায় ছিলে বলোতো??
এই লেখা নিয়ে কত পর্ব যাবো এখনও জানিনা আমি।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু পড়ি নাই । বাসায় যাইগা সময় করে পড়ে নেব
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
অপ্সরা বলেছেন: পড়ে নেওয়া যাইবেক না।
এই গল্প কতদিন চলিবেক জানা নেই আমার.....
পড়তেই থাকবে পড়তেই থাকবে.......
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ চমৎকার লিখেছেন!
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া
আমি আমি আমি.......এত আপনি আজ্ঞে করা লাগবে না ভাইয়ামনি।
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর ও ভালো লাগলো।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
এটাও নিশ্চয়ই সিরিজ হবে আপু?
নতুন লেখার অভিনন্দন !
আশা করি উপভোগ্য হবে ।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩
অপ্সরা বলেছেন: হ্যাঁ এটা একটা সিরিজ কিন্তু সেই কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম।
এখন ঠিক করে দিলাম মিররমনি!!!
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা,
বনে নয় মনে মোর পাখি আজ গান গায়!!!!!
মনেতে নয়, দেখা যাক সোনার হরিন কোন বনেতে ধাঁয়.....
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে কে তারে বাঁধলো অকারণে
ভাইয়া তোমার জন্য
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমি চিনি ওগো, চিনি তোমারে.....
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: আমিও চিনি গো চিনি তোমারে ওগো পোড়া বেগুন?
তুমি থাকো চুলার ভেতরে তোমাকে পোড়ায় দিয়া আগুন।
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাদু দাম্ভিক হলেও পুত্রবধূর প্রতি নরম আচরণ করেছেন। বাইরে সে যতই কঠোর হোক না কেন ছেলের স্মৃতি তার মনকে নরম করেছে বলে মনে হয়।
শুঁয়োপোকা, গুবরে পোকা, ভুতুরে প্রজাপতির মথ, বাবলা গাছ, কুঁচফল, এগুলি পড়ার পর মনে হোল লেখিকার অনেক পর্যবেক্ষণ শক্তি আছে। আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সমৃদ্ধ। লিখতে গেলে কত কিছু সম্পর্কে জানতে হয় তাই না।
আমার মায়ের কাছে পাশা খেলার নাম শুনেছি কিন্তু কখনও দেখিনি। আপনি এগুলি জানলেন কিভাবে?
'আমাকে আবার জ্বালিয়ে দিতে হবে তার সেই নিভে যাওয়া আলোখানি।' - এই কথাটা খুব ভালো লেগেছে।
আপনার এই লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে আমার। সূচনা পর্বটা অনেক গুছিয়ে লিখেছেন। আমার মনে হচ্ছে আমি গল্পের বাড়িটা মানস চোখে দেখতে পাচ্ছি। খোকাভাই আর নিরু সম্পর্কে আরও জানতে ইচ্ছে করছে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৮
অপ্সরা বলেছেন: হুম এই কথা সত্যি আমি খুবই ভালো একজন পর্যবেক্ষক আর শুধু তাই না এসব নিয়ে যদি আমার ভালো লাগার কথাগুলি লিখতাম তো অবাক হয়ে যেতে ভাইয়া। যেমন ধরো কুঁচফল। এই আশ্চর্য্য জিনিস আসলো কই থেকে? আল্লাহ এই টুকু জিনিসে এত সৌন্দর্য্য কেনো দিলো!!!
রুপকথার গল্পে পড়েছি কুঁচবরণ কন্যা। কুঁচবরণ কন্যা হলে তো ভূতের মত লাগতো। কিন্তু কুঁচ তো নিজেই এক রাজকন্যা। আমার মেয়ে হলে নাম রাখা যেত কুঁচ। হা হা হা হা তারপর নিশ্চয় বড় হয়ে এই নাম দেখে রেগে মেগে আমার গলাটাই কুচ করে কাটতে আসতো সে।
ভাইয়া আমার মায়ের ছিলো সোনার গহনা বানাবার বাতিক। বাড়িতেই স্বর্ণকার ডেকে আনা হত। সেই স্বর্ণকারের বাক্সে আমি সব সময় দেখতাম কয়েকটা কুঁচ। এই কুঁচ দিয়েও কেনো যেন সে সোনার গহনা মাপতো।
আর একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। সে যখন সোনার গহনা বানায় আনতো তখন বেগুনী জিলিজিলি কাগজের মধ্যে করে আনতো। ঐ বেগুনি জিলিজিলি কাগজে সোনার মালা ঝকমক করতো!
আহা আমার ছেলেবেলা! কেনো এত সুন্দর!!!
আর পাশা খেলা আমি জীবনে দেখেছি নাকি? আমার নানী বলতো তাস পাশা খেলে জীবন কাটালো এক বেটা। হা হা
ভাইয়া সত্যিই আমার খোকাভাইকে তো আমার অকালে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া এক মানুষ মনে হত। চারিদিকে আলো ঝলমলে এত সুন্দর পৃথিবীতে তার সামনে যেন নিকশ কালো আঁধার। বাবা খুন হয়েছিলো। তার পড়ালেখার যোগান খাবারের যোগান দেবার কেউ ছিলো না। দাদুর বাসাতেও তো সে ছিলো চরম অবহেলিত। কেউ ভালোবাসতো না। ভালোবাসার জন্য কেউ ছিলও না।
নিজের মা ছাড়া কেউই ছিলো না তার। তবুও পরাশ্রয়ী মা শুধু একটু মাথা গুজবার জন্য রাতদিন খেটে যেত নিজের অধিকার থাকা সত্তেও। ছেলেকে যে একটু আদর করে খাওয়াবে সে সাহসও ছিলো না তার।
তাই অবহেলার অভিনয়ে তার দিন চলে যেত।
আর তাই তো সেই ছেলেকে ভালোবাসার তার দিকে বিশেষ নজর দিলো নিরুপমা। ও বাড়ির মেজোচাচার মেয়েটা।
১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইয়া
আমি আমি আমি.......এত আপনি আজ্ঞে করা লাগবে না ভাইয়ামনি।
জানিতো, তবুও স্নেহ করেই একটু আপনি সম্বোধন করলাম.... ❤️
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১১
অপ্সরা বলেছেন: হা হা তাই বলো ভাইয়া।
ভাবলাম আমার পূর্ব জনমের জড়ুয়া বইনকে ভুলে গেলে নাকি!
১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ছিল আপনি শুধু রাজপ্রাসাদ আর জাঁকজমকের গল্প লিখতে পারেন। আমি আসলে অনেক সময় হিসেবে ভুল করে ফেলি।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৪
অপ্সরা বলেছেন: এটাও রাজপ্রাসাদেরই গল্প ভাইয়া।
তবে ভগ্ন রাজপ্রাসাদের গল্প!
রাজপ্রাসাদ থেকে বের হয়ে লিখবোনে এরপর হা হা ।
আমাকে নিয়ে হিসেব নিকেশে গোল্লা পাবে.......
জানার কোনো শেষ নাই
জানার ইচ্ছা বৃথা তাই .......
১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৮
একলব্য২১ বলেছেন: অর্ধেকটা পড়েছি। কিছুক্ষণ পরে সময় নিয়ে আরামসে পুরোটা পড়বো।
সিরিজের সূচনা পর্বের লেখা বেশ ভাল হয়ে হয়েছে। যথারীতি দুধ থেকে জলকে আলাদা করার মত গল্পের সত্যতা বের করার চেষ্টা করবো। অনেকটা ফিল্মের গল্পের মত। এইবার গল্পের প্লট যশোরে নিয়ে গেছ। আসলে কোথায়। টিপু সুলতান রোড সংলগ্ন এলাকায়।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা
আর হা হা হা
দুধ থেকে জল!!!!!!!!!!!!
আলাদা করা কি এতই সহজ হে খোকা???
হা হা হা খাঁটি দুধে খাঁটি জল মেশানো খাঁটি চোরেরা তাহা বড়ই দক্ষতার সহিত করিতে সিদ্ধহস্ত হয়।
দুধ থেকে আবার ঘোল বানানো খাওয়ানো সবই তাহাদের লীলাখেলা হয়।
কাজেই ......
যশোরে যখন বলেছি তখন যশোরই হবে...... যোশরের শান তলা, কল তলা, জল তোলা কোথাও না কোথাও হবে .....
১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩০
পোড়া বেগুন বলেছেন:
লেখিকা বলেছেন: আমিও চিনি গো চিনি তোমারে ওগো পোড়া বেগুন?
তুমি থাকো চুলার ভেতরে তোমাকে পোড়ায় দিয়া আগুন।৷
আপনি যে শায়মা আপু তা আপনার বদনখানি হেরিয়াই বুঝেছি!
পুড়তে পুড়তে খাঁটি সোনা হয়েছিযে!
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা পুড়ে পুড়ে তুমি অঙ্গার হয়েছো খাঁটি সোনা হতে পারোনি বেগুনভাইয়াজান।
হয়েছো এক পোড়া বেগুন ......
আমি শায়মা আপা না........
শায়মাই অপ্সরা আপা.......
কিন্তু এই বিদঘুটে নাম আর বিদঘুটে প্রোপিক দেখে কেউ আর লেখাই পড়বে না মনে হচ্ছে তোমার ভাইয়ু।
এক কাজ করো আমি তোমাকে একটা সুন্দর প্রোপিক দেই। ওয়েটাং ......
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪২
অপ্সরা বলেছেন:
এই নাও হরেক রকম ভর্তার মাঝে বেগুন ভর্তাও আছে।
১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি আগে কই পড়ছি ?
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভেবে দেখো ভেবে দেখো.......
১৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৫
পোড়া বেগুন বলেছেন:
পোড়া ছিলাম ভালোই ছিলাম! এবার ভর্তা করে দিলেন?
খাটি সোনা চিনতে হলে জহুরী হতে হয়। চক চক করতে দেখলে অনেকে সোনা মনে করে, যা তাদের অজ্ঞতার বহিঃ প্রকাশ।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: বেগুন দিয়ে তাই বলে সোনা বানায় এমন জহুরী কই থাকে ভাইয়াজান??
১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
চমৎকার শুরু।
রহস্য রয়েছে ভিতরে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: নো রহস ভাইয়া।
শুধু একটু একটু করে জানা .....
২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০১
অপ্সরা বলেছেন: ভেবে পেলে কিছু???
মেমোরী টেস্ট দাও।
২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৯
একলব্য২১ বলেছেন: প্রচ্ছদ নিয়ে কিছু বল।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৯
অপ্সরা বলেছেন: প্রচ্ছদ শিরোনাম আর আমার মনের সেই বনের হরিণ সব মিলেমিশে একাকার।
সবার আগে গানটা শোনো-
সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে!!!
কে তারে বাঁধল অকারণে॥
গতিরাগের সে ছিল গান, আলোছায়ার সে ছিল প্রাণ,
আকাশকে সে চমকে দিত বনে
মেঘলা দিনের আকুলতা বাজিয়ে যেত পায়ে
তমাল ছায়ে-ছায়ে।
ফাল্গুনে সে পিয়ালতলায় কে জানিত কোথায় পলায়
দখিন-হাওয়ার চঞ্চলতার সনে॥
সেই প্রিয় হরিণ আর নিরুপমাকে নিয়ে এই প্রচ্ছদ।
২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০
অপ্সরা বলেছেন:
নেক্সট প্রচ্ছদ!!!
সব নেট থেকে....
২৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৮
একলব্য২১ বলেছেন: চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের গানটা শুনলাম।
বল কি এই ধরনের প্রাচীন বাংলা গান তুমি শুনো। আর সেই গানের প্রথম লাইন থেকে গল্পের শিরোনাম।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২০
অপ্সরা বলেছেন: এটা রবীন্দ্রসঙ্গীত!
হা হা আমি রবীন্দ্র সঙ্গীতের সব লাইনেই আমার জীবনের গল্প খুঁজে পাই।
২৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩০
একলব্য২১ বলেছেন: ও। আমার রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনলে ঘুম পায়।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩১
অপ্সরা বলেছেন: আমার তো তার প্রতিটা শব্দ বাক্য সূর ছন্দই মনে হয় হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা।
২৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্পের ভিত্তি সুন্দর হয়েছে
শক্ত ভিতের উপরে সাবলিল গতিতে
লেখা এগিয়ে চলছে বলেই মনে হল।
পরের পর্ব পাঠের অপেক্ষায় রইলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১২
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
ইদানিং অনেক বেশি ব্যাস্ততা বেড়েছে।
তবুও মাঝে মাঝে লেখার ভূত ছাড়ে না আমাকে।
২৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৫
একলব্য২১ বলেছেন: পুরোটা পড়লাম।
সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের চমৎকার প্রশ্ন ও তার প্রতি উওর ভাল লাগলো।
তুমি নিরুপমার কিশোরী বেলার প্রেম নিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অনেকে লেখাই লিখেছ বিভিন্ন গল্পে। তারপরে আঁশ মিটে না। তাই না আপু। view this link
এইবার বলো এই লেখার সময় নীরবে চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরেছে। নাকি পরিবর্তিত মন এই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখে ফেলেছে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা তুমি কি এই গানের মতই বিশ্বাস করো প্রেম একবারই এসেছিলো নীরবে!!!
হা হা হা হা হা হা
দেখো আমি যখন যা করি ১০০% মন দিয়ে কাজেই অশ্রু যেমনই পড়বে তেমনই হাসিও ঝরবে।
তবে এই লেখাতে অশ্রু ঝরেনি।
যে দিন চোখের জলে ভেসে যায় সেই দিনগুলিও এক সময় বড় সুন্দর হয়ে ওঠে.......
২৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৯
ককচক বলেছেন: পড়বো। পড়তে হবে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: পড়ো এখুনি।
২৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সারাক্ষণ নজর রাখতে হবে না। মাঝে মাঝে রাখলেই হবে। পাঠকের মনে কষ্ট লাগিতে পারে
। চলুক।
২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৭
অপ্সরা বলেছেন: থাক কষ্ট পায় না ভাইয়া।
কষ্ট বাদ দিয়ে পড়ো।
২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: দেরিতে আসলাম আপু- ঘুমের সময় হয়ে গেছে। কালকে পড়ুমনে
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া আমিও কাল ঘুমে পড়ে যাচ্ছিলাম।
৩০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খোকা ভাই পারবে কিনা জানিনা লেখিকার হৃদয়ের অভয়ারণ্যে বন্য হরিণকে বশ মানাতে। আপনার পরের পর্বের অপেক্ষায়.
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮
অপ্সরা বলেছেন: পরের পর্ব লিখছি ভাইয়া।
৩১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল হয়েছে, চলতে থাকুক।
বালক বয়সে চুল তেল মেখে, ব্যাক ব্রাশ করে ভুলে করেছি, আগে জানলে দুই-তিন গোসল না করে উস্কশূস্ক চুলে উদাসীভাবে কোন বৃদ্ধের রুমে বসে থাকতুম! বলাতো যায় নে কোন চিপা থেকে বৃদ্ধে নাতনী দেখেই প্রেমে কুপোকাত হতো!! জীবনে সবটাই ভুল!!
+++
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া কি বলো!!!!!!!!!!!
জীবনের পাতায় পাতায় তো সবই ভুল থাকে।
৩২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: একটু একটু করে পড়তে হবে । দেখি খোকা ভাই এর শেষ কোথায় । চলুক
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা শার্দূল তুমি তো আমার খোকাভাইকে চেনো।
মনে আছে নাকি ভুলে গেছো??
৩৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৪৯
জোবাইর বলেছেন: শিরোনাম দেখে মনে করেছিলাম কবিতা। পোস্ট পড়া শুরু করতেই দেখি খোকা ভাইকে চিঠি! থমকে গেলাম, আরেকজনের চিঠি এভাবে পড়া কি ঠিক হবে! অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে ভাবলাম, খোকাকে চিঠি নিশ্চয় কোনো খুকি লিখেছে। খোকাখুকির চিঠি পড়া যাবে। পড়া শুরু করলাম ঠিকই, কিন্তু কখন যে চিঠির তোরণ দিয়ে প্রবেশ করে গল্পের দালানে ঢুকে পড়লাম বুঝতেই পারিনি।
লেখার শুরুতে ভিন্নধর্মী স্টাইলটা খুবই চমৎকার হয়েছে। গল্পের কাহিনী ও বর্ণনা পড়ে মনে হয়েছে কোনো নিষ্পাপ কিশোরীর মুখে আবেগতাড়িত কণ্ঠে তার নির্মল কৈশোর প্রেমের উপাখ্যান শুনছি। অধীর আগ্রহে ২য় পর্বের প্রত্যাশায় রইলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
তুমি আবার লাভ স্টোরীও পড়ো!!!!!!!!!!!!
ভেবেছিলাম তুমি শুধুই কাঠখোট্টা সাইন্স আর হিস্টোরী পড়ো।
৩৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লিখেছো আপু। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়ে নিলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
েআহা খোকা ভাই
প্রেম প্রেম অনুভূতি
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা বুঝেছি তোমার সাথে মিল মিল .......
৩৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আরেকটা চিলেকোঠার গল্প শুরু হল বুঝি। সুন্দর। চলতে থাকুক।+++
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা কপাল থেকে চিলেকোঠা আর গেলো না! হা হা হা
৩৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর গল্প। পরের পর্ব কবে লিখবেন?
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। চেষ্টা করবো প্রতি ৩ দিন পর পর লিখতে। জানিনা পারবো কিনা।
৩৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
জুন বলেছেন: আবার খোকা ভাই
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ খোকাভাই।
সে এক বনের হরিণ ছিলো আমার মনে!!
কে তারে বাঁধলো অকারনে!!!
৩৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার লেখার ব্যাপারে হিসাবের কথা বলেছি, আপনার ব্যাপারে নয়।
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
অপ্সরা বলেছেন: আরে ভাইয়া একই তো হলো।
আমি আর আমার লেখা কি আলাদা নাকি!!!
আমিই তো আমিই তো......
৩৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক জিনিস না।
২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: এক জিনিস না!!!
তাইলে কয় জিনিস?
৪০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৮
অক্পটে বলেছেন: "চিল চিৎকারে" নতুন শুনলাম ঐ সময়ের ভাব প্রকাশে খুব প্রাসঙ্গিক শব্দদ্বয়। লেখা দারুণ সাবলিল হচ্ছে। অনেকদিন পর ব্লগে এমন সুন্দর মায়াময় গদ্য পড়ছি। ১ম পর্ব পড়লাম এক কথায় বলব ঘোরের মধ্যে আছি। আপনার খোকা ভাই আমাদেরও খোকাভাই হয়ে উঠেছে। আজ ২য় পর্ব পড়ব।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ ভাইয়ামনি।
লোকে বলে আমি নাকি বাকপটু মানে প্রিয়ভাষিনী আর দূর্জনেরা মানে শত্রুরা বলে আমি নাকি ভুলাই ভালাই মিষ্টি কথায় ডাকিনী যোগিনী।
সাবধানে থেকো কিন্তু!!!!!
৪১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'খোকাভাই' যেমন আপনার জীবনের 'এক অবাক বিস্ময়', আপনিও তেমনি এ ব্লগ বাগানের এক বিস্ময় বৃক্ষ। এখানে আপনি নানা সময়ে নানা বর্ণে সজ্জিত হন, আনন্দ বেদনার বিচিত্র সম্ভার নিয়ে আপনি ডালা মেলে বসেন, ব্লগাররা আপনার ছায়াতলে বসে আপনার সে সম্ভার নিয়ে ননাড়াচাড়া করে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পনায় নিজেদেরকেও সজ্জিত করে। আপনি যখন আনন্দ নিয়ে বসেন, পাঠক তখন আনন্দে অবগাহন করেন। আপনি যখন রঙ্গরসে কৌতুক করেন, পাঠকেরাও তখন তাদের নিরানন্দ জীবনে খানিক কৌতুক উপভোগ করে তৃপ্ত হন। আর আপনি যখন মানবজীবনের প্রেম ভালবাসার অনুভূতি নিয়ে দেখা আপনার জীবনঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরে গল্প বলা শুরু করেন, পাঠকেরা তখন মন্ত্রমুগ্ধের মত গভীর মনোনিবেশের সাথে তা শোনেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এজন্য আপনার লেখাগুলো এতটা ইন্টারএ্যাক্টিভ হয়। আপনার সেসব পর্যবেক্ষণগুলো হয়তো বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা আর কিছুটা আপন কল্পনার মিশেল হয়ে থাকে, কিন্তু পরিবেশনার গুণে তা পাঠকের চোখে সত্য বলেই গৃহীত হয়। আপনার গল্পের চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত বিষাদেরর সাথে তখন পাঠকগণও একাত্ম হন এবং তাদের সাথে সাথে পাঠকগণও নিঃসন্দেহে ভারাক্রান্ত হন। আপনার সেই সময়ের 'খোকাভাই' সিরিজের লেখাগুলো পড়ে আমিও ভারাক্রান্ত হ'তাম, ভারাক্রান্তের ভার কেটে গেলে বিস্মিতও হ'তাম।
নতুন করে 'খোকাভাই'কে নিয়ে সিরিজ লেখা শুরু করেছেন, চালিয়ে যান। আমি নিশ্চিত যে আপনার এ সিরিজও আগেরগুলোর মতই ঈর্ষণীয় পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে। আমি সময়ে সময়ে এসে আপনার এ সিরিজ পড়ে যাবো, ভালোমন্দ দুটো কথা বলেও যাব।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: ভাইয়া মুগ্ধ হলাম!!!
এমন করেও মন্তব্য করে কত কত প্রিয় মানুষেরা সেও আমার আরেক বিস্ময়!!!
বিস্ময়ে তাই জাগে জাগে আমার গান!!!!!!!!!
যাই একলব্য ভাইয়ুকে দেখিয়ে নিয়ে আসি এই কমেন্টখানা।
৪২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৬
একলব্য২১ বলেছেন: দেখ কেন বলি খায়রুল ভাইদের মত মানুষদের কমেন্ট পোস্টে সব সময় প্রত্যাশা করি। আমাদের মনের কথাটি উনি কত সুন্দরভাবে গুছিয়ে বললেন। পোস্টের লেখা সম্পর্কে আমাদের মনে যে প্রশ্ন বা কৌতূহল জন্মে, তা উনাদের মত ব্লগারদের থেকে এই রকম mature কমেন্টে আর তার প্রতিউওরে পেয়ে থাকি।
আর গাজী সাবের চাঁছাছোলা বক্র কমেন্টও দারুণ উপভোগ করি। মিস হিম।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫১
অপ্সরা বলেছেন: খায়রুলভাইয়ার কথা বলেছো বলেছো কিন্তু আরেক নাম বলা নিষেধ!!!
৪৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশবে প্রত্যক্ষ করা একান্নবর্তী পরিবার এবং জমিদারী হারানো কিন্তু তখনও প্রতাপশালী দাদুর মেজাজের বর্ণনাটা ভালো হয়েছে। আর 'পরাশ্রয়ী পরগাছা' বড় চাচীমা'র সম্বন্ধে বলা কথাগুলো হয়েছে হৃদয়স্পর্শী!
"এ আয়োজনে তারও কিছু দাবী আছে" - আহা, সেই কৈশোরকালেই কতটা সহৃদয় অনুভূতি, কতটা সহমর্মী মন ছিল যার আরও পরিচয় পাওয়া যায়, "আমাকে আবার জ্বালিয়ে দিতে হবে তার সেই নিভে যাওয়া আলোখানি" - কথাটিতে!
"চিল চিৎকারে...." - অসম্ভব সুন্দর এবং যথার্থ একটি বর্ণনা, তখনকার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা সত্যিই মা এই কথা বলতো........ চিল চিৎকার.....
এখনও পারিনা ভাইয়া মনের ভাব কথা বা লেখায় প্রকাশ করতে। যদি পারতাম....
https://www.youtube.com/watch?v=Zwj7ESxQnig
এই গান শোনো ....
৪৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট যেমন ভালো হয়েছে, প্রতিমন্তব্যগুলোও তেমনি। মন্তব্যে এবং প্রতিমন্তব্যে হিউমারের মিশ্রণ দেখতে পেলে পাঠক আনন্দ পায়। সেদিক থেকে ১১ নং প্রতিমন্তব্যটা বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে।
সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। "এই কুঁচ দিয়েও কেনো যেন সে সোনার গহনা মাপতো" - সোনা মাপার সময় সোনার ওজনের ক্ষুদ্রতম একক 'রতি' মাপা হয় কুঁচ দিয়ে। খুব সম্ভবতঃ একেকটি কুঁচের ওজন এক রতি'র সমান ধরা হয়।
জোবাইর এর সুন্দর মন্তব্যটাও ভালো লেগেছে। আর ৪২ নং মন্তব্যটার জন্য @একলব্য২১ কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৮
অপ্সরা বলেছেন: হা হা আবার প্রতিমন্তব্য দেখলাম পোড়া বেগুন নাকি আমাকে চেনে। আমিও তাই বললাম আর কি।
সাড়ে চুয়াত্তরভাইয়া অনেক মজার। আর জোবাইরভাইয়া একলব্য তো আমার দোষই খুঁজে পায় না।
৪৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: চার নম্বরটা পড়ে পড়লাম প্রথম পর্বটা। খুব ভাল লাগলো। এই স্নেহ, এই মমতা, এই ভালবাসাগুলো কি যে অপূর্ব। গল্প হিসেবে হয়ত একটু পূরাতন, আগে বলা হয়ে গেছে এমন গল্পের মত, তবুও ভাল লাগলো।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: এই গল্প তো আজ থেকে ২০/২২ বছর আগে প্লটের গল্প আর ২০১০ তে খোকাভাই সিরিজ কবিতাগুলোকেই গল্পাকারে লেখা
মিররমনি আর শুভভাইয়ুর আমার দুই পাগলা ফ্যানের জন্য।
৪৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: আরে কেন চিনবোনা, খোকা ভাই আমাকে ধোকা দিয়ে তোমাকে নিয়ে গেছে , তাকে ভুলি কি করে বলো? আমি যখন তোমাকে তেমন চিনতামনা তখন খোকা ভাই পড়ে আমি ভেবেছিলাম এটা তোমার রিয়েল লাইফ, পরে বুঝলাম এসব তোমার কল্পোনা, আর সেটাই আমাকে অবাক করেছে, চোখ বুঝে চারপাশ দেখতে পাওয়া এক জটিল পাওয়ার, ।
আর তুমি যখন ৮০/৯০ হবা তখনো তুমি যুবতি সেজে বসে থাকবা সময় কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সে আমি জানি,
আমার বাবুকে আমি দিনে হাজার বার চুমু খাই। বাসায় সে বাধা দেয়না বাট বাইরে গেলে তার নাকি লজ্জা লাগে, আজকে তাকে বলছিলাম বুড়ো হয়ে গেলে তো আর পারবোনা এখন একটু দিতে দাও, সে বলে তোমাকে বুড়ো হতে দিবোনা, আমি একটা মেডিসিন বানাবো তোমার জন্য।
ভাবছি একটা শিশি তোমার জন্য পাঠায় দেবো। কি বলো?
শুভ কামনা সব সময়
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা শার্দুল আমার খোকাভাই গল্পলে স্পয়লার দোষে দুষ্ট করে দেবার জন্য কিন্তু আমি জরিমানা করিবোক ...... এইবার লাল শাড়ি হা হা হা
যাইহোক আমার কোনো শিশি লাগে না ...... আমি তো শিশির মধ্যেই থাকি......
বাবুতাল দন্য অনেক অনেক ভালোবাসা!!
৪৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
১৬ বছরের কিশোরের সাথে ১৪ বছরের কিশোরীর প্রেম এবং যেটাকে বলে ট্রু এন্ড ইনোসেন্ট লাভ । ভালোই জমলে মনে হচ্ছে আর ঠিক এমন সময়েই নীরুরর মা নীরুকে ডাকলেন । যাচ্ছি পরের পর্ব পড়তে একে একে পর্বগুলো সব পড়ে নিবো ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২২
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হুম!! ঠিক তখুনি না ডাাকলে কেমনে গল্প হবে!
৪৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
মুদ্দাকির বলেছেন: ঐ যে মায়া, এই মায়ায় ভরে যাক পৃথিবী। অহমিকা, দম্ভ ,আভিজাত্য ধ্বংস হোক। কষ্ট লাগে এই ধরনের লেখা পড়তে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১
অপ্সরা বলেছেন: নো কষ্ট ভাইয়া!!!
জীবন মানেই ......
৪৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চলছে অষ্টম পর্ব। অথচ আমি শুরু করছি প্রথম পর্ব। দেখা যাক আমার অষ্টম পর্বে আসতে আসতে কত পর্ব লেখা হয়ে যায়!
বংশীয় গৌরবের অকারণিয় দম্ভএ শিকার হওয়ার যে ঘটনা গুলো আপনি এড়িয়ে গেছেন। আশা করি আগামীর কোন এক পর্বে অন্য প্রসঙ্গে, অন্য ইঙ্গিতে, হয়তোবা অন্য ভুমিকায় ফুটে উঠবে। কেন জানি আমার মনে হচ্ছে, এই ঘটনাগুলোর উঠে আসা প্রয়োজন। পাঠকের জানা প্রয়োজন। অকারণীয় বংশীয় দম্ভের কারণে, আমরা যে এক প্রকার বর্ণ বৈষম্য চর্চা করছি এবং মানুষকে নির্যাতন করে চলেছি।
আপনার সম্বোধিত খোকাভায়ের নামটা কিন্তু জানা হলো না। এই পর্যন্ত পাঠ করার পর খোকা ভাইয়ের প্রতি করুণা হওয়ার পরিবর্তে নীরার প্রতি করুণা হচ্ছে। আহ বেচারি।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮
অপ্সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
৮ পর্ব পর্যন্ত পড়ে ফেলো। খুব একটা বড় না পর্বগুলো। হ্যাঁ অনেকটাই লিখে ফেলেছি মনে হয় এই সব মিথ্যে অহংকারের বড়াই এ কত শত প্রাণ, হৃদয়ের ক্ষরণ যে ঝরে গেলো তার হিসেব কেউ রাখে না।
যাইহোক নীরার এবং খোকাভাই দুজনের জন্যই আসলে হয়ত কষ্ট বা করুনা তবুও তারই মাঝে মায়াময় দিন ক্ষন কেটে যাওয়া সময় সেসব নিয়েই এই গল্প!
৫০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বেশ অনেক দিন থেকে ব্লগে আসা হয়না এসে দেখি আপু তুমার পোস্ট। আহা দেখতো ৯ম পর্ব পোস্ট হয়ে গেছে আমি রয়েছি শুরুতেই। সময় করে পরে নিব বাকি পর্বগুলোও। তবে গল্পে মিশে যাচ্ছি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৪
অপ্সরা বলেছেন: আই ওয়াজ মিসিং ইউ ভাইয়া!!!
আমি ভাবছিলাম তুমি কেনো আসছোনা ......
এসে গেলে থ্যাংকস!!!
৫১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: নীল নিরুপমা, খোকাভাইয়ের চিলেকোঠায় ক্যামা........
ভালোই জমিয়েছেন গল্প মনে হচ্ছে...পাঠকের উপস্থিতি তো তাই বলে......ব্লগে আমার বিচরণ কমে যাওয়ায় অনেক কিছুই মিস করছি.....দেখছি.....
তবে শুরু করলুম পড়া.......দেখি কতটুকু পড়তে পারি...
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা নীল নিরুপমা
খোকাভাইয়ের চিলেকোঠায় ক্যামা
তোমার নেই ক্ষমা
শিঘরী সবগুলা পড়ো আখেনাটেনামা.......
৫২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৪৯
সোহানী বলেছেন: সবগুলোর লিংক একসাথে দাও, সহজে পরেরটায় যাওয়া যাবে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১
অপ্সরা বলেছেন: আচ্ছা আপুনি!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
দুই বছর পর আপনার পোস্ট ! নিয়মিত লিখুন। ব্লগে আসুন।
বড় গল্প সময় নিয়ে পড়ল। ভালো লেগেছে।