নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্‌সরা

যেখানে ঘর বাঁধবো আমি, আসে আসুক বান, তুমি যদি ভাসাও মোরে, চাইনে পরিত্রাণ!!

অপ্‌সরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে- ৩

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪০


কি ভয়ানক ঘটনাটাই ঘটে গেলো সেদিন। পুরা বাড়িতেই চাপা উত্তেজনা। চুপ চুপ করেও বেশ জানাজানি হয়ে গেলো ব্যপারটা মা চাচীদের মধ্যে। সাথে বাড়ির মেয়েরাও প্রায় সবাই জেনে গেলো। কারণ ঐ ঘটনা তখন বাড়ির অন্য সব মেয়েদের জন্য এক বাস্তব শিক্ষার উদাহরন। কয়েকদিন ধরেই মীরা আপা আমার সেজো চাচার মেয়েটার শরীর ভালো যাচ্ছিলো না। কিচ্ছু খেতে পারছিলো না। সারাদিন শুয়ে থাকছিলো। উঠলে মাথা ঘুরে পড়ে। এর মধ্যে শুরু হলো বমি। এত কিছু দেখে ছোটচাচী তাকে নিয়ে গেলো ডক্টরের কাছে। প্রথমত ভাবা হচ্ছিলো গ্যাসের বা বদ হজমের সমস্যা। দাদীমা তাকে নিজে হাতে বানানো হজমীগুলি খাইয়ে চলেছিলেন। কিন্তু ডক্টরের রিপোর্ট হাতে পাবার পর তো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো বাড়ির সবার।

সবার প্রথমে সেই ঘটনা এসে আমাকে খবর দিলো ছোট চাচার মেয়ে রুমা। সবে ক্লাস ফাইভে পড়ে এর মধ্যেই তার মাথায় গিজগিজে বুদ্ধি। আমার জীবনে দেখা সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমতী মেয়ে সে। যাইহোক সেটা ছিলো শীত আসি আসি কোনো এক গড়িয়ে পড়া বিকেল বেলা। আমাদের শহরে আগে ভাগেই শীত এসে যেত। লেপ কম্বল নামিয়ে রোদে দেওয়া হয়ে গেছে। আমি দুপুরের খাবারের পর বিছানার লেপের মধ্যে শরৎচন্দ্রের জ্ঞানদার কথা পড়ে চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছিলাম। অনেকক্ষন হতেই উঠি উঠি করছিলাম। কিন্তু জ্ঞানদার দুঃখে আটকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় রুমা এসে জানালো কানে কানে ফিস ফিস। জাানিস নীরু আপু কি হয়েছে? আমি বললাম, কি? মীরা আপার পেটে নাকি বাচ্চা। আমি চমকালাম! রুমা বলেই চললো, সেজো চাচী অনেক কান্না কাটি করছে। মীরা আপার এখন কি হবে? আমি বোকার মত চোখ গোল গোল করে বললাম কি হবে মানে? ছেলে বা মেয়ে কিছু তো একটা হবেই। অবাক হয়ে দুখী দুখী মুখ বদলে ফেলে রাগ করে বললো, কিসের ছেলে আর মেয়ে ! মীরা আপার কি বিয়ে হয়েছে ! কে নেবে এই বাচ্চার দায়িত্ব! কে করবে বিয়ে! এই সব নিয়ে তুলকালাম হচ্ছে আর তুমি আছো ছেলে আর মেয়ে নিয়ে।

আমি আরও বেশি অবাক হলাম! কৌতুহলে জানতে চাইলাম তুই এত কিছু জানলি কি করে? সে বলে দরজা বন্ধ করে দাদীমা আর চাচীরা মীরা আপাকে জেরা করছিলো। তখনই এসব শুনেছি। সেজোচাচী মীরা আপাকে অনেক মেরেছে জানিস? মা না বাঁচালে খুনই করে ফেলতো বোধ হয়। রান্নাঘর থেকে দা নিয়ে গিয়েছিলো! আমি ভয়ে পাথর হয়ে গেলাম। বলে কি! সেজোচাচীর রুদ্রমূর্তী কল্পনা করলাম। যদিও জানি সেজোচাচী দারুন নাটকবাজ মানুষ। জন্মেও দা দিয়ে কাউকেই কাটতেন না। যত বড় বিপদই হোক না কেনো এটাও তার এক নাটক। সে যাইহোক মীরা আপার দুঃখে কাতর হয়ে পড়লাম আমি।

এরপর মীরা আপাকে দাদীমার ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হলো না। পরদিন খুব ভোরে শিবুর মাকে ডাকা হলো। সে কি সব জড়িবুটি দিয়ে মীরা আপাকে রক্ষা করলেন। এতকিছু সেই ছোট বয়সে আমাদেরকে কেউ বলে দেয়নি। আমরা নিজ গরজেই জেনে গিয়েছিলাম।
শিবুর মাকে দাদীমা সোনার হার হাতে দিয়ে বললেন, শিবুর মা কখনও নেমক হারামী করো না। তোমার দাদা পরদাদা এ বাড়ির নেমক খেয়ে বড় হয়েছিলো। শিবুর মা পান দোক্তা খাওয়া লাল জীব বের করে রাম রাাম করে মাথায় দু হাত ঠেকিয়ে বেরিয়ে গেলো। এসব ঘটনা আমাদের শুনানো হবে না হবে না করেও দেখানো যাবে না যাবে না করেও কিন্তু ঠিকই শুনানো ও দেখানো হত। অনেকটা ঐ ঝি কে মেরে বৌকে শিক্ষার মত।

তারপর থেকে মায়ের শাসন বেড়ে গেলো। খবরদার হুশীয়ার শুনে শুনে কান ঝালাপালা হয়ে গেলো। এই দিকে চলতে লাগলো বিয়ের তোড়জোড়। মীরা আপাকে বিয়ে দিতে হবে। তার আর পড়ালেখা করা হবে না। কলেজ যাওয়াও বন্ধ। কেউ জিগাসা করলে বলা হয় ওর মাথার প্রবলেম মানে মাথায় কিছু ঢুকেনা এবং ঠিকই তার তিন বা চার সপ্তাহের মাঝে মীরা আপার বিয়ে হয়ে গেলো লম্বা দাঁড়িওালা এক হুজুরের সাথে। ঐ দাঁড়িওয়াকা হুজুর নাকি খুবই উচ্চবংশীয় মৌলানা কিন্তু পাত্রী পছন্দ না হওয়াতে বিয়ের বয়স গড়িয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু পাত্র দেখার পর আসল ঘটনা আমার বা আমাদের ধারনা হলো পাত্রী পছন্দ না আসলে পাত্রকেই বোধ হয় কোনো পাত্রীর পছন্দ হয়নি। সাদা ধপধপে চেহারার নুরানী ভাবের মাঝে থেকেও বোকা বোকা চেহারার ভালোমানুষ সেই হুজুরের সাথে আমাদের অপরূপা মীরা আপার বিয়ে হয়ে গেলো।

মীরা আপা একটুও কাঁদলো না। একটাবারও অসন্মতি জানালো না বিয়েতে। এই বিয়ে কিন্তু খুবই ধুমধাম করেই হলো। এবং বিয়েতে লোকজন দাওয়াৎ থেকে শুরু করে কোনো আয়োজনেরই কমতি হলো না। হলুদ মেহেদী সবই চললো। আমরা একটু ছোটরা যারা ছিলাম বাংলা সিনেমার মত সেই চিন্তায় কে মীরা আপার এই সর্বনাশ করলো ভাবনাটা নিয়ে তারা সবাই ভুলে গেলাম ঐ অনর্থক ভাবনা বিয়ের আনন্দের ডামাডোলে আরও অর্থপূর্ণ সাজগোজ আর নানা রকম উৎসব নিয়ে। বিয়েতে সেজোচাচা সবাইকে একই রকম শাড়ি পাঞ্জাবী দিলেন।

সেই শাড়ি পরে কপালে টিপ আর লিপস্টিক, হাতে চুড়ি, খোঁপায় মালা সব সাজুগুজুর অবাধ পারমিশন পেলাম আমরা। আমাদের বাড়িতে মেয়েদেরকে কাজল লাগাবার পারমিশন দেওয়া হত কিন্তু কোনোভাবেই লিপিস্টিক লাগাবার পারমিশন ছিলো না আমাদের। বিয়ের আগে নাকি লিপস্টিক দেওয়া যাবে না। আর লাল লিপস্টিক লাগানো নাকি বড়ই বাজে মানুষের কাজ। এমনই বলতেন দাদীমা। তাই আমাদের জন্য ন্যাচারাল অরেঞ্জ কালার আনা হলো। আহা এই কথা লিখতে গিয়ে আমার সেই লিপস্টিকের গন্ধটাও আজ মনে পড়ছে বড়। ঐ লিপস্টিকের গন্ধটাও ছিলো অরেঞ্জ মানে কমলা লেবুর মতই। বিকেল হবার আগেই সেজেগুজে রেডি হলাম আমরা।

আমি লুকিয়ে ছাদের ঘরে এলাম খোকাভাই এই বিয়ে উপলক্ষে পাওয়া তার পাঞ্জাবীটা পরেছেন কিনা। আসল উদ্দেশ্য নিজের সাজটাই দেখানো তাকে। হা হা ভাবলে আমার এখনও হাসি পায়। জানিনা আমার মতই ঐ ১৫/১৬ বছর বয়সে সব মেয়েরাই নিজেদেরকে সাজুগুজুর পর পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী মনে করে কিনা। যাইহোক সারাবাড়ি আনন্দ আয়োজন আর ছাদের ঘরে খোকাভাই চুপচাপ শুয়ে আছে কপালের উপরে হাত ভাঁজ করে। আমি তো অবাক! একটু রাগও লাগলো আমার ঢঙ্গ দেখে। একটু পরে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হবে। বাড়ির সব ছেলেমেয়েরাই তোড়জোড়ে সামিল হয়েছে। আর উনি কিনা সেই একই ঢঙ্গে বসে আছেন উপরের এই বদ্ধ রুমে?

আমি গিয়ে বললাম, এ্যই খোকাভাই। কি করো শুনি? সবাই রেডি আর তুমি এখনও শুয়ে?
খোকাভাই আমার দিকে না তাকিয়েই চোখ বুজেই নির্লিপ্ত গলায় বললো,
-আমি যাবো না
- যাবে না মানে!
আমার খুব রাগ হলো। মনে হয় যাবে না সেটা কারন না এত কষ্ট করে সেজেগুজে আসলাম আর সে আমার দিকে তাকাচ্ছেই না তাই।
আমি তার দুই হাত ধরে টেনে উঠালাম।
- উঠো এখুনি। তোমাকে যেতেই হবে।
- খোকাভাই আমার দিকে তাকালো। তাকিয়েই রইলো। হা হা পুরাই সিনেমার মত তাই না? আসলেই যে বলে সিনেমাগুলো জীবন থেকেই নেওয়া তাহা খানিক সত্য বটে। আমিও খোকাভায়ের হা করে তাকিয়ে থাকা দেখে একটু লজ্জা পেলাম। তাড়াতাড়ি টেবিলের উপরে রাখা পাঞ্জাবী নিয়ে ধমক দিয়ে বললাম, এখুনি পরো। পরো বলছি। তারপর টেনে টুনে তার জামা খুলতে গেলাম। হা হা জানি মিররমনি অনেক হাসবে এখানে আমার লেখা পড়ে।খোকাভাইও আমার কান্ড দেখে হাসছিলো। কিন্তু এই টানাটুনিতে ভয় পেয়ে বললো,
- দাঁড়া দাঁড়া পাগলী হয়ে গেলি নাকি!
তারপর হাত থেকে পাঞ্জাবীটা নিয়ে বললো,
- ঐ তুই আমাকে ধমকাস কেনো রে পিচ্চি? সাহস তো কম না! বলে হো হো হাসতে লাগলো।


একে সেই ছয় ছেলে তিন মেয়ের একান্নবর্তী পরিবার এবং তার ডাল পালা শাখা প্রশাখায় এক হাঁট মানুষের আনাগোনা ছিলো ও বাড়িতে যে কোনো অনুষ্ঠানেই। তারমাঝে খোকাভাইকে নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথাই ছিলো না এই এক আমার ছাড়া। খোকাভাইকে জোর করে টেনে নামিয়েছিলাম সেদিন ঐ এক বাড়ি মানুষের মাঝে। যদিও আমি নেমে আসার খানিক পরে খোকাভাইকে একা একাই নামতে হয়েছিলো। নইলে এক সাথে নামলে আর সেটা মায়ের কানে গেলে আর রক্ষা ছিলো না আমার। তবুও খোকাভাইকে সেই অনুষ্ঠানে সকলের মাঝে দেখে আমার খুব ভালো লাগছিলো। সারাক্ষন সকলের অজান্তে ঘিরে ছিলাম তাকেই। খোকাভায়ের সাথে কারো সখ্যতা ছিলো না ও বাড়ির। তবে বিশেষ দিন বলে মা চাচীরাও তাকে ডেকে খাওয়াতে কার্পন্য করেনি। আমার মুখচোরা খুব স্বল্পভাষী খোকাভাই সকলের মাঝে থেকেও যেন ভীষন উদাসী ছিলো। ও বাড়ির কারো চোখেই কোনো বিশেষত্ব ছিলো না তার শুধু আমার কাছেই খোকাভাই ছিলো এক অপার বিস্ময়!


মীরা আপার বিয়ে নিয়ে সকল তোড়জোড় আচার অনুষ্ঠান শেষ হবার পর ও সকল আত্মীয় স্বজন ফিরে যাবার পর এবং অতো বড় বাড়িতে এক বাড়ি মানুষ থাকবার পরও হঠাৎ কিছু নিস্তব্ধতা নেমে এলো। অবশ্য প্রতিবারই যে কোনো অনুষ্ঠানের পরেই ওমনটা হত। তবে এবারে তার সাথে যোগ হলো বাড়ির অন্যান্য মেয়েদের সে বলতে গেলে শিশুগুলো থেকে শুরু করে ২০/২২ যারা অবিবাহিত ছিলো সকলকে নিয়ে মা চাচীদের বিশেষ শিক্ষা দীক্ষা যাতে ভয় আর ভীতি আর রক্তচক্ষু শাসনই মেশানো থাকতো বেশি। আর প্রতিবার ছিলো সাথে মীরা আপার উদাহরণ তার নাম কৌশলে উহ্য রেখে।

এত কিছুর পরও। এত শাসন বারণ বিধি নিষেধ, রক্তচক্ষু শাসন! তবুও সবার চোখ ফাকি দিয়ে একদিন স্কুল পালিয়ে চলে গেলাম আমরা শহরের প্রান্তে সেই ভাঙা রাজবাড়িটাতে। আমাদের ঐ ছোট্ট শহরে লুকিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবার উপায়ই ছিলো না। শুধু বাড়িতেই না সারা শহর জুড়েই চেনা মানুষের চোখ। তবুও আমরা তখন অদম্য সাহসী। এত কিছুর পরেও সকলের চোখ ফাঁকি দিয়েছিলাম আমরা। চলে গিয়েছিলাম ঐ জীর্ণ পুরাতন রাজবাড়িতে। কোনো সংস্কার হয়নি তখনও ঐ বাড়িটার। বিশাল সেই অট্টালিকা প্রাসাদ তখন শুধুই গরু ছাগলের অবাধ বিচরণভুমি । প্রশ্বস্ত বাঁধানো সিড়িটার ভাঙাচোরা কোন, এখানে ওখানে ছালওঠা চেহারা। সেই সিড়ি বেয়ে উঠে গিয়েছিলাম আমরা। ভাঙ্গাচোরা দিনহীন চেহারার সিড়িগুলি। তবুও যেন সে ছিলো আমাদের স্বপ্নে দেখা রুপকথার রুপোলী সোপান।

ইট বেরিয়ে থাকা লাল লাল চওড়া সেই বারান্দাটা দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলাম আমরা। উপরে উঠে একদম শেষপ্রান্তের বড় নাচঘরটায়। একদিন যেখানে নুপুরের ঝুম ঝুম আর হাজারও করতালীর আনন্দ মুখর আসর ছিলো, বসন্ত বাহার বা রাগ তোড়ি কিংবা ইমনকল্যানের সূরের মূর্ছনায় ভরে থাকতো চারিধার, সেই নীরব নিথর নাচঘর দাঁড়িয়ে ছিলো নিশ্চুপ। বোধ হয় আমাদেরই অপেক্ষায়। সেই নাচঘরের চারিদিক জুড়ে এককালের বিশাল সব অখন্ড বেলজিয়াম আরশীর অস্তিত্ব জানান দিচ্ছিলো তারই একটু আধটু শত খন্ডিত অংশগুলি। সেই বিকেলের সোনাঝরা রোদে তারা ঝিকমিক হেসে উঠছিলো। গোল গোল মাথার অদ্ভুৎ অতিকায় জানালাগুলি দাঁড়িয়ে ছিলো হা করে। একটারও কপাট বা পাল্লা ছিলো না। পুরোই ফাকা গবাক্ষগুলি। হু হু বাতাস বইছিলো। সেই কপাট বিহীন গবাক্ষের ধারে গিয়ে দাড়িয়েছিলাম আমরা। খোকাভাই আর আমি। একই জানালার ফ্রেমে দুই দুইটি সদ্য কৈশোর পেরুনো মানব মানবী। বাইরে ছিলো অসীম মায়াবী ঝকঝকে নীলাকাশ। আকাশের সেই ছবিটা হৃদয়ের ক্যানভাসে আজও বাঁধা পড়ে আছে আর সাথে চোরকাঁটার মত বিঁধে আছে
সেই পড়ন্ত দুপুর ।

একটি ভগ্ন পুরাতন রাজবাড়ি। একটি স্কুল ড্রেস পরা, বেনী দুলানো কিশোরী মেয়ে আর একটু এলোমেলো, বড়বড় চুল দাড়ি আর গভীর চোখের মায়াময় মুখের রূঢ় কঠিন দুঃখী ছেলেটা; খোকাভাই -আমার গোপন ভালোবাসা। সাক্ষী সেই জীর্ণ পুরাতন রাজবাড়িটি। এখনও সে কি মনে রেখেছে সেই বিকেলের কথা?

বিশাল গবাক্ষপথে হুহু হাওয়ার মাতম বইছিলো। আমরা পা ঝুলিয়ে বসেছিলাম গরাদবিহীন সেই জানালায়। কিছু মূহুর্তের জন্য আমরা ভুলেছিলাম একটি কঠিন পৃথিবীর সকল ক্লেদাক্ততা। শত কথা আর হাসি তামাশায় আমি তখন গিরিবাজ পায়রা। আর খোকাভাই ছিলো আজীবন স্বল্পভাষী গুরু গম্ভীর এক সন্যাসীঠাকুর।

সন্ধ্যা নামার আগ দিয়ে আমরা ভয়ংকর রেলিং বিহীন সেই ভাঙ্গা সিড়িটা বেয়ে ছাদে উঠে গিয়েছিলাম। পুরোনো বাড়িটার রুক্ষ কঠিন ইটের পাঁজর ভেদ করে এখানে সেখানে উঁকি দিচ্ছিলো লতা গুল্ম আর শিশু বটগাছ। এরই মাঝে এক কোনায় জ্বলজ্বল করছিলো ফুলবতী লজ্জাবতী গাছটার বেগুনী গোলাপী অপূর্ব কারুকাজ। লজ্জাবতীর গাছ আমি অনেক দেখেছি। ছুঁয়ে দিলেই লজ্জায় বুজে যায় সেই আশ্চর্য্য অবাক করা তার স্বভাবের কথা যেদিন জেনেছিলাম সেদিন থেকেই লজ্জাবতীও আমার এক অবাক বিস্ময়। তবে ওমন লজ্জাবতীর অত বড় গাছ আর ওমন অদ্ভূত সুন্দর বেগুনী গোলাপী ফুল তো দেখিনি আগে! আমি মুগ্ধ হলাম! চেঁচিয়ে বললাম, দেখো কি সুন্দর! আর তারপর- খোকাভাই
তোমার স্বভাবসিদ্ধ নিশব্দ ভাষায়
অর্পণ করেছিলে একথোকা বেগুনী গোলাপী অর্ঘ্য।
একটি রুপকথা বিকেলে
একটি কিশোরী ভালোবাসার বেদীমূলে।
সেই পেলব কোমল
লজ্জাবতীর ফুলের ছোঁয়া
বিকেলটাকেই বদলে দিলো আমার।

জানো খোকাভাই, এ জীবনে যত উপহার
আর কিছু সাথে, তুলনা হয়না তার।


চলবে......

ছবি - নেট থেকে...

১ম পর্ব
২য় পর্ব

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৪

ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
গল্পতো চলবে। বাট ক্যাঁচালতো ভালোই লাগাইবেন মনে হচ্ছে। এনিওয়, আপনি কি সিউর যে তখন আপনি ছোট ছিলেন? :P

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি তো এখনও ছোট!!! :)

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০১

ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
হুম্। ছোট-খাটো একখানা বাঘিনী বলা যায়। না জানি বাঘিনীর পাল্লায় পরে হরিণটার শেষ দশা কি হয়! হরিণের জন্যে সমবেদনা :(

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৪

অপ্‌সরা বলেছেন: ঐ ক্যাচালভাইজান............

আহালে আহালে


আচ্ছা আপনি কয় দিনের ক্যাচালভাইজান?


নইলে তো খোকাভাইকে চেনার কথা.....

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৯

ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
আমি এ পাড়ায় বড্ড নূতন। কঙ্কাবতীর খোঁজে এসেছিলাম। জানিনা কই আছে আর কেমন আছে কঙ্কাবতী :(

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১২

অপ্‌সরা বলেছেন: ওহ তাই তো বলি। কঙ্কাবতীর যুগেও আসো নাই? তাইলে তো কিছুই জানো না...... বাইচ্চা শিশু.... বেঁচে থাকো বেঁচে থাকো।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পর্বটাও ভালো লাগলো। একটু নাটকীয়তা আছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৪

অপ্‌সরা বলেছেন: নাটকীয় আবার কি? জীবননাট্য বলে একটা কথা আছে শোনোনি? ইহাও একখানা জীবননাট্যের গল্প।!!!

তবে একলব্য ভাইয়া এতগুলা জীবনের গল্প শুনতে শুনতে আর এখন দিশাহারা হওয়াও ভুলে গেছে।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। লজ্জাবতী লতা নীরার জন্য উপযুক্ত উপমা।

কিছু ক্ষণের মধ্যে নেইমার মেসি এমবাপে মাঠে নামবে অথচ সালমান কার্টুন দেখছে চ্যানেল ঘোরাতে দিচ্ছে না। খেলা টা মনে হয় দেখা হবে না।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: লজ্জাবতী ফুলের সৌন্দর্য্য লিখেছি ভাইয়ু। :)


দুইটা টিভি কিনলেই তো হয়ে যায়। আজকাল বাচ্চারাও বড়দের সাথে কমপিটিশন করে। :)

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৪

ককচক বলেছেন: শেষ পর্যন্ত বোকাসোকা হুজুরের গলায় গছিয়ে দেওয়া হইলো।

যাইহোক, গল্প চলুক... ভালো লাগছে

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: নইলে কি আর করা!

এইটা এক ধরনের শাস্তি ছিলো হয়ত।

ঐ পরিবার ছিলো দারুন স্বৈরাচারী।

বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৪২

ককচক বলেছেন: হুম। কিন্তু সেই প্রতারক কালপ্রিট সম্পর্কে কিছু বলা হইলো না; সে আড়ালেই থেকে গেলো।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ এখনও আড়ালে।

কিন্তু চাচীআম্মারা ঠিকই জেনেছিলেন।

মানে পুলিশ যেমনে রিমান্ডে নিয়ে মাইর দেয়। তেমনই রিমান্ডের মাইরের আগেই গালাগালেই সব স্মীকার করে নিয়েছিলেন মীরা আপু।

কিন্তু তারপরও মাইর ধোর জুটেছিলো কপালে ভালোই।

অন্যমেয়েগুলোর অন্তসত্তাবেলা ছিলো পরম আদরের আর মীরা আপু ঐ অসুস্থ্যতার মধ্যেও মার খেলো। :(

লিখতে চাইনি সেই দয়া মায়াহীন কথা।

কিন্তু তুমি মনে করালে তাই লিখতেই হবে মনে হয়।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম বাস্তব কোন ঘটনা বুঝি, ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম এটা একটা গল্প। অসাধারণ গল্পই বলতে হবে, যেহেতু পুরোটা শেষ না করে উঠতে পারিনি। আচ্ছা, নীরা আপু আর বেচারা হুজুরের কি বিয়ে পর্যন্তই শেষ এর পর, এর পর কি হলো? গল্প দেখি আবার অন্যদিকে টার্ন করলো। নীরা'র সমস্যাটা কোথায় তা মনে হয় আমি কিছুটা অনুমান করতে পেরেছি, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি কি টুইস্ট আছে আমাদের জন্য। আর খুকা ভাইয়ের শেষ পর্যন্ত কি হয় তা আমার একটু দেখতে হবে।
চলুক দেখি....

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: তোমার এই কমেন্ট দেখেই মনে পড়ে গেলো এই গল্পের আগের লিঙ্কগুলো এড করে দেওয়া হয়নি। :(

একটু পরে এসে আগের দুইটা লিঙ্ক এড করে দেবো ভাইয়ু।

না এরপর আরও অনেক কিছুই আছে তবে ভাবছি আমি কি নীরার গল্প বলবো নাকি মীরার।

মীরা কিন্তু সেজোচাচার মেয়ে ছিলো। আর নীরা ছোট চাচার আগের চাচা ত চাচা। হা হা

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

অপ্‌সরা বলেছেন: Click This Link ১ম পর্ব

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

অপ্‌সরা বলেছেন: ২য় পর্ব

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৪১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুন্দর লিখনি।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া। :)

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অতো বড় বাড়িতে এক বাড়ি মানুষ থাকবার পরও হঠাৎ কিছু নিস্তব্ধতা নেমে এলো। অবশ্য প্রতিবারই যে কোনো অনুষ্ঠানের পরেই ওমনটা হত।

অনুষ্ঠান শেষে সব সময় এমনটাই হয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ

সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।


ঠিক এমন তাই না ভাইয়া?

কোথাও যেন কেউ নেই।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নীরা শেষ পর্যন্ত বড় চাচার ছেলের প্রেমে পড়বে তাইনা।+++

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬

অপ্‌সরা বলেছেন: পড়বে আবার কি?

তোমার কি মনে হয় এখনও পড়েনি!!!!

তোমার কম্প্রিহেনশন স্কিল বাড়াতে হবে ভাইয়ুমনি!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা

১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লেখা। দ্বিতীয় পর্বে প্রথম পর্বের ধারাবাহিকতায় অনেক নতুন সংযোজন ভালো লেগেছে। চলুক- সাথেই আছি।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ ইচ্ছে করে সব সব মানে ইট কাঁঠ পাথরগুলোকেও সংযোজন করে দেই। কিন্তু পাঠকেরা আরও বড় বাঁচাল বলে যদি।

মিসিং মাই মাহা ভাইয়া। ঢুকিচেপা ভাইয়ু ! :(

১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: জমিয়ে রাখছি- কোন এক শুভদিন দেখে সবগুলো একসাথে পড়ব।
আপনার লেখা মেনেই তো জোস কিছু-তাই আগে থেকেই লাইক :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া।

তাই হোক তবে তাই হোক।

দ্বার রাখিলাম খুলে ...... :)

১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা কী সুন্দর প্রেম গল্প।

হারিয়ে যাওয়া প্রেম। মনে রাখতে হয় চিরদিনই
খুব সুন্দর আপু

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপুনি!!!!!!!!!!!!!


একলব্য আর মিররমনির সাথে সাথে তোমাকে আর মনিরা আপুকেও ডেকে আনবো লেখা হলেই : )

১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

একলব্য২১ বলেছেন: এই পর্বের আদ্যপ্রান্ত অসাধারণ লেখা পড়ার সময় ঘোর লেগে গেছিল। কি করে এমন লেখা শিখলে। সিরিয়াসলি জানতে চাই। এতো এক তপস্যা।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা তোমার জন্য একটা গানা দেই ---------
নিশা লাগিলো রে

আমি যখন লিখি তখন আমিও তো ঘোরে থাকি ভাইয়ু..... হাসতে হাসতেও মরে যাই আবার কাঁদতে কাঁদতেও।

যেমন মীরা আপার কথা মনে হলে আমার মনে হয় জীবনে হেরে যাওয়া বা গলা টিপে ধরা একজন মানুষের গল্প।

অবশ্য ও বাড়ির প্রতিটা মানুষই গলা টিপে ধরা এক পরিবেশে বড় হয়ে বের হয়ে এসে নিশ্বাস ছেড়ে বেঁচেছিলো বুঝি।

তবুও প্রতিটা জীবনই আনন্দময়। সুখ ও দুঃখের মাঝেও।

বেঁচে থাকাটাই এক আনন্দ। রোজ রোজ নতুন গল্পের বই এর পাতা উল্টানোর মত।





১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

একলব্য২১ বলেছেন: মীরার ঔ অবস্থায় জন্য যে কালপ্রিট দায়ী ছিল। তার জন্য কি ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরে। সে ছেলের সাথেই মীরার বিয়া দিয়ে দেওয়া যেত না। নাকি সে চরম অযোগ্য ছিল।

মীরার স্বামী হুজুর কি পরে এসব কিছু জেনেছিল।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: একশোবার যেত!!!

কিন্তু ঐ বাড়ির লোকজন সব অকারণ অহমিকা আর এক অজানা দম্ভে ভুগতো। আর তাই নিজেদেরকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট উত্তম ভাবতো।

আর যাই করো ও বাড়ির মেয়েদের প্রেম করলে আর রক্ষা নাই এই কথাটাই শেখানো হত।

মীরার স্বামী আমার জীবনে দেখা একজন ভালোমানুষ কিন্তু মানুষ তাকে মেরুদন্ডহীন বলতো।

আসলে ভালোমানুষদেরকে লোকে বুঝি ওমনই বলে। তবে খারাপ মানুষগুলো বড় হম্বি তম্বি নিয়ে চলে।

ভেবেছিলাম মীরা আপুর কথা আর লিখবো না কিন্তু মনে হচ্ছে লিখতে হবে।

১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

একলব্য২১ বলেছেন: খোকাভাই এখন কেমন আছেন।

নীরু কি এই লেখা খোকা ভাইকে জ্ঞাত করবে। আমার কেন জানি মনে হয় তোমার এই লেখা বই আকারে বের হবে।

ঢুকি কেন এই লেখায় আসছে না। সে কি সামুতে এখন খুব একটা আসেন না। এই লেখায় খায়রুল ভাই, রাজীব নূর আর গাজী সাব উপস্থিত হলে আর কমেন্ট করলে লেখার একটা অন্য মাত্রা পেত। এটা আমার মনে হয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: খোকাভাই কেমন আছে সে কথা তো এখন বলা যাইবেক না হে ভাইয়ুমনি!!!!!!!!!! :P


না করবে না...... ওহ বই আকারে বের হবে কিনা তা তো এখনও জানিনা। তোমাদের জন্য লিখছি!!!!!!! :)

ঢুকি আমার এই বেহেনাকে চিনেন না...... তাহাকে আনিতে হইলে মেইল করিতে হইবেক।

খায়রুলভাইয়া কেনো আসছে না সেটাও হয়ত খায়রুলভাইয়া জানাবে কখনও........

রাজীব নূর ভাইয়া রাগ আর দুঃখে আসছেন না।

আর গাজী সাবের নাম নেওয়া নিষেধ।

মডুভাইয়ার স্টিকি পোস্ট পড়োনি!!!!!!!!!!!!!!

নো মনে হওয়া হওয়ি......

তবে লাইক বক্সটা একটু চেক করিয়া দেখুন.......

আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য.....

বন্দী দশা হইতেও লাইক দিবার জন্য...... :)

লাভ ইউ অল ভাইয়ুরা ..... :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪১

অপ্‌সরা বলেছেন: এই যে দেখো!!!!!!!!!! :) :) :)


৪১. ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৬০

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'খোকাভাই' যেমন আপনার জীবনের 'এক অবাক বিস্ময়', আপনিও তেমনি এ ব্লগ বাগানের এক বিস্ময় বৃক্ষ। এখানে আপনি নানা সময়ে নানা বর্ণে সজ্জিত হন, আনন্দ বেদনার বিচিত্র সম্ভার নিয়ে আপনি ডালা মেলে বসেন, ব্লগাররা আপনার ছায়াতলে বসে আপনার সে সম্ভার নিয়ে ননাড়াচাড়া করে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পনায় নিজেদেরকেও সজ্জিত করে। আপনি যখন আনন্দ নিয়ে বসেন, পাঠক তখন আনন্দে অবগাহন করেন। আপনি যখন রঙ্গরসে কৌতুক করেন, পাঠকেরাও তখন তাদের নিরানন্দ জীবনে খানিক কৌতুক উপভোগ করে তৃপ্ত হন। আর আপনি যখন মানবজীবনের প্রেম ভালবাসার অনুভূতি নিয়ে দেখা আপনার জীবনঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরে গল্প বলা শুরু করেন, পাঠকেরা তখন মন্ত্রমুগ্ধের মত গভীর মনোনিবেশের সাথে তা শোনেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এজন্য আপনার লেখাগুলো এতটা ইন্টারএ্যাক্টিভ হয়। আপনার সেসব পর্যবেক্ষণগুলো হয়তো বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা আর কিছুটা আপন কল্পনার মিশেল হয়ে থাকে, কিন্তু পরিবেশনার গুণে তা পাঠকের চোখে সত্য বলেই গৃহীত হয়। আপনার গল্পের চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত বিষাদেরর সাথে তখন পাঠকগণও একাত্ম হন এবং তাদের সাথে সাথে পাঠকগণও নিঃসন্দেহে ভারাক্রান্ত হন। আপনার সেই সময়ের 'খোকাভাই' সিরিজের লেখাগুলো পড়ে আমিও ভারাক্রান্ত হ'তাম, ভারাক্রান্তের ভার কেটে গেলে বিস্মিতও হ'তাম।

নতুন করে 'খোকাভাই'কে নিয়ে সিরিজ লেখা শুরু করেছেন, চালিয়ে যান। আমি নিশ্চিত যে আপনার এ সিরিজও আগেরগুলোর মতই ঈর্ষণীয় পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে। আমি সময়ে সময়ে এসে আপনার এ সিরিজ পড়ে যাবো, ভালোমন্দ দুটো কথা বলেও যাব।

১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

একলব্য২১ বলেছেন: আমি বলতে কার্পণ্য করবো না। উক্ত ব্লগাররা এই লেখায় আসলে আমি অনেক আনন্দিত হতাম।

আরে তাই তো গাজী সাব লাইক দিয়েছেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

অপ্‌সরা বলেছেন: কাজেই তোমর মনের আশা পূর্ণ হয়েছে!!!! :)

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




মীরাকে যে বিয়ে দিলো, প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বিয়ে দিয়েছে নাকি বাচ্চাটা এবোর্ট করে তারপর বিয়ে দিয়েছে ?
Either way it’s really bad!
একটা ভ্রূণহত্যা করাও ভয়াবহ খারাপ, আবার সত্য গোপন করে বিয়ে দিয়ে দেয়া যেন সবাই ভাবে এই বাবুটা তার হাজব্যান্ডের এটাও একটা ভয়ংকর খারাপ কাজ ।
কোনটা করেছিলো ?
আর যদি বিয়ের আগে বলে নেয় যা ঘটেছে, এটা জেনে বিয়ে করে তাহলে এই ছেলে একটা এঞ্জেল,

কেনো জানতে চাইলাম ?
আমি একজনকে জানি এরকম ঘটনা করেছিলো ।
যখন ছেলেটা জানতে পারে যে বাবুটা তার না, তখন ডিভোর্স হয়ে যায় ।
মীরার আবার সেরকম হয় কিনা ।




২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: না না মীরার মা চাচীমারা যা ছিলো না হালের জি সিরিয়ালও ফেইল.....

এত বোকামী করবে তারা!

তারা ছিলো এক এক জন সাপও মরবে লাঠিও ভাঙ্গবেনা টাইপ।


না মীরার সে রকম হয়নি কিন্তু জানোই একটা সত্য ঢেকে একটা মিথ্যা বললে তার জন্য শত শত ঝামেলা হবেই।

সর্বপরি মানুষ কখনই এভাবে সুখী হতে পারে না।

আর মীরার ফ্যামিলীর মানুষগুলো আত্মম্ভরী ও দাম্ভিক টাইপ।

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:




পরদিন খুব ভোরে শিবুর মাকে ডাকা হলো। সে কি সব জড়িবুটি দিয়ে মীরা আপাকে রক্ষা করলেন।

লাস্ট কমেন্টের উত্তর পেয়েছি ।

যেহেতু এটা গল্প, তাই প্লট নিয়ে অনেকভাবেই প্রিডিকশন হতে পারে ।
বিশেষ করে আমরা যারা খোকাভাইকে নিয়ে কোন লেখা পড়িনি, সো নো আইডিয়া ।

খোকাভাইকে নায়ক থেকে ভিলেইন বানানো যায় ।
এই যেমন গল্প শেষে পরিণতি হতে পারে নায়িকা ভয়াবহ কষ্ট পাবে যখন জানবে এই খোকাই মীরার গোপন প্রেমিক ।
হতে পারতো কিন্তু সেটা না, কারন তুমি বলেছো ফ্যামিলি জানে কে সেই গোপন প্রেমিক । তারমানে বাইরের কেউ ।

এটা নিয়ে লিখবে আপু, কে সে ।
কেনো তার সাথে বিয়ে হয়নি, অন্য একজনের সাথে ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ওকে লিখবো যদিও তার পার্ট নিজেই কম জানি। আবছা আবছা ধোয়াশা মানে মনে আনতে হবে তো!!!!!!!!!! হা হা ওকে ওকে লিখবো ঠিক আছে।

২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:




তারপর টেনে টুনে তার জামা খুলতে গেলাম। হা হা জানি মিররমনি অনেক হাসবে এখানে আমার লেখা পড়ে।

নাহ আপু, আমি হলে কখনোই এটা করবো না ।
হোক সে একটা ছেলে এবং আমার প্রিয়জন, তারপরও আমি তাকেই বলবো চেঞ্জ নিতে এবং সেটা অবশ্যই আমার সামনে না ।

আমিতো টানাটুনি করবোই না, তাকেও আমার সামনে টপলেস হতে বলবো না । নো ওয়ে !
কাপর চেঞ্জ করার সময় তার শরীর দেখে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে প্রেম উড়ে যাবে, যেহেতু কিশোর বয়সের প্রেম ।
আর যদি উল্টোটা হয়, তার শারীরিক গঠন আকর্ষণীয়, তাহলেও বিপদ কারন শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করবো ।

সো বুঝতেই পারছো নো মোর কাপর ধরে টানাটানি :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৩

অপ্‌সরা বলেছেন: মিররমনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে হাসতে হাসতে শেষ আমি।

শুনো ছোট থেকেই নিরুপমা একটু মাতবর ছিলো। মানে সবখানেই মাতবরী করতে করতে খোকাভাইকেও রিয়েল খোকা মনে করে পরবি না পাঞ্জাবী তোর ঘাড়ে পরবে করে টেনে টুনে ...... হা হা হা হা

আরে নিরুপমা একটু স্বেরাচারী টাইপ আর কি....

হা হা হা হা তোমার আর সব কথা পড়ে আমি সত্যি মরে গেছি....

হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা লেখার সময় হাসছিলাম যা এখন তো পুরাই হাসতে হাসতে শেষ!!!!!!!

২২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১০

মিরোরডডল বলেছেন:




শেষটা রোম্যান্টিক, ভালোই প্রেম হতে যাচ্ছে বলে !
এতদিন ওয়ান সাইডেড ছিলো, নেক্সট পর্বে মনে হয় দুজনেই ভাসবে ।


২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৫

অপ্‌সরা বলেছেন: ততদিনে দুজনেই ভেসেছিলো তো!!!!!!!!

মনে মনে মানে উপরে উপরে ভাবখানা ভাসিনি ডুবিনি......

হা হা হা

২৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৬

অক্পটে বলেছেন: ৩ শেষ হল। মুগ্ধ হলাম। মনে হচ্ছে এ যুগের ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাস পড়ছি। চমৎকার! এটা কি এখন লিখছেন নাকি আগের লেখা এখন ছাড়ছেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২২

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আরে এখন লিখেছি ভাইয়া।

কাল রাতে। কিন্তু এ যুগে যদি কেউ সে যুগের কথা লেখে ধরো ২০/২২/২৪ বছর আগের এক মফস্বল শহরের গল্প!

২৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১৭ ও ১৮ নং মন্তব্য প্রসঙ্গেঃ
@একলব্য২১, এ সিরিজে আমার আপাতঃ অনুপস্থিতি আপনার সন্ধানী দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে দেখে বাধিত হ'লাম, প্রীতও হ'লাম। আমি একটু সময় নিচ্ছি, কারণ বিবিধ। তবে এ সিরিজটা আমি একটু সময় নিয়েই পড়তে চাই। সময় করে মাঝে মাঝে এসে পড়ে যাব, নিজের দুটো কথা বলেও যাব। লেখকদের লেখাগুলো এ ব্লগের সম্পদ। লেখক যতক্ষণ না নিজের পোস্টকে সরিয়ে ফেলছেন, ততক্ষণ পাঠকের কাছে সময় থাকে, পোস্ট পড়ে কিছু বলে যাবার। পরে মন্তব্য করলে সেটা হয়তো কেউ দেখবে না, কিন্তু তাতে কী? আমি প্রায়শঃই নতুন পুরনো সকল ব্লগারের পুরনো পোস্ট পড়ে থাকি।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া এই দুই পিচ্চি যে এতই মনোযোগী ও এক নিষ্ঠ পাঠক এবং পর্যবেক্ষক যে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই। ভাইয়া তুমি খোকাভাই কাব্য সিরিজ মনে হয় সবকটাই পড়েছিলে। তবে আমি সেখানে থেমে গিয়েছিলাম খুব দ্রুত। আসলে কখনও খুব অকপটে সব লিখতে পারবো জানতাম না আমি। সেই কারণে নানা নিকের আশ্রয়ও নিয়েছি। তবুও আমার সব কিছু দুচোখে যা দেখলাম বা মন দিয়ে যত দেখলাম লিখে যেতে ইচ্ছে করে।

২৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




না মীরার সে রকম হয়নি কিন্তু জানোই একটা সত্য ঢেকে একটা মিথ্যা বললে তার জন্য শত শত ঝামেলা হবেই।

এরকম কিছু সত্য কখনোই গোপন করতে হয়না ।
হুম, একটা খারাপ সত্যি ঢাকতে একশোটা মিথ্যার আশ্রয় নেয়, তারপরও ক্ষমা নেই ।
যেদিন জানবে এরকম সত্য গোপন রেখেছিলো, সেদিন নিজেকে প্রতারিত মনে করবে ।


২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: হুম!

সে কারণেই আমার মনে হয় এই মানুষ শাক দিয়ে মাছ ঢাকতো। এই ভন্ডামী কোনোদিনও সুখের ছিলো না। মান সন্মানের বালাই নিয়ে মরতো মানুষ।
এই বাংলাদেশে মেয়েদেরই সন্মান যায় এই কথাটা যেদিন মেয়েরা আর পাত্তা দেবেনা আমি কনফার্ম সেদিন থেকে মেয়েদের আত্মহত্যা নিপীড়নের কাহিনী একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।

২৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৯

ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
যাক, আমার মতো খোকাবাবুকে না চেনা অনেককেই পেয়ে আবারো মতামত দেবার সাহস পেলাম। সবচেয়ে বেশি সাহস পেয়েছি মিস্টারডলের মতামত হতে। ইনি কি ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের লোক?

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা ক্যাচালভাইয়াজান তুমি আমার মিররমনিকে মিস্টার ডল বলেছো তোমার আজ কপালে খারাবীই আছে.......

কোন দিক দিয়ে চক্ষু খারাপ হলে মানুষ মিরর কে মিস্টার দেখে তাহা চেকিং করাইতে আপনারে এখন চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাইতে হইবেক।

তখনি বুঝবেন উনি কোন ডিপার্টমেন্টের লোক! :)

২৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৯

ক্যাঁচাল ভাই বলেছেন:
আপনার মিররমনি মানে!!! গল্পে যে একজন মীরার কথা বলেছেন তবে ইনিই কি সেই???? আর তাই কি এ বিষয়ে ইনার এতো আগ্রহ!!!! ও মাই ব্লগ!!!! আপনাদের মতো ক্যাঁচালখোড়ের পাল্লায় পরে এবার না নিজেই ক্যাঁচাল ভুলে যাই! :(

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: ঐ ক্যাচালভাইয়াজান!!! মীরা আর মিরর এক হলো!!!! এই রকম মুখ্খের ডিম আবার ক্যাচালখোড়!!! ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

যাও যাও ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়ে আতো!!!!!!!!!!!!!

২৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্‌সরা,




পর্ব ২ আর এই পর্বে আপনার চটুল মনের মতই ছটফটে আকুতির লেখা হলে্ও একটি যৌথ-পরিবারের চিত্র সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।
চলুক নীরার গল্প..................

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫০

অপ্‌সরা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া!!!!

এই যৌথ পরিবারেই অনেকগুলো গল্প থাকে। আজকের দিনের একক পরিবারে কোনো গল্পই নেই। :(

২৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




এই বাংলাদেশে মেয়েদেরই সন্মান যায় এই কথাটা যেদিন মেয়েরা আর পাত্তা দেবেনা আমি কনফার্ম সেদিন থেকে মেয়েদের আত্মহত্যা নিপীড়নের কাহিনী একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।

শুধু আত্মহত্যা না, সবরকম নিপীড়ন বন্ধ হবে যখন তারা লোকে কি ভাববে এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে ।
আর অবশ্যই যখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট হবে ।
পরনির্ভরতা একটা বিশাল কারন, যে কারনে তাদের ওপর দিয়ে যত অত্যাচার হোক তারা প্রতিবাদ করতে পারেনা ।
দিনের শেষে যেহেতু ওখানেই থাকতে হয় ।
জানিনা কবে যে এসব অনাচার বন্ধ হবে ।

সুন্দর লেখাটার জন্য তোমাকে একটি গান :





২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৩

অপ্‌সরা বলেছেন: গানটা শোনা যায় না দেখাও যায় না মিররমনি!!

আর হ্যাঁ মেয়েরা এখন অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। এই ক বছর আগেও এতটুকুও ছিলো না। তাই তো কত স্বপ্ন কত প্রাণ কত হাসি মুখ অকালে ঝরে গেছে।

৩০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




Sorry Apu, I’m alread in bed now, sleeping.
Try this link.
Hopefully it will work.

Good night apu :)

https://m.youtube.com/watch?v=LS56lHAYllU

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: শুনেছি!!!!! :)

আমায় বলো না ......

৩১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




typo *already*

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: বুঝেছি নো প্রবলেমো .....

৩২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৬

ককচক বলেছেন: রক্ষণশীল ফ্যামিলিগুলোতে এমন অনেক গল্প অন্ধকারে পড়ে থাকে, কাকপক্ষীও টের পায়না।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫০

অপ্‌সরা বলেছেন: হ্যাঁ একদম ঠিক। :(

৩৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:১২

সোহানী বলেছেন: ওহ আগে আরো পর্ব আছে? তাহলে ওগুলো আগে পড়ে আসি।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আছে তো আপুনি।

আচ্ছা প্রপিকের ছবিটা কে আঁকলো!!!

৩৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৭

অক্পটে বলেছেন: ৪টা আজ পাবতো।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: না ভাইয়া। :(

কাল বা পরশু অবশ্যই! :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন: Click This Link


৫ দিয়েছি ভাইয়া। :)

৩৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাগ্য ভালো বিয়ে উপলক্ষে পায়জামা দেয়নি।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২২

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা না না নীরা কি এত বোকা নাকি তাই বলে!!!!!!!!!!!!

৩৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘটনাবলী খুব দ্রুতই এগিয়ে চলেছে! গল্পও ক্রমে ক্রমে জমে উঠছে।
লজ্জাবতী ফুল এবং পাতা, দুটোই আমার খুব প্রিয়। লাজবতী মানেই সুন্দর!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫০

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া আজকে ৪ দিয়েছি।

হ্যাঁ লজ্জাবতী শুধু সুন্দরই না একেবারেই যেন জীবন্ত এক প্রানী।

লজ্জাবতীর ফুলগুলো মনে হয় সবাই চেনে না।

৩৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "লজ্জাবতীর ফুলগুলো মনে হয় সবাই চেনে না" - আমি সেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমার নানাবাড়িতে খেলাধুলা করার সময় দেখতাম, পথের দু'পাশে লজ্জাবতী গাছে বেগুনী রঙের ফুল ফুটে আছে। স্পর্শ করলে পাতাগুলো লজ্জায় মুখ বুঁজতো, কিন্তু ফুলগুলো তবু হাসতেই থাকতো!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৯

অপ্‌সরা বলেছেন: বাপরে তুমি দেখি আমার মতই গাছ বিশারদ!!!!!!! :)

৩৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪১

মুক্তা নীল বলেছেন:
একটা ছেলে মনের আঙিনাতে
ধীর পায়ে তে এক্কাদোক্কা খেলে .... শাহানার সেই বিখ্যাত গানটির কথা মনে পরল তোমার এই অবুঝ কিশোরীর অবুঝ ভালোবাসা দেখে । আপু তোমার লেখায় মনে হচ্ছে পুরোটা চোখেই দেখছি কোন একটা কাহিনী ।
অন্যান্য কিছু চরিত্রগুলো বেশ ক্রিটিকাল মাইন্ডের ছিলো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

অপ্‌সরা বলেছেন: আমিও তো দেখছি আপুনি।

সবচেয়ে বড় কথা হলো যখন আমি লিখি সেখানেই থাকি আমি সেই কিছুটাকাল।

সেই জীবন , সেই হাসিখেলার দিন....... হেলাফেলা সারাবেলা একি খেলা আপন সনে..... :)

৩৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত নিজের উপস্থিতির জানান দেই :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা পড়ার উপস্থির টাইম নাই আজকাল আসলেও। নো প্রবলেম ভাইয়া। পরে সময় পেলে পড়ো।

৪০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমদের দেশের তথাকথিত শিবুর-মা-দের ব্যাবহারিত লোকাল এবরটি ফিশিয়েন্ট গুলো সম্পর্কে জানার ইচ্ছে ছিল, যায়গা মত জিজ্ঞাস করার কখনো উপায় হয় নি, তবে জানা দরকার ছিল। বেশ ভালো কাজতো হয়। আবার বেশ ভালো বিপদে পড়ে মানুষ হাসপাতালেও আসে। জিনিস গুলোর ব্যাবহার র‍্যাগুলেটেড করা গেলে ভালো হোতো, অনেক মানুষ বিপদ থেকে বাঁচত। মনেতো হচ্ছে না এগুলোর ব্যাবহার অদূর ভবিষ্যতে কমবে। তবে মেয়েগুলোর উচিৎ ঢং ডাং না করে অতিদ্রুত প্যারেন্টদের জানানো।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৬

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি জানি না....... জানলেও অবশ্য লিখতাম না হয়ত।


৪১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মীরা আপুর ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। তবে একান্ত নিরিবিলিতে সদ্যকিশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দেওয়া দুটি মানব মানবীর একরকম পদস্খলনে সম্ভাবনা থেকেই যায়। যেহেতু খোকাভাই আশ্রিতা তাই বাড়িতে যৌবনে পা দেওয়া যে কোন মেয়ের কাছে সে ছিল একজন করুণার পাত্র।প্রেমের প্রথম ধাপ আসে এই করুণা থেকে। যাইহোক অভাবী ছেলেটা একটা ভুল করে ফেলেছে।মন না চাইলেও তাকে মীরা আপার বিয়েতে খাওয়া দাওয়া করে স্বাভাবিক দেখনদারি করতেও হয়েছে।খোকা ভাইয়ের হৃদয়ে তাই সানাইয়ের সুর নয় বরং শ্মশানে নীরবতা বয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
এখন দেখার বাড়ির আরেকজনের হৃদয়ে বয়ে যাওয়া বেহাগের সুরে সুর মেলায় কিনা।
চললাম পরের পর্বে...

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: খোকাভাই মীরা আপুর প্রেমিক ছিলো না।

অন্য কেউ ছিলো। তার কথা লেখা হয়নি।

হয়ত লিখবো হয়ত না...... পরে কখনও ভাববো ....... :)

৪২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: খোকা তো মনে হচ্ছে অতটা বোকা না....ব্যাটা ছুপা রস্তম মনে হচ্ছে..... :D

কিন্তু যাইহোক...মাঝখান থেকে মীরাটার সর্বনাশ কে করল? এটা যে অমিমাংশিত থেকে গেল....কাটাপ্পা বাহুবলীকে কেন মারল? এটা না জানা পর্যন্ত স্বস্তি আছে.... X(

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: মীরা আপার কথা আর লিখবো না ভেবেছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছে লিখতেই হবে। সবাই তো চিন্তায় আছে। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.