নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারুন প্যাঁচালী ! নম্বর ২

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩২

ছবি নেট ।

নায়িকা শাবানার কথা কইয়া ভালোই করছত। আমি শাবানার ভাত দে ছবির গান গাইতে লাগলাম।

" তিলে তিলে মইরা যামু তবু তোরে ডাকমু না... " হারুন বিরক্ত হইয়া যাচ্ছে। ওরে রাগাতে ভালো লাগে। ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে রফিক আজাদের কবিতার লাইন ঝেড়ে দিলাম

" ভাত দে হারামজাদা তা না হলে মানচিত্র খাব "!

হারুন এ কথা শোনার পর থ হইয়া গেল। আমি কইলাম, কারে এত কি বুঝাইলাম? দুইজন দুইজনের চোখের ভাষা বুজতে চেষ্টা করছি।

আমি বললাম, তুই তো ডাইলটাই ফালায় দিলি ! হারুন ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলতে লাগলো মানে বুঝলাম না। এর মধ্যে ডাইল হান্দাইল কেমনে? কি কইতাছেন মাথা ঠিক আছে?

আমার উত্তর দুই মাথা ঠিক আছে। একদম কুল শান্তা ফ্যক্টরীর আইস ক্রিমের মতন। হারুন আবার জিগাইল দুই মাথা! মানে কি? আমি হাসতে হাসতে কইলাম আরে বলদ! সব পুরুষ মাইনষের দুইটা মাথা একটা দেখলি আরেক টা বুইঝা ল। হারুন লজ্জা পেয়ে গেল এ কথায়।

আমি হাসতে শুরু করলাম। আমি কইলাম, যা এক গেলাস লেবুর শরবত বানায় নিয়া আয়। যা গরম! ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগে না। বুঝিনা মানুষ এই গরমে কেমনে রাতের কাম কাইজ চালায়?

হারুন হাসতে হাসতে কিচেনে যাবার কালে বলতে শুরু করল, গরমে গরমে চরম! হা হা হা। হারুন গেল শরবত বানাতে। কিচেন থেকে জিজ্ঞেস করল চিনি কয় চামচ ? আমি আবার সুগার বেশী নেই। তার উপর লেবুর শরবত। বললাম তিন চামচ ফুল!

শার্টের বোতাম খুলে বসলাম। মনে হচ্ছে ফ্যানের রেগুলেটর ঘুরাতে ঘুরাতে ভেংগে ফেলি। হারুন এক গেলাস শরবত নিয়ে আসছে দেখে জিগাইলাম তোরটা কই? উত্তর আসল জীবনটা লেবুর মতন হয়ে যাচ্ছে কচলাতে কচলাতে তিতা হয়ে যাচ্ছে। তাই লেবুর শরবত ছাইড়া দিছি। আমি এক ঝলক ওরে দেইখা গেলাসে চুমুক দিলাম। আহ! কি যে শান্তি এই গরমে ঠান্ডা লেবুর শরবত। মিস করলি।

আমি ওরে বললাম এত হতাশ হইছ না হইব সব। লাইগা থাক। হারুন জানালার দিকে তাকাইয়া কইল, কি জানি কইছিলেন? আমি কইলাম, কি? ঐ যে ডাইল ফেলে দেয়ার কথা।

আমি একটা হাসি দিয়া কইলাম ও ঐ কথা। আচ্ছা বলছি, এইটা একটা জোকস।

এক দম্পতি ছিল খুব গরীব। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এই হাল! তো তার বাসায় একবার মেহমান আসবে কিন্তু সমস্যা হইল বেচারার বাসায় চাল আর ডাল ছাড়া কিছুই না। তা চিন্তা কইরা এরা কুল পাচ্ছিল না কি দিয়ে মেহমান আপ্যায়ন করবে?

শেষমেশ জামাই একটা উপায় বের করল।জামাই বলল স্ত্রী কে মেহমান আসলে তুমি কিচেনে যাবা তারপর একটা হাঁড়ি নীচে ফেলবা আমি জিগামু কি হলো? তুমি কইবা কোরমা পড়ে গেছে। তারপর একটু পর আরেকটা। আমি একই কথা জিগামু তুমি কইবা বিরিয়ানি টা পড়ে গেছে। তারপর আমি জিগামু আর কি আছে?

তুমি বলবে শুধু ডাল আছে। তখন আমি কমু, তাই নিয়ে আস কি আর করা! এতে করে ইজ্জত ও বাঁচল মেহমান ও বিদায় হলো। যাই ভাবা তাই। যথারীতি মেহমান হাজির। স্ত্রী দ্রুত কিচেনে চলে গেল। হাঁড়ি নীচে পড়ার শব্দ হলো। স্বামী পরিকল্পনা মতন জিজ্ঞেস করল কি হলো? কি পড়লো? স্ত্রী জবাব দিল ডাইলটা পইড়া গেছে !
হারুন হাসা আর চুপ থাকার মাঝে আছে।ইদানীং ওরে বুঝতে আমার কষ্ট লাগে। বুঝলাম জোকস ওর পছন্দ হয় নাই। আমি বলতে লাগলাম, তোরে ফ্রি তে এত বুদ্ধি দিলাম তুই নায়িকা শাবানার কথা তুলে ডাইল ফেলার মতন কাম করলি আর কি!

তখন মাগরিবের ওয়াক্ত হয় হয় ওর জানালার কাঁচ দিয়ে আসমানের লাল রঙ খোঁজার চেষ্টা করলাম। হুদা বৃথা চেষ্টা। হারুনের বিল্ডিং এর গায়ে অন্য বিল্ডিং যেমনে লাইগা রইছে বা সহবাস করছে তাতে আসমান দেখমু কেমনে?

এক উপায় ছাদে যাও। সে ইচ্ছে আপাতত মাটি দেয়া। হারুন পর্দা টানতে টানতে বলতে শুরু করল, হালায়! এমন এক শহরে থাকি এক মশা, ডেংগু তারপর আবার করোনা মানে জীবনটা ছিঁড়ে একদম ফাতা ফাতা! বালের কাম করে মেয়র! সব হালায় দুই নম্বর !

আমি কইলাম, মেয়র সাহেব একলা কি করবেন? আমরা কতদূর ভালা? আমাগো ডি এন এ তে সব উলটা পালটা জিনিস লোড করা। একটা উদাহরণ দেই এই যে দেখ, পুরুষ মানুষ গুলি কথা নাই বার্তা নাই যেখানে খুশী ঐ খানে দাঁড়াইয়া মোতা শুরু করে ! বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রে এগুলা আছে ? নাই।

আসলে এ সমাজের হাল আগা মোটা গোড়া চিকন ! থাক এগুলা রাখ। এমন সময় কলিং বেল চিক্কুর দিয়া উঠলো। হারুন বলল, এ সময় ক্যাডা আসল? ও যে বিরক্ত তা চেহারায় স্পষ্ট। বিরক্ত নিয়া দরজা খুলতে গেল।

আমি বসার ঘর থেকে শুনতে লাগলাম,হারুন বলছে, আরে আপনি? কেমন আছেন? তা কি মনে করে? একটা নারী কন্ঠ শুনলাম। হেসে বলছে ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন? এই যে মা আপনার জন্য কিছু পিঠা পাঠিয়েছে। হারুন বলতে লাগলো আহা! কি দরকার ছিল। আন্টি যা করে না। ধন্যবাদ। আসুন না ভিতরে ।এক কাপ চা খেয়ে যান। নারীটি না, না বলে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল।

হারুনের চেহারায় সেই মেঘটি নেই। ঘরে ঢুকতেই জিগ্যেস করলাম কে উনি? হারুন বলতে শুরু করল বাড়িওয়ালার ভাগনি। প্লেটের ঢাকনা খুলে দেখলাম গোটা পাঁচেক চিতই পিঠা সাথে নানান ভর্তা আর গরুর মাংস। আমি কইলাম দেখছত এর নাম কিসমত! কেমনে রিজিক হাজির হইছে। যা প্লেট নিয়া আয় খাই। খিদা লাগছে....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: যাক হারুন সাহেবের হতাশা কিছুটা হলেও কমেছে বোঝা যাচ্ছে !

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১১

স্প্যানকড বলেছেন: কিছুটা। বাকী টা চলে যাবে ইন শা আল্লাহ। ভালো থাকবেন অপু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.