নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নের খোঁজে দেখি তোমায় /বাঁধি সীমাহীন ভালোবাসায়/দাও কিছু সুখের বৃষ্টি / ভিজি আমি /উড়াই দিগন্তের নীলিমায় তোমার নামে / স্বপ্নের এক বিশাল ঘুড়ি।

স্প্যানকড

আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।

স্প্যানকড › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীর অনেক জমানো কথা !

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:০৮

ছবি নেট ।

পরী গোসল শেষ করে বারান্দায় কাপড় গুলি মেলে দিচ্ছে। কালো রঙ এর ব্রা টা ওড়না দিয়ে ঢেকে দিল। এ নিয়ে বহুবার ওর ব্রা মিসিং হয়েছে মানে কাজের খালা যতবার ছাদে কাপড় শুকাতে দিয়েছে আর সংগে এই ছোট কাপড় খানি গেছে হারিয়ে গেছে ততদিন।

প্রথম বার ভেবেছিল বাতাসে উড়ে গেছে কিন্তু অন্য কাপড় থাকে আর এই ছোট কাপড় খানি গায়েব হয়ে যায় তাজ্জব! যখন পরপর কয়েকদিন এ ঘটনা ঘটল আর পাশের বাসার কিশোর টির চাহনি যেদিন থেকে ওর বুক বরাবর বিদ্যমান হলো সেদিন থেকে ও নিশ্চিত এ কাজটি ঐ ছেলের করা।

এগুলা ভাবতেই ওর গা ঘুলিয়ে বমি আসে। পরক্ষণে এই ভাবে আচ্ছা মেয়েদের কি ছেলেদের ছোট কাপড় টি দেখলে এমন যৌন ফ্যান্টাসি বা সুড়সুড়ি লাগে? কি জানি। ওর তো কখনো এমন হয়নি !
খুব ছোটকালে পরী যখন ওর নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। তখন কদম তলীর বাজারে একটা ন্যাংটো পাগল দেখেছিল। জীবনে ঐ টাই ওর কোন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের সরাসরি লিংগ দেখার স্মৃতি। এরপর দুই একবার দেখেছিল বান্ধবীর বাসায় পর্ণ ছবিতে।

আসলে মানুষ সব কামনার পশু হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। পরী ভাবে মানুষ প্রথম রিপু কে বশ করতে পারছে না বাকিগুলি করবে কবে? কবরে গেলে? প্রশ্ন গুলি মনের মাঝে যখন ঘোরাঘুরি চলছে। ঠিক তখন ওর মোবাইল বেজে উঠল একটা রবিন্দ্র সংগীত রিং টোন হিসেবে রাখা।

স্ক্রিনে ওর বান্ধবী লিলির নাম ভাসছে।

ফোন টা ধরার পর অপর প্রান্ত থেকে লিলি বলছে, হ্যালো, কি রে কি করিছ? অফিস তো দু দিন ছুটি। পরী ছোট করে হুম বলল। লিলি আবার শুরু করল কিরে কি হলো? মন শরীর ঠিক তো? পরী আবারও হুম বলল। এইবার লিলি খিস্তি দিয়ে বলল, ঐ মাগী কি হুম হুম করছিস! কি হইছে বল? পরী ওর খিস্তি শুনে খিলখিল করে হাসতে লাগলো। লিলি বলেই চলল, আজ রাতে বাসায় আসবি। লিপি, বীথি ওরা ও আসছে। একটা অন্য প্লান আছে! পরী জিগ্যেস করল, কেন তোর জামাই নাই বাসায়? লিলি বলল, আরে হালায় দুই সপ্তাহের জন্য চায়না গেছে। এই জন্য বলছি জলদি চলে আসিছ সারপ্রাইজ আছে।

পরী একবার না করতে যেয়েও করল না কারণ এই ক'জন বান্ধবী এখন টিকে আছে বাকিরা সময়ের সাথে কোথায় চলে গেছে। সে খবর কেউ জানে না। ওকে রাখছি বাই। লিলি এও বলল গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি বেশি দেরি করিছ না।

লিলির কথা ভাবছে পরী। এই লিলি কি লাজুক ছিল স্কুল জীবনে তাই ওর নাম দিছিল ওর বান্ধবীরা মিলে লজ্জাতুননেছা। আর এখন দিব্যি খিস্তি দিয়ে বেড়ায় ! সময় মানুষকে কি করে দেয়!

লিলি এখন ভালো আছে। সুখে আছে যদিও ওর দেবর দের সাথে অনেক ঝামেলা ছিল এখন আলাদা আছে। ওর স্বামী মেলা পরিশ্রম করে নিজস্ব একটা বাড়ি পাঁচ তলা দাঁড় করিয়েছে ঢাকায়। এছাড়া নিজেদের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বিজনেস যদিও ওর জামাই এর দ্বিতীয় স্ত্রী লিলি। লিলির প্রথম স্বামী।

ওর স্বামীর আগের স্ত্রী রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। কোন সন্তান ছিল না। লিলি ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় বিয়ে করে বলতে গেলে ওর বাবা মা জোর করেই বিয়ে দিয়ে দেয়। এর কারণ অবশ্য আছে লিলির বড় বোন ক্লাস টেনে পড়ার সময় পাড়ার এক ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। একমাস কুমিল্লা ছিল। পরে ঢাকা ফেরত আসে। ওর বাপ, মা ওরে বাসায় জায়গা দেয়নি। আশ্রয় দেয়নি।

পরীর এখনো মনে আছে লিলির সাথে ওর বোনের বাসায় যেতো ওরা দেখা করতো লুকিয়ে । বছর না ঘুরতে অভাবের সংসারে সে প্রেম ফুরাতে থাকে।

এত খরচ অত অল্প বেতনের টাকায় কুলাতে পারছিল না লিলির দুলাভাই। এদিকে ওর বোন ও টিউশনি করা শুরু করে। কিন্তু শেষমেশ ওর দুলাভাই অফিসের টাকা আত্মসাৎ করে এবং ধরা খায়। তিন বছর এর জেল হয়। ওর বোন এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে! ওর বোনের খুব জিদ ছিল কিন্তু সেই জিদ এর ইতি এমন ভয়ানক হবে তা কেউ ভাবেনি।

পরী এসব পুরনো কথা যখন ভাবছে তখন মসজিদে আসর এর আজান হচ্ছে। মুয়াজ্জিন ডাকছে কল্যানের পথে এসো, মংগলের পথে এসো কিন্তু পরী ভাবে এই যে এমন সুললিত কন্ঠের আহবান ইদানীং মানুষ কেন প্রত্যাখান করছে? মানে কেন মুসলিম গন অত সাড়া দিচ্ছেন না?

মসজিদে কত আর মুসল্লী হয়? কিছু বুড়া লোক জমায়েত হয় আর জুম্মার দিন সংখ্যা একটু বাড়ে অন্যদিন একদম নাই বললে চলে অনেক টা শেয়ার বাজারের দশা!

রমজানে কিছু হয়। তারপর সারা বছর একই হাল অথচ নেতাদের প্রতি মিছিল মিটিং এ হাজারো মানুষ জমায়েত হয়। কারণ মিছলে গেলে অন্তত এক বেলার বাজার এর টাকা আসে। আসলে মানুষ এখন নগদে বিশ্বাসী।

খোদা মরার পর হাশর মিজান এর পর কি দিবে ততদিনের ধৈর্য্য এখন আর মানুষের মাঝে নাই ! সত্যি! কি মুসলিমরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছেন ? এসব ভাবতে ভাবতে পরী যখন বারান্দা থেকে ভিতর রুমে যাবে তখন দেখে সেই কিশোরটি ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে বাসার নীচে থেকে। পরী ওড়না ছাড়াই বারান্দায় ছিল এতক্ষণ !

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০১

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। দেশে মানুষের পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। অমানুষ বেড়ে যাচ্ছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৬

স্প্যানকড বলেছেন: আরও বাড়বে খালি অপেক্ষা করেন ! ভালো থাকবেন।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কিশোরটি তার স্বভাবজাত চরিত্রের কাজটি করেছে; তাকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া দরকার। সে এখনও রসাতলে যায় নি। তাকে লাইনে আনা সম্ভব।

চুরিটি ঠিক কে করেছে এটা না জেনে সন্দেহে গা গুলিয়ে আসা একটা অসুস্থ মস্তিস্কের পরিচয় রেখে যায়।

লিলি ফোনে পরীকে খারাপ চরিত্রের মেয়ে বলে ডাকলো; কেউ কিন্তু তাকে খারাপ বললো না, কারও গা গুলালো না! আবার সেই খারাপ চরিত্র বলা মেয়ের কাছেই আজ রাতে পরী যাবে! আজব না?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৯

স্প্যানকড বলেছেন: পুরা জগতটা আজব এবং বৈচিত্রে ভরা তাই এত সুন্দর ! সমস্যা হচ্ছে সুন্দরকে অসুন্দর করে দেয়া হচ্ছে ! কেন হচ্ছে সেই এক প্রশ্ন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ ।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পর কি ঘটলো সেটা কি আর কোনদিন জানা যাবেনা, নাকি পরের কিস্তিতে দিবেন। ভাল লাগলো লেখাটা।

কিশোরটাকে বুঝিয়ে বললেই সে ঠিক হয়ে যাবে নয়তো দেখে দেখে রাতে আসল জিনিস ক্ষয় করবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

স্প্যানকড বলেছেন: জানতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। চোখ রাখবেন প্লিজ। হুম, এমন কিশোর এর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে ইদানীং ! বুঝিয়ে বলে দিব আচ্ছা। ভালো থাকবেন।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: গল্পে কথার দড়ি দিয়ে পাঠক ভালোই বাঁধেন। পুরোটা মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। গল্পের ছলে সমাজে ঘটা ঘটানোগুলো সুন্দরভাবে উপাস্থপন করেতে পারেন। শুভকামনা রইলো...

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৫

স্প্যানকড বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ফুয়াদের বাপ। ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এক লোক দেখানো ধার্মিকের সংখ্যা বেশী।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

স্প্যানকড বলেছেন: ঘটনা সত্য ! সেলফি তোলা হাজী বেশী ! ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



শব্দটা এক্সপার্ট না, এক্সপোর্ট হবে ।

সময় মানুষকে সত্যি বদলে দেয় ।

গল্প শুরু থেকে মাঝামাঝি ঠিক ছিলো, তারপর কেমন যেনো একটু খাপছাড়া এলোমেলো শেষ হয়ে গেলো ।
মনে হচ্ছে আরও কিছু বাকি ছিলো ।



০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫

স্প্যানকড বলেছেন: ধন্যবাদ, বানান ঠিক করে নিয়েছি । ভুল হয়ে যায় আসলে চেক করার অত সময় পাই না। কাজের ফাঁকে খেয়াল চাপে আর সুযোগ পেলে লিখি। বাকি আছে এত জলদি আসছে না। একটু সময় লাগতে পারে। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.