নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হারিয়ে ফেলি নিজেকে ফিরে ফিরে পাই এক চিলতে হাসিতে।
ছবি স্প্যানকড ।
আমরা মুসলিমগন নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর মেরাজ এর ঘটনা বিশ্বাস করি এবং মানি এতে কোন সন্দেহ নাই।
সে রাত্রে নবী মুহাম্মাদ সাঃ আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে দুনিয়ায় ফেরত আসেন এবং দুনিয়ায় এসে দেখেন যে তাঁর বিছানা গরম মানে যেখানে তিনি শুয়ে ছিলেন। আর ওযুর পানির দাগ তখনো শুকিয়ে যায়নি! অথচ তাঁর দুনিয়ার সময়ে বহু বছর খরচ হয়ে গেছে। সংক্ষেপে বললাম আর কি!
এখন ভাবছেন, কি অবাক না? সত্যি মনে হয় না। ভাবছেন এসব কি আজগুবি গল্প বলছি! না, এসব আজগুবি নয় পুরাটাই সত্যি।
চলেন তাহলে একটু থিউরি অফ রিলেটিভিটির একটা অংশ যার নাম " টাইম ডাইলেশন " উহা একটু বুঝতে চেষ্টা করি।
বিজ্ঞানী আইন্সটাইনের মতে কম গতিশীল কোন বস্তুতে সময় তুলনামূলক দ্রুত গতিতে চলে আর যে বস্তু অধিক গতিতে চলে তার সময় তুলনামূলক কম গতি সম্পন্ন বস্তুর চেয়ে কম দ্রুত চলে। সোজা বাংলায় সময় প্রায় থেমে যায়।
এখন একটা উদাহরণ দেই যদি আপনি আলোর গতিতে কোন মহাকাশ যানে পনের বছর বয়সে পাঁঁচ বছর পৃথিবীকে অরবিট করেন এবং এরপর আপনে যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তখন আপনার বয়স হবে কুড়ি আর আপনার রেখে যাওয়া সম বয়সী বন্ধু বান্ধব এর বয়স হবে ৬৫ ! ইহাই টাইম ডাইলেশন।
তো আমরা জানি না বোরাক এর কত গতি? তারপর রফরফ নামের একটা যানের যেগুলিতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ চড়েছেন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে পৃথিবীর বাইরের যে আবহাওয়া তাতে এমন নরমাল পোষাকে অত স্পীডে গেলে তো শরীর ছিঁড়েবিড়ে ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর তেমন কিছু হয়নি! তিনি সুস্থ স্বাভাবিক ছিলেন। কেমনে সম্ভব? চলেন আবার একটু পিছনে চলি।
মেরাজ এর রাত্রি তে জিব্রাইল আঃ নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর বক্ষ অপারেশন করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আয়াত আছে " আমি কি আপনার বক্ষ উন্মুক্ত করে দেইনি ! " সুরা ইনশিরাহ আয়াত ১।
এখন ফেরেস্তা জিব্রাইল নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর বক্ষে কি করেছেন তা তিনি জানেন।
এমন তো হতে পারে তাঁর শারীরিক কিছু পরিবর্তন করে দিয়েছেন বা আরও উন্নত কোন শক্তি শরীরে যোগ করেছেন দিয়েছেন। যার ফলে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর শরীর অটুট ছিল অথবা তিনি ডাইমেনশন পরিবর্তন করতে পেরেছেন যেমন টা ফেরেস্তা বা জ্বীনরা করে নানান রুপ ধরতে পারা। অথবা এমন তো হতে পারে রুহ গেছে তারপর সেখানে পৌছে শরীর গঠনের যাবতীয় উপাদান নিয়ে শরীর গঠন করেছেন। বিজ্ঞানের ঐ চ্যাপ্টারে এখনো মানুষ পৌছতে পারেনি তাই আজগুবি ভাবে। যেমন টা ম্যাট্রিক্স মুভিতে দেখানো হয়েছে।
আরেকটা মজার ব্যাপার দেখুন রুহের স্পীড! ধরেন আপনি স্বপ্নে দেখছেন নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারের সামনে হাঁটছেন এমন সময় আপনার মা আপনাকে ডাক দিল। আপনি সজাগ হলেন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।
ভাবছেন একবার কোথায় নিউইয়র্ক আর কোথায় বাংলাদেশ? অথচ কয়েক সেকেন্ডের ভিতর আপনার শরীর সে ডাকে সাড়া দিল। স্পীড খেয়াল করছেন ?
মেরাজ হচ্ছে স্পীড এর সাথে সময়ের খেলা। যার কাছে এখনকার বিজ্ঞান যেতে পারে নি তাই অহেতুক তর্ক করছি।
শেষ করছি এই বলে যদি কাহারও এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ থাকে বা গাত্রে আগুন ধরে যায় তবে সামনে আইসেন সে আগুনে আলু পোড়া দিয়া খামু বহুদিন খাই না।
ভালো থাকবেন সকলে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৪
স্প্যানকড বলেছেন: ও তাই ! বাইরে কম যাবেন বেশী তাপ পেলে গলে যেতে পারেন..... ভালো থাকবেন।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবিটা চমৎকার হয়েছে। লেখাও।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৭
স্প্যানকড বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কই আর আপনাদের মতন হয় চেষ্টা করি আর কি ! ভালো থাকবেন সব সময়।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আধ্যাত্মিক জগৎ সম্পর্কে বিজ্ঞানের কোন ধারনাই নাই। এটাই বিজ্ঞানের সমস্যা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
স্প্যানকড বলেছেন: একদম সত্যি ! ভালো থাকবেন সাচু ভাই সব সময়। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গাত্রে আগুন ধরে নাই তবে গাত্র বলফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।