নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন শুধুমাত্র ভারতের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। কথাটা বলে বিএনপি প্রকারান্তরে এ দেশের মানুষের ক্ষমতাকেই অস্বীকার করছে। এর মানে কি এই যে, এদেশে কে ক্ষমতায় থাকবে কে থাকবে না সেটা নির্ধারণ করে দেয় বাইরের শক্তি?
তাই যদি হয় তাহলে বিএনপি জনগণের দোহাই কেন দিচ্ছে?
আসল কথা হল বাইরের শক্তির প্রভাবে হোক আর নিজেদের শক্তিতেই হোক অথবা বিএনপি-জামাতের সীমাহীন কুকর্মের কারণে হোক এ দেশের মানুষ পাঁচ জানুয়ারির অনৈতিক নির্বাচনকে মেনে নিয়েছে। তাঁর একটি মাত্র কারণ, আর তা হল বিএনপি-জামাত আওয়ামী লীগের থেকে যোগ্যতম স্থানে পৌঁছুতে পারেনি। এমনকি আওয়ামীলীগের বিকল্প অবস্থানেও আর নিজেদের নিয়ে যেতে পারেনি। যার প্রমাণ হল আজ পর্যন্ত মানুষ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেনি। যেমনটি করেছিল নব্বইয়ে যেমনটি করেছিল ২০০৪ সালে। কাজেই এই সরকারের একটি জন ভিত্তি এখনো আছে এটা দিবালোকের মতই স্পষ্ট।
তবে এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে, এর জন্য আওয়ামী লীগের খুব একটা কৃতিত্ব আছে। আওয়ামীলীগ বরং বিএনপি-জামাতের পূর্বাপর ব্যর্থতারই ফলটি ভোগ করছে।
কাজেই মির্জা ফখরুল ইসলাম যে গন অভ্যুত্থানের আশায় বসে আছেন সেটি আর এ মুহূর্তে অন্তত ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই।
গন অভ্যুত্থান যে আদর্শ রাজনৈতিক শক্তিকে আশ্রয় করে ঘটে। আগে বিএনপি; জামায়াতকে বর্জন করে এবং জনগণের পক্ষে সোচ্চার হয়ে সেই আদর্শিক শক্তির পরিচয় দিক। তবেই না জনগণ ভেবে দেখবে আওয়ামীলীগকে হটিয়ে দেশ লাভবান হবে কিনা।
এটা যেমন স্বীকৃত সত্য যে, এ দেশের সাধারণ মানুষের স্ব উদ্যোগে পরিচালিত কর্মযজ্ঞের উপর ভড় করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তেমনি এটাও সত্য এ দেশের মানুষ অন্ধ আবেগে নয়। দেশপ্রেমে উব্দুদ্ধ হয়েই কখনো কখনো মন্দের ভালোটিকে বেছে নিয়ে হলেও দেশের মঙ্গল চেষ্টায় রত থাকে। এখানে কে ক্ষমতায় এলো আর কে এলো না সেটা গৌণ। মুখ্য বিষয় হল দেশ কতটা উপকৃত হল।
আজ যারা গণতন্ত্র গেল বলে মায়াকান্না করছেন তারা আগে স্পষ্ট করুক যে, তারা কোন গণতন্ত্র চান। সেটা কি নির্বাচন কেন্দ্রিক ক্ষমতার পালাবদলের গণতন্ত্র না আক্ষরিক অর্থেই গণতন্ত্র বলতে আমরা যে সাধারণ মানুষের মুক্তির উপায়কে বুঝি সেই গণতন্ত্র? যদি তারা আক্ষরিক অর্থেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক সেটা চান তাহলে কেন সরকারে এবং সরকারের বাইরে থাকা প্রতিটি দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবী তুলছেন না?
যারা নিজ নিজ দলের মধ্যেই চরম স্বৈরতন্ত্র চালু রেখেছেন তাদেরকে দিয়ে গণতন্ত্রের ফানুশ উড়ানো যায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়। এটা তারা নিজেরাও ভাল জানেন, শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে স্বীকার করেন না এই যা।
কেবলমাত্র জয়লাভের নিশ্চয়তা পেলে তবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। হেরে গেলে পরের দিন থেকেই সরকারকে টেনে হিচরে নামানোর শপথ নিয়ে রাজপথ দখলে নিবেন। সংসদের চৌকাঠটিও পেরুবেন না। আবার সাংসদ হিসেবে নির্লজ্জের মত বেতন ভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। এই তো আপনাদের গণতন্ত্রের নমুনা! এমন গণতন্ত্র থাকলেই কি আর না থাকলেই কি?
আগে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে দলীয় ফোরামে গণতান্ত্রিক হোন; তারপরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করুন। আগে জনগণের কথা ভাবুন তাদের দাবীর সাথে একাত্ম হোন তারপরে জনগণের দোহাই দিন। তবেই না সফলকাম হবেন। নয়ত এই ধোঁকাবাজির বেড়াজালে নিজেরাই আঁটকে থাকবেন। সাধারণ মানুষ সময়মত তুলনামূলক সেরা বিকল্পটা ঠিকই বেছে নেবে। সেজন্য জ্বালাও পোড়াও করে ভীতি সঞ্চার করতে হবে না। নিশ্চিত থাকুন তাঁতে হিতে বিহিত বৈ আর কিছু হবে না।
[email protected]
©somewhere in net ltd.