নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেয়ারে বসে নামাজ বৈধ - অবৈধ (?)

০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯


চেয়ারে বসে নামাজ বৈধ কি অবৈধ তা নিয়ে যে পরিমান তোলপাড় শুরু হয়েছে তার অর্ধেকও যদি এটা নিয়ে হত যে," একমাত্র নামাজই মুসলিম এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে" বোধ করি মহান আল্লাহর কাছে তা অনেক বেশি গ্রহনযোগ্যতা পেত।
যে ফতোয়াটা দেয়া হল তা অসুস্থ্য মুসল্লিদের মসজিদে আসতে নিরুতসাহিত করবে কিনা সেটাও একটি প্রশ্ন। কারন যিনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি সাধারনের মত বসতে পারেন না। যাকে টয়লেটে কমোড এবং নামাজের ক্ষেত্রে চেয়ার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি মসজিদে গিয়ে চেয়ার ছাড়া নামাজ পড়বেন কি করে?
ইসলাম কোন কাজে নিষেধ করলে তার পেছনে যেমন যৌক্তিক কারন দেখায় তেমনি তার বিকল্পও বলে দেয়। এখানে তেমনটি হয়নি যা প্রশ্নের উদ্রেক করবেই।

ফাতওয়ার পাঁচ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে, 'মসজিদে চেয়ার ঢুকিয়ে তাতে আসন গ্রহণ করা, রাজাধিরাজ, শাহানশাহ আহকামুল-হাকেমীন-এর শাহী দরবারের আদব পরিপন্থী বিধায় তা বৈধ নয় এবং তাতে বসে নামাজ আদায়ও বৈধ নয়।'
এখানে প্রথম প্রশ্ন হল তাহলে কি ঘরে বসে চেয়ারে নামাজ পরা বৈধ?
একজন আল্লাহর বান্দা যখন মসজিদে নামাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন তখন সে শাহানশাহ আহকামুল-হাকেমীন এর দরবারে সর্বান্তকরনে নতজানু হয়েই প্রবেশ করে। নিজেকে সে তুচ্ছাতিতুচ্ছ জ্ঞানেই মহান আল্লাহর দরবারে নিজেকে পেশ করেন সে ক্ষেত্রে সে মহান রাব্বুল আল আমিনকে সন্তষ্টু করার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করবে এটাই স্বাভাবিক।

এখানে যদি সে তার শারীরিক অক্ষমতার কারনে সেজদায় লুটিয়ে পড়তে না পারেন তাহলে কি নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকবে না কি যেভাবেই হোক তাকে সাধারন মানুষের মত করেই নামাজ পরতে হবে?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আমাদের সমাজে বহু পূর্ব থেকে এমন কিছু ধারনা বদ্ধমূল ছিল যা মানুষের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত যেমন অনেকে মনে করতেন দোয়া কুনুত ছাড়া বিতর'র নামাজ হয়না বিধায় এশার নামাজই পরতেন না। অথচ এশার নামাজই আলাদা। যা এখন দূরীভূত হতে শুরু করেছে ঠিক এমন সময় এমন এক অসুম্পূর্ন ফতোয়া আমাদের বিভ্রান্ত করছে।

পরিশেষে এটাই চাওয়া, এমনটি যেন না হয় যে একজন নামাজি একটি ফতোয়ার কারণে নামাজ আদায় থেকেই বিরত থাকলেন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: এটা খুব হাস্যকর ফতোয়া হয়ে গেছে যার বয়স ৭০ কিংবা ৮০ বা যিনি পাইলস এর রোগী তিনি চেয়ারে বসে নামাজ পরবেন না আসলে ধর্ম মন্ত্রনালয় বের্থ কোনো কিছু ঠিক মতো চালাইতে পারতাছে না ধর্ম মন্ত্রনালয় এগুলা না দেইখা মুত্র বিসর্জন রোধে বিজ্ঞাপন তৈরী করলে এরকমই হবে তাই না।

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরাও বিস্মিত এই ফতোয়া শুনে।

২| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: এত বছর পরে কেন এই ফতোয়া!!
একদল বলে শবে-বরাত পালন করা বে'আদত
অপর পক্ষ থেকে যথা যোগ্য মর্যাদায় পালনে
আহ্বান। বুঝে আসেনা, আমরা কোথায় যাচ্ছি?

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যিই নূরু ভাই সময়টাই বিভ্রান্তিকর।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

যাযাবরমন বলেছেন: অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিশেষ নিয়ম আছে, এমনকি গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ইশারায় নামাজ আদায়ের নির্দেশ আছে।
তাই বলে মাজুর(অসুস্থ) ব্যক্তিকে মসজিদে যেয়ে জামাতে নামাজ পড়তে হবে এমন কোন নিয়ম কোথাও পাই নাই।
মসজিদের জামাতে নামাজ পড়া শুধু নামাজ নয়, একটা ডিসিপ্লিনের প্রেক্টিস।
আপনিই চিন্তা করুন নামাজের কাতারে মধ্যে যাগায় যাগায় কয়েক জন চেয়ার নিয়ে নামাজ পড়ছে, না তারা কোন কাতারে আছে, না তারা অন্যদের সমান নরাচরা করছে।
এর চেয়ে তাদের ঘরে নামাজ পরাই কি ভাল নয়?

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেক্ষেত্রে তোঁ তাদেরকে শেষের কাতারে আলাদাভাবে দাড়াতে বলা যায়। কিন্তু তাই বলে মসজিদে যেতে নিরুতসাহিত করা কি যুক্তিসঙ্গত?

৪| ০২ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নিল অাকাশ বলেছেন: মূখ্য মানব যারা এমন ফতুয়া বাস্তবায়ন করতে চায় ৷জামায়াতে নামায পড়ার কঠোর এক হাদিস অাছে৷যদি তুমি মসজিদের অাযান শুনতে পাও তাহলে তোমাকে হামাগড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে উপস্হিত হয়ে জামায়াতে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়া অাছে ৷

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

বিজন শররমা বলেছেন: এই ফতোয়া সঠিক হলে এত দিন যারা চেয়ারে বসে নামাজ পড়েছে তারা কোন ফল পাবে না । আমাদের পুরানো যুগের মানুষ যারা "খোদা"র কাছে সব আবেদন জানাতেন তারাও কি ব্যররথ হবেন?

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

যাযাবরমন বলেছেন: ভাই "নিল অাকাশ", সালাত(নামাজ) এর নিয়ম আছে। নবীজী সা: এর ২৩ বছর ও খলিফায়ে রাশেদিনের ৩০ বছরে অনেক মানুষই গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন, তখন চেয়ারও ছিলো এবং তারা নামাজও পরেছেন। তাই বলে ঐ ৫০/৫৩ বছরের ইতিহাসে মসজিদে চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার কোন উদাহরন আমার জানা নাই।
আর ঐ ৫০ বছরের মধ্যে মসজিদে চেয়ারে বসে জামাতে নামাজ পড়ার কোন অথেনটিক উদাহরন না পাওয়া গেলে চেয়ারে বসে জামাতে নামাজ পরা অবৈধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.