নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
বাঙ্গালির দেশি ঠাকুর রেখে বিদেশী কুকুর প্রীতি নতুন কোন বিষয় নয়। এই প্রবাদটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। সময়ের সাথে সাথে বিশ্ব এগিয়ে গেছে অনেকটা। আমরা একই সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে গর্ব করার মত আমাদের অনেক অগ্রগতি রয়েছে। সবথেকে বড় কথা হল এক কালের তলা বিহীন ঝুরিটি এখন কানায় কানায় পূর্ণ না হলেও খুব একটা শূন্যতাও তার নেই। বিশ্ব অর্থনীতির সূচকে ৪৪ তম অর্থনৈতিক শক্তির এ দেশটি এখণ নানা কারণেই বিশ্বের অনুকরণীয় মডেল। যা সত্যিই আমাদের অনেকখানি গর্বের বিষয়। এখন আমাদের আছে বলার মত বেশ কিছু অর্জন। আমাদের আছে বেশ কয়েকজন আইকন। আছে অগ্রগতির এক উর্ধমুখি গ্রাফ। যা অনেক দেশের কাছে মিরাকল। বিশ্বে এমন দেশ খুব বেশি নেই যে ৪৫ বছরের জীবনেই এত কজন বিশ্বসেরা সন্তান প্রসবে সক্ষম হয়েছে। এত ইতিবাচক দিক থাকতেও এ জাতি একটি জায়গায় সেই ৪৫ বছর পেছনেই রয়ে গেছে। আর তা হল হীনমন্যতা আর অন্ধ অনুকরণ।
প্রমাণ হিসেবে সম সাময়িক একটি দিকেই আলোকপাত করা যাক। ফুটবলে এই মুহূর্তে সেরাদের তালিকায় রয়েছেন মেসি এবং নেইমার (আলোচনার সুবিধার্থে অন্যদের কথা টানছি না) স্বাভাবিক ভাবে এই দুজনকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড়। সে হাওয়ায় আমরাও আজ উন্মাতাল। এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু একটিবার ভাবুন তো আপনার আছেন কে?
আমাদের একজন সাকিব আছে। সাকিব এমন এক নাম। যে নামটি বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষকে বাংলাদেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। অথচ এ দেশের তরুণদের কাছে উন্মাদনার ক্ষেত্রে সাকিব এখনো মেসি -নেইমারকে পেছনে ফেলতে পারেনি। কেন পারেনি আমার কাছে তার সরল উত্তর আমাদের হীনমন্যতা বা ঐ প্রবাদটির মত মানসিকতা।
এবারে আসুন চে, মাওসেতুং কিংবা মার্টিন লুথার কিং অথবা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রসঙ্গে। নিজ নিজ দেশে এরা তাদের নিজস্ব কীর্তি দিয়ে জনসাধারণের মনে স্থায়ী আসন গেড়ে নিয়েছেন। যা ঐ সমস্ত দেশের সীমা ছাড়িয়ে তাদের বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কাছেও শ্রদ্ধার আসন পাইয়ে দিয়েছে।
কিন্তু আমাদের কে আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে এই এই বেকুব জাতি এখনো দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে!
কেন এই দ্বিধা? কিসের এই দ্বন্দ্ব?
স্রেফ এটা তাদের হীনমন্যতা তারা জেনে শুনেই একজন নেতার সাথে তারই এক অনুসারীকে এক পাল্লায় ফেলে দিয়ে নিজেরাই চরম বিভ্রান্ত। আর এই কাজটি যে নিতান্তই অকৃতজ্ঞতার এক জ্বলন্ত উদাহরণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যা আমাদের জাতীগতভাবেই একটি অকৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত করেছে।
এ দেশে অশিক্ষিত, অভব্য, অকৃতজ্ঞ এমনকি ষড়যন্ত্রকারী ক্ষমতার মুকুট লাভ করে। তারা ক্ষমতাসীন হয়ে ইতিহাসের পাতা ছিরে ফেলে ইতিহাসে নতুন পাতা সংযোজনের মত মূর্খ আচরণ করে। অথচ তার পরেও দিনের পর দিন আবার তারা মানুষের সমর্থন পেয়ে যায়। এটা কি করে সম্ভব!
সম্ভব এই জন্যেই ১৯৭৫ সালে যাদের বয়স ছিল আট থেকে দশ তাদেরকে পরবর্তী দুই যুগ ধরে শেখানো হয়েছে এক ভ্রান্ত ইতিহাস। আজ তাদের বয়সের হিসেব করুন পঁচাত্তরে দশ হলে এখন সে ৫০। এর পরে কয়টি প্রজন্ম এসেছে?
তারা কি শিখেছে? কাদের কাছে শিখেছে?
হিসেবটা কিন্তু খুব বেশি জটিল নয়।
কাজেই দুই যুগের শিক্ষা মুছে ফেলাও অত সহজ নয় আর সহজ নয় বলেই এ দেশে এখনো জামায়াতের হিতাকাংখির অভাব নেই। বিএনপির মতো একটি ষড়যন্ত্রের বীজের এমন মহীরুহ হয়ে ওঠা দেখতে পাই। এমনকি আজো এর বিলুপ্তির ভাবনা এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের মাথায় আসে না। আজো তারা সমস্বরে বলতে পারেন না এ দেশে বিএনপি নয় আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারী দেশপ্রেমী শক্তির উত্থান দরকার। সে লক্ষে তারা কাজও করতে পারছেন না।
পৃথিবীর এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে দেশ বিরোধী শক্তি প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে জাতির পিতা হত্যার ষড়যন্ত্রকারীর প্রকাশ্য সমর্থক দেখতে পাওয়া যায়? তার আদর্শ(!) নিয়ে আবার রাজনীতির মাঠ গরম করা হয়?
পৃথিবীতে এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে মুক্তিযুদ্ধে চালানো মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারে প্রকাশ্যে বাধা প্রদান করে আবার নিজেদের জাতীয়তাবাদী শক্তি বলে দাবী করা হয়?
কথাটা শুনতে যত খারাপই লাগুক আমি এটাই বিশ্বাস করি। যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের এবং বিভ্রান্ত ইতিহাসে দীক্ষিত প্রজন্মগুলির ভবলীলা সাঙ্গ না হবে ততদিন পর্যন্ত এ জাতি দ্বিধান্বিতই থাকবে।
যে নিজের জন্মদাতাকে নিয়ে দ্বিধান্বিত সে অন্যের জন্মদাতাকেই পরম পূজনীয় জ্ঞান করবে এটাই তো স্বাভাবিক।
[email protected]
২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা ঠিক তেমনি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: সরকারী প্রোপাগান্ডা!