নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
"মুক্তমনা" দাবীদারদের যখন এই বলে চেপে ধরা হল যে তোমাদের কাছে মুক্তমনার সংজ্ঞা কি?
তখন তারা ভোঁ দৌড় দিল। দৌড়তে দৌড়তে তারা আরেকটি অলঙ্কারের সন্ধান পেল "বিজ্ঞানমনস্ক"। এবার যদি প্রশ্ন তোলা হয় যারা তোমাদের সাথে একমত পোষণ করেননা তারা কি "বিজ্ঞানমনস্ক" নয়?
অথবা জগতের স্বীকৃত সকল বিজ্ঞানীই কি নাস্তিক ছিলেন? উত্তরে তারা কি বলবেন তা তারাই জানেন। তবে তারা যে নতুন কোন অলঙ্কারের খোজে আবার দৌড় শুরু করবেন তাতে সন্দেহ নেই।
এদের একটা সুবিধা আছে তারা যাদের কাতারে নাম লেখান তারা এমন এক উদার মানসিকতার যে, এটা নিয়ে তারা কখনোই কাদা ছুড়াছুঁড়ি করেন না। আর সে সময়ও তাদের হাতে নেই।
আমরাই প্রতিবাদটা করি, তার কাড়ন হল সাধারণের জন্য যে সমাজ তা তাদের রক্ষাকবচও বটে। আর এখানে কোন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কোন প্রোপাগান্ডা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করলে তার জন্য দুর্ভোগটা নেমে আসে সাধারণ মানুষের মধ্যেই। কাজেই এ সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষায় তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, আজ যারা মুক্তমনা, বিজ্ঞানমনস্ক ইত্যাদি তকমা লাগিয়ে উলটা পাল্টা তত্ত্ব হাজির করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির কাজে লিপ্ত তার একটিমাত্র উদ্দেশ্য আর তা হল আত্মপ্রতিষ্ঠা। একই সাথে এটাও বলব ধর্মের নামে বাড়াবাড়িতে যারা লিপ্ত। যারা নিজেদের ছাড়া আর সবাইকে অধার্মিক এমনকি পৃথিবীতে বসবাসেরই অনুপযোগী মনে করে। নিত্য অশান্তি তৈরি করছে। মানুষ হত্যার উৎসবে মেতেছে তারাও কোন আদর্শের জন্য এটা করছে না। আত্মপ্রতিষ্ঠাই তাদেরও একমাত্র লক্ষ।
আমার সাথে আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে তাই বলছি একটিবার এই তকমা লাগানো মানুষগুলোর অবস্থানগত পার্থক্য দেখুন। পূর্বের অবস্থার সাথে বর্তমানের পার্থক্যটা লক্ষ করুন। তাদের ইহ লৌকিক সফলতার সাথে মেধা-মনন বা ক্রিয়া কর্মের কোন সাযুজ্য খুঁজে পাবেন না।
কেউ বিশিষ্ট ব্লগার হয়ে উঠেছেন, কেউ বিশিষ্ট লেখক, কেউ বা বিশিষ্ট বুজুর্গ। কিন্তু তাদের লেখনী বা তাদের কর্ম কাণ্ড কিছুতেই বর্তমান উচ্চতার সাথে সাযুজ্যপূর্ন নয়।
প্রশ্ন উঠছে কি করে তারা ঐ অবস্থানে পৌঁছুচ্ছেন? উত্তরটাও অজানা নয় বিশ্বব্যাপী এদের পৃষ্ঠপোষক রয়েছে। তারাই তাদের ঐ অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন যাতে তারা অন্যদের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠতে পারে।
এরা ছিল এরা আছে এবং থাকবে। তাতে মুক্তমনারা কখনোই নিজেদের চরিত্র পালটাবে না। সত্যিকারের বিজ্ঞানমনস্কদেরও সত্যের সন্ধান বন্ধ থাকবে না। এমনকি যারা সত্যিকারের ধার্মিক তারাও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভের চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন যার নির্দেশ মহান আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন।
[email protected]
©somewhere in net ltd.