নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
সময় সন্ধ্যা সাতটা পঁয়তাল্লিশ মিনিট, স্থান শাহজালাল বিমানবন্দর, ঢাকা। ইউএস বাংলার বিএস-১০৯ ফ্লাইটটি রানওয়ের দিকে রওনা হতেই একটা ফোন পেয়ে থেমে গেল। হঠাৎ বলা হলো সবার বোর্ডিং পাস হাতে তুলে দেখানোর জন্য। যথারীতি তাই করা হল। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল বোরখা পরা অল্প বয়সী এক তরুণী টিকিট বিহীন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলল, টিকিট হারিয়ে ফেলেছে।
কিন্তু বোর্ডিং সংখ্যার সঙ্গে যাত্রী সংখ্যা মিলছে না, তরুণীর কোনও লাগেজ বা অভিভাবকও নেই। যাত্রী বোঝাই উড়োজাহাজে ওই একটি মাত্র সিটই খালি ছিল।' ওই ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উড়োজাহাজটি ঘিরে ফেলে এবং যাত্রীদের নামিয়ে নেয়। এ সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশিও করা হয়। পরে ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রশ্ন হল 'বোর্ডিং পাস ছাড়া চারটি চৌকাঠ মাড়িয়ে ওই তরুণী প্লেনে উঠল কি করে?
ঐ প্লেনে একটি সিটই যে খালি ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ঐ তরুনী জানলেন কি করে?
কে তাকে ঐ পর্যন্ত পৌঁছে দিল?
নাকি ইতালিয়ান, জাপানি, খ্রিস্টান পাদ্রির পর এবার যাত্রীবাহী প্লেনই আকাশে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল?
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বলছে, ওই তরুণী 'জঙ্গি' নয়, 'মানসিক ভারসাম্যহীন'।
মেনে নিলাম তরুণী 'মানসিক ভারসাম্যহীন' । বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তা - কর্মচারীরাও কি 'মানসিক ভারসাম্যহীন'?
প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী প্রথম দুটি তল্লাশি পয়েন্টে যে সব নিরাপত্তা কর্মী কাজ করেন তারা পেশাদার নন। কারন তাদের বেশির ভাগই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত!
এ ছারাও যে সব ব্যখ্যা তারা দার করিয়েছেন তা কি আদৌ গ্রহনযোগ্য?
যেভাবে ৫৭ ধারার খড়গ মাথার উপরে ঝুলে আছে তাতে কোন কথা বলা বা প্রশ্ন করাই দুঃসাধ্য। তারপরেও আওয়ামী সরকারের স্বার্থ তথা দেশের স্বার্থেই প্রশ্নটি করছি।
একবার দয়া করে কি ভেবে দেখবেন, টিএসসিতে নারীর শ্লিলতাহানী থেকে শুরু করে বিদেশী হত্যা। যখনই কোন ঘটনা ঘটে তখন সেখানকার সিসি ক্যামেরা গুলি কেন বিকল হয়ে যায়? কেন ঐ সব স্থানে ঠিক একই সময়ে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে না?
এই কেন গুলোর উত্তর দায়িত্বশীলরা এড়াতে পারেন না। সম্ভবত এ সব কেনর উত্তরের মাঝেই অনেক রহস্যের কিনারাও নিহীত।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড ব্যাটালিয়নের সহকারী কমিশনার নাসরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আলোচ্য তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
তার কাছে প্রশ্ন, আপনার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের কি ব্যবস্থা করলেন?
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: দেশ বর্তমানে যে পরিমান ঝুকি মোকাবেলা করছে তাতে আরো অনেক বেশী সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী।
অনেক ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পৃথিবীর ছয়টা দেশের দশটার মত এয়ারপোর্ট দেখা হয়েছে...কিন্তু আমাদের দেশের মত জঘন্য এয়ারপোর্ট একটিও পাই নি!
এখানকার সব পুলিশ/নিরাপত্তাকর্মীর নজর থাকে লাগেজের দিকে...সেবার ছিঁটাফোঁটাও নাই! নিরীহ যাত্রীদের হয়রানিই যাদের উদ্দেশ্য, তাদের নিরাপত্তা দেবার সময় কোথায়?!?!
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিরীহ যাত্রীদের হয়রানিই যাদের উদ্দেশ্য, তাদের নিরাপত্তা দেবার সময় কোথায়?!?!
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
রাবার বলেছেন: কি শুনাইলেন ভাই! আর প্লেনে চড়ন যাবে না। যদিও এখনো ঢাকার শহরই দেখা হয় নাই
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
স্বাধীনস্বত্তা বলেছেন: এই বিম্পি/জামাত দেশের বারোটা বাজায়ে ছাড়বে, বাই দা ওয়ে, বোরখা পড়া মেয়েটার কি মুখে চাপ-দাড়ি ছিল ?
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:২৮
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: যারা মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের কি ব্যবস্থা করলেন?
কেনো,মন্ত্রীসভায়!!!
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
আব্দুল্লাহ বিন হাবিব বলেছেন: আপনার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে যারা মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের কী ব্যাবস্থা করলেন!!
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
আবু শাকিল বলেছেন:
এক ব্যাক্তি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিক জজ্ঞি বলে। সেটা পত্রিকায় ছেপে দিল।
যত্ত সব উল্টা পাল্টা মনোভাব ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ঢিলা ছিল সত্য।
তবে ভুল সবারই হয়।
বছরখানিক আগে কঠিন সিকুরিটির ভেতরেও হোয়াইট হাউসের মাঠ পেরিয়ে ভেতরের লবি পর্যন্ত পৌছে গেছিল এক পাগল।