নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
সাত মাসের গর্ভজাত শিশুটিকে নিষ্ঠুর এই পৃথিবীটাকে চোখ মেলে দেখতে না হলেও এ জগতের নৃশংসতার পুরোটাই সইতে হল!
আমাদের দেশের সুশীল গনের কলমের কালিতে কুর্দি আয়লান বা ফিলিস্তিনি শিশুরা যতটা মর্মস্পর্শী রূপে অঙ্কিত হন তার শতভাগের এক ভাগও এ দেশের এই সব শিশুদের ভাগ্যে জোটে না।
এর কারণ হয়ত এটাই যে, লিখলে তো নিজের গায়েই সে দায় এসে লাগবে। অথবা লিখতে গেলেই সরকার বিরোধী বক্তব্য হয়ে যাবে তার থেকে বরং সেই ভালো আমরা দেশের বাইরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। তাতে মানবতাবাদীও হওয়া যাবে আবার কারো বিরাগভাজনও হতে হবে না।
আর তা ছাড়া মা'কে রাস্তায় ফেলে রেখে মানবতা বাদী সাজার অভ্যাস তো আমাদের আছেই।
মোটা দাগে দায়ী করলেও আমি বলছি না যে এর ব্যতিক্রম একেবারেই নেই। ব্যতিক্রম হয়ত আছে কিন্তু তাদের কণ্ঠস্বর এতটাই নিচু যা মানুষকে আন্দোলিত করতে পারছে না।
বাংলাদেশ দিন দিন অমানুষের অভয়ারণ্য হয়ে যাচ্ছে। সুযোগ করে দিচ্ছে পাল্টাপাল্টি দোষারোপের রাজনীতি। আমাদের সময়ের থেকে তাদের সময় আরও বেশী অত্যাচার হয়েছে কথাটা যখন নেতারা বলেন তখন দুষ্কৃতিকারীরা কি আমোদে আহ্লাদিত হয় না?
একজন মানুষের উপাসনালয় পুড়িয়ে দেয়ার পরে আপনি পূর্বের থেকে কয়েকগুণ সুন্দর করে গড়ে দিতে পারেন কিন্তু তার মনে যে ক্ষতের সৃষ্টি হল তা কোনদিন ঘুচবে না। একজন মানুষকে বাপ দাদার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে জেনে রাষ্ট্র তার সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পারব কিন্তু নিরাপত্তা হীনতার যে ভীতি তার মনে জাগিয়ে দেয়া হল তা সহজে যাবে না।
একজন মানুষের জমি, সম্পদ, উপাসনালয় সবই এই রাষ্ট্র ফিরিয়ে দিতে পারে কিন্তু তার যে অনাগত সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পেল না সেই সন্তানকে কি করে ফিরিয়ে দিতে পারবে? রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি শুধু ক্ষতিপূরণ দেয়া? নিরাপত্তা বিধান করা নয়?
আমাদের রাষ্ট্রে একটি নতুন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগ তো রাষ্ট্রের হয় না রোগ হয় রাষ্ট্রের পরিচালকদের আর সে রোগটি হল দুষ্কৃতিকারীরা অন্যায় করবে আর তার দায়ভার রাষ্ট্র নিবে। দুষ্কৃতিকারীরা ক্ষতিসাধন করবে আর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তার ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এমনকি দুষ্কৃতিকারীরা চিহ্নিত হওয়া স্বত্বেও। কেন দোষী ব্যক্তিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে এই দায় মেটানো হয় না সে প্রশ্নও কাউকে করতে দেখি না।
সে রাজনৈতিক দুষ্কৃতিকারী হোক আর সামাজিক কিংবা ধর্মীয় সব ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার। তাহলে আর অন্যায় করায় বাধাটি কি থাকল ?
[email protected]
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন:
ট্যাগিং বাজি যখন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে হয় তখন আমজনতার নিরবে হজম করা ছাড়া গতি থাকে না। অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু আপনাকে।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
নিমগ্ন বলেছেন: দুঃখজনক!!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এর কারণ হয়ত এটাই যে, লিখলে তো নিজের গায়েই সে দায় এসে লাগবে। অথবা লিখতে গেলেই সরকার বিরোধী বক্তব্য হয়ে যাবে তার থেকে বরং সেই ভালো আমরা দেশের বাইরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। তাতে মানবতাবাদীও হওয়া যাবে আবার কারো বিরাগভাজনও হতে হবে না।
আর তা ছাড়া মা'কে রাস্তায় ফেলে রেখে মানবতা বাদী সাজার অভ্যাস তো আমাদের আছেই।
মোটা দাগে দায়ী করলেও আমি বলছি না যে এর ব্যতিক্রম একেবারেই নেই। ব্যতিক্রম হয়ত আছে কিন্তু তাদের কণ্ঠস্বর এতটাই নিচু যা মানুষকে আন্দোলিত করতে পারছে না।
বাংলাদেশ দিন দিন অমানুষের অভয়ারণ্য হয়ে যাচ্ছে। সুযোগ করে দিচ্ছে পাল্টাপাল্টি দোষারোপের রাজনীতি। আমাদের সময়ের থেকে তাদের সময় আরও বেশী অত্যাচার হয়েছে কথাটা যখন নেতারা বলেন তখন দুষ্কৃতিকারীরা কি আমোদে আহ্লাদিত হয় না?
শতভাগ সঠিক!
ট্যাগিং বাজি যখন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে হয় তখন আমজনতার নিরবে হজম করা ছাড়া গতি থাকে না।