নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূরা আল-ইনফিতার‌ পবিত্র কুরআনের ৮২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৯। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩


নামকরণ :
প্রথম আয়াতের শব্দ থেকেই এর নামকরণ করা হয়েছে। এর মূলে রয়েছে ইনফিতার অর্থাৎ ফেটে যাওয়া । এ নামকরণের কারণ হচ্ছে যে এ সূরায় আকাশের ফেটে যাওয়ার কথা আলোচনা করা হয়েছে।

নাযিলের সময় -কাল
এই সূরার ও সূরা আত তাকভীরের বিষয়বস্তুর মধ্যে গভীর মিল দেখা যায়। এ থেকে বুঝা যায় , এই সূরা দু’টি প্রায় একই সময়ে নাযিল হয়েছে ।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
এর বিষয়বস্তু হচ্ছে আখেরাত । মুসনাদে আহমাদ , তিরমিযী , ইবনুল মন্‌যার , তাবারানী , হাকেম ও ইবনে মারদুইয়ার হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ( রা) একটি বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে । তাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

“ যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখে দেখতে চায় সে যেন সূরা তাকভীর , সূরা ইনফিতার ও সূরা ইসশিকাক পড়ে নেয়। ”

এখানে প্রথমে কিয়ামতের দিনের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে , প্রত্যেক ব্যক্তি দুনিয়ায় যা কিছু করেছে কিয়ামতের দিন তা সবই তার সামনে উপস্থিত হবে। তারপর মানুষের মনে অনুভূতি জাগানো হয়েছে , যে সৃষ্টিকর্তা তোমাকে অস্তিত্ব দান করলেন এবং যাঁর অনুগ্রহ তুমি আজ সমস্ত সৃষ্ট জীবের মধ্যে সবচেয়ে ভালো শরীর ও অংগ – প্রত্যংগ সহকারে বিচরণ করছো , তিনি কেবল অনুগ্রহকারী ইনসাফকার নন , তাঁর সম্পর্কে তোমার মনে কে এই প্রতারণার জান বিস্তার করলো ? তাঁর অনুগ্রহের অর্থ এ নয় যে , তুমি তাঁর ন্যায়নিষ্ঠ ব্যবহার ও বিচারের ভয় করবে না। তারপর মানুষকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে , তুমি কোন ভুল ধারণা নিয়ে বসে থেকো না। তোমার পুরো আমলনামা তৈরী করা হচ্ছে। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য লেখকরা সবসময় তোমার সমস্ত কথাবার্তা , ওঠাবসা , চলাফেরা ও যাবতীয় কাজকর্ম লিখে চলছেন। সবশেষে পূর্ণ দৃঢ়তা সহকারে বলা হয়েছে , অবশ্যই একদিন কিয়ামত হবে। সেদিন নেককার লোকেরা জান্নাতে সুখের জীবন লাভ করবে এবং পাপীরা জাহান্নামের আযাব ভোগ করবে। সেদিন কেউ কারোর কোন কাজে লাগবে না । বিচার ও ফায়সালাকারী সেদিন হবেন একমাত্র আল্লাহ ।
আয়াতসমূহঃ

مِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ إِذَا السَّمَاءُ انفَطَرَتْ
১) যখন আকাশ ফেটে যাবে ,

وَإِذَا الْكَوَاكِبُ انتَثَرَتْ

২) যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে ,

وَإِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ
৩) যখন সমুদ্র ফাটিয়ে ফেলা হবে

وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ
৪) এবং যখন কবরগুলো খুলে ফেলা হবে,

عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
৫) তখন প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামনের ও পেছনের সবকিছু জেনে যাবে ৷

يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
৬) হে মানুষ ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে ,

الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ
৭) যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন , তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন

فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاءَ رَكَّبَكَ

৮) এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন ৷

كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِالدِّينِ

৯) কখনো না, বরং ( আসল কথা হচ্ছে এই যে ) , তোমরা শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা মনে করছো৷

وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ
১০) অথচ তোমাদের ওপর পরিদর্শক নিযুক্ত রয়েছে ,

كِرَامًا كَاتِبِينَ
১১) এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ ,

يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
১২) যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ জানে৷

إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ
১৩) নিসন্দেহে নেক লোকেরা পরমানন্দে থাকবে

وَإِنَّ الْفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٍ
১৪) আর পাপীরা অবশ্যি যাবে জাহান্নামে ৷

يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ الدِّينِ
১৫) কর্মফলের দিন তারা তার মধ্যে প্রবশ করবে

وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَائِبِينَ
১৬) এবং সেখান থেকে কোনক্রমেই সরে পড়তে পারবে না৷

وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
১৭) আর তোমরা কি জানো , ঐ কর্মফল দিনটি কি ?

ثُمَّ مَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
১৮) হাঁ , তোমরা কি জানো , ঐ কর্মফল দিনটি কি ?

يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا ۖ وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِّلَّهِ
১৯) এটি সেই দিন যখন কারোর জন্য কোন কিছু করার সাধ্য কারোর থাকবে না। ফায়সালা সেদিন একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ারে থাকবে৷

সূত্রঃ পবিত্র কুরআনের ধারাবাহিক বঙ্গানুবাদ ও আলোচনা পড়ুন এখানে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: জাযাকাল্লাহ

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো উদ্যোগ। ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

shiponblog বলেছেন: ভালো কাজ। চালিয়ে যান

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমরা যারা নানা কারনে কোরআন পড়তে পারিনা তাদের জন্যেই আমার এই প্রচেষ্টা। এতে যদি একজন মানুষও উপকৃত হন সেটাই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ সকলকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.