নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূরা আত-তাকভীর‌ পবিত্র কুরআনের ৮১ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ২৯। সূরা আত-তাকভীর‌ মক্কায় অবতীর্ণ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬




সূরা আত তাকবীর
নামকরণ
সূরার প্রথম বাক্যের كُوِرَتْ শব্দটি থেকে নামকরণ করা হয়েছে। তাকভীর(تَكْوِيْر) হচ্ছে মূল শব্দ। তা থেকে অতীত কালের কর্তৃবাচ্য অর্থে কুওভিরাত (كُوِرَتْ) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। এই নামকরণের অর্থ হচ্ছে, এটি সেই সূরা যার মধ্যে গুটিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে।

নাযিলের সময়-কাল
বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে পরিষ্কারভাবে জানা যায়, এটি মক্কা মু’আযযমার প্রথম যুগের নাযিল হওয়া সূরাগুলোর অন্তর্ভুক্ত।

বিষয়বস্তু ও মুল বক্তব্য
এর বিষয়বস্তু হচ্ছে দু’টিঃ আখেরাত ও রিসালাত।
প্রথম ছ’টি আয়াতে কিয়ামতের প্রথম পর্বের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ যখন সূর্য আলোহীন হয়ে পড়বে। তারকারা স্থানচ্যুত হয়ে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত হবে। পাহাড়গুলো পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে উৎপাটিত হয়ে শূন্যে উড়তে থাকবে। মানুষ তাদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসের কথা ভুলে যাবে। বনের পশুরা আতংকিত ও দিশেহারা হয়ে সব এক জায়গায় জড়ো হয়ে যাবে। সমুদ্র স্ফীত হবে ও জ্বলে উঠবে। পরবর্তী সাতটি আয়াতে কিয়ামতের দ্বিতীয় পর্বের উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ যখন রূহগুলোকে আবার নতুন করে শরীরের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হবে। আমলনামা খুলে দেয়া হবে। অপরাধের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আকাশের সমস্ত পরদা সরে যাবে এবং জান্নাত- জাহান্নাম ইত্যাদি সব জিনিসই চোখের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে। আখেরাতের এই ধরনের একটি পুরোপুরি ছবি আঁকার পর একথা বলে মানুষকে চিন্তা করার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে যে, সে সময় প্রত্যেক ব্যক্তি কি পাথেয় সংগ্রহ করে এনেছে তা সে নিজেই জানতে পারবে।

এরপর রিসালাত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মক্কাবাসীদেরকে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের সামনে যা কিছু পেশ করছেন সেগুলো কোন পাগলের প্রলাপ নয়। কোন শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও বিভ্রান্তিও নয়। বরং সেগুলো আল্লাহর প্রেরিত একজন উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন বুযর্গ ও বিশ্বস্ত বাণীবাহকের বিবৃতি, যাঁকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উন্মুক্ত আকাশের দিগন্তে দিনের উজ্জ্বল আলোয় নিজের চোখে দেখেছেন। এই শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তোমরা কোন দিকে চলে যাচ্ছো?

আয়াতসমূহ

التكوير

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ ﴿١﴾ وَإِذَا النُّجُومُ انكَدَرَتْ ﴿٢﴾ وَإِذَا الْجِبَالُ سُيِّرَتْ ﴿٣﴾ وَإِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ ﴿٤﴾ وَإِذَا الْوُحُوشُ حُشِرَتْ﴿٥﴾ وَإِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ ﴿٦﴾ وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ ﴿٧﴾ وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ ﴿٨﴾ بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ ﴿٩﴾ وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ﴿١٠﴾ وَإِذَا السَّمَاءُ كُشِطَتْ ﴿١١﴾ وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ ﴿١٢﴾وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ ﴿١٣﴾ عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا أَحْضَرَتْ ﴿١٤﴾ فَلَا أُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ ﴿١٥﴾ الْجَوَارِ الْكُنَّسِ ﴿١٦﴾ وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ﴿١٧﴾ وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ ﴿١٨﴾ إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ﴿١٩﴾ذِي قُوَّةٍ عِندَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ ﴿٢٠﴾ مُّطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ ﴿٢١﴾ وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجْنُونٍ ﴿٢٢﴾ وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ ﴿٢٣﴾ وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ ﴿٢٤﴾ وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَّجِيمٍ ﴿٢٥﴾ فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ ﴿٢٦﴾ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ ﴿٢٧﴾ لِمَن شَاءَ مِنكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ ﴿٢٨﴾ وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَن يَشَاءَ اللَّـهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ ﴿٢٩﴾﴿ بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

০১) যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,

০২) যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে,

০৩) যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে,

০৪) যখন দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীসমূহ উপেক্ষিত হবে;

০৫) যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে,

০৬) যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,

০৭) যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,

০৮) যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,

০৯) কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?

১০) যখন আমলনামা খোলা হবে,

১১) যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে,

১২) যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে

১৩) এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে,

১৪) তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে।

১৫) আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়।

১৬) চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়,

১৭) শপথ নিশাবসান ও

১৮) প্রভাত আগমন কালের,

১৯) নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী,

২০) যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী,

২১) সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন।

২২) এবং তোমাদের সাথী পাগল নন।

২৩) তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।

২৪) তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।

২৫) এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়।

২৬) অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?

২৭) এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ,

২৮) তার জন্যে, যে তোমাদের মধ্যে সোজা চলতে চায়।

২৯) তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।

পবিত্র কুরআনের ধারাবাহিক বঙ্গানুবাদ ও আলোচনা পড়ুন এখানে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?

হায় এরপরও কি মানুষ থমকে দাড়াবে। ভাববে তার কর্ম, পথ, পদ্ধতি, বিশ্বাস নিয়ে!!!!

হে আল্লাহ, তুম িআমাদের ক্ষমা কর, দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি অসীম দয়ালু।

+++

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্‌ অসীম দয়ালু। আর তিনি নিরাশ হতেও নিষেধ করেছেন। আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.