নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
অরুণিমার মন ভাল নেই। বইয়ের পোকা মেয়েটা বইয়ের পাতাই উলটে যায় একটি বর্ণও তার মাথায় ঢোকে না। মাথার মধ্যে শুধু সেই ছেলেটা ঘুরপাক খাচ্ছে। কি এক অজানা আশঙ্কায় মাঝে মাঝেই আঁতকে ওঠে সে?
আজ ক'দিন হল ছেলেটা গলির মোরে এসে দারায় না । কলেজের আশেপাশেও তার দেখাটি মিলছে না। না বাড়ির সামনে বা উল্টো গলির মুখে।
একসময় যেখানে আড়চোখেও তাকাত না অরুণিমা আজ সে সব স্থান সে তন্ন তন্ন করে খোঁজে। অথচ কেন এই খোজা তাও জানে না। অপরিচিত একটি ছেলে সর্বদা যে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকত। ভাষাহীন ঠোটের কোনে স্মিত হাসি। এটুকুই তার পরিচিতি। এমন একজন কোথায় গেল বা তার কি হল তা নিয়ে সেই বা কেন এত ভাবছে? নিজেকে বহুবার সে প্রশ্ন করেছে উত্তর মেলেনি।
এই বয়সে এসে কিশোরী ভাবনা তাকে মানায় না। এতটা প্রগলভা হওয়া উচিৎ নয় বলে নিজেকে শাসিয়েছে।
মন কি শাসন মানে?
ছেলেটা যে কবে কখন থেকে এভাবে পিছু নিয়েছিল তা অরুণিমা নিজেও জানে না। একদিন এক সহকর্মীর কথায় খেয়াল করল। সত্যিই তো ছেলেটাকে এর আগেও বেশ কবার দেখেছে। সে যে তাকেই অনুসরণ করে সেটা বুঝতে পারেনি। আর বুঝতে পেরেও কেন যেন ওর এই অনুসরণ করাতে কখনোই বিরক্ত লাগেনি।
প্রশ্রয় না দিলেও বিরক্ত হওয়ার মতো যদিও কোন কারণও ঘটে নি।
তবে কি কিছুটা শিহরিতও হত? আজ এতদিন পরে সে প্রশ্নটাই নিজে নিজেকে করছে।
একটু একটু করে নিজের অজান্তে কখন যে অনেকটাই দখল করে নিয়েছিল ছেলেটা অরুনিমা নিজেই টের পায়নি এতদিন। আজ যখন ওর বিবর্ণ চেহারাটা আশেপাশের মানুষগুলোর চোখে পড়তে শুরু করেছে যখন কলেজের অধ্যক্ষ ডেকে নিয়ে জানতে চাইলেন কিছুদিন ছুটির প্রয়োজন কিনা তখনই যেন ও আবিষ্কার করল সত্যিই এ ক'দিনে ভেতরে ভেতরে অনেকখানি ভেঙ্গে পড়েছে ও। আর সে কারনেই অরুনিমা আর না করল না। সত্যিই তো ওর বিশ্রাম প্রয়োজন। জীবনে এই প্রথম এতটা ক্লান্ত লাগছে।
অধ্যক্ষের অনেক প্রিয়, শান্ত স্নিগ্ধ একাগ্র এই নতুন প্রভাষকটি। অনেকটা নিজের মেয়ের মতই দেখেন ওকে। ভাবলেন নতুন চাকরি মেয়েটার মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিছু উপদেশ দিয়ে ওকে বাসায় চলে যেতে বললেন।
অরুনিমা হাটছে সেই পথ ধরে ছেলেটার দারনোর প্রতিটি বাক ওর মুখস্ত। ওর তৃষ্ণার্ত চোখ একটি অবয়বকেই খুঁজছে। একটা মানুষ এভাবে যে কখনো কাউকে দখল করে নিতে পারে ওর নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। কম তো ঝেড়ে ফেলতে চায় নি মাথা থেকে। অথচ ভাবনা গুলো আরও বেশি করে যেন জেকে বসেছে।
একদিন দুদিন তো নয়, প্রায় বছর গড়াল একটি দিনের জন্য যে চোখের আড়াল হয়নি। আজ প্রায় এক মাস হতে চলল তার টিকিটিও চোখে পড়ছে না। কিছুতেই সুস্থির হতে পারছিল না অরুণিমা। অনেকটা আনমনেই এতটা পথ হেটে এসে বন্ধ ঘরের দরজার সামনে এসে ও যেন ভুত দেখল। নিমেষে শরীরের সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেল।
অরুণিমার শুধু খেয়াল আছে পরে যেতে যেতে কেউ ওকে আলতো করে ধরে ফেলল। চোখ খুলে দেখল সেই ছেলেটা পরম মমতায় ধুলোবালির মধ্যেই পরম যত্নে ওকে আগলে ধরে আছে। উঠতে ইচ্ছে করছিল না দু'চোখের কোল বেয়ে অজান্তেই বয়ে চলল সূক্ষ্ম এক জলের ধারা।
মনে মনে বলল এতটা কষ্ট দিতে কই ছিলে এতদিন। কি আশ্চর্য ছেলেটা যেন অন্তর্যামী! ওর মনের কথাটা পড়েই যেন আপন মনে বলে উঠল। মাকে নিয়ে এতদিন হাসপাতালে ছিলাম তাই আসতে পারিনি।
অরুণিমা উঠল না, কিছু বলল না। পরম নিশ্চিন্তে শুধু শরীরের বাঁধনটুকু ছেড়ে দিল।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মইনুল ভাই, আপনাকেই বরং দেখতে পাই না তেমন একটা। ভাল আছেন নিশ্চয়ই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন নিরন্তর।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সুমন কর বলেছেন: শেষে মেইল কেন?
মোটামুটি লাগল।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল ছিল| সুখপাঠ্য
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অদ্ভুত মানুষের মন...
আরও অদ্ভুত প্রেম!
গালিব মেহেদী ভাইকে অনেক দিন পর দেখলাম