নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
বাংলাদেশে একটি বিশাল মসজিদ বানানো হচ্ছে এ খবরটা শেয়ার করলে নাকি অশেষ নেকি হাসিল হবে! এটা কোন আলেমের নসিহত তা জানি না। তবে ফেসবুকে ঐ মসজিদটির ছবি সহ কথাটি ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশ কদিন যাবত। যারা এই মহান কর্মটি করছেন। তারা কি বলতে পারেন, এ দেশের কত শতাংশ মানুষ সঠিকভাবে যাকাত আদায় করেন?
আমাদের দেশে অধিকাংশ মাদ্রাসা এবং এতিমখানা চলছে বিদেশি অনুদানে। আর সে অনুদান যে সঠিক রাস্তায় আসছে তাও নয়। আমরা তো এ দেশের ধনীদের যাকাতের টাকায়ই এই সব এতিমখানা - মাদ্রাসা চালাতে পারতাম।
অথচ সেটা পারছি না তার কারন হল সঠিকভাবে যাকাত আদায় করা হচ্ছে না। এক কথায় ধনিক শ্রেনীর মানুষ গুলো মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত গরিবের হকটি সঠিকভাবে আদায় করছেন না। অথচ তারাই আবার এক একটি আলিসান মসজিদ তৈরি করছেন। উত্তরায় একটি মসজিদে আমি নিয়মিত নামাজ পড়ি। যেখানে কদিন আগে দেখলাম কোন কারন ছাড়াই মসজিদের টাইলসগুলো পরিবর্তন করা হল। দিন দিন মসজিদটি উর্ধবমুখি হচ্ছে। এ মুহুর্তে তার চারতলার কাজ চলছে। যদিও জুম্মাবার ছাড়া কোন ওয়াক্তেই মুল মসজিদের নিচতলার অর্ধাংশও ভড়ে না।
মসজিদটি এখন পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে শিততাপ নিয়ন্ত্রিত। হয়ত আগামীতে সেটা সেন্ট্রালীও করা হবে।
প্রতি জুম্মা শেষে মসজিদের ইমাম ঐ সপ্তাহে প্রাপ্ত দানের ঘোষনা দেন যা গড়ে কম বেশি চল্লিশ হাজার টাকার মত। খোজ নিয়ে দেখেছি এখানে প্রতিটি মসজিদে একই হারে টাকা ওঠে।
প্রশ্ন হল এত টাকা কি কাজে লাগে?
এ দেশে মাদ্রাসা ছাত্রদের কুরআন মুখস্থের পাশাপাশি আরেকটা তালিম দেয়া হয় তাহলো ভিক্ষা করা! অথচ ইসলাম বলে, "নবীর শিক্ষা, করোনা ভিক্ষা। মেহনত কর সবে"। এই শিশুরা গড়েই উঠছে ব্যক্তিত্বহীন হয়ে। আল্লাহর ঘর মসজিদ তৈরি করতে বেহেস্তের লোভ দেখিয়ে ভিক্ষা করতে হবে কেন?
কোন এলাকায় যদি নামাজ আদায়ের স্থান না থাকে সেখানে একটি মসজিদ প্রয়োজন হবে এটাই স্বাভাবিক। নামাজ আদায়ের মত করে গড়ে তুলতে সে মসজিদের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন হয় তা ঐ এলাকার ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাই দিতে সক্ষম। আর তারা তা দেনও। এরপরে ঐ মসজিদকে আর বেশি উচু করতে। আরো বেশি আরামদায়ক করে তোলার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয় তা কি ইসলাম সম্মত?
ইসলামের পাচটি স্তম্ভ ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত। আমরা তার ক'টি অনুসরন করছি?
কেন মসজিদকে আলি সান করে তৈরি করতে হবে। কেন বিশাল মসজিদ তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করতে হবে? বিশ্ব রেকর্ড তো শতভাগ যাকাত আদায় করেও করা যেতে পারে। যে যাকাত আদায় ইসলামের মুল ভিত্তির একটি। তা না করে কেন আলি সান মসজিদ তৈরি করে রেকর্ড করতে হবে। এই রেকর্ড তো বিশ্বের সর্ব বৃহৎ পুনর্বাসন কেন্দ্র করেও করা যেতে পারে। মহান আল্লাহর কাছে কি সেটাই বেশি গ্রহনযোগ্য হত না?
মসজিদ ইবাদতের সর্বত কৃষ্ট স্থান। তাই একে আল্লাহর ঘর বলা হয়। সেই মসজিদকে যখন সর্বত কৃষ্ট আরামদায়ক করে গড়ে তুলবেন তখন হয়ত সেখানে মানুষের সমাগম বাড়বে তবে তা ইবাদতের আদর্শ স্থান হিসেবে নয়, আরাম করার উদ্দেশ্যে। সেটা নিশ্চয়ই মসজিদ তৈরির আসল উদ্দেশ্য নয়?
একজন ইবাদতকারী মসজিদে প্রবেশ করেন মহা পরাক্রমশালী মহান আল্লাহর কাছে নতজানু হতে। যেখানে তিনি নিতান্তই নগন্য, ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র এক সৃষ্টিমাত্র। তার তখনকার সুখ বাতুলতা ছাড়া আর কিছু নয়।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটাকে আমি নিছক সেন্টিমেন্ট বলতে রাজি নই। কারন এই সব কাজের মাধ্যমে কিছু লোক ঠিকই আখের গুছিয়ে নেয়। ইমাম সাহেবরা কখনো এর প্রতিবাদ করে না নিজেরা বেনিফিসিয়ারী বলে।
সর্বপরী যারা এখানে অকাতরে বিলান তারাও হয় এলাকায় নামজাহির করতেই বিলান নয়ত সেটা কালো টাকা সাদা করার ব্যার্থ প্রয়াস বলে আর কিছু নয়। কাজেই বিষয়টা অত হালকা নয়।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
ধঅনের শীষ বলেছেন: শয়তান মালাউনদের দালাল মুনাফিকদেরই তো আল্লাহর ঘর নির্মাণের কথা শুনলে চুলকানী ওঠে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একদম ঠিক কথা শয়তান মালাউনদের দালাল মুনাফিকদেরই তো আল্লাহর ঘর নির্মাণের কথা শুনলে চুলকানী ওঠে।
আর মসজিদকে নিয়ে ব্যবসাটাও মুলত শয়তান, মালাউনদের দালাল এবং মুনাফিকদেরই কাজ। যারা ইবাদতকে নিয়ে গেছে দেখানোর বিষয়ে। যারা ধর্মকে দেখে ফায়দা হাসিলের মওকা হিসেবে।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
আবু শাকিল বলেছেন: মসজিদ নির্মাণ হোক।যাকাত আদায় করা হোক।
অনেক কিছুই ত হচ্ছে- হোক না একটা মসজিদ।
ছেড়ে দেন।
ধন্যবাদ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আবু শাকিল ধন্যবাদ আপনাকে। বিষয়টি তো আসলে ধরা বা ছাড়ার নয়। আমাদের কিছু ভূল শোধরানো দরকার। যেটা ধর্মিয় বিবেচনায়ও জরুরী। যা ইসলামকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের কাছে মহান করে তুলতে পারে।
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: পোস্টের সাথে সম্পুর্নভাবে সহমত।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কেউ নেই বলে নয় ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন নিরন্তর।
৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
তট রেখা বলেছেন: মসজিদের জৌলুস আর চাকচিক্য বাড়ানো হলো কিয়ামতের লক্ষণ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এমন একটি হাদিস কোথাও পড়েছিলাম স্পষ্ট মনে নেই রেফারেন্সও জানা নেও বলে উল্লেখ করিনি। জানা থাকলে জানাবেন উপকৃত হব।
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: এত কিছু থাকতে মসজিদের পিছে লাগলেন কেন?
সমাজের প্রতিটি পদে পদে নানান রকম দুর্ণীতির
বিপক্ষে বলুন (যদি হিম্মত থাকে) !! মসজিদ নিয়ে
যারা আছে তারা আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য কাজ করছেন
বলেই আমজনতার ধারণা। কেউ যদি এর পিছে কোন
স্বার্থ খুঁজে সেটা তাদের ব্যাপার। আল্লাহ ই ভালো জানেন।
তবে দানকারী কখনো মুখ চেয়ে দান করেন না। তার দান
শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই মসজিদের পেছনে লাগা আর মসজিদের পেছনে অনাহুত খরচের পেছনে লাগাটা এক নয়। আর এখানে শিরোনামটিই যাকাত প্রদানের সাথে মসজিদের চাকচিক্য বাড়ানোর তুলনামুলক চিত্রকে নির্দেশ করে। আপনি মনে হয় বিষয়টি লক্ষ করেননি।
৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
ফা হিম বলেছেন: আমরা বড় ধার্মিক জাতি কিনা, হুট করে কিছু টাকার মালিক হয়ে গেলে প্রথমে মসজিদে দান করবে, তবু যাকাত দিবে না। অথচ আমাদের মত দেশে এটাই সবচেয়ে বেশি জরূরী। এই ঢাকা শহরে যে পরিমাণ মসজিদ আছে, আমার মনে হয় এটা প্রয়োজনের অতিরিক্ত। তারপরও যখন মানুষ মসজিদ নির্মাণের জন্য জায়গা দান করে, তখন হাসি পায়। এসব তো এক প্রকার অপচয়, নয় কি? বুজুর্গ ব্যক্তিরা মনে হয় ভালো বলতে পারবেন।
অনেক লোকে অবৈধ, হারাম উপায়ে বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়। তারপর মসজিদে দান করে সেই বিত্তকে হালাল করে নেয়। আর সেই টাকায় তৈরি হয় মসজিদ। এটাকে ঠিক কি বলা যায় !!
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়, সেটা কালো টাকা সাদা করার ব্যার্থ প্রয়াস সারা আর কিছু নয়।
৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: গালিব ভাই ধন্যবাদ আপনাকে উত্তর প্রদানের জন্য,
তবে আমার সাধারণ বিশ্বাস এমন যে, আল্লাহর ঘরকে
যত সুন্দর করে গড়ে তোলা যায়, আল্লাহ বেহেসতে তার
জন্য তেমনই মনেরম ঘর তৈরী করেন। আসলে বিশ্বাসে
মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। আশা করি ভুল বুঝবেন না।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আমরা যদি একটু লক্ষ করি তবেই সঠিক সিদ্ধান্তে পউছুতে পারব। আল্লাহ অসহায়কে দান করতে বলেছেন। সৃষ্টির সেবা করতে বলেছেন। আপনি কোথাও পাবেন না সুন্দর সুন্দর মসজিদ নির্মানের তাগিদ। হ্যা মসজিদ প্রয়োজন সেখানে বিলাস আয়োজন নয়। অপচয়কারিকে বলা হয়েছে শয়তানের ভাই।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
হাসান নাঈম বলেছেন: আসলে গুরুত্ব বোঝা নিয়েই যত সমস্যা।
কার কাছে মাজারকে সুসজ্জিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ, কার কাছে দাওয়াতে বেরিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘুরে বেড়ান প্রথম কর্তব্য আবার কার কাছে মসজিদকে সুন্দর করা সবার চেয়ে জরুরী।
আবার আপনি যেটা বলেছেন যাকাত আদায় করা সেটাও কম গুরুত্বপুর্ণ নয়।
তবে আসল কথা হল দুনিয়ার স্বার্থ ত্যাগ করে মানুষের কল্যানে কাজ করা। সেটা না হলে কোন কিছুরই দাম থাকে না। আমাদের দেশে যাকাত দিতে গিয়েওতো কত লোক দেখান আয়োজন হয়, তাই না?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিশ্চয়ই তাই। আসল বিচারটা তো মনেরই।
১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
গোধুলী রঙ বলেছেন: জাকাত ফরজ, কোন রকম যেন তেন ভাবে শ দুই-তিন লুঙ্গি-শাড়ি দিয়া গছিয়ে দিলে তাতে জাকাতের হক আদায় হলো নাহ। ভালোমত বিবেচনা করলে ইহারা জাকাত কে তাচ্ছিল্য করছে, প্রকারান্তরে অস্বীকার করছে। অথচ এই সব ধনী লোকরাই আবার মসজিদে দান করতে সিদ্ধহস্ত, শুক্রবারে খুতবায় আবার তাদের নাম ঘোষনা হয়, অমুকে একটা এসি দান করেছেন, অমুকে ২ লাখ টাকা দিয়াছেন, অথচ এরা কোনদিন সমাজে ইসলামি শিক্ষার প্রসারে কাজ করে না, কাজ করে সপ্তায় একদিন ব্যবহৃত হয় এমন এসি ওলা মিনার ওলা ঘর বানাতে। তবে এটা এখন পুরোপুরি সেন্টিমেন্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে, কিছু বলতে গেলেই কাফের, মালাউন ইত্যাদি বলে চিতকার শুরু করবে, অথচ কাউকে কাফের বলতে হাদিসে সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে।
বাই দ্যা ওয়ে, আমি জুম্মার নামাজ মাঠে পড়তে আগ্রহী ইদের নামাজের মত টেম্পোরারি ব্যবস্থা করে। একটা প্লান এমন হতে পারে, আগামী ১০ বছর আমরা কোন মসজিদ বানাবো না, এই টাকা গরীব বাচ্চাদের ধর্ম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় ব্যয় করতে হবে, এরাই যখন শিক্ষিত হয়ে উন্নত জীবনের অধিকারি হতে পারবে তখন মসজিদ আর টাকা চেয়ে বানানো লাগবে না।
সুযোগ থাকলে এই কমেন্ট শুধু আপনাকে দেখাতাম। কিছু আছে যারা আমাকে এখনই কাফির ট্যাগ লাগিয়ে দেবে। আল্লাহ আমাকে জ্ঞ্যান দান করুন তাদেরও হেদায়াত দান করুন।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আগামী ১০ বছর আমরা কোন মসজিদ বানাবো না তা নয়। মসজিদ যতটা প্রয়োজন ততটাই বানাবো তবে সেটা কৃচ্ছতা অবলম্বন করে তবেই।
১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
হাসান নাঈম বলেছেন: "--আমি জুম্মার নামাজ মাঠে পড়তে আগ্রহী ইদের নামাজের মত টেম্পোরারি ব্যবস্থা করে। একটা প্লান এমন হতে পারে, আগামী ১০ বছর আমরা কোন মসজিদ বানাবো না, এই টাকা গরীব বাচ্চাদের ধর্ম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় ব্যয় করতে হবে, এরাই যখন শিক্ষিত হয়ে উন্নত জীবনের অধিকারি হতে পারবে তখন মসজিদ আর টাকা চেয়ে বানানো লাগবে না। " - আপনার প্রস্তাব আমি সমর্থন করলাম। তবে তার জন্য প্রচলিত সমাজটাই বদলাতে হবে।
১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: সর্বোপরি কথা হচ্ছে ,এখানের আলোচনা গুলি কর্তাদের কানে পৌছোবে না ।তারা কালো টাকা সাদা করার ব্যর্থ প্রয়াসেই হোক ,লোক দেখানোর উছিলায় হোক বা বেহেশত ও বেহেশতী চীস লাভের আশায় হোক দানবীরতা প্রকাশ করেই যাবে ।
তবু পোস্টটির স্বার্থকতা পাওয়া যাবে যদি ,এখানেরও কিছু মানুষ সত্যটা উপলব্ধি করতে পারে ।কিন্তু মানুষগুলার গোয়ারতুমি তাও হতে দিবেনা ।কেউ কাফের ,দালাল ব্লা ব্লা ব্লা বলে গালি পারতে লাগল । কুতমন্ডুকেরা মূল অর্থই বুঝতে চাচ্ছে না ।
লেখাটি নিয়ে আমারও কিছু কথা আছে ।তবে সেটা মূলটপিক না ।এবং আপনার মূল চেতনার সাথে একমত পোষণ করছি ।....
যাকাত ইসলামের একটি অন্যতম স্তম্ভ ।কিন্তু মূল স্তম্ভ ঈমান যখন অনুপস্থিত থাকবে তখন বাকি গুলার কোন অর্থ থাকেনা ,স্রেফ লোক দেখানো ।যেটা শিরক্ ।আর মসজিদ নিমার্ণের মত মহত্ কাজের আসল অর্থটা তখন তারা কোথায় পাবে ,বলুন??
এরপরে আবার অনেক কথা থাকে ,বিশেষ করে যাকাত আদায় সম্পর্কে ।যেটা গভর্মেন্টের গুরুদায়িত্ব ,সেখানে সরকার সুদের হার হিসাব করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে!!
কত কি বলার আছে ,কিভাবে বলি .......
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যাকাত ইসলামের একটি অন্যতম স্তম্ভ ।কিন্তু মূল স্তম্ভ ঈমান যখন অনুপস্থিত থাকবে তখন বাকি গুলার কোন অর্থ থাকেনা ,স্রেফ লোক দেখানো ।যেটা শিরক্ ।
একদম ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সব সময়।
১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
ধমনী বলেছেন: ভালো বলেছেন। মসজিদকে ধর্মীয় ও সামাজিক কেন্দ্রে পরিণত করা দরকার যেমনটা রাসুল সা. এর সময়ে ছিল।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধমনী আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। মসজিদকে ধর্মীয় ও সামাজিক কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব হলে এ দেশ থেকে খুব সহজেই ধর্মের নামে ভণ্ডামি বন্ধ করা যেত। শুধরে নেয়া যেত অজস্র অসঙ্গতি।
১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
টেকনিসিয়ান বলেছেন: আমাদের বাসার পাশে ৫০ গজের দূরত্বে বামে-ডানে সর্বমোট ১২-১৩টি মসজিদ অবস্থিত। ভোর বেলা এতই মাইকের আওয়াজ যেন প্রতিযোগিতা চলে কোন মসজিদের আওয়াজ বেশী শুনা যেতে হবে.............. এত পাশাপাশি মসজিদ থাকা কি শরীয়ত সম্মত ?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভাল হত মসজিদ গুলো যদি সামাজিক ও ধর্মিয় নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ভুমিকা রাখতে সক্ষম হত।
১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
সুমন আলী রাসেল বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
এভাবে ভুলগুলো তুলে ধরলে আশা করি সমাজ "কুসংষ্কার" মুক্ত হবে ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সুমন আলী রাসেল আপনি ঠিক ধরেছেন আমাদের ভুল গুলো তুলে ধরাই এ লেখার মুল উদ্দেশ্য। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০
সুমন আলী রাসেল বলেছেন: Same to you...
১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: মসজিদকে আলিশান বানানোটা অগ্রহনযোগ্য। সতভাগ যাকাত আদায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে দ্বিমত করছি, ভিক্ষা প্রসঙ্গে। দ্বীনের প্রতিটি কাজই হয় জনগনের দানে। এমনকি জিহাদের আগে মসজিদ নির্মানের আগে রাসূলুল্লাহ সা. সাহাবীদের থেকে চাঁদা নিয়েছেন। কালেকশন হল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনতার সংযোগ। তবে এটাকে নোংরামীর পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না। দৃষ্টিকটু স্টাইলে কালেকশন গ্রহনযোগ্য না।
১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ভাইজান,
দেশে তো কত্ত মেলা অয়, তয় আপনে একটা টিম গঠন কইরা (অবশ্য রেড স্কয়ার/তাহরির স্কয়ার না) এখখান যাকাত মেলা করেন....আর সবাইকে বলেন যে আপনার সম্পদ আমরা হিসেবে করে বের করে দেই কত টাকা যাকাত আপনার উপর হয়েছে....উক্ত টাকা দেয়া না দেয়া আপনার ব্যাপার -দেখেন কতজন আপনার মেলার বুথে আসে .....আর কত টাকা পান..যা আপনার শিরোনামীয় উদ্দেশ্য হাসিল করতে সহায়তা করবে। শুরু করেন ....আমরাও আসব মেলায়।
১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেন বিশাল মসজিদ তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করতে হবে? বিশ্ব রেকর্ড তো শতভাগ যাকাত আদায় করেও করা যেতে পারে। যে যাকাত আদায় ইসলামের মুল ভিত্তির একটি। তা না করে কেন আলি সান মসজিদ তৈরি করে রেকর্ড করতে হবে। এই রেকর্ড তো বিশ্বের সর্ব বৃহৎ পুনর্বাসন কেন্দ্র করেও করা যেতে পারে। মহান আল্লাহর কাছে কি সেটাই বেশি গ্রহনযোগ্য হত না?
আমার এলাকার দুই মসজিদ কমিটির সাথে এ নিয়ে সচেতন করার চেষ্ট করেছি। কিন্তু হা হতোম্মি!
তারা যুক্তিতে পারেনি- কিন্তু তালগাছও ছাড়েনি!
তাদের কোরআন থেকেই ধরেছিলাম।
সূরা মাউন দিয়ে নামাজ পড়েন ঠিক!
ঠিক
কি বলেন তাতে<
নিশ্চুপ!
লাইনটু লাইন অনুবাদ করে যখন দেখালাম তাদের কথিত নামাজ আল্লাহর ঘৌষনা অনুযায়ীউ আল্লাহর পছন্দ নয়! তখন নিরব!
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
কত জীবন মূকী বাস্তব ভিত্তিক আহবান। প্রতিবেশী, এতিম,দরিদ্রদের প্রতি সামাজিক দায় পূরনের সালাম প্রতিষ্ঠার কি স্পষ্ট আহবান!
অথচ উল্টো পথে লেবাসধারীরা!!!
@নূর মোহাম্মদ নুরু- বিশ্বাসের কিন্তু বহু স্তর রয়েছে! অন্ধ বিশ্বাস, শোনা বিশ্বাস, লোককথায় বিশ্বাস, ভূল বিশ্বাস খূব খৈয়াল কইরা।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদির উপরে এই দ্বায়িত্বই অর্পন করেছেন যাতে তারা তার বানী পৌঁছে দেয় অন্যের কান অব্দি। বাকিটা তো তারই ইচ্ছা। তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন।
২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
গোধুলী রঙ বলেছেন: আমাদের সমাজের এখনকার যে ট্রেন্ড, তাতে চোখ বুজে বলে দেওয়া যায়, মসজিদে দানকৃত সম্পদের অনেকটাই হারাম পথে কামানো। এই হারাম উপার্জনকারীরা উপার্জিত সম্পদের কিয়দাংশ মসজিদে দান করে মনে করে, সব টাকাই হালাল হয়ে গেলো, কোনদিন কোন মসজিদের ইমামকে বা কমিটির কাউকে বলতে শুনিনি, দয়া করে আপনারা হারাম টাকা মসজিদে দান করবেন না।
২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬
প্রামানিক বলেছেন: গালীব ভাই, শুধু মসজিদ নিয়ে লিখছেন কেন? মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা এরকম চোখ ধাঁধানো যে সব অট্টালিকা আছে সব নিয়ে লিখুন।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ইসলাম আমার ধর্ম কাজেই ইসলামের অসঙ্গতি তুলে ধরা আমার দায়িত্ব। আর অন্যান্য ধর্মের অসঙ্গতি যা আছে তা তুলে ধরার দায়িত্ব সেই ধর্মাবলম্বির। আর সেটা আমার জন্য অশোভনও বটে।
২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম; অহংকার আর দম্ভ এখানে স্থান পাবার কথা নয় অথচ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেটাই করা হচ্ছে। আল্লাহ্ এই সমস্ত বিশ্ব রেকর্ড এর ঊর্ধে। অতএব ভাল কাজের হিসাব যদি রেকর্ড করবার মত করা যেত; যদি অহেতুক কাজে সময় আর অর্থ ব্যয় না করে আমরা বিশ্বমানবের কল্যাণে ব্রতী হতে পারতাম; শান্তিময় হোত পৃথিবী।
২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
উচ্ছল বলেছেন: সহমত
২৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
অতৃপ্ত পরান বলেছেন: আমাদের গ্রামে কিছু মাওলানা মসজিদে ফ্যান লাগানোকে বিদা’ত ও শিরকের পর্যায়ে দেখেন আবার কেউ কেউ ফ্যান লাগানোকে অবৈধ মনে করেন না....
আমরা প্রতিদিন প্রতিমাস প্রতিবছর মারামারি করি সাদা টুপি সুন্নাতে রাসূল নাকি কালাটুপি সুন্নাতে রাসূল।
২৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!
ঈমান-আমলের খবর নাই...এসি রুমে বসে জিকিরের ধান্ধা, এই হল আমাদের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট!
২৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্টে সহমত+
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
পদ্মাসেতু বলেছেন:
গত গরমে আমার এলাকার একটা মসজিদে শিলিং ফ্যান সরিয়ে এসি লাগানোর সিদ্ধান্ত হলো। এসি লাগাতে যে বিপুল পরিমান টাকা দরকার সেটা যোগার করতে কর্তৃপক্ষ বাপক হরে চাঁদাবাজি শুরু করে দিল। অথচ মসজিদটি ছিল যথেষ্ট খোলামেলা যেখানে ফ্যানই যথেষ্ট। আমি কাঞ্চিত দ্বিমত করায় কর্তৃপক্ষ আমার পেছনে লাগল।
যাইহোক. মসজিদ কোন আরামখানা নয়, এখানে মূলত কেই আরাম করতে আসে না। রমজান ব্যতিত এখানে কোন মুসুল্লী সারা দিনে সর্বোচ্চ এক ঘন্টা সময়ও থাকে না। এই সল্প সময়ে এসি না থাকলেও বিশেষ কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এটাই আমাদের সেন্টিম্যান্ট। কিছুই বলার নেই।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।