নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
কিছু অন্যায়কে মানুষ সাধারণ কর্ম হিসেবে ধরে নেয়। যেগুলো এক সময় সামাজিকভাবে জায়েজ হয়ে পড়ে। যেমন ঘুষ নেয়া। কোন কোন বিভাগে কি পরিমাণ ঘুষ মেলে এটা আজকাল কারো জানতে বাকি নেই। সে অনুযায়ী আমাদের সমাজে পাত্রের দরও নির্ধারিত হয়ে থাকে।
দুদিন আগের কথা ক্ষিলক্ষেত ফুট ওভার ব্রিজের নিচে গাড়ির জটলায় আটকে গেল সিএনজি। হঠাত চোখে পড়ল রাস্তার উপরে এক লোক পান সিগারেটের ডালা নিয়ে বসেছেন। একজন ট্রাফিক পুলিশ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরির এক ফাকে হঠাত সেই ডালার পাশে মোড়ানো কিছু একটা তুলে নিলেন। পান-সিগারেটের ডালা ওয়ালা নির্বিকার। ট্রাফিক পুলিশ মহোদয় সেখান থেকে দুই পা সরে গিয়ে পকেট থেকে মোড়ানো সেই জিনিসটা বেড় করে চেক করে নিলেন টাকার অঙ্কটা ঠিক আছে কিনা। আর সেটা চেক করে সামনে তাকাতেই আমার সাথে তার চোখাচোখি হয়ে গেল। মুহূর্ত মাত্র অপ্রস্তুত হলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে সমানে হম্বিতম্বি শুরু করে দিলেন।
আজ সকালেই আরেকটি ঘটনার সাক্ষী হলাম, সকাল তখন দশটা। বাসা থেকে বেড়িয়েছি কাচা বাজারের উদ্দেশ্যে। দুইজন কনেষ্টবল একজন আরেকজনকে বলছেন। এই ব্যাটারে কি করা লাগে বল তো। ও বলছে গোফওয়ালা নাকি টাকা নিয়ে গেছে।
বিষয়টা হল রাস্তার পাশে এক অবৈধ দোকানী তার জন্যে নির্ধারিত চাঁদার টাকাটা ঠিকই দিয়েছেন তবে ঐ দুই দায়িত্ব-রত পুলিশ পায়নি নিয়ে গেছে অন্য কেউ। যাকে আবার তারাও চেনেন। হতে পারে তিনি অন্য কোন পুলিশ সদস্য অথবা স্থানীয় মাস্তান।
এই বিষয়গুলি এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে একে এখন অনিয়ম বলাটাও হয়ত অন্যায়।
পুলিশ সদস্যদের ঘুষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পুলিশ প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে। কে যাবেন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিজের বিপদ ডেকে আনতে?
তবে আশার কথা হল ঘুষ যে নিয়ম নয় অনিয়ম আর এর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন সেই অসম্ভব কর্মটি সম্ভব হতে দেখা গেল আজ আরেকবার। আজ শেরে বাংলা নগর থানার দুই কর্মকর্তাকে ঘুষ গ্রহণের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মোট কথা হল ঘুষ গ্রহণ যে সব পুলিশ কর্মকর্তারই নেশা তা তো নয়। কিছু সংখ্যক হয়ত এই দুষ্কর্মটিকে জায়েজ বলে মনে করে থাকেন। তাদের সেই দায়ভার কেন গোঁটা পুলিশ প্রশাসন নিতে যাবে?
অতএব এভাবেই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সুদূর প্রসারী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের এই ব্যাধি মুক্ত করা অতীব জরুরী
[email protected]
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ @ বিজন রয়
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
দস্যুরাজা বলেছেন: "মোট কথা হল ঘুষ গ্রহণ যে সব পুলিশ কর্মকর্তারই নেশা তা তো নয়। কিছু সংখ্যক হয়ত এই দুষ্কর্মটিকে জায়েজ বলে মনে করে থাকেন। তাদের সেই দায়ভার কেন গোঁটা পুলিশ প্রশাসন নিতে যাবে? "- অতি সামান্য ভালো পুলিশের কারনে গোটা পুলিশ প্রশাসনকে ভালো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন না।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সংখ্যাতত্বের হিসেবে নাই বা গেলাম @ দস্যুরাজা। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখায় যুক্তি থাকে।