নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
এই যে দেখছ বুড়ো বট গাছটা
এখানে এক সময় ছিল একটি খিড়কী দোর
কচি কাচার মেলা বসিয়েছিল একদা এখানে
এক জোড়া মানব যুগল।
আর ওপাশটাতে ছিল আরও গোটা কয় ঘর।
একদা এখানে হেরে গলায় গান জুড়ে দিত বাড়ীর ছোটটি।
ও পাশের বাড়ির আড়াল থেকে ভেসে আসত খিল খিল হাঁসি।
গান খানা যে ঐ শব্দকেই উৎসর্গ কৃত তা তো বলাই বাহুল্য।
ঐ যে দেখছ বুড়ো জামরুল গাছটা, বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে।
একদিন ওখানেই বসেছিল দুই বাড়ির সীমানা নির্ধারণের জরুরী সভা
গ্রামের মাধবর, পুরাতন যত জন নিমন্ত্রিত ছিল সকলেই।
ছেলে-পুলে, জোয়ান-মর্দ সবাই এসেছিল সাক্ষী হতে।
হৈ হুল্লুর হট্টগোলে সেবার ভেঙ্গে গিয়েছিল সভাটি।
এক চুল জায়গা ছাড়বে না দুই গৃহস্থের কেউ।
বাক বিতণ্ডা চলল ঘণ্টা কয়, তারপরে লাঠালাঠি।
শোনা যায় এখানেই লাঠালাঠিতে প্রাণ গিয়েছিল বাড়ীর মেজটির।
বছরের পর বছর চলেছিল অমীমাংসিত সেই মামলাখানি
তারপর কয় যুগ কেটে গেছে!
কবে থেকে যে আলগা হতে শুরু করেছে সকল বাঁধন।
বাড়ীটির দখল নিয়েছে কুকুর-শৃগাল, সাপ-বিচ্ছু।
যদিও তাদের সীমানা নির্ধারনী লাঠালাঠির খবর পাওয়া যায়নি কখনো।
তারপরে উই পোকার দখল স্বত্বে একে একে সবাই ছেঁড়ে গেছে ভিটে মাটি।
লোকে বলে বছর কয় বাদে ওলা দেবীর নজর পরে এই গায়ে।
বিনামূল্যে তাকে সব দিয়ে প্রাণে বাঁচে বাঁকি কয় ঘরের মানুষ।
আজ আর কেউ জানে না তাঁরা কে কোথায়, বেঁচে কি মরে।
বলতে পার এমন কেন লাঠালাঠি হয় এই ক্ষনিকালয়ের মালিকানা লয়ে?
কালের বিবর্তনে সেই তো মিশে যায় মাটিতেই!
কার দখলে কদিন কোন ভিটেমাটি?
তোমরা যখন দখলে মত্ত পৃথিবী তখন নিয়তি হাসিয়া কয়,
এক ইঞ্চি জমি লয়ে কত কাড়াকাড়ি!
অথচ তোমার সবটাই বন্ধক নিয়েছি আমি।
============
মোঃ গালিব মেহেদী খান
৯.৭.১৭ ঢাকা
©somewhere in net ltd.