নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুবোধ\'কে কেন পালিয়ে যেতে বলা হচ্ছে?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩


এটি একটি সিরিজ গ্রাফিতি। ঢাকার দেয়ালে দেয়ালে অনেকদিন ধরেই গ্রাফিতিটি আঁকা হচ্ছিল। ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই, সুবোধ তুই পালিয়ে যা- এখন সময় পক্ষে না, সুবোধ তুই পালিয়ে যা ভুলেও ফিরে আসিস না! সুবোধ, কবে হবে ভোর?…’। এমন সব বক্তব্য সম্বলিত ‘সুবোধ’ সিরিজের গ্রাফিতিগুলো আঁকা হয়েছে। গ্রাফিতিতে সুবোধ চরিত্রের ব্যক্তিটিকে চিত্রায়িত করা হয়েছে একজন বিক্ষুব্ধ মানুষ হিসেবে। তার হাতে আছে খাঁচাবন্দী সূর্য, যেটি বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় আছে।

প্রশ্ন হল সুবোধ কেন পালিয়ে যেতে বলা হচ্ছে? তার মানে কি? এতদিন এখানে তার অবস্থানের সুযোগ ছিল, এখন নেই? কেন সে বলছে, তোর ভাগ্যে কিছু নেই। এতদিন কি তবে তার ভাগ্য প্রসন্ন ছিল?সুবোধ যখন বলছে “এখন সময় পক্ষে না, সুবোধ তুই পালিয়ে যা ভুলেও ফিরে আসিস না!” তখন তো সহজেই বোঝা যায় একটা সময় তার পক্ষে ছিল। প্রশ্ন হল সেটা কোন সময়? সুবোধ জানতে চায় কবে হবে ভোর। প্রশ্ন হল সেটা কোন ভোর? কাদের জন্য সূর্যোদয়ের অপেক্ষা করে সুবোধ? কে বা কারা এই সুবোধ?

গ্রাফিতির কথা গুলো কি সাধারণ একজন দেশপ্রেমিকের আকুলতা ফুটিয়ে তোলে নাকি বিশেষ কোন গোষ্ঠীর সাঙ্কেতিক কোন বার্তা ফুটিয়ে তুলছে, ভেবে দেখা দরকার। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সুবোধের কারিগর ভীরু। তার মনোবৃত্তি পলায়নপর। একজন বিদ্রোহী, একজন দেশপ্রেমিক কিংবা একজন সমাজ সংস্কারকের পলায়নপর মনোবৃত্তি থাকে না। সে ঘুরে দাঁড়ায়। সে বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ায়। সে ডাক দেয় আলোতে আসার। সে পালাতে বলে না। সে সূর্যকে নিয়ে ছোটে না। সে অন্ধকারকে ঝাঁটাপেটা করে। একজন বিদ্রোহী পালটে ফেলতে আসে গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে। আর তা করতে গিয়ে সে মরতেও পিছপা হয় না। আর আমরা এখানে যে সুবোধকে দেখছি সে তার উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে পালাতে চাইছে। আমি এই সুবোধকে তাই মোটেই ভাল চোখে দেখছি না।

তবে এটাও ঠিক কেউ কেউ এই সুবোধকে দেখছেন একজন সুস্থ সুন্দর বোধের মানুষ হিসেবে আর আমার মত কেউ কেউ যৌক্তিক কারণেই তাকে দেখছে বাঁকা চোখে। সুবোধ যদি একজন সুস্থ সুন্দর বোধের মানুষ হিসেবে কথাগুলো বলত তাহলে তো ভালই হতো। আর ঠিক তা যে নয় সে ব্যাপারেও নিঃসন্দেহ হওয়ার কি উপায়?

এই গ্রাফিতিকে একেকজন একেকভাবে দেখবে, বিশ্লেষণ করবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই এর কারিগরের সফলতা। কিন্তু একজন সাধারণ সচেতন মানুষ হিসেবে উপরোক্ত প্রশ্নগুলো তো আমরা করতেই পারি। আর সে প্রশ্নের উত্তরও তো থাকা চাই। এক কথায় যদি বলি, তাহলে বলব, সুবোধকে পালাতে নয় এর কারিগররা ঘুরে দাঁড়াতে বললেই আমরা একে শুভ বলে ধরে নিতে পারতাম। এমন কাপুরুষচিত পলায়ন পর মানুষকে কেবল অশুভই বলা যায়।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কয়েকদিন আগে প্রথম আলো পত্রিকায় আরো দুটি গ্রাফিতি দেখলাম। আজকেরটা দেখে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে প্রধান বিচার পতিকে নিয়ে আঁকা নয় তো এই গ্রাফিত??

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সম্ভবত বিষয়টি আরো বেশি জটিল

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

কালীদাস বলেছেন: সুবোধ অনেকদিন ধরে কোন মেয়ের পেছনে ঘুরছিল, আগের রাতে মেয়ের এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে, পাত্রপক্ষ সুবোধের কথা জানতে পেয়ে সুবোধের টেংরি ভেঙে দেয়ার জন্য খুঁজছে। সুবোধের হেল্পার করিম চাচা (বালিকার বাসার সামনের পান দোকানদার) ঘটনা জেনে সুবোধকে বলেছে পালাতে।

সুবোধ তাই সূর্য ওঠার মুহুর্তে বালিকাকে গিফট দিতে নিয়ে আসা ময়না পাখির খাঁচাটা হাতে নিয়ে মহাখালি বাসস্ট্যান্ডের দিকে খিঁচে দৌড়াচ্ছ :P

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: গল্পটা কিন্তু ভাল হয়েছে! অশেষ ধন্যবাদ কালিদাস।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুবোধ তুমি পালাবে কেন, আমরা আছি তোমার সাথে!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমরা দেখতে পাচ্ছি, সুবোধের কারিগর ভীরু। তাঁর মনোবৃত্তি পলায়নপর। একজন বিদ্রোহী, একজন দেশপ্রেমিক কিংবা একজন সমাজ সংস্কারকের পলায়নপর মনোবৃত্তি থাকে না। সে ঘুরে দাঁড়ায়। সে বুক চিতিয়ে রুখে দাড়ায়। সে ডাক দেয় আলোতে আসার। সে পালাতে বলে না। সে সুর্যকে নিয়ে ছোটে না। সে অন্ধকারকে ঝাটাপেটা করে। একজন বিদ্রোহী পালতে ফেলতে আসে। আর তা করতে গিয়ে সে মরতেও পিছপা হয় না। আমি এই সুবোধকে তাই ভাল চোখে দেখছি না।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: ২. ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯ ০
কালীদাস বলেছেন: সুবোধ অনেকদিন ধরে কোন মেয়ের পেছনে ঘুরছিল, আগের রাতে মেয়ের এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে, পাত্রপক্ষ সুবোধের কথা জানতে পেয়ে সুবোধের টেংরি ভেঙে দেয়ার জন্য খুঁজছে। সুবোধের হেল্পার করিম চাচা (বালিকার বাসার সামনের পান দোকানদার) ঘটনা জেনে সুবোধকে বলেছে পালাতে।

সুবোধ তাই সূর্য ওঠার মুহুর্তে বালিকাকে গিফট দিতে নিয়ে আসা ময়না পাখির খাঁচাটা হাতে নিয়ে মহাখালি বাসস্ট্যান্ডের দিকে খিঁচে দৌড়াচ্ছ :P



হা হা হা


কালীদাস ভাইয়ার গল্পটা পড়ে হাসছি তবে এই গ্রাফিটি নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি

মনে হয়েছে কোনো বিপ্লবীর রাঙ্গা চোখ তাকিয়ে আছে ঐ ঝাঁকড়া চুলের মুখায়বের মাঝ দিয়ে। হাতে তার খাঁচায় বন্দী সূর্য্য। যে আরাধ্য দূর্লভ সূর্য্যকে সে খাঁচায় বন্দী করেই ফেলেছিলো তা কেড়ে নিতে চায় কোনো দূর্জনের দল!

আর তাই এই দৈববাণী -

অজ্ঞাত অজানা সেই দৈববাণী ভেসে আসে কানে, গমগমে তার সূর- উৎকন্ঠিত হৃদে বলছে সে সুবোধ তুই পালিয়ে যা.....
এখন সময় পক্ষে না ......

সুবোধের মত সুস্থ সুন্দর বোধের মানুষের বিপরীতে হয়ত একদল বোধহীন মানুষ!!!!!!! :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিষয়টা এমন হলে তো ভালই হতো। আর ঠিক এটা যে নয় সে ব্যাপারেও নিঃসন্দেহ হওয়ার কি উপায়? এই গ্রাফিতিকে একেকজন একেকভাবে ভাববে, বিশ্লেষণ করবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই এর কারিগরের সফলতা।
কিন্তু একজন সাধারন দর্শক হিসেবে উপরোক্ত প্রশ্নগুলো তো আমরা করতেই পারি। আর সে প্রশ্নের উত্তরও তো থাকা চাই। এক কথায় যদি বলি তাহলে বলব, সুবোধকে পালাতে নয় ঘুরে দাড়াতে বললেই আমরা একে শুভ বলে ধরে নেব। এমন কাপুরুষচীত পলায়ন পর মানুষকে কেবল অশুভই বলা যায়।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকে মাঝে মাঝে সুবোধ বলে মনে হয়।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পলায়নপর!

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

অপ্‌সরা বলেছেন: কাপুরুষ তো সুবোধ না, কাপুরুষ সেই দৈববাণী যে তাকে পালাতে বলছে!!!!!!


আর এই দৈববাণীটা সুবোধের চার পাশ, তার সামাজিকতা, আর্থ সামাজিক অবস্থান, পরিবেশের মুখোশ, তার ভবিষ্য বিপদের অশনী সংকেত! :(

কাজেই এতকিছু সাথে এই নিরীহ সুবোধ কি তার বোধ নিয়ে লড়াই করতে পারবে?

চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছেনা তার সে শক্তি আছে।


সুবোধের হাতে খাঁচায় ভরা সূর্য্যের বদলে তবে আঁকা হোক ছড়ি...বা ম্যাজিক ওয়ান্ড! যার ছোঁয়ায় বদলে যাবে কাপুরুষতা

ব্যাঙ থেকে বেরিয়ে আসবে সুপুরুষ সুদর্শন বীর রাজপুত্র .......

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ব্যাঙ থেকে বেরিয়ে আসুক সুপুরুষ বীর হোক সে সুদর্শন রাজপুত্র কিংবা কিম্ভূত কিমাকার। আমরা চাই খাঁচা বন্দি হোক অন্ধকার। আলোয় উদ্ভাসিত হোক সুবোধের মুখখানা। সুবোধ দেখাক পথ হতাশাচ্ছন্নদের। সুবোধ নিজেই যেন হতাশাচ্ছন্ন না হয়ে পরে।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই ধরণের গ্রাফিটি বর্তমান পরিস্হিতিকে Representative করে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেটা হয়ত ঠিক তবে এক কথায় যদি বলি, তাহলে বলব, সুবোধকে পালাতে নয় এর কারিগররা ঘুরে দাঁড়াতে বললেই আমরা একে শুভ বলে ধরে নিতে পারতাম। এমন কাপুরুষচিত পলায়ন পর মানুষকে কেবল অশুভই বলা যায়

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যুগান্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী গোয়েন্দারা নাকি এর আর্টিস্টদের খুঁজছে। এগুলো আবার কোন গোষ্ঠীর মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা কিনা কে জানে...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সম্ভবত!

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

রাকু হাসান বলেছেন:

সুবোধ কে মনে হচ্ছে পরিবর্তন পন্থী । আপনি যে প্রশ্নগুলো রেখেছেন সেগুলো আমারও । ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইভাবেই বিশ্লেষণ করা যায় । এটা সত্য সুবোধ গ্রাফিতি দিয়ে ইতিমধ্যে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে । সুবোধ কোন ভোরের অপেক্ষা করছে ,সংস্কার নাকি পরিবর্তন ? নাকি বিপ্লব । জানি না কবে সুবোধ চরিত্র সৃষ্টিকারী প্রকাশ হবে। ধন্যবাদ । গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.