নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
ব্যবসায়ীর ব্যবসা নেই, মাথার উপর দায়!
চাকুরী জীবীর চাকুরী নেই, মাথার উপর সংসারের বোঝা!
শ্রমিকের কাজ নেই, হাতে টাকা নেই।
চারিদিকে করোনা আতঙ্ক কখন যেন আক্রান্ত হয়ে পরি!
সারাক্ষণ ঘরে থেকে থেকে এক ঘেয়েমীতে পেয়ে বসেছে।
সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আসলে আমরা কেউই ভাল নেই। আর এই যে ভাল নেই এর ফলে সংসারে অশান্তি চরম আকার ধরন করেছে, টেনশনে উচ্চ রক্ত চাপ সহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে আমরা খারাপ একটা সময়ের সাথে এগোচ্ছি খুব খারাপ এক সময়ের দিকে। কিন্ত এরই মধ্যে গুটি কয় লোককে দেখতে পাই ইর্ষনীয় সুখে আছেন তারা। এই একই সমস্যা গুলোয় জর্জরিত থেকেও তারা দারুণ নির্লিপ্ত-নির্ভার জীবন যাপন করছেন। কি করে সম্ভব! তাদের এই সুখে থাকার সুত্রটাই বা কি?
ভীষণ সোজা, আর তা হল। স্রষ্টার দিকে ফিরে যাওয়া। আমরা দুনিয়া নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে, এ জীবনটা যে একেবারেই ঠুনকো তা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম আসলে মানুষের ক্ষমতা ভীষণ সীমিত। একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের কাছে তাবৎ পৃথিবীর মানুষকে অসহায় করে দিয়ে মহান আল্লাহ মানুষকে আরেকবার একদিকে তার ক্ষমতার ব্যাপ্তি বুঝিয়ে দিলেন অন্যদিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন মানুষ কত নগন্য। কত সীমিত তার ক্ষমতা।
মহান আল্লাহ সুরা সাজ দাহ'র একুশ নম্বর আয়াতে বলেন “কঠিন শাস্তির পূর্বে আমি তাদেরকে হালকা শাস্তি আস্বাদন করাবো, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে।” হ্যাঁ এই প্রত্যাবর্তনই আমার আলোচ্য বিষয়। যারা এই আয়াতের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে সক্ষম হন তারাই এই বিপদে ধৈর্য ধারণে সক্ষম হন; আর তারাই নির্ভার থাকেন।
আমরা বিশ্বাস করি মৃত্যু নির্ধারিত। নির্ধারিত তার নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট স্থান এবং নির্দিষ্ট ক্ষণ অতএব মৃত্যু ভয়ে ভিত না হয়ে আমাদের ভিত হওযা উচিত মৃত্যু পরবর্তী সময়ের জবাবদিহিতা নিয়ে। যা আমাদের নিয়ে যাবে ইবাদত গৃহে। সকল ভুল, সকল অন্যায় থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে নিবে। একই সাথে আমাদের মন শান্ত হবে,আমরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারব।
আমরা সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করব সুস্থ থাকার, তারপরে তাওয়াককুল করব একমাত্র স্রষ্টার উপর।
আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ভাল থাকার, তারপরে তাওয়াককুল করব একমাত্র স্রষ্টার উপর।
আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইবাদত বন্দেগীতে রত থাকার, তারপরে তাওয়াককুল করব একমাত্র স্রষ্টার উপর।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে যে, আমাদের সুস্থতা আমাদের হাতে নেই, আমাদের রেজেক আমাদের হাতে নেই, আমাদের ভাল থাকাও আমাদের হাতে নেই। এর সবটাই মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তিনি চাইলে আমরা সুস্থ থাকব, ভাল থাকব, শান্তিতে থাকব। মহান আল্লাহ তার বান্দাদের বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তার উপরে তাওয়াককুল করতে। আমরা সেটাই করব। একমাত্র এই বোধোদয়ই পারে আমাদের নির্ভার থাকতে।
করোনা ভাইরাসের এই সময়ে পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছে। মহান আল্লাহ সেই সব হেদায়েত প্রাপ্তদের সাথে আমাদেরকেও হেদায়েত দান করুন এবং হেদায়েতের উপরেই রাখুন। শেরকমুক্ত ইমান নিয়ে মৃত্যু দান করুন। শেরকমুক্ত ইমান নিয়ে মৃত্যু একজন মানুষের জন্য সবথেকে বড় প্রাপ্তি। মহান আল্লাহ আমাদের তার অনুগ্রহ প্রাপ্ত বান্দাদের সাথে শামীল করুন, আমীন।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রতিটি বিষয়কে মানুষ তার মত করে বিশ্লেষন করে। এখানে দৃষ্টিভঙ্গিটাই আসল কথা।
২| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত আপনার সাথে। ভালো কথা বলেছেন।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভাল থাকুন আপনিও। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এক সুযোগে আসুন আমরা তসবি নিয়ে বসে যাই যে যার যায়গায়।দুই দিনের দুনিয়ায় কাজকর্ম করে কি লাভ।মরতে তো হবেই যত তাড়াতাড়ি মরবো ততই লাভ।দুনিয়াদাড়ি সকল মিছা।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তসবি নিয়ে যেমন বসি ঠিক তেমনি কাজটাও মন দিয়েই করি। মৃত্যু যখন আসবে তখন মুহুর্তমাত্র ঠেকিয়ে রাখতে পারব না। আর সে জন্যেই যাওয়ার আগে কিছুটা পাথেয় যেন জোগাড় করে নিয়ে যেতে পারি।
৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই করোনা মানূষকে একবারে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আজ সে দেশের পথে পথে ভিক্ষুক দিয়ে ভরা।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: খুব বেশি আগের কথা নয় সাত কোটি মানুষের দেশে ৩০ শতাংশের তিন বেলা খাবার জুটত না। সেই দেশের আঠার কোটি মানুষের খাদ্যে সয়ংসম্পুর্নতা মহান আল্লাহর অশেষ কৃপা। অতএব আমাদের চেষ্টা আর মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় এই সময়কেও আমরা জয় করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ ।
৫| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বাড়ির মালিক একটাকাও ছাড় দিচ্ছে না । একমাসের, দিলাম তিন মাস বাকি।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা হল আমরা কেউ ছাড় দিতে চাই না, অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! একদিন আমাদের সব কিছুই বিনা শর্তে ছেরে চলে যেতে হয়!
৬| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: খুব বেশি আগের কথা নয় সাত কোটি মানুষের দেশে ৩০ শতাংশের তিন বেলা খাবার জুটত না। সেই দেশের আঠার কোটি মানুষের খাদ্যে সয়ংসম্পুর্নতা মহান আল্লাহর অশেষ কৃপা। অতএব আমাদের চেষ্টা আর মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় এই সময়কেও আমরা জয় করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ ।
আল্লাহ মনে হয় কৃপা করবেন না। আল্লাহ মানূষের উপর খুব বেশি রেগে আছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৫
মা.হাসান বলেছেন: করোনা আত্মোপলব্ধির কিছু সুযোগ দিয়েছে, মানুষের সাথে সহানুভুতি দেখানোর সুযোগ দিয়েছে, বেশ কিছু লোকের জন্য ফ্রি সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। সময় থাকতে সুযোগ কাজে লাগানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে।