নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
অর্থ মন্ত্রণালয় কি এ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পেরেছে যে আসলে তারা পণ্য মূল্যের উপর কত ভাগ কর আরোপ করতে চায়?
যদি পারত তাহলে তো ভ্যাট এর নামে ঘাটে ঘাটে এমন চাপ সৃষ্টির দরকার হত না। তারা জানেই না যে একটি পণ্যের উপর কত ভাগ কর আরোপ করা সঙ্গত। আর সেটার বাস্তাবায়নইবা কিভাবে করা উচিৎ।
একজন ক্রেতার লক্ষ তার চাহিদা পণ্যটি কার কাছ থেকে কতটা কম দামে পাওয়া যায়। সে লক্ষে সে অনলাইন অফলাইন, পাইকারি খুচরা সব মার্কেটে ঘুরে বেড়ায়।
ধরুন একজন ক্রেতা একটি পণ্য পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করলেন। বিক্রেতা তার কাছ থেকে পণ্য মূল্যের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত কর আদায় করে পণ্যটি বিক্রি করলেন।
ঐ একই পাইকারি মার্কেট থেকে যখন একজন খুচরা বিক্রেতা একই পণ্য ক্রয় করবেন তাকেও সরকারী কর সমেত পন্য মূল্য পরিশোধ করতে হল। এখন এই খুচরা বিক্রেতা যখন ঐ কর শোধ করা পণ্যটি একজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে যাবেন তখন তাকে নতুন করে পণ্যটির উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে পণ্যটি বিক্রি করতে হবে। তাহলে এবারের ক্রেতাকে আগের ক্রেতার থেকে দ্বিগুণ কর শোধ করতে হবে। প্রশ্ন হল সে কেন এই দ্বিগুণ কর পরিশোধ করবে?
একই মার্কেটে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতা থাকে। পণ্য যতবার হাত বদল হবে ততবার যদি কর পরিশোধ করতে হয় তাহলে দোকান ভেদে পণ্য মূল্য বেড়ে যাবে। তাহলে খুচরা বিক্রেতাদের বিকিকিনি বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে লাভটা কার হবে?
সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীক স্বার্থে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতারা এমন পন্থা বেছে নিতে বাধ্য হবে যাতে এই করের আওতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেটা নৈতিক উপায়ে হোক কিংবা অনৈতিক। রাস্তা তাদের খুঁজে বেড় করতেই হবে। অন্যথায় খুচরা ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেরে দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় চুরি ছিনতাই করে বেড়াবে।
আমাদের দেশে পাইকারি এবং খুচরা এই দুই শ্রেণীর মাঝে আরও এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী আছে যারা পূর্বোক্ত দুই শ্রেণীর মাঝে অনেকটা সেতু বন্ধনের মত কাজ করে। এরাও বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। সরকার এদেরকেই বা কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবে। এরা পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ লাভ করে তাকে দশমিকের পরে ফেলতে হয় অর্থাৎ সাকুল্যে ১% এরও কম। যদিও তাদের বিক্রয়ের পরিমাণ অনেক বেশি তাই তার কম লাভেও ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হন। কিন্তু প্রশ্ন হল হল সরকার এদের বিক্রয়ের উপর কত পার্সেন্ট কর বসাবে?
অথচ সরকার যদি পূর্বেই পণ্য ভেদে তার মূল্য সহযোজন কর ঠিক করে নিতে পারত। তাহলে সেই পরিমাণ অর্থ আমদানি শুল্কের সাথে অথবা উৎপাদন শুল্কের সাথে যোগ করে দিতে পারত। ভ্যাট এর পরিমাণ যাই হোক সরকার সেটা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আদায় না করে উৎপাদক এবং আমদানীকারকের কাছ থেকে পূর্বেই নিয়ে নিতে পারত। তাতে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে সম্পূর্ণ কর জমা হত অন্যদিকে বিক্রেতা এই বাড়তি ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পেত। বাজার মুল্য স্থিতিশীল থাকত। সরকার এই সহজ পথে না হেটে যদি বাঁকা পথে হাটে তাহলে এর নানাবিধ সমস্যা দিনকে দিন প্রকাশিত হবে, কর আদায় হবে না।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র এন্টারপ্রেরনাররা সরকারের কাছ থেকে কোন রকম কোন সুযোগ সুবিধা পায় না। আর তারা সে আশায় বসেও থাকে না। উলটো সরকার ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে টিন সার্টিফিকেট প্রতিটি ক্ষেত্রে অযথা জটিলতা এবং উচ্চ কর ধার্য করে রেখেছে। তারপরেও যদি এভাবে একের পর বোঝা চাপাতে থাকে তাহলে দেশের জিডিপিতে সবথেকে বেশি অবদান রাখা এই খাত এক সময়ে মুখ থুবরে পরতে বাধ্য হবে। সে দায় কে নেবে?
০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি দরিদ্র মানুষ তবু ভ্যাট দেই। কিন্তু আমার ভ্যাট সরকার পর্যন্ত পৌঁছায় কিয়া তা জানি না।
০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেটাও একটা বড় প্রশ্ন!
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা একটা আধুনিক ব্যবস্থা।টেক্সের জন্য পিটাপিটি না করে যখনই পন্য কিনতে যাবেন তখনি ভ্যাট দিয়ে আসবেন।
আমাদের দেশে সঠিক আদাই হয় না।ক্রেতা বিক্রেতা যোগসাজশে ভ্যাট ফাঁকি দেয়।কাগজে লেখা ভ্যাট বেশির ভাগই ফাঁকি ।
০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যখনই পন্য কিনতে যাবেন তখনি ভ্যাট দিয়ে আসবেন। এখানে পন্য ক্রেতা বলতে ভোক্তাকে বোঝানো হয়েছে। প্রশ্ন হল একটি পন্য উৎপাদক থেকে ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছুতে কয়টি হাত ঘোরে? যতটি হাত ঘুড়বে ততবারই কি ভ্যাট দিতে হবে? যদি তাই হয় তাহলে একশ টাকা মূল্যমানের একটি পন্যের ভ্যাট যদি হয় ৫ টাকা তাহলে ঐ পন্যটি তিন হাত ঘুরে এসে মুল্য দাঁড়াবে ১১৫ টাকা। আবার ঐ একই পন্য এক হাত ঘুরে ভোক্তার হাতে পউছুলে তারা মুল্য হবে একশ পাঁচ টাকা। এখন ক্রেতা ঐ হাত অর্থাৎ পাইকারী বিক্রেতাকে খুজবে। খুচরা বিক্রেতা যাবে কোথা?
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর একটা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন। আপনার যুক্তির সাথে একমত পোষণ করছি।
ভ্যাট-এর সবচাইতে খারাপ দিক হলো, ধনী-গরীব-ভিক্ষুক নির্বিশেষে সবাইকে এর বোঝা বহন করতে হয়। অর্থাৎ, একজন নিঃস্ব বা ভিক্ষুককেও ট্যাক্স দিতে হচ্ছে, কারণ, কোনোকিছু কিনলেই তাকে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। এটা 'অমানবিক'।