নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
আমাদের এই দূরত্ব কি কখনো ঘুচবে না?
এটা দূরত্ব হলে হয়ত ঘুচে যেত, কিন্তু এটা তো দূরত্ব নয়।
তাহলে?
একে তুমি দূরে সরে যাওয়া বলতে পার। দূরত্ব আর দূরে সরে যাওয়া এক নয়।
বুঝিয়ে বল।
দেখ দূরত্ব একটি নির্দিষ্টতা নির্দেশ করে। যেটা স্থির যা অতিক্রম করা সম্ভব। যা স্থির নয় তাকে অতিক্রম করা যায় না। মহাকালের অমোঘ নিয়মে মহাবিশ্বের প্রতিটি অবজেক্ট একের থেকে অন্যে ক্রমশ দূরে সরে যায়। যেদিন মহাবিশ্ব এক মহা বিস্ফোরণে একাট্টা থেকে বেড়িয়ে গেল। সেদিনই প্রত্যেকে তার নির্দিষ্ট কক্ষ খুজে পেল। আর সেই দুরস্ত কক্ষ থেকেই তারা ক্রমশ একের থেকে অন্যে দূরে সরে সেতে লাগল আমৃত্যু এ বিধানে কোন পরিবর্তন আসবে না। ঠিক তেমনি আমরাও একে অন্যের থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি।
এমনটা তো নাও হতে পারত!
নাও হতে পারত না বলে বল, অমনটা না করলেও তো হত।
দুটি প্রাণ যতক্ষণ এক হয়ে ছিল তখন সে জোটবদ্ধতা মূল্য পায়নি। তাই কেবলই অসহিস্নুতা, কেবলই ছুটে পালানোর প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলেছে অহর্নিশ। এক সময় পুঞ্জিভূত সকল ক্ষোভ - ক্রোধ - ঘৃণা একত্রিত হয়ে বিস্ফোরিত হল। দুটি প্রাণ আলাদা হয়ে দুটি আলাদা কক্ষ পথে ছিটকে গিয়ে স্থির হল। আর সেই থেকেই একে অপর থেকে দূরে সরে যাওয়ার শুরু। যা চলবে আমৃত্যু। তুমি আর কিছুতেই একে এক করতে পারবে না।
তবে কি আমরা কেবল হাপিত্যেশ করেই মরবো?
কেবলই ফিরে দেখা, স্মৃতির ধুলো ঝারা অথবা সব ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়া। দুটো পথই তো খোলা।
সব ভুলে কি নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়া যায়?
যায় বৈকি । সেটিই বরং স্বস্তির।
যারা অতীত আঁকড়ে পরে থাকে তারা ভুল?
অতীত আঁকড়ে থাকা শুধু নিজের জন্যই বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে না অন্যের জীবনকেও অতিষ্ঠ করে তোলে।
তুমি বলছ ফেলে আসা পথে না ফেরাই ভাল?
যদি কেউ দু হাত বাড়িয়ে না দাড়িয়ে থাকে তাহলে সে পথে ফিরে যাওয়াটা আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু নয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ক্রমশ প্রকাশ্য.............
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু বুঝতে পারলাম না।