নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাট হাজারী মাদ্রাসার অর্থ সংকট!

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলি মানুষের দানের টাকায় চলে এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু বিপুল প্রতিপত্তিশালী হাট হাজারী মাদ্রাসা যে এমন অর্থসংকটে পরে যেতে পারে এটা একটু আশ্চর্যজনক বৈকি।
করোনা কালীন লক ডাউনে সকল মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠলেও একটু লক্ষ করলেই দেখবেন মসজিদ মাদ্রাসার দানের পরিমাণ বেড়েছে বৈ কমে নি। তার কাড়ন হল এই বিপদের সময় মানুষ আরও বেশি আল্লাহ্ ভীরু হয়ে পড়ে এবং দান খয়রাতের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। যদিও সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জায়গা মত নয়। কিন্তু তাই বলে তার দানের পরিমাণ কমে না।
আমরা রিকশাওয়ালাকে দশ টাকা কম দিতে পেরে যেমন দ্বিগ্বিজয়ী হই তেমনি রিকশা থেকে নেমে সুঠাম দেহের অধিকারী সুললিত কণ্ঠে গজল গাওয়া লোকটির হাতে ঐ দশ টাকা গুজে দিয়ে মহা তৃপ্ত হই। তার কাড়ন হল আমাদের মগজে ঢুকে গেছে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তার মুমিন বান্দাদের জন্য নির্ধারিত আটখানা জান্নাত ভিখারিদের কাছে ইজারা দান করে বসে আছেন। কাজেই সেই জান্নাত কিনতে হলে আমাদের এই ইজারাদারদের কাছ থেকেই নিতে হবে। যা তারা সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করে থাকেন। চড়া দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে যার মূল্যও এখন অনেক বেড়ে গেছে। দশ পয়সা নেয়া দিয়ে শুরু করা ভিখারি এখন আর দশ টাকার নিচে ধরেই না। সেটা আমরাও সহজেই মেনে নিয়েছি। বিষয়টা এমন দাড়ায় যে মাথার ঘাম পেয়ে ফেলে শ্রমের ন্যায্য মূল্য চাওয়ার থেকে বিনাশ্রমে বেহেশতের ইজারা নিয়ে সুর করে করে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করাটা অনেক বেশি সম্মানের! অনেক বেশি বুদ্ধিমানের! পেশাটা বেশ লাভ জনক। আর সে কাড়নেই হয়ত কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি শিশুকেই হাত পাততে শেখানো হয়, শেখানো হয় কিভাবে বেহেশত বিক্রি করতে হয়। কেবল শেখানো হয় না "নবীর শিক্ষা⁠— ক’রো না ভিক্ষা, মেহনত কর সবে।"

কওমি মাদ্রাসার এতিম শিশুদের নাকি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অনেক কষ্টে সৃষ্টে লালন পালন করেন অথচ সত্য হল এই যে, এ দেশে একমাত্র কওমি শিক্ষার্থীরাই জোর গলায় বলতে পারে "আমরাই স্বাবলম্বী "। তারা যে শুধুমাত্র নিজেদের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করে তাই না, একই সাথে তাদের শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যবস্থাও তারাই করে। সেটা ভিক্ষা করে হোক আর অন্যের দানের পয়সায় হোক। বাহক তো এই শিক্ষার্থীরাই।

শুরু করেছিলাম হাট হাজারী মাদ্রাসার অর্থ সংকট নিয়ে, শতাব্দী প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের ঠিক তখনই অর্থ সঙ্কটের কথা মনে হল যখন সরকারী মহল থেকে কওমি মাদ্রাসার আয় ব্যয়ের হিসেব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল। যখন একে একে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এটা ঠিক, “মাহে রমজান কওমি মাদ্রাসাসমূহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। কারণ, সাধারণত এ মাসেই মুসলমানগণ যাকাত, ফিতরাহ আদায় এবং অধিক সাওয়াব অর্জনের আশায় অধিক দান-সদকা করে থাকেন।
প্রশ্ন হল, এতদিন ধরে যারা দান-সদকা করে এসেছেন এমন তো নয় যে এবার তারা তা দিবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাকি গরীব-এতিম ছাত্রদের সারা বছরের খোরাকি ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ করার সাথে সাথে এবার নেতাদের মামলার খরচ জোগানের জন্য বেশি টাকা প্রয়োজন?
অবশ্য এটাও ঠিক যে কওমি নেতারা যে ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে তাতে হয়ত তারা নিজেরাই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে, এতদিন ধরে পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছেন তারা এবার আর হয়ত করবেন না। বিষয় যাই হোক এর প্রভাব যেন এই মাদ্রাসায় আট হাজার ছাত্র এবং শতাধিক শিক্ষকের উপর গিয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সরকারকেই লক্ষ রাখতে হবে। একই ভাবে এতিম শিশুদের ইচ্ছেমত ব্যবহার বন্ধ করতে এবং তাদের সুশিক্ষায় নিশ্চিত করতে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসার কর্তৃত্ব সরকারের নিজের হাতে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। মাদ্রাসা বোর্ড, ইসলামী ফাউন্ডেশন অথবা যে কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানকে এর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হোক।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বানরের গলায় মুক্তোর মালা প্রদান।
এদেরকে দান করা উচিত নয়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এদেরকে দান করা উচিত নয়। এদেরকে দান করলে প্রকৃত পাওনাদার উপেক্ষিত হয়।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৯

নতুন বলেছেন: মাজার, পীরের দরগা ওরস সবই নিয়ন্ত্রনে আনা উচিত।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিশ্চয়ই, এ সবই এক সূত্রে গাথা,

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সরকারী প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধানে রাখাটা খুব জরুরী।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ঠিক তাই, সরকারী প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধানে রাখাটা খুব জরুরী।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৫

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আফগানিস্তানের তালেবানের মতো আমাদের দেশে কওমী মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদেরকে মগজ ধোলাই ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সত্য কথাটি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মহান আল্লাহ্ শুধুমাত্র‌ কুরান মুখস্থ করতে বলেন নি। কুরান বুঝতে, কুরান নিয়ে গবেষনা করতে বলেছেন এবং কুরানের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। কজন মাদ্রাসা ছাত্র আছেন যারা কুরানের তাফসীর পড়ছেন, গবেষনা করেছেন। গলদটা ওখানেই। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই সংকট বানানো। সাজানো। রমজান মাস এলেই হুজুরেরা এরকম শুরু করে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হুজুরেরা এরকম শুরু করে কারন তাতে তারা লাভবান হয়। দোষটা আমাদেরও তো কিছু কম নয়। তাই না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.