নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধিকার

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১০

মেয়েটি যখন বাইক লইয়া শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করিয়া বাইকখানি পার্কিং করিতে গেল, একদল যুবক "জয় শ্রীরাম" বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিল। ভয় না পাইয়া মেয়েটি "আল্লাহু আকবার" বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিল। সবাই তাহাকে বাহবা দিল। ভারতীয় একটি মুসলিম সংগঠন তাহাকে পাঁচ লাখ রুপি দিল। বাংলাদেশ থেকেও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ঘোষণা করিলেন তাহাকে পুরস্কৃত করা হইবে।

খলিফা এরদোয়ানও না কি ভারতকে হুঁশিয়ারি করিয়া বলিয়াছেন, মেয়েটির কিছু হইলে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিবেন। যাহোক, মোটামুটি দেখা গেল ভারতের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষও মেয়েটির পক্ষে। কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তো বলিলেন, মেয়েদের বিকিনি, হিজাব ও বোরখা পরার অধিকার আছে। সুশীল সমাজও এমন বলিতেছে।

আচ্ছা, বিকিনি কি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে পরার বিধান আছে? সে না হয় বাদ দিলাম। বিকিনি পরে দুষ্টু মেয়েছেলেরা। উহারা ছেলেদের বিপথগামী করিতে চায়। এখন কথা হলো, কোনো হিন্দু, শিখ বা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মেয়েরা যদি স্ব স্ব ধর্মীয় পরিচ্ছদ পরিধানপূর্বক শিক্ষাঙ্গনে যায়, কর্তৃপক্ষ বা সুশীল সমাজ কী বলিবে?

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ড্রেস কোড থাকে, তাহাই মানা বাধ্যতামূলক। মেয়েটি যদি মাদ্রাসায় পরিত তাহার ড্রেস কোড লইয়া কাহারও ঝামেলা হইত না। তাহা সত্ত্বেও সে কেন ইহুদি-নাসারাদের প্রতিষ্ঠানে পড়িতে গেল, সেটা বোধগম্য হইতেছে না। আল্লামা শফি বলিয়াছিলেন, মেয়েদের চতুর্থ শ্রেণির অধিক পড়া আবশ্যক নহে। এখন প্রশ্ন হলো, এই বালিকা কি সহি সালামতে ধর্ম পালন করিতেছে? মেয়েদের কি উচ্চ স্বরে কথা কহিবার অধিকার আছে? তাহা ছাড়া মেয়েটি মাহরাম ছাড়া বাহিরে বাহির হইয়াছে; ইহা কি ধর্ম সম্মত?



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

বিটপি বলেছেন: ড্রেসকোড কেবল মুসলিম মেয়েদের জন্য? শিখ ছেলেদের জন্য নয়? তাদের পাগড়ি নিয়ে তো কেউ আপত্তি তোলেনা।

হিন্দু শিখ বা অন্যন্য সম্প্রদায়ের মেয়েদের পোশাক কোড ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু মুসলিমদের জন্য হিজাব পরা ফরজ। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোড থাকলেও মুসলিম মেয়েদেরকে অবশ্যই ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা মানতে হবে।

মেয়েটির যে ধরণের শিক্ষার চাহিদা আছে, তা মাদ্রাসা পূরণ করতে পারবেনা - তাই স্কুলে গেছে। হার্টের পেশেন্ট নিশ্চয়ই দাঁতের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে যাবেনা।

মেয়েটির বক্ষের কাপড় সরে গেছে - এরকম কিছু আমি ভিডিওতে দেখতে পাইনি। মেয়েদের উচ্চ কন্ঠে কথা বলার অধিকার ধর্ম দেয়, সমাজ দেয়না। রাসূলের (স) দরবারে মহিলারা উচ্চস্বরেই কথা বলতেন। মহিলারা পেছনে বসতেন, তাই তাদেরকে উচ্চস্বরে কথা বলতে হত। মাহরাম ছাড়া মেয়েরা বাইরে বেরুতে পারবে, কিন্তু কোন সফরে যেতে পারবেনা। সফর বলতে ৪৮ মাইল বা ৭৫ কিমি এর অধিক দূরত্বে বুঝায়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ড্রেস কোড অবশ্যই সবার জন্য, নির্দিষ্ট কোন সম্প্রদায়ের জন্য নয়।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

সাহিনুর বলেছেন: হাহাহহাহাহাহাহাহাহা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন:

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কথা হলো- তোমরা লেখাপড়া করতে গেছো। মন দিয়ে লেখাপড়া করো। বাবা মার স্বপ্ন পূরন করো। ঝামেলায় জড়ানো কেন?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরা ধান্দা করতে যায়।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোরখাটাই দেখলেন। মেয়েটার অন্যায়ের প্রতিবাদের সাহসটা দেখলেন না। ড্রেস কোডে ধর্মের জন্য শিথিলতা রাখার প্রয়োজন আছে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট ড্রেস কোড মেনে চলার দরকার আছে।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৮

জ্যাকেল বলেছেন:

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৪

সোবুজ বলেছেন: হিজাব গেরুয়া আপাতত দুটিই বন্ধ।হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.