![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে আমার মধ্যে একটা ভূত চেপে বসে। সেই ভূতটা আমায় দিয়ে কিছু বলিয়ে নিতে চায়। আমার ভিতরে আলোড়ন তুলে আমায় তোলপাড় করে ফেলে। ভূতটা কিছুতেই বুঝতে চায়না আমার ক্ষমতা নেই যে আমি আমার ভিতরের “আমি”টাকে শব্দ দিয়ে বাইরে বের করে আনব। তবু চেষ্টা করি। ইদানিং আবিষ্কার করলাম সেই ভূতটা আর কেউ নয়। আমার বিবেক, আমার মনুষ্যত্ববোধ।আমি এখানে অন্য কিছু বলতে এসেছি। ঠিক অন্যরকম কিছু যা আমাদের বিবেককে, আমাদের মনুষ্যত্ববোধকে একটু হলেও নাড়া দেবে। আমার লেখাগুলো আমার ভিতরের সেই ভূতের গল্প।আমার মধ্যে দুইটা “আমি”র বাস। একটা এই আমি, সুজন সরকার। যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত ভাবে, স্বপ্ন দেখে। আর একটা আমার অন্তর। অনিন্দ্য অন্তর অপু। যে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়াল ভেঙ্গে পৃথিবীটাকে অন্য চোখে দেখে, বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখে প্রচলিত সমাজ, প্রচলিত সব বস্তাগলা পচা নিয়ম নীতির। অপেক্ষা করছি এমন একদিনের যেদিন আমার অন্তর যে স্বপ্ন দেখে, এরকম স্বপ্ন সেদিন দেখবে অনেকেই। সেদিন সত্যি পৃথিবী বদলে যাবে।▓▒░▒▓【অনিন্দ্য】▓▒░░▒▓【 অন্তর 】▓▒░░▒▓【 অপু 】▓▒░▓
আমার বিয়ের কার্ড প্রথম আমার হবু শ্বশুরকে দিলাম;
শ্বশুর হতবাক, তার মেয়ের আসন্ন দুর্যোগ চিন্তায় স্তব্ধ।
আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ।
তার ছল ছল চোখে দেখলাম শুধুই হতাশা।
আমার অফিসের বসকে আমার বিয়ের কার্ডটা দিতেই
তিনি তেড়ে উঠলেন। একটা কড়া ঝাড়ি দিয়ে বললেন,
“গত সপ্তাহেই তো ছুটি নিয়েছো।
আজ আর ছুটি পাবেনা। যাও।”
ওটা আমার বিয়ের কার্ড বলতেই ভ্রু- কুচকে বস
খামটা খুললেন, আমার দিকে উদাসীন চোখে তাকালেন।
আমার বন্ধু ইকবালকে বিয়ের কার্ডটা দিলাম।
ও খামটা খুলেই আমার দিকে ওর দীর্ঘ লোমশ
শরীরটা নিয়ে তেড়ে আসল।
আমি দৌড় দিলাম ওর বিখ্যাত ঘুষিটা এড়ানোর জন্য।
শুনলাম ও বলেছে, “শালা, আমার সাথে ফাজলামি।
এটা তোর বিয়ের কার্ড? তোকে পেয়ে নেই হাতের নাগালে।”
নীতার হাতে বিয়ের কার্ডটা দিলাম,
এই কার্ডে আমার নামের পাশে কনে হিসেবে ওর নাম লেখা।
পাতলা হলুদ খামে, সাদাকালো নকশাবিহীন একটা ফটোকপি কাগজ।
আমার বিয়ের কার্ড।
নীতা উল্টে পাল্টে কয়েকবার পড়ল কার্ডটা,
ওর চোখে অঝড় বৃষ্টি ঝড়ল, কাপা ঠোঁটে
কিছু হয়ত বলতে চাচ্ছিল, কিন্তু ওর ঠোঁটের ক্ষমতা নেই
ওর ভিতরটা শব্দ দিয়ে বাইরে বের করে আনবে।
ওর ভিতরের ঝড় শুধু বৃষ্টি হয়েই ওর চোখে নামল।
নীতা শুধু ঝুকে এসে আমায় প্রণাম করল।
বুঝলাম ওর হৃদয়, ওর সমস্ত অস্তিত্ব আমার কাছে
সমর্পন করে দিয়ে ও অপেক্ষা করছে
আমার আত্মায় একাত্ম হওয়ার জন্য।
শুধু নীতাই বিয়ের কার্ডের উল্টো পিঠ পড়েছিল।
ওখানে লেখা ছিল,
“হিসেব করে দেখলাম, আমার ৫০০ অতিথির জন্য
৫০০ টা কার্ড ছাপতে অন্তত ৫০,০০০ টাকা লাগবে।
এ টাকায় আমি অন্তত ৫০০ দুঃস্থ, অভাগার মুখে
একবেলা একটু ভালো খাবার তুলে দিতে পারব।
তাই ২৫০ টাকায় ছাপানো আমার ৫০০
বিয়ের কার্ডের একটি আপনাকে।”
৫০০ মানুষের কয়েক সেকেন্ডের দৃষ্টি ক্ষুধা মেটানোর
চেয়ে ৫০০ মানুষের একবেলা বেঁচে থাকার ক্ষুধা
মেটানোই কি বেশি প্রয়োজন নয়? বেশি সুন্দর নয়?
কাগজে আঁকা কাল্পনিক সৌন্দর্য্যের চেয়ে
মনের বাস্তব সৌন্দর্য্যই কি আরও বেশি সুন্দর নয়?
-------------------- শালিকের ফ্ল্যাটে সাবলেট থেকে ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০
অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল ।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর অসাধারণ সুন্দর লিখেছেন।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৯
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: কাল্পনিক নয় লেখাটা বাস্তবায়নের জন্য দোয়া এবং অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮
মোঃ অামিরুল বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভাই।