নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতার প্রতি ভালবাসায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- কবিতার বিষ কামড়ে তাড়িত একজন শ্রাবণ মুদ্রিত ভেজা কাক- যে ঘুমিয়ে পড়া চেতনার দরজায় কাঠঠোকরার মত ঠকঠক কড়া নাড়ে ।

অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ)

মাঝে মাঝে আমার মধ্যে একটা ভূত চেপে বসে। সেই ভূতটা আমায় দিয়ে কিছু বলিয়ে নিতে চায়। আমার ভিতরে আলোড়ন তুলে আমায় তোলপাড় করে ফেলে। ভূতটা কিছুতেই বুঝতে চায়না আমার ক্ষমতা নেই যে আমি আমার ভিতরের “আমি”টাকে শব্দ দিয়ে বাইরে বের করে আনব। তবু চেষ্টা করি। ইদানিং আবিষ্কার করলাম সেই ভূতটা আর কেউ নয়। আমার বিবেক, আমার মনুষ্যত্ববোধ।আমি এখানে অন্য কিছু বলতে এসেছি। ঠিক অন্যরকম কিছু যা আমাদের বিবেককে, আমাদের মনুষ্যত্ববোধকে একটু হলেও নাড়া দেবে। আমার লেখাগুলো আমার ভিতরের সেই ভূতের গল্প।আমার মধ্যে দুইটা “আমি”র বাস। একটা এই আমি, সুজন সরকার। যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত ভাবে, স্বপ্ন দেখে। আর একটা আমার অন্তর। অনিন্দ্য অন্তর অপু। যে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়াল ভেঙ্গে পৃথিবীটাকে অন্য চোখে দেখে, বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখে প্রচলিত সমাজ, প্রচলিত সব বস্তাগলা পচা নিয়ম নীতির। অপেক্ষা করছি এমন একদিনের যেদিন আমার অন্তর যে স্বপ্ন দেখে, এরকম স্বপ্ন সেদিন দেখবে অনেকেই। সেদিন সত্যি পৃথিবী বদলে যাবে।▓▒░▒▓【অনিন্দ্য】▓▒░░▒▓【 অন্তর 】▓▒░░▒▓【 অপু 】▓▒░▓

অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

লজ্জা তিলক

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৬



সরকার, চক্রবর্তী, রায়, দাস, শীল, ভট্টাচার্য
নামের শেষে অদ্ভুত কিছু লেজ কি খুব অপরিহার্য?
মাঝখানে চন্দ্র, রাণী, কুমার
অদ্ভুত, অদ্ভুত সব নামের বাহার।

তোমার নাম কি? নাম বলি,
আহা পুরো নাম বল, পদবীটা কি?
উত্তর শুনে কেউ খুশি হয়, কারও মন খারাপ হয়।
আমি যে বর্ণে, পদবীতে কারও চেয়ে ছোট, কারও চেয়ে বড়!!

আমার চাকুরী দাতা আমার নাম দেখে
ইতস্ততবোধ করে; বড় ভাবনায় পড়ে।
নাম বলে ছেলেটা হিন্দু; সবই ঠিক; তবু,
চাকুরীটা দেব??? বেচারা বড় ভাবনায় পড়ে।

ওরা জানে না, আমি আমার নামের পাশের
লজ্জা তিলকটা মনে প্রাণে ঘৃণা করি।
ওটা একটা বর্ণ বৈষম্যের লজ্জা তিলক আমার কপালে।
আমার মুখে বসন্তের কালো ক্ষতটা যেভাবে বয়ে বেড়াই,
নামের সাথে বৈষম্যের লজ্জাটাও তেমনি বয়ে বেড়াই।

আমি জন্মাবার সময় যদি কথা বলতে পারতাম,
কান্নার বদলে চিৎকার করে বলে উঠতাম,
“সাবধান!!! আমার নামের সাথে বর্ণ বৈষম্যের
লেবেলটা লাগাবেন না। লাগাবেন না।”
কিন্তু প্রকৃতি নিয়ম ভাঙ্গে না, প্রকৃতি বিভাজন চায়না।
আমরা চাই। জন্মের পর পর ই বর্ণ বৈষম্যের সিল মেরে দেই,
তুমি হিন্দু, তুমি মুসলমান, তুমি খ্রিষ্টান।
তুমি বৈশ্য, তুমি শূদ্র, তুমি ক্ষত্রিয় কিংবা ব্রাহ্মণ।।

নামের পাশে পদবী চাই না, চাই না বর্ণ বৈষম্যের লজ্জা তিলক।
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র নয়।
ছোট্ট সোনা প্রাণগুলো মানুষ হয়েই বেড়ে হোক, বেড়ে উঠুক।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভাল লাগলো

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে
কি জাত হবা যাইবার কালে
সে কথা ভেবে বলো না!!!!!!

জাত গেল জাত গেল বলে......

এ কি আজব কারখানা!!

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১০

মেহেদী রবিন বলেছেন: তাহলে পরিবর্তন করুন। পারবেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.