নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বনাশা মোবাইল অ্যাপে বিপথগামী তরুণ প্রজন্ম

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪০


বিগো লাইভ’, ‘টিকটক’, ‘লাইকি’ নামক সর্বনাশা সব মোবাইল ফোন অ্যাপ ব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে করছে বিপথগামী। এসব অ্যাপ ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণরা কিশোরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নজরদারি করা হলেও সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা ক্ষতিকর অ্যাপগুলোর একটি হচ্ছে ‘বিগো লাইভ’। এর মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে বিকাশে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানান কিছু নারী। যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা হাতিয়ে নেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদেশে অবস্থানরত জেলার প্রবাসী যুবকরাই এই ফাঁদে পড়ছেন সবচেয়ে বেশি। মূলত পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকায় এবং একাকিত্ব দূর করতেই বেশির ভাগ প্রবাসী যুবক এই অ্যাপটির টেক্সট ও ভিডিও চ্যাটে তরুণীদের সঙ্গে আলাপে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, অ্যাপটি ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এই অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার ফলোয়ারের সঙ্গে লাইভে মুহূর্ত শেয়ার । জেলার ৫ টি উপজেলার তরুণ-তরুণীদের কাছে অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সমগ্র মুন্সীগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আইডি আছে যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী তার মধ্য ২০ শতাংশ বিবাহিত নারী। বিগো লাইভ এপ্স ব্যবহার একাধিক হোস – কো হোস্টের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ইচ্ছামতো গেস্টদের লাইভে সংযুক্ত করে। অনেকে এই ব্রডকাস্টারদের নেশায় পেয়ে যায়। তাই এদের ছাড়তে পারে না। জেসমিন পুনম, বেবি, ফারিহা, সুন্দরী রুমী, মেঘবালিকা, অর্পিতা, ফ্রি কুইন, নীল শায়লা, অর্থি খান, শ্যামা চৌধুরী, কুমকুম, নিঝুম রাতের সুমি, রুপা, পুষ্প, জিনিয়া খান মিম, সোনালি কারিনা, হটগার্ল, মৌসুমি চৌধুরী এমন নামে-বেনামে আইডি খুলে বিগো লাইভের মাধ্যমে অশ্লীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ব্রডকাস্টার নারী।
টিকটক’ নামক চীনা ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সার্ভিসটি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি মোবাইল ।ভিনদেশি অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করছেন, যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। এসব ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কিশোরী ও তরুণীরা। স্বল্পবসনা তরুণীরা টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ-গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিডিও আপলোড করছেন। উদ্বেগজনক যে, এই টিকটক ভিডিওগুলোতে নেই কোনো শিক্ষণীয় বার্তা। উল্টো এসব ভিডিওর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এই অ্যাপগুলোর মধ্যে এক ধরনের ‘শো অফ’-এর বিষয় থাকে। দেখা যায় টিকটকের কিছু ভিডিওতে বাইক-স্টান্ট থাকছে। আবার কিছু ভিডিওতে চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের অনুকরণ করা হচ্ছে। টিকটকের মতো ক্ষতিকর আরেক অ্যাপ হচ্ছে ‘লাইকি’।
ইমো নম্বর বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে পোস্ট দিয়ে কিছু তরুণী অনৈতিক কার্যক্রমও করছেন। এর ফলে সচেতন ব্যবহারকারীকে প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। র্যাবের ১১ আইন ও গণমাধ্য শাখা কর্মকর্তারা জানান। ‘টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভের মতো অ্যাপগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। র্যাবের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাইবার মনিটরিং করা। আমাদের একটি বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক সাইবার জগতে মনিটরিং করে। লক্ষ করেছি, বেশ কিছু অ্যাপ উঠতি বয়সের কিশোরদের একরকম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই অ্যাপগুলো বন্ধ করার জন্য প্রকৃত সংস্থা হচ্ছে বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট যারা বিষয়টি মনিটরিং করছেন, তারা চাইলে এসব অ্যাপ বন্ধ করা যেতে পারে। পাশের দেশ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে এ ধরনের অ্যাপ বন্ধ হতে দেখেছি। এসব অ্যাপ কিশোরদের নৈতিকতা ধ্বংস করছে। কিশোর-কিশোরীদের বিপদের দিকে পরিচালিত করছে। এ ছাড়া এসব অ্যাপের মাধ্যমে তরুণরা ক্রমান্বয়ে সহিংস হয়ে উঠছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু এসব ভিডিও পোস্ট করার জন্য কেউ সরাসরি ফৌজদারি অপরাধে জড়ায় না, এ জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে এসব কিশোর-তরুণের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না।’
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনাকে আমরা বলি অনলাইন ভিকটিমাইজেশন। এখানে একজন তরুণী বা নারী যেভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলে তা আমাদের সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খায় না। এসব সাইট ও অ্যাপস চলতে থাকলে যুবসমাজের সামাজিক পরিচ্ছন্নতা ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ব্যাহত হবে। ফল হিসেবে সামাজিক সম্মানহানির ঘটনা ঘটবে। ধর্ষণ, ইভ টিজিং বাড়বে।’
প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এই অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার ফলোয়ারের সঙ্গে লাইভে মুহূর্ত শেয়ার জেলার ত৫ টি উপজেলার তরুণ-তরুণীদের কাছে অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সমগ্র মুন্সীগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আইডি আছে যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী তার মধ্য ২০ শতাংশ বিবাহিত নারী। বিগো লাইভ এপ্স ব্যবহার একাধিক হোস – কো হোস্টের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ---ছবির নিচে
অ্যাপ ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণরা কিশোরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নজরদারি করা হলেও সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
বিগো লাইভ’, ‘টিকটক’, ‘লাইকি’ নামক সর্বনাশা সব মোবাইল ফোন অ্যাপ ব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে করছে বিপথগামী। এসব অ্যাপ ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণরা কিশোরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নজরদারি করা হলেও সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা ক্ষতিকর অ্যাপগুলোর একটি হচ্ছে ‘বিগো লাইভ’। এর মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে বিকাশে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানান কিছু নারী। যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা হাতিয়ে নেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদেশে অবস্থানরত জেলার প্রবাসী যুবকরাই এই ফাঁদে পড়ছেন সবচেয়ে বেশি। মূলত পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকায় এবং একাকিত্ব দূর করতেই বেশির ভাগ প্রবাসী যুবক এই অ্যাপটির টেক্সট ও ভিডিও চ্যাটে তরুণীদের সঙ্গে আলাপে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, অ্যাপটি ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এই অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার ফলোয়ারের সঙ্গে লাইভে মুহূর্ত শেয়ার । জেলার ৫ টি উপজেলার তরুণ-তরুণীদের কাছে অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সমগ্র মুন্সীগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আইডি আছে যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী তার মধ্য ২০ শতাংশ বিবাহিত নারী। বিগো লাইভ এপ্স ব্যবহার একাধিক হোস – কো হোস্টের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ইচ্ছামতো গেস্টদের লাইভে সংযুক্ত করে। অনেকে এই ব্রডকাস্টারদের নেশায় পেয়ে যায়। তাই এদের ছাড়তে পারে না। জেসমিন পুনম, বেবি, ফারিহা, সুন্দরী রুমী, মেঘবালিকা, অর্পিতা, ফ্রি কুইন, নীল শায়লা, অর্থি খান, শ্যামা চৌধুরী, কুমকুম, নিঝুম রাতের সুমি, রুপা, পুষ্প, জিনিয়া খান মিম, সোনালি কারিনা, হটগার্ল, মৌসুমি চৌধুরী এমন নামে-বেনামে আইডি খুলে বিগো লাইভের মাধ্যমে অশ্লীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ব্রডকাস্টার নারী।
টিকটক’ নামক চীনা ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সার্ভিসটি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি মোবাইল ।ভিনদেশি অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করছেন, যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। এসব ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কিশোরী ও তরুণীরা। স্বল্পবসনা তরুণীরা টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ-গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিডিও আপলোড করছেন। উদ্বেগজনক যে, এই টিকটক ভিডিওগুলোতে নেই কোনো শিক্ষণীয় বার্তা। উল্টো এসব ভিডিওর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এই অ্যাপগুলোর মধ্যে এক ধরনের ‘শো অফ’-এর বিষয় থাকে। দেখা যায় টিকটকের কিছু ভিডিওতে বাইক-স্টান্ট থাকছে। আবার কিছু ভিডিওতে চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের অনুকরণ করা হচ্ছে। টিকটকের মতো ক্ষতিকর আরেক অ্যাপ হচ্ছে ‘লাইকি’।
ইমো নম্বর বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে পোস্ট দিয়ে কিছু তরুণী অনৈতিক কার্যক্রমও করছেন। এর ফলে সচেতন ব্যবহারকারীকে প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। র্যাবের ১১ আইন ও গণমাধ্য শাখা কর্মকর্তারা জানান। ‘টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভের মতো অ্যাপগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। র্যাবের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সাইবার মনিটরিং করা। আমাদের একটি বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক সাইবার জগতে মনিটরিং করে। লক্ষ করেছি, বেশ কিছু অ্যাপ উঠতি বয়সের কিশোরদের একরকম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই অ্যাপগুলো বন্ধ করার জন্য প্রকৃত সংস্থা হচ্ছে বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট যারা বিষয়টি মনিটরিং করছেন, তারা চাইলে এসব অ্যাপ বন্ধ করা যেতে পারে। পাশের দেশ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে এ ধরনের অ্যাপ বন্ধ হতে দেখেছি। এসব অ্যাপ কিশোরদের নৈতিকতা ধ্বংস করছে। কিশোর-কিশোরীদের বিপদের দিকে পরিচালিত করছে। এ ছাড়া এসব অ্যাপের মাধ্যমে তরুণরা ক্রমান্বয়ে সহিংস হয়ে উঠছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু এসব ভিডিও পোস্ট করার জন্য কেউ সরাসরি ফৌজদারি অপরাধে জড়ায় না, এ জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে এসব কিশোর-তরুণের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না।’
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনাকে আমরা বলি অনলাইন ভিকটিমাইজেশন। এখানে একজন তরুণী বা নারী যেভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলে তা আমাদের সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খায় না। এসব সাইট ও অ্যাপস চলতে থাকলে যুবসমাজের সামাজিক পরিচ্ছন্নতা ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ব্যাহত হবে। ফল হিসেবে সামাজিক সম্মানহানির ঘটনা ঘটবে। ধর্ষণ, ইভ টিজিং বাড়বে।’
প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এই অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার ফলোয়ারের সঙ্গে লাইভে মুহূর্ত শেয়ার জেলার ত৫ টি উপজেলার তরুণ-তরুণীদের কাছে অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সমগ্র মুন্সীগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আইডি আছে যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী তার মধ্য ২০ শতাংশ বিবাহিত নারী। বিগো লাইভ এপ্স ব্যবহার একাধিক হোস – কো হোস্টের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ---ছবির নিচে
অ্যাপ ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণরা কিশোরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নজরদারি করা হলেও সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়ে আমি সামুতে পোষ্ট দিয়েছিলাম।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৩১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণরা কিশোরা অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নজরদারি করা হলেও সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
...............................................................................................................................................................
চীন সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ যদি ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রন করতে পারে, বাংলাদেশ কেন পারবেনা ।
বাস্তবে এক শ্রেণীর লোভী ব্যবসায়ি সরকার নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা ।
ভূত র্শশের মধ্যেই ।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: টিকটকের নোংরামি দেখলে মাথাটা আউলাইয়া যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.