নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষের মতই সাধারণ হয়েও নিজেকে অসাধারণ মনে করি!
হয়তো তখনো সন্ধ্যা নামেনি তোমার শহরে,
শেষ বিকেলের মলিন আলোয় খোলা চুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে তুমি
আমার শহরের গোধূলি তোমায় উৎসর্গ করলাম
তোমার শহরের সন্ধ্যার আবিরে ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষারত আমি।
তুমি কাজল চোখে উদাসী ভঙ্গিমায়...
কহিলো বিষাদময়ী দেবী আঁখিজলে হয়ে সিক্ত,
"কি দেবো পূজারি তোমায়? আমি যে আজ রিক্ত!"
তুচ্ছ আমি, ক্ষুদ্র অতি, দিও তোমা চরণতলে ঠাঁই
খানিক তুমি প্রেম দিও, নাহলে পূজা যাবে যে বৃথাই!
গোধূলির রঙে...
তুমি আমার মন খারাপের সাথী হবে?
রোজ বিকেলের বকুল গুলো খুব যতনে কুড়িয়ে দেবে?
আমি নাহয় হ্যাংলা হেসে চেয়ে নেবো
বকুল ফুলের মালা গেথে তোমায় ঠিকই ফেরত দেব।
তুমি আমার রাঙা ভোরের...
যেদিন থাকবো না তোর পাশে আমি
বুঝবি সেদিন ভালোবাসা ছিলো কতটা দামী।
খুঁজবি সেদিন স্পর্শটুকু, চেনা আমার মুখ
আমার মতন কেউ দেবে না টুকরো একটু সুখ।
একটুখানি দুঃখ পেতে যাবি কোথায় বল?
একলা যখন কাঁদবি...
ছিলো রঙচটা পুরোনো খাতায় কিছু গল্প
হলুদ কাগজে লেখা শ্বেত শুভ্র অনুভূতি
কত হাসি কান্নারা শুকিয়ে যাওয়ার আগেই
ঠাই নিয়েছিলো মলাটে বাধানো খাতায়
সকাল বেলায় ঘুম ভেঙে মনে জাগা অভিযোগ
দুপুরের রোদে মাঠে দাপিয়ে...
মুগ্ধতার রাত্রি পেরিয়ে যায় বোকা চাঁদটার পানে চেয়ে
কতটা অসুখ তবু হাসিমুখে আকাশ রেখেছে ছেয়ে!
আমি তারে শুধাই, কেন অভিমান নিয়ে
মিথ্যে হাসিতে ছড়িয়ে যাও আলো?
উত্তর আসে, আমি জ্বলে যাই অসুখ নিয়েই
জ্যোৎস্না প্লাবনে...
কি এক অদ্ভুত অভিমানে কবিরা চলে যায়
অথচ কবিতাগুলো পড়ে রয়, কারো খাতায়
অথবা কারো চোখের পাতায়!
কেউ কেউ কবিতাগুলো পড়ে পুলকিত হয়
কারো আঁখি হতে দুফোটা জল ঝড়ে যায়
অথচ, কবির অসুখটা আড়ালেই রয়!
কবি...
শীতল রাগেই হঠাৎ করে চলে যাচ্ছো তুমি
অথচ জানতে কিন্তু,
কতটা ভুল, কতটা ঠিক কিংবা কতটা ভালো থাকি আমি!
আপত্তি করবার পথটুকু খোলা ছিলো
তবু আপত্তি করি নি!
তোমার শীতল প্রস্থানে আমার শেষ নিদ্রাটুকুও বিদায়...
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বেশ কিছু বছর আগে লেখা দুটি কবিতা-
|| ১ ||
আমার বাংলা, সোনার বাংলা
কৃষক মজুর সবার বাংলা
মুক্তিযোদ্ধা বীরের বাংলা
ভায়ের মায়ের...
শেষ বিকেলেরে বর্ষা যখন
ধুয়ে দিলো তোমার চোখের কাজল
আমি তখন দিক হারালাম!
চেনা সকল পথ ভুলে
তোমার চোখের মায়ায় হারিয়ে গেলাম!
বর্ষাভেজা এলোচুলে যখন সামনে এলে
আমি তখন মাতাল হলাম!
হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে
তোমার স্নিগ্ধতাতেই...
একদা আমার ভীষণ অসুখ হলো
বাইরে থেকে যায় না কিছু দেখা
কিন্তু হৃদয় পুড়ে হয়ে গেলো ছাই,
আমি মরে গেলাম নিজের ভেতর
কেউ কিচ্ছুটি টের পেলোনা
হাতরে দেখি আমার ভেতর আমি নাই।
তবু দিব্যি...
একলা আকাশ উদাস ভীষণ
সঙ্গ দেবার নেইতো কেউ
মেঘের ওপার জ্যোৎস্না হাসে
উছলে পড়ে চাঁদের ঢেউ।
চাঁদের আলোয় আকাশ রাঙে
আড়ালে যায় যত দুখ
ক্ষণিক সময় কাটুক ভালো
হাসি হাসি থাকুক মুখ।
আবার যখন চাঁদ পালাবে
সুখ পালাবে এক...
রাতের আকাশ দেখেছো কি?
সেথায় বসে দুঃখী তারার মেলা,
জ্যোৎস্না আলোয় সাগর জলে
দেখেছো কি ভালোবাসার ভেলা?
খুব সকালে শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে
দেখেছো কি মুক্তোদানার রূপ?
কখনো কি জানতে চেয়েছো
এত কষ্ট নিয়েও আকাশ কেন চুপ?
শীত...
আমারো তো ইচ্ছে করে
শেষ বিকেলে বাসতে ভালো
সন্ধ্যে শেষের আবির মাঝে
ছড়িয়ে দিতে মনের আলো।
আমারও তো ইচ্ছে করে
আকাশ মাঝে উড়াতে ঘুড়ি
কারো মনের বারান্দাতে
খেলবো প্রেমের লুকোচুরি।
আমারও তো ইচ্ছে করে
নয়ন মাঝে হারিয়ে যেতে
মায়ার...
©somewhere in net ltd.