নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত সে কাঠগোড়ায়।
একটু আগের কথা বলি। ২০০১ , বি এন পি এবং জামাত জোট নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এলো। বিজয় উৎসব হলো । মদে মাংসে রক্তে বেলাগাম উৎসব। আবার সেই টার্গেট বাঙালি হিন্দু। এক হিন্দু কিশোরীর মায়ের আর্তনাদ ছিল—আমার মাইয়াডা ছুড (ছোট) বাবারা তুমরা— । বাকিটা আর বললাম না। থাক। কিন্তু নির্যাতন থামার নাম নেই। ক্রমে হিন্দু নিকেশের ঢেউ দেশের এ-মাথা ও-মাথা হয়ে গেল। কিছু হিন্দু দেশান্তরী হলো বটে তবে দেশ হিন্দুশূন্য হলো না। দিল্লি থেকে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এলেন । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করে ফিরে গেলেন। গোলমাল ধীরে ধীরে থেমে গেল। কিন্তু স্পষ্ট হয়ে উঠলো ভারত বিরোধিতা। এতদিন যা রাজনৈতিক আঙ্গিনাতে টুক টাক ছিল এবার তা সাধারণ জনগণের মধ্যে ছড়াতে লাগলো। ভারত বিরোধিতা একটা ফেনোমেনা হয়ে দাঁড়ালো। ভারতে তখন আবার বি জে পি’র সরকার। ব্যাপারটা ক্রমে সোনায় সোহাগা হয়ে উঠতে লাগলো। তাতে যোগ্য সঙ্গত করতে লাগলো বি এন পি জামাত জোট। সমস্ত ভারতবিরোধীতাকে তারা একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লাগলো। তার মধ্যে ভারতবিরোধী কিছু উগ্র সন্ত্রাসবাদীগোষ্টিকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আশ্রয় দিতে শুরু করলো। শুধু আশ্রয় নয় ট্রেনিং ক্যাম্প, বাসস্থান এমনকি ব্যাংক একাউন্ট পর্যন্ত করে দিয়ে একেবারে পাকা পোক্ত জঙ্গি শিবির গড়ে দেয়া হলো। উদ্দেশ্য ভারতের সেভেন সিস্টারকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া। চট্টগ্রাম বন্দরে ধরা পড়লো ১০ ট্রাক অস্ত্র, যা ভারতের উত্তর পূর্বের সন্ত্রাসবাদীদের জন্য বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই এই সব ভারতবিরোধি উগ্রপন্থী ঘঁটিগুলোর কথা অস্বীকার করে গেছেন।
২০০৮ এ নির্বাচনে জিতে এলো আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা। উনি ভারতকে ৭১ এর মতোই সহযোগী ও বন্ধু মনে করেন। তখন ভারতের শাসনে রয়েছে কংগ্রেস দল। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ভালো সম্পর্ক। ভারত বিরোধিতা স্তিমিত। বলতে গেলে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের সুসময়। কিন্তু সুর কেটে গেল তিস্তা চুক্তি নিয়ে। তিস্তা চুক্তির বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আবার ভারতবিরোধিতার বারুদ সলতেয় আগুন ধরান হলো। একই বিরোধের কারণে আজও তিস্তা চুক্তি হলো না। শেখা হাসিনার আমলেই দেশের উগ্রপন্থীদের আস্তানা সব ভেঙে দেয়া হলো। কিছু পালাল। কিছু গ্রেফতার হলো। কিছু সংখ্যক ভারতের কাছে সারেন্ডার করে দেয়া হলো। ভারত ভাঙার স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোর ভারত বিরোধিতা এবং শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ বিরোধিতা এক ধাপ উচ্চগ্রামে পৌঁছালো। ক্রমে ভারতে নির্বাচনে জিতে এলো বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত শাসনে ভিন্ন ভিন্ন দল এলেও তাদের বিদেশ নীতি প্রায় একই থাকে। বাংলাদেশ নীতিও একই থাকলো। কিন্তু অভিযোগ বিজেপি হিন্দুত্ববাদি দল। মুসলমানের শত্রু। তাকে বরদাস্ত করা যায় না। কিন্তু ভারতবিরোধিদের দুর্ভাগ্য পরপর তিনটি নির্বাচনে সেই একই দল ও একই প্রধান মন্ত্রী ফিরে ফিরে এলো। স্বাভাবিক ভাবেই ভারত বিরোধিতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল। অর্থাৎ এই সময়। ছাই স্তুপের সময়। যখন ভারত থেকে প্রায় বছরে ১৫লক্ষ বাংলাদেশিকে মেডিকেল, ট্যুরিস্ট ও অন্যান্য ভিসা দেওয়া হত। আমদানি রফতানি বাণিজ্যের একটা ফিল গুড অবস্থা। বর্তমানে যা সব হয় বন্ধ, নয় নামমাত্র চালু। ফলে একটা বেসামাল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল। কিন্তু সেই সফট টার্গেটটিকে ভুলি কেমনে ! সামনে নিয়ে আসা হলো অভাগা সেই বাঙালি হিনদু জনগোষ্টিটিকে। আপাতত সে কাঠগোড়ায়।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: এবার মনে হয় বাংলা দেশ কয়েক টুকরা হবে। চট্টগ্রাম,লালমনির হাট,যশোর খুলনা,ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া।এই ছকেই এগুচ্ছে ভারত।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
নাহল তরকারি বলেছেন: শুধু বাংলাদেশের বদনাম বললেন? ভারতের বদনাম বলবেন না? কারন এক হাতে নাকি তালি বাজে না।