নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'না' বলতে হবে।
সকল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রপ্রিয় উদার বাঙালির কাছে আবেদন নিশ্চেষ্ট থেকে বাঙালির একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ডকে ধর্মীয় মৌলবাদীদের মৃগয়াক্ষেত্র হ'তে দেবেন না। অতীতে অনেক হয়েছে, আর না। ধর্ম নিজেই একটি শান্তিপ্রিয় সংস্কৃতি। একটি উন্নত আধুনিক সভ্য দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় ধর্মীয় সকল উগ্রতাকে 'না' বলতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
এ ভাবেই একটা টেক্সট লিখতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। আমি কাকে কি বলছি। আমি কাউকে উপদেশ দিতে পারি কি? পারি না। এমনকি আবেদন নিবেদনও জানাতে পারি না। কারণ এই কথাগুলো যাদের উদ্দেশে বলছি তারা এসব আমার থেকে অনেক অনেক ভালো জানেন, বোঝেন।
তবু কিছু না কিছু লিখতে প্ররোচিত হই, কারণ ওই ভূমির প্রতি আমার জন্মের টান আছে। আন্দোলনের নামে নির্বোধের আস্ফালন দেখলে আমিই লজ্জা পাই। তাই দু'এক কথা কখনো কখনো লিখি।
হিন্দু-বিরোধিতা, দেশভাগ, ভারত-বিদ্বেষ এই তিন শব্দবাণ এক সূত্রে বাঁধা ছিল পাকিস্তানের কণ্ঠে ,কথা বললেই যাতে বেরিয়ে আসতে পারে সহজে । এর মধ্যে দেশভাগ করার ক্ষেত্রে সাফল্য ১০০ শতাংশ হলেও হিন্দু বিরোধিতা আর ভারত-বিদ্বেষ এই দুটিতে সাফল্যের হার খানিক কম। তার উপর ৭১এ পূর্বপাকিস্তান হাত ছাড়া হওয়ায় তখন কিছুটা থমকে যেতে হয়। অবশ্য বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। বাংলাদেশ হওয়ার পর প্রথম দু এক বছর কিছুটা কম থাকলেও স্বাধীন বাংলার বেদীতে বসে কেউ কেউ অনুভব করতে লাগলেন বুকের মধ্যে পাকিস্তান গুমরে গুমরে কাঁদছে। ফলে এক কাতারে যাওয়ার জন্য শুরু হলো প্রাণপণ সংগ্রাম। সাফল্যও এসেছে এবং যার ধারাবাহিকতায় আজকের বিপ্লব ও বিপ্লবোত্তর অবস্থা।
ভারত-বিদ্বেষ নিয়ে ভারতের মনে হয় তেমন মাথা ব্যথা নেই। না হলে এখন পর্যন্ত আকাশ বাতাস কাঁপানো ভারত-বিদ্বেষ এর নামে আন্দোলন হওয়া সত্ত্বেও ভারত সকল অত্যাবশ্যকীয় জিনিস সহ সমস্ত সাপ্লাই কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে সশস্ত্র ভারতবিদ্বেষের ফল কী হতে পারে সেটা বলা মুশকিল ।
তবে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ভারত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। যে কারণে এত কথা। বিষয়টা বিগত প্রায় ৭৭/ ৭৮ বছর ধরে বিনা প্রতিবাদে ঘটা বিষয়। এটাকে হিন্দু নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস হিসেবেই দেখা হয়। ফলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে এটা অবশ্যম্ভাবী। এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশ ভূখণ্ডের হিন্দু নির্যাতনকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটা আমার জন্ম-ভূখণ্ডের জন্য আদৌ গৌরবজনক নয়।
@রাজা সরকার
আমার বাংলাদেশ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
রাজা সরকার বলেছেন: আপনার কথা ১০০ শতাংশ সঠিক। এখন আর কোনো স্পেস দেখা যাচ্ছে না। এর জন্য দুঃখ।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
রাজা সরকার বলেছেন: অবশ্যই।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখা নিয়ে আমি কিছু বলব না। ছোট লেখায় আপনি অনেক কিছু নিয়ে এসেছেন। দেশভাগ ধর্ম রাজনীতি। অনেক কিছু।
যাইহোক ছবিটা কার? এই লেখার সাথে ছবিটার কোনো সম্পর্ক আছে?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৩
রাজা সরকার বলেছেন: ছবির কন্যাটি বাংলাদেশের, সম্পর্কে আমার নাতনি। ২০১৪ সালের ছবি। না, লেখার সঙ্গে কোনো প্রত্যক্ষতা নেই। তবে এইসব ছবিগুলোই এখন আমার বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধর্মীয় মৌলবাদি বলতে আপনি যাদের বুঝাতে চাচ্ছেন এদের বংশবিস্তার শেখ হাসিনার আমলে। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী রেজিম। এখন খারাপ লাগছে কেন?