নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কার্যত গত ৫ই আগস্ট থেকে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়েছে। সেই অবনমন এখনও পাতাল ছুঁতে পারেনি। জানি না কোনোদিন পাতাল ছুঁয়ে ফেলবে কি না। অনেক ছোট ছোট কারণের স্ফুলিঙ্গে সেদিন আগুন লেগে গেল যখন দেখা গেল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উড়ে গেলেন ভারতের দিকে। মতান্তরে পালিয়ে গেলেনও বলা যায়। এবার সেই আগুন থেকে ক্রমশ স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়তে লাগলো দু'দেশের সম্পর্কের উপর। এরমধ্যেই বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী সাবেক বা প্রাক্তন হিসেবে বিভিন্ন বার্তায় চিহ্নিত হয়ে চলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবিকতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এখানে কয়েকটি প্রশ্ন জাগে যেমন শেখ হাসিনা যেদিন ভারতে চলে যান সেদিন তিনি তাঁর অফিসে মিটিং করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অফিস স্টাফ, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর উচ্চতম কর্তাদের সঙ্গে। প্রথমে তিনি বাংলাদেশ ছাড়তে নাকি রাজি ছিলেন না। নানা উপায়ে তাঁকে রাজি করানো হয়েছিল এবং শেষে তাকে ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল প্রস্তুত হওয়ার জন্য। এর সঙ্গে আরেকটি প্রশ্ন এসে যায় যে একটি রাষ্ট্রের সামরিক বেসামরিক রক্ষকেরা তাদের প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষা করতে অসমর্থতা প্রকাশ করে তাকে দেশ ছাড়তে পরামর্শ দেয়। দেশ ছেড়ে তিনি কোথায় যাবেন? না ভারতে যাবেন। কেন ভারতে যাবেন? যেখানে ছাত্র জনতার আন্দোলন ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের একদফা দাবীতে উত্তাল সেখানে ওই মুহূর্তে তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে কি ভারতকেও ওই আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু ক'রে তোলার ব্যবস্থা!! কার্যত তাই হয়েছে। এখন আবার তাঁকে ফেরত চাওয়া হচ্ছে বিচারের জন্য। শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগে যাদের পরামর্শে তাঁকে ভারতে উড়ে যেতে হলো তাদের কাছেই তো ফেরত চাওয়া সমীচীন। কথিত অপরাধে অপরাধীকে পালানোর সুযোগ ক'রে দেওয়াটা আইনের চোখে কী বলা হয় তা যারা এখন অপরাধী ফেরত চাইছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন।
যাই হোক বর্তমানে এই সকল নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের খবর প্রচুর গুজব সহ প্রতিদিনই প্রকাশ পাচ্ছে। এর নিট ফল বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভারতীয় ভিসা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে টুরিস্ট ভিসা। নিয়ন্ত্রিত আকারে মেডিকেল ভিসাসহ আরো কিছু ক্যাটাগরির ভিসা চালু আছে বটে, কিন্তু পূর্বেকার সহজ চলাচল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ হয়েছে বলে শোনা যায়নি। হয়তো চালু আছে। তবে ভারতীয়দের জন্য ভারত সরকারের পরামর্শ জারি হয়েছে বাংলাদেশ ভ্রমণ বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ। রাতারাতি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রবল শৈত্য নেমে এসেছে। এজন্য কিছু সংখ্যক মানুষ হয়তো খুশি হয়েছেন, কিন্তু একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ বাস্তবিক কারণেই ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে চিকিৎসা ও ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে। একটা স্বাধীন, সার্বভৌম দেশে ক্ষমতার হাত বদল হতেই পারে। তারজন্য সাধারণ মানুষের এই ক্ষতি বা ভোগান্তি কেন হবে? এটাকি এড়ানো যেত না? @ রাজা সরকার।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৩
রাজা সরকার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আজ শেখ হাসিনা দেশে নেই বলে জামাত শিবির এত উজাইতে পেরেছে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
রাজা সরকার বলেছেন: তবে টিভির পর্দায় যতটুকু দেখেছি তাতে মনে হয়েছে প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর ওনার নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০
ঊণকৌটী বলেছেন: সব কাপুরুষ মন্তব্য করতে ভয় পায়, শিরদ্বারা না থাকলে যা হয় আর কি তাই হচ্ছে |