নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তখন আমার অল্প বয়স, কতই বা আর হবে
মা-চাচি আর খালা-ফুপুর কোল ছেড়েছি সবে
তখন আমি তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম কী যে
গেরাম ভরে ঘুরে বেড়াই বাবার কাঁধে চড়ে
সকালবেলা বিছনাখানি থাকতো রোজই ভিজে
ওসব এখন বলতে গেলে লাজ নামে চোখ ভরে
ছোট্ট হলেও বলতে পারি কাজের ছিল ধুম
যেমন ধরো- নাওয়া-খাওয়া-খেলনা এবং ঘুম
তখন আমার বই ছিল না, দাদুর গলা ধরে
সন্ধ্যাবেলা কাটতো মজার চাঁদের ছড়া পড়ে
তোমরা কি কেউ কাগজ দিয়ে নাও বানাতে পারো?
উড়োজাহাজ? ঢাউস-ঘুড়ি? কত্ত কিছু আরো?
গাছের ডালে, কিংবা ধরো ঘরের পাটাতনে
দোলনা বেঁধে দোল খেয়েছো ভাইবোনদের সনে?
আমার ছিল ঘরের পাশে ছোট্ট চিকন খাল
তার পানিতে ভেসে গেছে আমার বাল্যকাল
পুবের ধারে ছোট্ট পুকুর, ঠান্ডা ছিল জল
বর্ষাতে তায় লগ্গি ফেলে খুঁজতে হতো তল
একদিন এক বকের বাসা হঠাৎ দিয়ে হানা
পেয়েছিলাম চোখ-না-ফোটা একটি ছোটো ছানা
ডোবার ধারে ডাহুকপাখির বিষম আনাগোনা
ধানের শিষে ফাঁদ পেতেছি, কিংবা মাছের পোনা
তোমার কি ভাই লাটিম ছিল? আর কী ছিল, বলো?
বড়শিতে কি মাছ ধরেছো? ঝাঁকিজালে, পলো?
আমার ছিল উদোম গায়ে নাচনতোলা দিন
ধানের ক্ষেতে সবুজ দুপুর, বিকেলটা রঙিন
এসব কথা শুনে তোমার ইচ্ছে হতে পারে
সেই যে ছিল সোনার জীবন- কোথায় পাব তারে?
কেমন তোমার দিন কেটেছে? কোন্ গাঁয়ে? কোন্ দেশে?
কোথায় তোমার মায়ার জীবন ঘর বেঁধেছে শেষে?
আমার এখন মন টেকে না ইটপাথরের ঘরে
মন ছুটে যায় কিশোরবেলার ধু-ধু তেপান্তরে
তোমরা কি কেউ সঙ্গে যাবে? জলদি বলো নাম
বেরিয়ে পড়ো, বেরিয়ে পড়ো, ঐ দেখা যায় গ্রাম
তোমরা ভাবো- আমিও আবার গ্রাম দেখেছি নাকি?
মিথ্যে না তা- মনের ভেতর গ্রামেই পড়ে থাকি
খুব বুঝেছি খুব বুঝেছি তোমাদের কারসাজি
জলদি করো, দোস্তি মানো, দোস্তিতে হও রাজি
অবাক মধুর ছন্দদোলায় চলতে থাকো সবে
ভুলে যাওয়া নিজ ঠিকানায় আবার মিলন হবে
কাঁদছে নদী নীরব ভাষায় শুকনো যে তার বুক
তার গহনে সোনায় ভরা একখানি সিন্দুক
ঐ দেখো তার হাতছানি ভাই, বেরিয়ে পড়ো সবে
উথালপাথাল ঢেউতুফানে প্রাণখোলা উৎসবে
২৪ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৫১
ডাউনলোড লিংক : ই-বুক, আজগুবি ছড়া, প্রকাশকাল : ২৬ মার্চ ২০১৮
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম কমেন্টে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানবেন স্যার।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩১
আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের ছেলেবেলা আপনার মতো নাহলেও কাছাকাছি ছিল প্রায়৷
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা নির্দিষ্ট ভৌগলিক অবস্থানে বেড়ে ওঠা একই সংস্কৃতির মানুষের বেড়ে ওঠা, জীবনযাপনপ্রণালি প্রায় অভিন্নই হবে। ভালো লাগলো জেনে যে, আপনার ছেলেবেলাও আমার ছেলেবেলার কাছাকাছি ছিল। কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাজিদ ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার লেখেছে কবি দা
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সরকার লিটন ভাই। শুভেচ্ছা।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৬
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি যদি এখনকার সময়ের ছেলেবেলাগুলোর সাথে আপনার এবং আমার সময়ের তুলনা দেই, তাহলে আমাদের জেনারেশন আপনাদের কিছুটা হলেও কাছাকাছি থাকবে। কিন্তু এই কাছাকাছির মধ্যেও বেশ দূরত্ব। আপনাদের আনন্দময় ছেলেবেলা যদি ষোল আনা হয় আমাদের আট আনা ধরেই আমি কাছাকাছি বললাম। আমার শৈশব কেটেছে মফস্বলে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আবার আসায় ধন্যবাদ আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি সাজিদ ভাই। আমার ছেলেবেলাটা একেবারে অজগ্রামে কেটেছে। কিন্তু, সেই অজগ্রামেই আমাদের আনন্দ-উপকরণের কোনো ঘাটতি ছিল না, একবিন্দু ফুরসত ছিল না। এমনকি, স্কুলজীবনটাও খুব আনন্দ-উচ্ছলতার মধ্য দিয়েই কেটেছে। অসচ্ছল কৃষক পরিবারের ছেলে হয়ে এবং স্বয়ং নিজে একজন কৃষক হয়ে অনেক দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি, তবুও পেছন ফিরে তাকালে দেখতে পাই, শৈশব, কৈশোর ও উঠতি তারুণ্যটা সত্যিই হিরন্ময় ছিল। এজন্য, এখন যত সুখেই থাকি না কেন, মাঝে মাঝেই অতীতের গভীরে ডুবে যাই। অতীতটা আসলেই মধুর।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনার ছেলেবেলার স্মৃতি চারণ কবিতা আকারে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন । পড়ে ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ জানবেন ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
একসময় শহরের বাইরের পুরো দেশটাই ছিল সবুজ শ্যামল গাছপালায় ভরা মনোরম বাংলা। এখন গ্রাম বলতে কিছু নেই। গ্রামে গেলে বোঝা যায় না, গ্রামে এলাম, নাকি শহরে। সেই স্রোতোশীলা খাল বা নালাও নেই, হয় ভরাট হয়ে গেছে, অথবা আবর্জনয়ায় পঁচে দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যে-খালে সাঁতার কেটেছি, বড়ো হয়ে গোসল করেছি, এখন সেটা মরা খাল, কচুরিপানায় ভর্তি।
অন্যদিকে, আমাদের সবারই টেন্ডেন্সি হলো শহরমুখী হওয়া। আমাদের যেমন ক্ষেতের প্রতি টান ছিল, ফসল ফলানোর একটা নেশা ছিল, এখন সেই নেশা উবে গেছে। মানুষ ওসব ফেলে ধেয়ে ছুটছে শহরের দিকে। অথচ, এই গ্রামের গভীরে যে সোনা লুকিয়ে আছে, আমরা তার অনুসন্ধান করতে একটুও আগ্রহ প্রকাশ করি না।
কাঁদছে নদী নীরব ভাষায় শুকনো যে তার বুক
তার গহনে সোনায় ভরা একখানি সিন্দুক
ঐ দেখো তার হাতছানি ভাই, বেরিয়ে পড়ো সবে
উথালপাথাল ঢেউতুফানে প্রাণখোলা উৎসবে
পল্লীকবি বলেছিলেন,
যাবে তুমি ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোটো গাঁয়
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়?
আমাদের আবার ফিরে যেতে হবে গ্রামে। সবুজ বাংলার বুক একটা সিন্দুক যেন, তার বুকে লুকানো আছে মহামূল্য হীরা-জহরত, সেগুলো বের করে আনার জন্য আবার আমাদের গ্রামে ফিরে যেতে হবে।
শুভ কামনা রইল আপু।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনার আনন্দময় শৈশবের বর্ণনা কবিতায় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। পড়তে পড়তে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। আমার শৈশব কেটেছে ঘরের ভেতরে, দৌড়ানো দূরে থাক, একটু হাঁটলেই হাঁপানি বেড়ে যেত...
চমৎকার বর্ণনায় প্লাস।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গ্রামের ছেলেমেয়েরা ইচ্ছে করলেও ঘরের ভেতরে সময় কাটাতে পারবে না। ঘরটা থাকে ছোটো, শুধু খাওয়া-দাওয়া, রাত কাটানো বা পড়াশুনার জন্য (আমি আবার গ্রীষ্মে বা চাঁদনিরাতে দুয়ারে বিছানা পেতেও পড়তাম)। এর বাইরে পুরোটাই তো বাড়ির বাইরে, খালেবিলে, গাছে-গাছে, মাঠে-ঘাটে কাটে।
বর্তমানটাই হলো সবচাইতে কষ্টের। যে-সময়টা পার করে এসেছি, তা খুব সুখকর ছিল না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে অতীতটা কতই না মধুর ছিল।
চমৎকার কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল আপু।
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: দূরন্ত শৈশবের অবতাড়ণা ও স্মৃতিকাতরতার কবিতা।ভালো লেগেছে খুব।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ তমাল ভাই। শুভেচ্ছা নিন।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! কি মধুর না ছিল দুরন্ত শৈশবের দিনগুলো। কাব্যে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন স্মৃতিমাখা শৈশব।
পোস্টে ষষ্ঠ লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় সোনাবীজ ভাইকে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ষষ্ঠ লাইক সহ কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই। আপনাকেও শুভেচ্ছা প্রিয় চৌধুরি ভাই।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: দোস্তি ই ভালো। সবার সাথে সবার দোস্তি হলে চারিদিকে শান্তি বিরাজ করবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: Friendship to all and malice towards none - এ নীতিতে চারদিকে এবং সর্বত্র শান্তি বিরাজ করুক, আমিও এই কামনা করলাম রাজীব ভাই।
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তোমরা ভুলে গেছো মল্লিকাদের নাম। যেদিন গেছে সেইদিন কি আর ফিরিয়ে আনা যায়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ একটা গানের কথা বলে তো মন আরো পাগল করে দিলেন।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আহা গ্রাম!
আহা সেই দুরন্ত ছেলেবেলা!!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভেচ্ছা হাসান জাকির ভাই। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অকপটে ছোটবেলার কথা বলে গেছেন আপনার কবিতায়। আপনি একটা প্রতি-মন্তব্যে ঠিকই বলেছেন যে অতীতের খারাপ সময়ও সৃতি রোমন্থনের সময় ভালো লাগে। বর্তমানটা আমাদের ভালো লাগতে চায় না। তবে গ্রামে বড় হওয়ার কিছু সুবিধা আছে যা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেড়ে ওঠার সময়ে গ্রামে বড়ো হওয়ার কোনো সুবিধা পাওয়া যায় না। এই যে আমার কবিতাটা পড়ে আমার ছেলেবেলাকে যত সুমধুর মনে হচ্ছে, একটা সময়ের পর থেকে জীবন আর অমন ছিল না। চিন্তাহীন জীবন থাকে শিশু বা কিশোরের। কৈশোর পার হবার পরই কঠিন বাস্তব জীবনের দেখা মেলে। সেই জীবন খুব দুর্গম এবং দুর্বিষহ। তবে, ঘুরেফিরে আমার পুরোনো ঐ কথাটিতেই আসি - অতীতটা সত্যিই মধুর।
কবিতা পাঠ ও কমেন্ট বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ সাচু ভাই।
একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে ভুলে যাই, এবার মনে পড়ছে। শুরুতে কি আপনার প্রোফাইল পিকচারে সুচিত্রা সেনের ছবি ছিল? না থেকে থাকলে হয়ত সুচরিতা সেনের প্রো-পিকের সাথে গুলিয়ে ফেলেছি।
শুভেচ্ছা নিন।
১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
রামিসা রোজা বলেছেন:
মিথ্যে না তা- মনের ভেতর গ্রামেই পড়ে থাকি ---
এক কথায় চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ, শুধু এ লাইনে
নয় পুরো কবিতা জুড়ে ছোটবেলার স্মৃতির বহিঃপ্রকাশ।
আমার মনে হয় কি জানেন , মায়ের গর্ভস্থান এবং
জন্মস্থান ছেলেবেলা আমরা যে জায়গায় বড় হয়েছি
এই দুয়ের প্রতি আমাদের টান মনেহয় একটু অন্যরকম।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমার মনে হয় কি জানেন , মায়ের গর্ভস্থান এবং
জন্মস্থান ছেলেবেলা আমরা যে জায়গায় বড় হয়েছি
এই দুয়ের প্রতি আমাদের টান মনেহয় একটু অন্যরকম।
আপনার ভাবনা বা ধারণার সাথে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই আপু, সবাই এতে একমত হবেন নিঃসন্দেহে। এজন্য, বিদেশের মাটিতে গিয়ে অনেক সুখে থাকার পরও জন্মস্থানে ফিরে আসার জন্য মনটা ছটফট করতে থাকে।
আমার মনের মতো একটা লাইন উদ্ধৃতিসহ চমৎকার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা।
১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাবীজ ভাই আমার প্রফাইলে কখনও আমি সুচিত্রা সেনের ছবি ব্যবহার করিনি। শুরু থেকেই এই ছবি আছে। হয়ত অন্য কারও প্রোফাইলে দেখেছেন এখন এলোমেলো করে ফেলেছেন। ভালো থাকবেন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। সাড়ে চুয়াত্তরে আছেন সুচিত্রা সেন। আর, 'সুচরিতা সেন' নামে আছেন এক ব্লগার, যার প্রো-পিকে সুচিত্রা সেনের ছবি- দুটোকে এক করে ফেলেছি সুচরিতা সেন-কে এখন আবার খুঁজে পেলাম না
১৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
স্মৃতির ধুলো বালি উড়িয়ে গেলেন এক অনিন্দ্য কবিতার ছত্রে ছত্রে।
সাথে যেন সেই অতলান্ত আহ্বান -- "তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে , আমাদের ছোট গাঁয় ....................."
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
স্মৃতির ধুলোবালি উড়িয়ে গেলেন এক অনিন্দ্য কবিতার ছত্রে ছত্রে। কবিতা পাঠ ও সুন্দর এ কথাসহ কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভ কামনা থাকলো।
১৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ চমৎকার স্মৃতিকথা !
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা।
১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭
মা.হাসান বলেছেন: ছোট বেলা এক সময় আমিও টিনের চালের বাড়িতে থেকেছি, বর্ষায় টিনের চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে আমারো বিছানা অনেক ভিজেছে। টিনের চাল খুব ভালো, কি বলেন?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের গ্রামে এখন যতগুলো বিল্ডিং আছে, আমাদের ছোটোবেলায় এতগুলো টিনের ঘরও ছিল না। টিনের ঘর ছিল ঐতিহ্য ও ধনীত্বের প্রতীক। তবে, সেই টিনের ঘরেও ফুটো হতো। ছোটোবেলায় কী দিয়ে সেই ফুটো বন্ধ করা হতো মনে পড়ে না, তবে, আজকালকার মতো 'পুডিং' ছিল বলে মনে হয় না। সেই ফুটো বরাবর একটা মাটির হাঁড়ি বা থালা বা গামলা রেখে দেয়া ছিল কমন প্র্যাক্টিস। আমাদের বাড়িতে অবশ্য এখনো টিনের ঘর আছে।
টিনের চাল তো অবশ্যই ভালো জিনিস। বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর টাপুর টুপুর, টিনের চালে গাছের ডালে - আমাদে টিনের চাল নিয়েই তো কবি এ কবিতা লিখেছিলেন, তাই না? কত সুমধুর ছন্দে বৃষ্টি পড়তো, আর রাতের ঘুমটা ছিল বেহেশখানায় ঘুমের মতো।
অনেক সুন্দর একটা জিনিসের অবতারণা করায় একটু লেখার সুযোগ হলো হাসান ভাই। এজন্য ধন্যবাদ, এবং ধন্যবাদ কবিতাটা পড়ার জন্যও।
১৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: Friendship to all and malice towards none - এ নীতিতে চারদিকে এবং সর্বত্র শান্তি বিরাজ করুক, আমিও এই কামনা করলাম রাজীব ভাই।
এই সমাজে সুন্দর ভাবে চলতে গেলে সবার প্রতি বন্ধুর মনোভাব থাকতে হবে। সেটার সবার জন্য মঙ্গল হয়। এবং তাহলে ঝগড়া বিবাদ কমে যাবে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি, লাস্ট লাইনে সুন্দর কথা বলেছেন।
এ গানটা আপনার জন্য।
১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: লরুজনের ব্যান একদম সিদ্ধ হয়ে গেছে-
১। সে মিররডল সোনাবীজ ভাইকে নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করছে যা বলার অধিকার তার কোনোভাবেই নেই। সে এই ব্লগ রুল নির্ধারক না। এবং মন গড়া অসত্য বলে যাচ্ছে। এবং একই সাথে সে নিক বিকৃত করে বালছাই লিখেছে। যেটা তার ইচ্ছাকৃত।
২। আমি কার মাল্টি এটা উদ্ধার করে সে যেন ব্লগের বিশাল লরুজন হোমস হয়ে পড়েছেন। এই আবিষ্কার সকলের পোস্টে গিয়ে ভ্যানভ্যান করেও তার লাভও হচ্ছে না শান্তিও না।
কাজেই তার মৃত্যু বা ব্যানডই একমাত্র শান্তির ফলাফল হবে।
এইভাবে ফ্লাডিং এবং একটার পর একটা নানা ব্লগারের নাম নিয়ে তার নিজের পোস্টে কুৎসা মূলক পোস্ট করা ব্লগ রুল বিরোধী। সে নিজে যা করছে তা না দেখে অন্যের বিরুদ্ধে বলছে। নিজেকে মহা পন্ডিৎ ভাবতে শুরু করলে যা হয় আর কি।
পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।
অনেক সহ্য করা হয়েছে।
আর ন।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লরুজন ভাই কী লিখেছিলেন, তা দেখার সৌভাগ্য আমার হয় নি। তবে, তিনি তার প্রাপ্য পুরস্কার পেয়েছেন। ব্লগ অথোরিটির এই সময়োপযোগী কাজের জন্য বিরাট ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লরুজন ভাই আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন। তার উদ্দেশ্যে আমার এই প্রচলিত চটুল বাক্যটিই থাকলো - প্রিয় লরুজন ভাই, প্লিজ ভালো হয়ে যান। ভালো হওয়ার জন্য যে কয়টা পয়সা লাগে, আমি আপনাকে দিব।
প্রহর, আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন বলিষ্ঠ প্রতিবাদের জন্য। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।
২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতি ময় কবিতা
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: ইশ কি মজার ছেলেবেলা ছিলো তোমার ভাইয়া!!!!!!!!!!!!
আমার ছেলেবেলাও অনেক অনেক মজার ছিলো।
আমি বার বার ছেলেবেলাতেই ফিরে যেতে চাই।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলাগুলো আসলে মজারই হয়। এবং সবারই একটা আক্ষেপ থাকে - দিনগুলো মোর সোনার খাঁচায় রইল না রইল না, সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলো।
২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলোর শৈশব নিয়ে লেখাগুলো আমার সব সময়ের প্রিয় ।
অনেকই প্রানোচ্ছল অস্থির চঞ্চল দুষ্ট একটা বালকের ছোটবেলার স্মৃতিগুলো খুবই সুন্দর ।
সহজ সরল প্রাণবন্ত ।
আর তাই পড়তে ভালো লাগে ।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কিছু ঘটনা অনেক বেশি মনে পড়ে - যেমন, দল বেঁধে পুকুরে বা খালে ঝাঁপ দিয়ে পড়া, ডুবসাঁতার খেলা, বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির দুয়ারে/উঠোনে জাম্বুরা বা খড় দিয়ে বানানো ফুটবল খেলা, কাদায় গড়াগড়ি, মাখামাখি, ইত্যাদি। মায়ের কথা না শোনায় বাগে পেয়ে মা যখন ইচ্ছেমতো কঠিন পিটুনি দিত, ভ্যাঁ ভ্যাঁ কইরা যেমন গলা ফাডাইয়া কাঁদতাম, আবার কোনো এক নিরীহ সময়ে মা কাঁদো কাঁদো হইয়া বলতো, আরেকটু হইলে তো আইজক্যা তুই মইরাই যাইতি, এত মাইর দিছি
একটু বড়ো হয়ে অনেক কষ্ট করেছি। মাঠের কাজ করা, গরুর ঘাস কাটা, লাঙল দিয়ে হালচাষ করা, ইটামুগুরে ইটা ভাঙা, ধান মাড়ানো, ক্ষেত নিড়ানো, ইত্যাদি। এ কষ্টের বর্ণনা দেয়া অসম্ভব। কিছু কিছু কষ্ট, বিশেষ করে সংসারের জন্য বাবার কিছু কিছু ঘটনার কথা মনে পড়লে বুক ফেটে যেতে চায়।
সুখ ও কষ্টের স্মৃতি নিয়েই আমরা সামনের দিনগুলোতে সুখ খুঁজতে থাকি।
২৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
শৈশবের স্মৃতিচারণ নিয়ে যে লেখাগুলো, এগুলো নিয়ে কোনও বই বের করার ইচ্ছে আছে ?
করলে ভালো হতো ।
পুরনো একটা পোষ্টে লেখা বাবা যখন শিশুর মত হয়ে গেলো , বাবাকে নিয়ে বাজারে যাবার ঘটনা পড়ে আমি ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম । বাবাকে নিয়ে আরও লেখা হোক ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুধু শৈশবের স্মৃতি নিয়ে একটা বই করার মতো ম্যাটারিয়েল নাই। তবে, আমার অলৌকিক রহস্য সিরিজি (কুটিমিয়া) শৈশবের স্মৃতির উপর ভিত্তি করে লেখা।
বাবা বা মাকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে তেমন লেখালেখি নেই, তবে মা-বাবা ঘুরেফিরে অনেক লেখাতেই এসেছেন
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৯
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতায় ছড়িয়ে আছে চমৎকার স্মৃতিসম্ভার!