নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
অনেক বিখ্যাত সুরকার আগেই সুর সৃষ্টি করে রেখে দেন, পরে গীতিকারের গান প্রয়োজনে সামান্য যোজন-বিয়োজন করে সেই সুরের ভেতর ঢুকিয়ে দেন। আলম খান আগেই একটা সুর সৃষ্টি করে রেখে দিয়েছিলেন (সম্ভবত ১৯৬৯ সালে)। পরে ১৯৭৮ সালে 'সারেং বউ' ছবির 'ওরে নীল দরিয়া' গানটিতে সেই সুর আরোপ করেন, এবং আমরা জানি এ গানটি আমাদের কাছে কত প্রিয়। এ আর রহমানও এভাবে সুর তৈরি করে রেখে দেন। আজকের যুগে রেকর্ডিং ফ্যাসিলিটি অনেক বেড়ে গেছে। যেনতেন বিষয় যেনতেন ভাবেই রেকর্ড করে রাখা খুব মামুলি ব্যাপার। আমিও সেই সুযোগটি কাজে লাগাই।
আমি হঠাৎ হঠাৎ কোনো সুর ধরে ফেললে দেরি না করে মোবাইলে রেকর্ড করে ফেলি। সুর বাতাসে উড়ে বেড়ায়। আপনি ধরে ফেলে খাঁচায় পুরে না ফেললে ওটা আর ফিরে আসবে না। তো, সেই রেকর্ড করা সুরটি বার বার আওড়াতে আওড়াতে সুরটা রিফাইন হতে থাকে। প্রফেশনাল সুরকারদের কথা জানা নেই, কিন্তু আমার বৈশিষ্ট্য হলো, কোনো একটা কলি মুহূর্তেই দাঁড় করিয়ে ফেলি এবং সেই কলির উপরই সুরটা বার বার গাইতে থাকি। গানের কথাগুলো অনেক সময়ই অর্থহীন, শুধুমাত্র সুরটাকে চালানোর জন্যই এই কথাগুলোকে ধরে রাখা হয়।
এবারের সুরটাতে ভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কোনো গানের কলি মাথায়/মুখে আসে নি, এসেছে শুধু সুর। আর এবারই প্রথম, শুধু শিস্ দিয়েই সুরটাকে ধরে ফেলেছি। ৪/৫বার এটাকে রেকর্ড করা হয়েছে। অনেকবার ল্যাপটপে বাজানো হয়েছে। অবশেষে ভিডিওতে রূপান্তর করা হলো।
এবার আপনাদের জন্য মজার একটা খেলা। আপনারা এই সুরের সাথে মিলিয়ে গানের কথা লিখতে পারেন। নিজে গাইতে পারেন, অন্যকে দিয়ে গাওয়াতে পারেন। আমাকেও দিতে পারেন, আমিও ট্রাই করে দেখবো
তবে, কোথাও শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, সুরকারের নাম হিসাবে 'খলিল মাহ্মুদ' নামটি উল্লেখ করা হয়েছে। সুরের জন্য কপিরাইট আমার। ভবিষ্যতে এই সুরটি একটা দেশাত্মবোধক গানে সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ভিডিওটি উৎসর্গ করা হলো ব্লগার মোহাম্মদ গোফরান ভাইকে, কারণ, ভিডিওতে ব্যবহৃত সেলিব্রেটি তাসনিয়া ফারিন তার অত্যন্ত প্রিয় অভিনয়শিল্পী এবং তার কাছ থেকেই প্রথম এই মেধাবী অভিনেত্রীর নাম জানতে পারি, যদিও আগেও তার নাটক দেখেছিলাম, কিন্তু নাম মনে/মুখস্থ ছিল না।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় তমাল ভাই, প্রথম কমেন্ট করায় এবং সুন্দর একটি কমেন্ট করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কোনো এক সুরকার বা গীতিকার এক জায়গায় বক্তব্যে বলছিলেন যে, ছায়াছবির গানের জন্য আগে সুর তৈরি করা হয় তারপর তাতে কথা জুড়ে দেয়া হয়। সিনেমার সিকোয়েন্সের কোন জায়গার গানটি কী রকম হবে, রোমান্টিক, স্যাড, ফানি, ইত্যাদি বিবেচনা করেই সুর তৈরি করা হয়।
তবে, বাংলার জেনুইন বাউল শিল্পীরা অনেক সময় স্টেজেই তাৎক্ষণিকভাবে সুর ও গান তৈরি করতেন বলে জানা যায়। তারা সচরাচর গানের কথা ও সুর একই সাথে তৈরি করতেন।
আমার গুরুর কথা আপনার মনে আছে দেখে ভালো লাগলো গুরুর পক্ষ থেকে সালাম নিন
২| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ডাব্বা বলেছেন: আমার প্রতিভার লেশ নেই, শখের শেষ নেই। সুর করার বিষয়টি আমাকে খুব আকর্ষণ করে, জানার চেষ্টাও করেছি। বিভিন্ন কারণে সফলতা আসেনি। আমাকে একজন বলেছিলেন যে সারেগামা না জানলে সুর করা ঝামেলার।
আপনার সুরটির বিভিন্ন অংশ পরিচিত মনে হচ্ছে। কেন এমন মনে হচ্ছে?
১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মন্তব্যের জন্য শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা গানের ওস্তাদ এবং প্রফেশনাল, তারা নিখুঁতভাবে ব্যাকরণসম্মতভাবে সুর তৈরি করেন। কিন্তু স্বভাবগায়ক যথা বাউলশিল্পী যারা, তাদের পক্ষে এসব সারেগামা শিখে গান গাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করি। এটা আমার কাছে ছন্দ না জেনেই কবিতা লেখার মতোই মনে হয়। ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা লিখছি, আর ছন্দ সম্পর্কে কিছু শিখেছি অনেক অনেক পরে। আমিও সারেগামা সম্পর্কে কিছুই না জেনেই সুর তৈরির চেষ্টা করি, যদিও ব্যাকরণগতভাবে হয়ত কোনো সুরই নিখুঁত বা মৌলিক হয় না। আর সুর সৃষ্টির ব্যাপারটা আমাকেও খুব আকৃষ্ট করে এবং এই আকর্ষণ থেকেই আমি দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় বেশ খেয়ালের বশেই একটা গানে সুর দিয়ে ফেলি
আপনার সুরটির বিভিন্ন অংশ পরিচিত মনে হচ্ছে। অনেক সময় আমার কাছেও প্রায় সব গানেরই অন্তরাকে একই বা পরিচিত মনে হয়, কিন্তু নির্দিষ্টভাবে বের করতে পারি না। কাকতালীয়ভাবেও অনেক সময় অন্য গানের কিছু অংশের সাথে আরেক গানের কিছু সুর মিলে যেতে পারে। আমার সুরের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটে যাওয়া অসম্ভব কোনো ব্যাপার না।
আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই মেয়ের কিছু ছবি আমি ইন্সটাগ্রামে দেখেছি।
এই মেয়েই তো ইস্পাহানির বিজ্ঞাপন টা করেছে।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ! নতুন কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০২
ডাব্বা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ বিশদ ব্যাখ্যার জন্য। ইন শা আল্লাহ, কোনও কিছুতে, কোনও একদিন, কোনও একটা সুর দিয়েই ফেলব। হাহাহা।
অল দ্য বেস্ট।
১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ইচ্ছা এবং ডিটারমিনেশন ভালো লাগলো। শীঘ্রই আপনার কাছ থেকে একটা কিছু পাব, এমন প্রত্যাশা রইল।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৯
২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অভিনন্দন প্রিয় মোস্তফা কামাল ভাই।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
এটা কি হয়ে গেলো ধুলো ! কেউতো লিরিক লিখলো না ।
ধুলোকেই কষ্ট করে সুরে সুরে লিখে ফেলতে হবে ।
তবে এটা বোঝা যায় এই সুরে স্যাড লিরিক যাবে না ।
আনন্দের হতে হবে, রিদম আছে ।
২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লিরিকের জন্য ধুলো বসে থাকবার নহে। শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য দু-এক গোছা শব্দ হলেই হলো, হোক তা অর্থহীন।
এটা রিয়াল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সুরকারেরা আগেই সুর তৈরি করে রাখেন এটা বহুদিন আগে জেনেছিলাম এক সহপাঠীর কাছে। সুরের মধ্যে শব্দ বসানো নাকি শব্দের ওপর সুর বসানোর চেয়ে সহজতর। আপনার সুরটা ভালো লেগেছে। সুরকারের নাম হিসেবে আপনি আপনার গুরু 'জনাব খলিল মাহমুদের' নাম দিতে বলেছেন। আবার এটাও বলছেন যে কপিরাইট আপনার নামে। গুরুর প্রতি আপনার এই শ্রদ্ধা অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়। এখন অপেক্ষায় থাকলাম একটা সম্পূর্ণ গান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার।