নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
অলস দুপুর, নিঝুম ছিমছাম। আকাশ জুড়ে মেঘ। এক বৃষ্টি-বিলাসী মেয়ে। বৃষ্টি হলেই জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। কতদূর চোখ ভেসে যায়, যতদূর দৃষ্টি চলে যায়, মেঘের পর আকাশ ছাড়িয়ে আরো দূরে। মেয়েটি ভাবে, কেউ হয়ত ধীর পায়ে হেঁটে হেঁটে তার পাশে এসে দাঁড়াবে। তারপর ভাবনারা আরো ডালপালা মেলে দেয়। সেই যে সবুজ গ্রাম, ফসলের ক্ষেতগুলো সীমানার পর সীমানা ছাড়িয়ে বহু-বহুদূর চলে গেছে, তার না-দেখা প্রেমিক, আরাধ্য যুবকটি স্বপ্নের মতোই মায়াবী বাতাসে পা ফেলে ফেলে এসে মেয়েটির সাথেে মিলে যায়। তারা হেঁটে চলে, শৈশবে ফেলে আসা পদ্মার চরে, যেখানে সুখ ঘুমিয়ে আছে। পদ্মার পললে জীবনকে আবার নতুন করে খুঁজতে যাবে তারা। জীবনের মূল অর্থ ও রহস্য সেখানেই।
ভালো লাগে -
যখন বৃষ্টি নামে নিঝুম দুপুরে
জানালার গ্রিল ধরে আকাশ দেখি
তুমি এসে আমাকে ছুঁয়ে
আলগোছে দাঁড়াবে পাশে
ভালো লাগে
ভালো লাগে
ভালো লাগে
ফসলের ক্ষেতগুলো চলে গেছে বহুদূর
চলে গেছে বহুদূর
আলপথ ধরে আমি হেঁটে চলি
তুমি এসে পায়ে পায়ে
হাঁটবে আমার আঙুল ধরে
ভালো লাগে
ভালো লাগে
ভালো লাগে
পদ্মার বালুচরে খেলা করে গাঙচিল
খেলা করে গাঙচিল
অতীতের স্মৃতিগুলো হাত নাড়ে
তুমিও আমার সাথে
জীবনের সন্ধানে যাবে
ভালো লাগে
ভালো লাগে
ভালো লাগে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
কথা, সুর ও মিউজিক কম্পোজিশন : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : সাইফ আল মাহমুদ পাইলট ও ফারিহান আল মাহমুদ লাবিব (বেবি লাবিব)
গানের লিংক : ভালো লাগে - যখন বৃষ্টি নামে নিঝুম দুপুরে
আগের পোস্ট-১ : যখন বৃষ্টি পড়ে - এক গান থেকে আরেক গান
আগের পোস্ট-২ : মনে পড়ে - যখন বৃষ্টি নামে নিঝুম দুপুরে
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও!! দারুণ লিকেছেন তো!! মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা নিয়েন।
২| ১৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার!!! +
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
৩| ১৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
বৃষ্টি বালিকার ভাবনারা পদ্মার বালুচরে যেন আকাশ ছেয়ে রিমঝিম সুরে বেজে গেলো! ভালো লাগলো .... ভালো লাগলো!
সে ভালোলাগা থেকেই রবি-ঠাকুরের এই গানটির কথা মনে পড়লো -
আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে
আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে....
আবার এসেছে আষাঢ়
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা অদ্ভুত সুন্দর। এই প্রথম শুনলাম। দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠে যে আবহ উঠে এসেছে, তা সত্যিই অসাধারণ। সুরটাও রবীন্দ্রনাথের প্রচলিত সুর থেকে বেশ ভিন্নতর।
বৃষ্টি-বালিকা ভালো লাগলো জেনে আনন্দিত।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই পোস্টে আসার জন্য। শুভেচ্ছা নিয়েন।
৪| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪৮
বিজন রয় বলেছেন: আজ সারাদিন ব্লগে বসতে পারিনি। এখন লগইন হয়ে আপনার এই পোস্ট পেলাম।
গান শুরুর আগে যে ভূমিকা লিখেছেন সেটা মন ছুঁয়ে গেল।
গানের কথাগুলো বাংলার শাশ্বত রূপ, চিরন্তন অনুভূতি।
গানটি শুনলাম একা একা বসে।
আমার কাছে মনে হয়েছে গানটি আর একটু উপরে গাওয়া যেত।
তাহলে আপনার কন্ঠ আরো স্বাভাবিক থাকত।
কিছু মনে না করলে একটা প্রশ্ন, আপনি কি আগে মানে আপানর অল্প বয়স থেকে কন্ঠের অনুশীলন করতেন?
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ নিন আমার পোস্টে নিয়মিত আসার জন্য ও এত সুন্দর কমেন্টের জন্য।
আমার কাছে মনে হয়েছে গানটি আর একটু উপরে গাওয়া যেত। খালি গলায় গাওয়া প্রথম গানটা আরেকটু চড়া গলায় ছিল। গান রেকর্ড করি খুবই ক্যাজুয়াল ভাবে, শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য। গায়ক বা শিল্পী হিসাবে না। এজন্য, পিচ, স্কেল এগুলো একেক সময় একেক রকম হয়। নানা ব্যস্ততায় আবার কনসেন্ট্রেট করতেও সমস্যা হয় বলে এত আপ-ডাউন। মূল কথাটা নীচে দেখুন
কিছু মনে না করলে একটা প্রশ্ন, আপনি কি আগে মানে আপানর অল্প বয়স থেকে কন্ঠের অনুশীলন করতেন? দয়া করে আমারে আর হাসাইয়েন না। রেওয়াজ, কণ্ঠ অনুশীলন তো দূরের কথা, আপনার এ কথা পড়ার পর স্মৃতিচারণ করলাম, আমি জীবনে কত শত বার স্টেজে গান গেয়েছি। সেটা শুনলে আপনি হার্টে ফেল না করে বসেন। ১০ম শ্রেণিতে স্কুলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নিজের লেখা গান গাইতে স্টেজে উঠেছিলুম - আমার জীবনের লেখা ও সুর করা প্রথম গান, যখন আমি দশম শ্রেণির ছাত্র, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ এরপর, ১২শ শ্রেণিতে থাকার সময় পাশের গ্রামের এক অনুষ্ঠানে এক গান গেয়েছিনু - যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই প্রতিবেশী চাচাত ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে রাতের বেলা মাইকে গেয়েছিলুম - আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়। আরেকটা আছে - স্কুলে কোনো এক জাতীয় দিবসে কোরাস গেয়েছিলাম - কারার ঐ লৌহ কপাট।
গান আমি কখনোই প্র্যাক্টিস করি নাই। তবে, সারাক্ষণ গুন গুন করা, শিস বাজানো, নীচু গলায় কিংবা গলা ফাডাইয়া গান গাওয়া আমার অভ্যাস। আরেকটা অভ্যাস হলো প্রচুর গান শোনা। খুবই কাছের বন্ধু, আত্মীয়স্বজনের সামনে আবার ক্যাজুয়াল সিঙিং অনেক করি।
আমি যে সুরটা পাই, ওটাকে ধরে রাখার জন্য দরকার হয় লিরিকের। ওটা আমি নিজেই করি। এরপর সুরটাকে রেখে দেয়ার জন্য দরকার একজন শিল্পীর। আমার কোনো শিল্পী নেই। কাজেই সুরটা হারিয়ে যাওয়ার আগে আমার কণ্ঠেই ধরি রাখি। কণ্ঠের মিষ্টতার ব্যাপারে আমার কোনো উচ্চাশা নাই। যেটুকু আছে, একটা সুর ধরে রাখার জন্য তা যথেষ্ট
এতকিছু লিখলাম এখানে, কারণ, এ নিয়ে একটা পোস্ট লেখার সুপ্ত বাসনা ছিল, আর আপনার প্রশ্নে সেগুলো উঠে আসছে। পরবর্তীতে এটাকে এডিট করে পোস্ট করা হবে
ভালো থাকবেন প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা নিয়েন।
৫| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জাস্ট ওয়াও!
ব্লগে কি ভিডিও আপলোড করা যায়। । আমি ইউটুব ভিডিউ লিংক দিলে এরকম ফুল ভিডিও আসেনা।
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'জাস্ট ওয়াও'-এর জন্য ধন্যবাদ গোফরান ভাই।
ইউটিউব দেয়ার পদ্ধতিটা ফেইসবুক গ্রুপে বর্ণনা করবো নে। কারণ, ব্লগে ওটা দেয়া খুব কষ্টসাধ্য।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
আর, আপনি এখানে তাসনিয়া ফারিনকে দেখেন নাই কেন? খুব খারাপ, কইয়া দিলাম কিন্তু
৬| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৭| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:১৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওসময় ঈদ নিয়ে মেতে ছিলাম। চোখে পড়েনি। তাসনিয়া এখন ক্রাশ নাই আর। এখন আরেকজন
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। টেক ইট ইজি। ক্রাশ খাবেন, হুঁশ হবে, আবার খাবেন, আবার হুঁশ হবে তবে, কখনো ভেঙে পড়বেন না। এই যে আমারে দেখেন, আমি কি ভেঙে পড়েছি?
মনে রাখতে হবে, ক্রাশেরাও ক্রাশ খায় তাদেরকেও ছেড়ে চলে যায়। অতএব, কাটাকাটি
প্রেমের ক্ষেত্রে খুব একগুঁয়ে বা জেদি হতে হবে। যে একবার চলে যায়, তার দিকে জীবনেও পা মাড়াতে নাই। পথ চলতে চলতে সামনে পুকুর পড়লো। লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে পার হোন। ওপারে যাইয়া শরীর ঝাড়া দিন, একটু পর শুকাইয়া যাইব শরীর। মনকে এভাবে ভিজাইয়া শুকাইতে হবে
এ কী!!! এতকিছু কেন বলিলাম? প্লিজ ইগনোর করুন
৮| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে বলা যাবে না, মুটামুটি লেগেছে।
১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় জলদস্যু ভাই। আপনার নিয়মিত পদচারণা, আমার অপরিসীম অনুপ্রেরণার উৎস। শুভেচ্ছা নিয়েন।
৯| ১৬ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার কবিতা ও গান।
১৯ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কবিতা ও গান পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা নিয়েন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ভালো লাগে যখন বৃষ্টি নামে
নিঝুম রাতে।
তুমি একই শহরে
ওপ্রান্তে।
বৃষ্টির পানি ছুঁয়ে দিলুম।
স্পর্শ পাও কি।
অসাধারণ কথা ও সুর।