নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
হারিয়ে যাবি যদি
তুই কি আমার নীল-উচাটন পাখি?
বুকের ভেতর তোর বেঁধেছিস বাসা
অন্য কোথাও শান্তি যদি পাবি
এই বুকে তুই কেন করিস
নিত্য যাওয়া-আসা?
বুকের ভেতর বাঁধলি বাসা কেন
পাখি আমার হারিয়ে যাবি যদি?
অন্য কোথাও শান্তি যদি পাবি
আমার কেন করলি দু চোখ নদী?
মার্চ ২০০৭
সোনাবুড়ির কথা
সোনাবুড়ির আঁচল টেনে হাঁটি
সোনাবুড়ির মায়াঞ্জনা ছায়া
সোনাবুড়ির স্নেহস্পর্শ সুধা
সোনাবুড়ির কুন্তলে সুখনদী
সারাবেলার কাজের ভেতর বহে
সোনাবুড়ির সঞ্জীবনী ধারা
আমার পিঠের জমিনখানি জুড়ে
সোনাবুড়ির চোখের তারা জ্বলে।
মার্চ ২০০৭
অ-সুখের মৃত্যু
আজ যদি ঝুমবৃষ্টি হতো আমার এ শহুরে গ্রামটায়
বৃষ্টির ঘ্রাণ মেখে দিতাম তার সারাটা গায়
তারপর তাহারে বলিতাম, সত্যিকারেই যদি দিতে চাও
যা তুমি দাও নি আজও, সে মহার্ঘ আজ আমারে দাও।
আর যদি না দাও সখী, তবে
জেনে নাও, তোমার কবির আজই অ-সুখে মৃত্যু হবে।
৩ আগস্ট ২০০৮
মহাকাব্য
একজন পুরুষ আরাধ্য নারীকে না পেয়ে কবি হয়ে ওঠেন; আর পেয়ে গেলে
ঋষভ হয়ে যান। একজন নারীকে কিছুই হারাতে হয় না।
একজন পুরুষ আজীবন হাহাকার করেন নারীর জন্য। পুরুষেরা অসহায়।
আমরা নারীদের হাহাকার শুনি না, এত সুখ;
শুধু ট্রয় নগরী ধ্বংস হবার ইতিহাস পড়ি– নারীদের জন্যই।
২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯
প্রেমধর্ম
পুংসকধর্মে কোনো প্ল্যাটনিক প্রেম নেই
যৌবন শেষ হয়ে গেলে যে প্রেমের উন্মেষ
তার চেয়ে খাঁটি ও স্বর্গীয় আর কিছু হয় না
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০
বনস্পতি
তোমার সুমধুর ঘ্রাণ অনুপম জীবনের খুলে দেয় দ্বার
প্রত্যেক পদক্ষেপে
প্রতিদিন প্রগাঢ় প্রেম দাও সুস্নিগ্ধ আগুনের ভাঁজে
আমি এক অন্ধ শিকারি- আদিগন্ত চেয়ে রই তীব্র অপলক
অমিত প্রেম দাও, ভরপুর তুমুল রহস্যের সন্ধান দিলে না আজও
১৬ মার্চ ২০১০
লোকটা এ শহরেই থাকেন...
তাঁর কোনো পরিচয় নেই; প্রয়োজন নেই
ওসব সামাজিক ডামাডোলে; পুরোটা শহর
তাঁর নামের শরীরে ভর করে বেঁচে থাকে
আর রাতদিন বয়ে চলে বুড়িগঙ্গার ক্ষয়িষ্ণু
আয়ুর সাথে পচন ও পতনের দিকে। লোকটা
এ শহরে থাকেন বটে, তাঁর সত্যিকার
নামধাম আমরা জানি না; তাঁর আদিবাস কোথায়,
কবে তিনি প্রথম এ শহরে রেখেছিলেন পা,
কী উদ্দেশ্যে, আমরা জানি না।
১৭ মার্চ ২০১০
অন্তর্যামী
বনের বাঘে খায় নি তাকে,
বাঘ ছিল তার মনে।
রোদের আলোয় যায় কি দেখা
কী ব্যথা দংশনে?
কোথায় তাকে খুঁজবে বলো,
কোন দেশে, কোন বনে?
কেউ জানে না কার মনে কার
বসত সঙ্গোপনে।
১৮ এপ্রিল ২০১১
মাকে আমার মনে পড়ে
মাকে আমার মনে পড়ে,
দূরবিভূঁইয়ে রাতদুপুরে
মাকে আমার মনে পড়ে
সারাবেলা, ভুলে গেলেও
মাকে আমার যখন তখন মনে পড়ে,
সকল কাজে, অচেতনে
মা রয়েছেন অনেক দূরে, চোখের নীরে
দারুণ কালে মাকে কেবল
মনে পড়ে! মনে পড়ে!
১৩ মে ২০১২
নাটাই
তোমার হাতেই ধরা দেবার কথা ছিল
ঘুড়ির নাটাই তোমার হাতেই ধরা ছিল
তোমার কত শক্তি ছিল বোঝো নি তা
টের পেলে না ঘুড়ির সুতো ছিঁড়ে গেলো
এমন জনম আর হবে না জেনে রেখো
আপন মনে এখন ভুলের মাশুল গোনো
৯ মে ২০১০ রাত ১:৩৫
দোহার
মাঝিদের বাড়ি, তাঁতীদের বাড়ি
গোয়ালার বাড়ি, চাষাদের বাড়ি
সবগুলো বাড়ি গলাগলি ধরে
বসে আছে সারি সারি
কোথাও শাবুক মেঘুলা-দোহার
কোথাও বা চর পদ্মার পার
সবচেয়ে বড়ো জয়পাড়া হাট-
চৌধুরীদের বাড়ি
পশ্চিমে বহে পদ্মা জননী
পুবে আড়িয়াল বিল
দোহারবাসীকে ধন্য করেছে
জীবনেরে গতিশীল
৩০ অক্টোবর ২০১২
তোমার কথা
তোমার কথা কি শেষ হয়ে গেছে
নাকি আরো কিছু ছিল?
সে কথা জানিতে আরও কতকাল
রহিব উন্মুখিয়া?
যদি না বলিবে কেন আশা দাও
নানা ছল-চাতুরীতে?
তুমি যা বলিবে, অন্তর মম
বুঝেছে তা বহু আগে।
১ নভেম্বর ২০১২
৪
যদিও কিছুটা কবি
আসলে পুরোটাই কূলটা, অমানবী।
তবুও ভালোবেসে ফেলি; তারপর ঝাঁপ দিই সমুদ্দুরে
পেছনে আমার ঔরসজাত হাসে তোমার আগর্ভ শরীর জুড়ে।
৮ জানুয়ারি ২০০৯
৫
প্রেম না হলে কবিতা হবে না
প্রেম থাকলেই কবিতা, কষ্ট কিংবা সুখে
শব্দ ভেঙে ভেঙে শব্দের ভেতর সমুদ্র
কবিতা ধেয়ে আসে ক্ষুধার্ত বাঘিনীর মতো
প্রেমের শিরদাঁড়া বেয়ে।
কবিতা মরে যায় কবিতা ঝরে যায় কবিতা শুকিয়ে কাঠ হয়
প্রেম চলে গেলে।
প্রকৃত প্রেম দহনে। দহনের কবিতাই প্রকৃত কবিতা।
৬
আপনার প্রকৃত লিঙ্গপরিচয় আসলে কোনটি?
একই আদলে কবিতা ও গল্প
বিশ্লেষণ ও মন্তব্যের ধরনও অভিন্ন
প্রায়শ ছায়া, কদাচিৎ স্বরূপে; অথবা উলটোটাই খাঁটি
সর্বজনবিদিত এ কথা- সওয়াল-জবাব আপন-আপন দোঁহে
সুচতুর খেলা
তুমি তবে ভার্চুয়াল নারী- তোমার দেহভাঁজে ফণা তোলে আগুনের সাপ-
আমিও কি কম আছি সেয়ানা ওঝা? এসো আজ জলে ডুবে
ভার্চুয়াল রমণের প্রিয় খেলা খেলি।
২৫ মে ২০০৯
৭
বুঝি না কে সরকারে এলো, কে হারালো গদি
মাসের বেতনে চালডালসবজি চাই, বাচ্চার গুঁড়ো দুধ,
কোনোরূপে খেয়েপরে ধারদেনাহীন একটি মাস
ঘরে বিদ্যুৎ চাই প্রয়োজনমতো, চুলোর জ্বালানি চাই
পানীয় পানি চাই, ধোয়ামোছা হাঁড়ি ও শরীর
চাই যানযটমুক্ত রাস্তাঘাট, ধোঁয়াহীন বিশুদ্ধ বাতাস
আমাদের বেঁচে থাকবার ন্যূনতম চাহিদাগুলো মিটিয়ে দিন,
হে সরকারাধিপতিগণ
তারপর আপনারা গদি কাড়াকাড়িতে মশগুল হোন
আমরা নিতান্ত আমজনতা। বেঁচে থাকবার প্রচেষ্টাই
আমাদের নিকটতম সংগ্রাম
২২ অক্টোবর ২০০৯
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এক বসাতেই এত্তোগুলো ক্ষণজন্মা কবিতা দিলে অনেকগুলিই অপাঙ্ক্তেয় হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একান্তই খাঁটি কথা বলেছেন প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। তবে, বহুদিন ধরে গানের চাপে সাহিত্য থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিলাম। পুরোনো একগাঁদা কবিতা ক্রমান্বয়ে শেয়ার করে এখনো যে সাহিত্যের মধ্যেই আছি, তা বুঝিয়ে মনকে প্রবোধ দেয়ার চেষ্টা করছিলাম আর কী
তবু যে আপনি পড়লেন, এত সুন্দর একটা কমেন্ট করলেন, তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০২
পাজী-পোলা বলেছেন: সবগুলোই ভালো, নাটাই টা বেশী ভালো। এই ধরনের লেখা কে কী বলে? স্টাইলটা ভাল লাগছে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এই ধরনের লেখা কে কী বলে? প্রচলিত ধারা থেকে এটা আলাদা কোনো ধারার কবিতা না। তাই আলাদা কোনো ক্যাটাগরাইজেশনও নাই। এগুলোর অনেক কবিতাই অনলাইনে, বিশেষ করে ব্লগে কারো কারো কমেন্টের উত্তর দেয়ার সময় লেখা হয়েছিল। প্রকাশিত বইতে এগুলোকে জায়গা দিতে পারি নাই, তাই এগুলো 'অপাঙ্ক্তেয়'
কবিতা ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৯
পাজী-পোলা বলেছেন: একদম শেষের সাত নাম্বারটাও, খুব ভালো।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা হলো ইতিহাস, বা ইতিহাসের সাক্ষী। আমি প্রতিটা কবিতারই রচনাকাল লিখে রাখি। ঐ কবিতাটা ঐ সময়ের সাক্ষ্য দেয়।
এ কবিতাটায় আপনার নজর পড়েছে দেখে ভালো লেগেছে।
সময় পেলেই আপনার পোস্টে যাব।
ভালো থাকবেন।
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: কোনটা রেখে কোনটা নিয়ে বলবো।সবগুলো কবিতাই সুন্দর সুখপাঠ্য।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি কবিতাও সমান আন্তরিকতার সাথে পড়ে থাকেন এবং কবিতাও ভালোবাসেন, বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এ কবিতাগুলো পড়ে এমন একটা প্রশংসাবাক্য লেখার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি প্রিয় কামাল ভাই।
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার সব পুরনো লেখাগুলো নিয়ে আসছেন।
ব্লগার কামাল১৮ এর কথা ঠিক
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরোনো লেখাগুলো যে চমৎকার, এ ব্যাপারে আপনার কমেন্ট আমাকে খুব আশ্বস্ত করলো এবং আনন্দও দিল। কামাল ভাইকে তো ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না, তেমনি আপনাকেও ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা গেল না। শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় শেরজা তপন ভাই।
৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
শায়মা বলেছেন: ৪. ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:০৩০
কামাল১৮ বলেছেন: কোনটা রেখে কোনটা নিয়ে বলবো।সবগুলো কবিতাই সুন্দর সুখপাঠ্য।
৫. ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯০
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার সব পুরনো লেখাগুলো নিয়ে আসছেন।
ব্লগার কামাল১৮ এর কথা ঠিক
ঠিক ঠিক একদমই ঠিক!
সবগুলোই মনের কথা!
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'অপাঙ্ক্তেয়' শিরোনামভুক্ত অনেক কবিতাই আছে, যেগুলো আপনার পোস্টে কিংবা আমার পোস্টে কমেন্ট আদান-প্রদানের সময়ে লেখা হয়েছিল কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে এখন বলতে পারবো না, সেগুলো কী কী আপনার কাছে আমার কবিতার অনেক ঋণ আছে।
কামাল ভাই ও শেরজা তপন ভাইয়ের কমেন্টের উদ্ধৃতিসহ আপনার 'মনের কথা' প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্য।
৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। কবিতা গুলো পড়ে গভীর ভাবনায় মত্ত হতে হয়।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত্তগুলো কবিতা পড়ার পর প্রশংসাসূচক কমেন্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা+
৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১০
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা কবিতা সুন্দর। ভাষা সহজ ও শ্রুতিমধুর।
৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
পাজী-পোলা বলেছেন: স্টাইলটা ভালো লাগছে। দাবী সরাসরি সোজা কথায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে প্রত্যেকটা কবিতা এখানেই শুরু, এখানেই শেষ। কোন অতিরিক্ত রূপ, রস, জস নেই। নিরেট ছিলাছালা বক্তব্য।
এমন ধারার কবিতা থাকতে পারে, আমার চোখে পড়েনি। এক সাথে এত গুলা একি ধারার কবিতা দেখে মনে হয়েছে এটা কবিতার কোন প্যার্টান। যেমন এখন টু লাইনার, ফোর লাইনার লেখা হয়।
বৃথাই আমি চেষ্টা করে নিজেও একটা লিখলাম-
বিদায়ের সম্ভাষণ
-------------------
চলে যাবার সময় যদি দেখা না পাও
তবে বুঝে নিও চোখে জল ছিলো।
যদি মুখ ফিরিয়ে রাখি
তবে ফেরবার সব পথ বন্ধ।
যদি সম্মুখে তাকিয়ে থাকি
তবে প্রতীক্ষায় থাকবো।
বিদায়ের সম্ভাষণ
বুঝে নিও চোখ চেয়ে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও, খুবই ভালো লাগলো। কথাগুলো ইউনিক। এই যে দেখুন, প্রথম ২ লাইবে উপমাটা যেরকম লিখেছেন, আমি আজও এমনটি কোথাও পড়ি নি। এটাই আপনার স্বকীয়তা।
হ্যাঁ, পোস্টের প্রতিটাই আলাদা কবিতা। কোনো কোনো জায়গায় একটা করেই শেয়ার করা হয়েছে এর আগে।
ধন্যবাদ আবার আসার জন্য।
১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
বুকের ভেতর বাঁধলি বাসা কেন
পাখি আমার হারিয়ে যাবি যদি?
অন্য কোথাও শান্তি যদি পাবি
আমার কেন করলি দু চোখ নদী?
এ লাইনগুলো অনন্য সৃষ্টি!
১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি কুশলেই আছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
এক বসাতেই এত্তোগুলো ক্ষণজন্মা কবিতা দিলে অনেকগুলিই অপাঙ্ক্তেয় হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কবিতা তো আর ভাজা বাদাম নয় যে শব্দ করে খোসা ছাড়িয়ে মুখে দিয়ে চিবুনো যাবে! একটু রয়ে সয়ে, চাটনীর মতো আমেজে মনের জিহ্বা-তালুতে "টক-টক" করে শব্দ করার সময়টা দেবেন তো ........
চোখে নদী বইয়ে লাভ কি ? একদিন পাখি উড়ে যাবেই তো আকাশে! পাখির যে ডানা আছে.... পাখির শোকে কেঁদেকেটে একসা হলে অ-সুখ তো বাঁধবেই আর তাতেই মরণ!