নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাগ করবার আরো যে কত সময় আছে যে পড়ে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

'তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়, দুখের দহনে করুণ রোদনে তিলে তিলে তার ক্ষয়' - বাংলার গানপিপাসু জনগণ এ গানটি শোনেন নি, এবং গুনগুন করে কণ্ঠে সুর তোলেন নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এটি একটি ছায়াছবির গান। 'এতটুকু আশা'। আমি যে আমলে ছায়াছবি দেখা শুরু করেছি, তখন এ ছবিটির কোনো নামডাক শুনি নি। সিনেমা দেখতে যেয়ে দেখি আমাদের দোহার থানার একমাত্র সবেধন নীলমণি 'জয়পাড়া সিনেমা' হলে 'এতটুকু আশা' ছবিটি চলছে। খুব সম্ভবত তখন ক্লাস সেভেন বা এইটে পড়ি। সে সময়ে সিনেমা দেখতাম ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু আবুল বা নূরু বা দুজনের সাথেই। সেদিন গেছি আবুলের সাথে। 'বুলবুল-এ-বাগদাদ' হলো আমার প্রথম দেখা ছায়াছবি, যেটি ছিল 'আংশিক রঙিন', নায়ক নায়িকা ছিলেন সে-সময়ের হার্টথ্রব জুটি ওয়াসিম ও অলিভিয়া। আমার চোখে তখন তারা দুজনই তারকাদের তারকা। আর আমার ভালো লাগে টগবগিয়ে ঘোড়া-দাবড়ানো রাজ-রাজড়াদের 'পোশাকি' ছবি, তুমুল তলোয়ারযুদ্ধ-সর্বস্ব ফাইটিং দৃশ্য, যা মনে ভীষণ উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সেখানে ভিলেন থাকে জসীম এবং আহমেদ শরীফ।

কিন্তু বাইরে টাঙানো সিনেমার দৃশ্যগুলো দেখে আমার মন মরে গেলো। এটা নিতান্তই সামাজিক ছবি, যা গ্রামের দৃশ্যাবলিতে ভরপুর, একটাও ঘোড়া নাই, তলোয়ারের ঝনঝনানি নাই। সবার কাছে নাকি সামাজিক ছবিই ভালো লাগে। গ্রামের দৃশ্য দেখে বুক নাকি ভরে যায়। সবই ফাও কথা। গ্রামের ছেলে, গ্রামের কাদামাটি, খালবিলপুকুরে, আমগাছ, গাবগাছ, জামগাছ আর খেঁজুর গাছে ঘুরে ঘুরে বড়ো হচ্ছি, সারাজীবন তো গ্রামের দৃশ্য দেখতে দেখতে চোখ গেল অন্ধ হইয়া, হালার সিনেমার ভিত্রেও আবার সেই গ্রামের সিনারিই দেখতে হবে?

আবুলের সাথে সিনেমা দেখা শুরু করলাম। তবে, কাহিনিটা ভালো লাগলো। এর আগে আমার ঘনিষ্ঠতম ক্লাসমেট জসীমের কাছ থেকে 'চিতা বহ্নিমান' (লেখক - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়) নামক এক বই এনে পড়েছিলাম। দারুণ গল্প ছিল। আল্ট্রা মডার্ন স্ত্রীর কাছে এক গ্রামীণ, নিরীহ, ভদ্র ও শিক্ষিত স্বামী পদে পদে অপমানিত হয়, শেষমেষ অবশ্য স্ত্রী তার ভুল বুঝতে পারে এবং স্বামীর কাছে পদানত হয়। 'এতটুকু আশা' ছবিতেও ওরকম গ্রাম্য, মেধাবী স্বামী তার অতি-আধুনিকা স্ত্রীর কাছে অপদস্ত হতে থাকে। এরকম গল্প। সিনেমায় রাজ্জাক ও সুজাতা হলেন নায়ক-নায়িকা, তবে প্রধান চরিত্র ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও রোজী সামাদ। আমার ধারণা, ছেলেরা সবাই নিজেকে রাজ্জাক না ভেবে আনোয়ার হোসেনের জায়গায় বসাতে থাকেন। আমিও নিজেকে আনোয়ার হোসেনেই ডুবিয়ে ফেললাম। ছবিতে একসময় যে গানটা বেজে উঠলো, আমার না-চেনা এক অভিনেতার মুখে (আলতাফ), সেটি আমার পরিচিত গান, আমি জানতামও না যে এ গানটা এ ছবিতে আছে। গানটার কথা আমি সবার আগে শুনেছিলাম আমাদের এক ক্লাসমেট জাহিদ কিংবা শের খানের কণ্ঠে। তারপর মাইকে ও রেডিওতে শুনেছি। এটি হলো সেই বিখ্যাত গান - তুমি কি দেখেছো কভু, জীবনের পরাজয়। সিনেমায় গানটা শুনে খুব মুগ্ধ হলাম। গানের দৃশ্যে এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখে হলভর্তি মানুষ হেসে দিচ্ছিলেন। কারণ, সিনেমাটি ১৯৬৮ সালে বানানো হয়। ঐ সময়ে এটিএম শামসুজ্জামান সম্ভবত বড়োসড়ো ভিলেন হয়ে ওঠেন নি, সাধারণ চরিত্রে অভিনয় করতেন। কিন্তু যখন আমরা এ ছবিটি হলে দেখছিলাম (১৯৮০-৮১ সালে হবে), ততদিনে তিনি দেশসেরা (আসলে কুখ্যাত) ভিলেন অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন। সবাই তার ভিলেনীয় নৃশংসতা দেখেই অভ্যস্ত এবং সবাই তাকে ভিলেন রূপেই তাকে দেখতে চান।

তবে, 'তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়' গানটি ছাড়া ঐ ছবির আর কোনো গান সেই সময়ে আমার কিংবা আমার বন্ধুদের মধ্যে কোনো সাড়া ফেলেছিল বলে মনে হয় না। এমনকি এই কিছুদিন আগে পর্যন্তও আমি জানতাম না ঐ গানটি ছাড়া আর কী কী গান আছে 'এতটুকু আশা' ছবিটিতে। সম্ভবত আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পর ইউটিউবে তার গান সার্চ দেয়ার পর যে গানগুলো উঠে আসে, তার মধ্যে 'এতটুকু আশা' ছবির অন্য গানটা উঠে এসেছিল। এরপর 'এতটুকু আশা' ছবির গানগুলো সার্চ করে যেগুলো পাই তা শুনে আমি খুবই মুগ্ধ ও বিস্মিত হই - এ ছবিতে দুটো বিখ্যাত রোমান্টিক গান আছে, যা আমাদের সোনালি যুগের হিরন্ময় প্রতিনিধিত্বস্বরূপ উজ্জ্বল হয়ে আছে - 'শুধু একবার বলে যাও, আমি যে তোমার কত প্রিয়' (খন্দকার ফারুক আহমেদ ও ফেরদৌসী রহমান) এবং 'রাগ করবার আরো যে কত সময় আছে যে পড়ে' (আব্দুল জব্বার)।

রোমান্টিক গানদুটোর মধ্যে 'রাগ করবার' গানটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো, প্রধানত এর সুর এবং দ্বিতীয়ত এর গায়কীর জন্য। এ চমৎকার গানটি আমিও গেয়ে ফেললাম। যে-কোনো গানই আমরা যখন শুনি কিংবা গানের সাথে কণ্ঠ মিলাই, মনে হয় সুরটা কত সহজ। কিন্তু গানটা গাইতে গেলে বোঝা যায়, প্রতিটা সহজ গানেও সঠিকভাবে সুর তোলা মোটেও সহজ কাজ না। এটা আপনি এখনই প্রমাণ করতে পারেন, আপনার কাছে সহজ মনে হওয়া যে-কোনো একটা গান মোবাইলে রেকর্ড করে শুনে দেখুন, ঠিক সুরে কতখানি গাইতে পেরেছেন। তবে, সুর ও গায়কী সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনি নিজেও সেটা ধরতে বা বুঝতে পারবেন না।

রাগ করবার
আরো যে কত সময় আছে যে পড়ে
অনেক আশার এইটুকু ক্ষণ
খুশিতে দাও না গো ভরে

চেয়ে দেখো ঐ
রঙ লেগেছে
মৌসুমী ফুলে ফুলে
নীল আকাশে মেঘের মেলা কী কথা যায় বলে
কে জানে এমনও দিন আসবে কিনা আর ফিরে
রাগ করবার
আরো যে কত সময় আছে যে পড়ে
অনেক আশার এইটুকু ক্ষণ
খুশিতে দাও না গো ভরে

যদি তুমি ভাবো রাগ করলেই
তোমাকে দেখায় খুব ভালো
আসলেই
উঁহু
মোটেই তা নয়
যদি তুমি ভাবো রাগ করলেই
তোমাকে দেখায় খুব ভালো
আসলে তা নয়
দেখতে লাগে ঠিক হুতুম প্যাঁচার মতো কালো

এই তো বেশ
হাসলে পরে
মধুর মধুর লাগে
ঝিলমিলিয়ে ঝিলের জলে কাঁপন যেন জাগে
ক্ষতি কী হেসে খেলেই যাক না বেলা বয়ে এমনি করে

রাগ করবার
আরো যে কত সময় আছে যে পড়ে
অনেক আশার এইটুকু ক্ষণ
খুশিতে দাও না গো ভরে

কথা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
সুর : সত্য সাহা
ছায়াছবিতে কণ্ঠ : আব্দুল জব্বার
মিউজিক ও কভার : খলিল মাহ্‌মুদ
ছায়াছবি : এতটুকু আশা (১৯৬৮)
ছায়াছবি পরিচালনা : নারায়ণ ঘোষ মিতা
শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় : রাজ্জাক, সুজাতা, আনোয়ার হোসেন ও রোজী সামাদ

গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - এতটুকু আশা





আব্দুল জব্বার - রাগ করবার আরো যে কত সময় আছে যে পড়ে




মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

শায়মা বলেছেন: এই গান অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।

শুধু দেখতে উচ্চারন ঠিক করলেই ১০০ তে ১০০।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি অবশ্য চিন্তিত ছিলাম 'হুতোম পেঁচা' উচ্চারণ নিয়ে। আব্দুল জব্বার উচ্চারণ করেছেন 'হুতোমপ্যাঁচা', আমি করেছি 'হুতুম প্যাঁচা'। অবশ্য দুটো উচ্চারণই ঠিক। 'দেখতে'-কে যে 'দ্যাখতে' বলেছি এটা খেয়াল করেছি পরে। অল্পবিস্তর উচ্চারণ নিয়ে এখন আর স্কেয়ার্ড থাকি না, সব শিল্পীর গানেই উচ্চারণত্রুটি পাওয়া যায়। আগে এগুলো খেয়াল করি নি কখনো, ভিডিও এডিটিং এবং এখন মিউজিক এডিটিং করতে যেয়ে এসব আমার কানে ধরা পড়ে। শুধু উচ্চারণই না, লাইভ মিউজিকের সাথে রেকর্ড করা গানের বিট শুনলেই আমার কানে তাল লয়ের ছেদ বেজে ওঠে :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ভালো লাগলো এবং বিস্মিত হলাম যে প্রতিটা শব্দ পর্যন্ত আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আমি আপ্লুত। অজস্র ধন্যবাদ আপু।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৬

শায়মা বলেছেন: তোমার তাল লয় কিন্তু ভালোই আছে ভাইয়া। তাল কেটে ফেলো না ...... :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ছোটো ছেলে হলো মিউজিকের উপর পণ্ডিত। বছর দুই/তিন আগে একবার কী একটা কারণে বলে ফেলেছি - আমার গান গাওয়ার জন্য কোনো বিট লাগে না, খালি গলায় (বিট ছাড়া) গাইলেও বিট ঠিক থাকবে। (ওরা আবার মিউজিকের/বিটের সাথে গান গায়)। এটা শোনার পর ছেলে আমাকে খুবই সিরিয়াসলি বিটের উপর লেকচার দেয়া শুরু করলো। বিট কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, ফ্র্যাকশন অব সেকেন্ডও হেরফের হলে সেই গান রিজেক্টেড, ইত্যাদি ইত্যাদি :) ওরা দুই ভাই মিলে বার বার আমাকে ইনসিস্ট করছিল আমি যেন ওদের মতো করে গান রেকর্ড করি, যাতে মিস-বিট না হয় :) কিন্তু আমি আমার চিরাচরিত পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসতে পারি নি। আমার গান রেকর্ডিং পদ্ধতি দেখলে আপনি ফেইন্ট হয়ে যাবেন :)

যেসব গানে বিট মেলাতে পারি নি, ওগুলোতে বিটই রাখি নি। অলরেডি এরকম কয়েকটা গান আপলোড করেছি, কাল-পরশু শেয়ার করবো। মিউজিক এডিট ওয়ার্ল্ডে ঢোকার পর যে-কোনো গান শুনলেই আমার কাছে মনে হয়, ঐ গানটার অমুক জায়গায় ত্রুটি আছে। আগের দিনে আজকের দিনের মতো এডিটিং টেকনোলজি থাকলে অনেক গানই আরো মেলোডিয়াস করা যেত, লেস মেলোডিফুল গানগুলো বাদ রিপ্লেস করা যেত। চিত্রা সিং-এর একটা গান শুনতে যেয়ে আমার মনে হলো শুরুর অংশে যতখানি মেলোডিয়াস ছিল, শেষের অংশে ততখানি হয় নি। আজকের দিনে হলে এডিট করার সময়ই বেস্ট পার্ট সিলেক্ট করা হতো, ফলে পুরো গানটা আরো মেডিয়াস মনে হতো।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

শায়মা বলেছেন: বিট সবার আগে ছোটবেলায় শিখলাম ঝুমুর তাল/ দ্রুত কাহারবা
তারপর তাল কেটে গেলে ঠেকা তাল বাজাতে হয় তবলায় হা হা

তারপর শিখলাম দাদরা ৬ মাত্রা
কাহারবা ৮ মাত্রা

তারপরই ত্রিতাল সে নাকি তালের রাজা ১৬ মাত্রা এই ছিলো ছোটবেলার তালগোল .......

এরপর ঝাঁপতাল বা ঝম্পক তাল
একতাল
দুই তাল তিন তাল হা হা হা কত শতই না তাল......

সব তালের বোল মুখস্ত করতে হত আমাদের ধা ধিন ধিন ধা না তিন তিন না তে টে ধিন ধিন ধা........

কিবোর্ডে বিট সেট করে দিতে হয় আর গিটারে আল্লাহ ওয়াস্তে যেই গিটার স্কুলে শিখতে গেছিলাম উনারা ইংলিশ গান ছাড়া শেখায় না কাজেই কর্ড ধরো আর ভ্যা ভ্যা ইংলিশ সং প্রথমেই শুরু করে দিলো ব্লোইংঐন দ্যা উইন্ড......আল্লাহরে নতুন করে গান শিখবো নাকি কর্ডে হাত বসাবো!!!

বুঝিনা গিটারেও কি স্কেল আছে ? গিটারের তাল লয়েও কি মাত্রা থাকে? সেই টিচার বলে আপাজান আপনার পা দুইটা ধরি বাংলা গান হারমোনিয়ামের সাথে এই গিটার মিলাবেন না। কি জ্বালা!!!


পরে দুর ছাই করে তাকে বাদ দিয়ে ধরলাম শিপন চকরবর্তীকে ! তারপর আমি হ্যাপী। সে বাংলা গান কর্ডের পাশাপাশি ফিঙ্গার দিয়ে গান তোলাও শিখিয়ে দিচ্ছে। :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, সেই শৈশব কাল থেকেই আপনি তালের সাথে আছেন, বোঝা গেছে :)

তাল আমার কাছে দুই প্রকার - কমন সেন্সের তাল। যে ব্যক্তি শুধু গান শুনে শুনে গান করেন। তিনি জানেন না তাল লয় কী জিনিস, শিল্পী যেভাবে গেয়ে থাকেন, তিনিও ওভাবেই গেয়ে থাকেন। আমি মূলত এ দলেই :)

শিক্ষিতদের তাল - এ তাল শেখা হয় গুরুদের কাছ থেকে। আপনি এ দলে :)

গানের তাল-লয় সাহিত্যের 'ছন্দ'র মতোই। 'ছন্দ' না পড়েও কবিতা লেখা যায়, 'তাল' জ্ঞান না থাকলেও গান করা যায়, তবে সেগুলো সূক্ষ্ম ও শুদ্ধ হবে না শতভাগ, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি জানি আমার মন্তব্যের উত্তর দিবেন না।
তবু জানিয়ে গেলাম। আমি এসেছিলাম।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি সব সময়েই এমন পুরানো গান শুনি ভাল লাগে!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এক ছেলেকে একদিন দেখলাম ২০০০ সাল পরবর্তী কিছু গানকে পুরোনো দিনের গান হিসাবে খুব প্রাণ ভরে উপভোগ করছে। আবার, ৮০'র দশকের গানকে বাই দিস টাইম হগলেই পুরোনো দিনের গান হিসাবে ক্যাটাগরাইজ করছে। আমি অবশ্য ঐ ৮০'র দশকের একটু আগে থেকেই গানটান শুনি।

তাই মনে হয়, পুরোনো দিনের গান কথাটার সময়ের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, ওটার সম্পর্ক ব্যক্তির বয়সের সাথে।

আমার কাছে পুরোনো বা নতুন গান বলে কোনো কথা নেই, ভালো গান হলেই আমি তা খেয়ে ফেলি। গানের ব্যাপারে সর্বভুক। অবশ্যই বাংলা গান।

কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাহাদাত উদরাজী ভাই।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

বিষাদ সময় বলেছেন: তুমি কি দেখেছো কভু -গানটি আমার জীবনের সঙ্গি।

আগে জানতাম তাল দু-রকমের হয় গাছের তাল আর গানের তাল।
হাওয়াইন গীটার বাজাতে গিয়ে বুঝেছি গানের তাল অনেক রকমের। সে অবশ্য সুদূর অতীত।

উপরে শায়মা দেখি তেওড়া তালের কথা বলতে ভুলে গেছেন। কিন্তু তেওড়া তালের তাড়া খেয়েই যে অনেকে গানের জগত ছাড়েন তাকে ভুললে চলবে কি করে.....

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তুমি কি দেখেছো কভু - এটা প্রায় সবারই জীবনের সঙ্গী। অনেক ভালো একটা গান, যেটা জীবনের অনেক গভীরে গেঁথে আছে।

শায়মা হককে তাহলে তালকন্যাও বলা যায় :)

আচ্ছা, ঘাওড়া তাল বলতে কি কোনো তাল নাই? তেওড়া থাকলে ঘাওড়া না থাকাটা খুবই অন্যায় কিন্তু :)

কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আহা বহ্নিমান এর কথা আর কথা কইয়েন না এখনো বুকে ঘা দেয়। আপনার দেয়া তিনটি গানই খুব প্রিয় ছিল একসময়

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'চিতা বহ্নিমান' পড়ার জন্যই একবার ফাল্গুনীর ১০ উপন্যাস একত্রে কিনিলাম। কিন্তু কেনা পর্যন্তই সার, আর পড়া হয় নাই। তবে, বইটা আমি সম্ভবত ২বার পড়েছি। খুবই ছোটো বয়সে একবার, তারপর সম্ভবত কলেজে পড়ার সময়। ২বারই ভালো লেগেছে।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো গেয়েছেন, এবং দেখতে'র ব্যাপারে শায়মা হক এর পর্যবেক্ষণটাও সঠিক।
তুমি কি দেখেছো কভু প্রথম শোনাতেই মনে গেঁথে গিয়েছিল।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩২

শায়মা বলেছেন: হা হা না তেওড়া তাল ভুলিনি...... বিষাদ সময় ভাইয়া...... ৭ মাত্রা বেষমপদী তাল........ কিছুদিন তবলা শেখার টেরাইও করেছিলাম কিন্তু আমার আবার তুলার মতন নরম হাত তাই কয়েকটা বাড়ি টাড়ি খেয়ে জীবনে মনে হয় এই একটা জিনিসেই গিভ আপ করেছিলাম। তবে কোথায় কেমনে কোন আঙ্গুলে ঠিক কোথায় তাল ঠুকতে হয় তাহা জানি খুব ভালো ভাবেই।:)


@সোনাবীজ ভাইয়া তেওড়া তালকেই ঘাওড়া তালও বলা যায়। বেষমপদী বেষম রকম বেয়াদপ তাল......

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গুগল সার্চ করে দেখলাম, তেওড়া অর্থ টেরা বা বাঁকা। সেই অর্থে তেওড়া তালকে সহজেই ঘাওড়া তাল বলা যায় :)

এই ফাঁকে তেওড়া তাল সম্পর্কে একটু পড়লুম, গান শুনলুম। খুঁজলে দেখা যাবে, এই তেওড়া তালে আমার নিজের লেখা গানও আছে :) ৭ মাত্রা, ৩ বিভাগ, বিষমমাত্রিক :)

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

ইসলামী জ্ঞান বলেছেন: অসাধারণ

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.