নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আগের বচনগুলোর লিংক :
১। অম্লতিক্ত অপ্রিয় সত্যাবলি
২। অম্লবচন-১
৩। অম্লবচন-২
৪। অম্লবচন-৩
৫। রম্যমধুর অম্লবচন
৬। অম্লবচন মধুরবচন - আমাদের মন ও মানবতা
ঘৃণার কারণ
আমি যে তোমারে এত ঘৃণা করি,
তোমার কারণে নহে।
আমার প্রেমিকা আমারে শাসায়
তোমারই নামটি ক'হে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩
অভিমান
পুরোটা জীবন পার হয়ে গেল
বুকভাঙা অভিমানে -
মনে যা ধরেছে, মুখে তা বলেছি
তুমি বোঝো নাই মানে
একটা জীবন পার হয়ে যায়
একটাই অভিমান -
আমি যে কী চাই, তুমি তা বুঝেও
করো না-বোঝার ভান।
২০ নভেম্বর ২০২৩
মন ভাঙা
মন ভাঙা হলো মসজিদ ভাঙার সমান।
প্রতিদিন কতটা মসজিদ ভাঙছো, তার
কি হিসাব রেখেছো?
তোমার মন ভাঙার মধ্য দিয়ে একদিন
এ হিসাব দিতে হবে, মনে রেখো।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
১
ইডিয়টরাই ইডিয়টদের প্রচারণা বাড়ায়।
১৯ নভেম্বর ২০২৩
২
একসময় কবিরা, শিল্পীরা, সেলিব্রেটিরা, সার্বজনীন জাতীয় সম্পদেরাও বিবেকশূন্য হয়ে পড়েন, আর বিক্রি হয়ে যান অন্যায় আর অসত্যের কাছে।
২১ নভেম্বর ২০২৩
৩
ঘন পিরিতে বালিশ পোড়ে। এটা একটা প্রবাদ, আমার মৌলিক কথা না। এটা ছোটোবেলায় শুনেছি আমার মায়ের কাছে, এখনো যে এর অর্থ খুব একটা বুঝি, তা না। তবে, ব্যবহারিক দিকটা হয়ত বুঝেছি - মাত্রাতিরিক্ত ন্যাকামো, আর্টিফিশিয়াল স্টাইল ও ঘনিষ্ঠতা 'বালুর বাঁধ' বা 'তাসের ঘর'-এর মতো ক্ষণস্থায়ী। নজিরবিহীন তিক্ততার মধ্য দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। কেউ কেউ এর সুফল ভোগ করে বটে, তবে সেটাও একসময় 'বিস্বাদ'-এ পরিণত হয়। কেউ কেউ ভালো মানুষ সাজে, তবে সেই ভালোমানুষীর ভানও অচিরেই ফাঁস হয়ে যায়।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
৪
এক ভদ্রলোক অন্য ভদ্রলোকের কাছে আক্ষেপ করে বলছেন, জানেন, ঐ দুচির ভাইটা একটা নাখকির পুত। দামারটোস্টের বাচ্চাটায় কথায় কথায় স্ল্যাং ব্যবহার করে।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
৫
কয়েকজন ভদ্রলোকের মধ্যে একবার প্রবল ঝগড়া শুরু হলো। বিরক্ত পথচারীরা 'কোন জঙ্গল থেকে উইঠা আসছে এই গরুগুলা' বলতে বলতে পাশ কেটে হেঁটে যাচ্ছিল।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
৬
আমি রেগে গেলে আমাকে যেরূপ দেখবেন, আমার প্রকৃত রূপ সেটাই। এবার আপনাকেও 'আমি'র ভেতর ফেলে দিন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
জাতিপুঞ্জ
কোনো জোটই চিরস্থায়ী নয়। সব দেশই নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য জোটে যোগ দেয়। স্বার্থের হানি হলে যে-কেউ যে-কোনো সময় জোট ছেড়ে চলে যাবে, এমনকি যুদ্ধের ঘোষণাও দিয়ে বসতে পারে।
বলু্ন তো, কোন জাতিপুঞ্জের কথা বললুম?
২৭ নভেম্বর ২০২৩
পুনশ্চ
ঘন পিরিতে বালিশ পোড়ে। ‘উনি সবাইরে গালি দিলেও আমারে কোনোদিন গালি দেন নাই’ বলে নিয়মিত আহ্লাদ করতেন, আর তার সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিতেন, এমন কয়েকজনকে আমি চোখের সামনে ঐ গালিবাজের কাছে চরম গালি খেয়ে বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত হতে দেখেছি। পরে লোকদেখানো প্রতিবাদ করতেও দেখেছি, যার মূল্য আমার কাছে দু-পয়সারও চাইতেও অনেক কম।
প্রত্যেক আহ্লাদচাঁদকে একদিন গালিবাজের গালির স্বাদ খেতে হবে। এটা প্রকৃতির নিয়ম, আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অতএব, হে প্রিয় আহ্লাদচাঁদবর্গ, সাবধান!
২৭ নভেম্বর ২০২৩
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ১/পৃথিবীর প্রতিটি সম্পর্ক স্বার্থ দ্বারা আবদ্ধ। স্বার্থের হেরফেরে সম্পর্কগুলো নড়বড়ে হয়ে উঠে।
২/ বেশিরভাগ মানুষ দুঃসময়ে বন্ধু খোঁজে, আর সুসময়ে চাটুকার।
৩/ ছেলের বউ আর মেয়ের জামাই নিয়ে অহংকার ভালো না। এরা আজ আছে, কাল নাই।
৪/ ছিদ্র সময়মত বন্ধ না করলে সেটা গর্তে পরিণত হয়।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সৈকত ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাহ দারুন হয়েছে ঘৃণার কারণ যার কারণই সে নয় আবার শাসায় তারি নামটি ধরে
এমন কান্ড দেখিনি কভু বিশ্ব ব্রম্রান্ডে । ।এত গেল দেখি ১৯ তারিখের কথা ,একদিন
বাদেই ২০ তারিখে ঝড়ে পরে অভিমানের কথা -পুরোটা জীবন পার হয়ে গেল বুকভাঙা
অভিমানে – তার পরেও বুঝেনা সে বুঝেনা মনে যা ধরেছিল হয়েছিল বলা সে কথাই ,
হায়রে অবুজ মন ।
এতই অভিমান , অভিমানে থেকে মনে পরে তিন বছর আগের ২৫ শে সেপ্টেম্বরের
মন ভাঙ্গার গান, শুধু কি তা্ই- মন ভাঙা হলো মসজিদ ভাঙার সমান -এ কথা স্মরণ করে দিয়ে
হিসাব দিতে হবে বলে করা হয়েছে বয়ান ।
যাহোক এর পরে দেখা যায় মান অভিমান ভুলে মিশে গেছে কবি সামপ্রতিকতায় , ১৯শে নভেম্বর অনুভবে আসে
=ইডিয়টরাই ইডিয়টদের প্রচারণা বাড়ায়=। এখানেও শেষ নয় দিন দুয়েকের ভিতর অনুভব আরো প্রখর হয় আর
২১ শে নভেম্বরে বলা হয় -একসময় কবিরা, শিল্পীরা, সেলিব্রেটিরা, সার্বজনীন জাতীয় সম্পদেরাও বিবেকশূন্য
হয়ে পড়েন, আর বিক্রি হয়ে যান অন্যায় আর অসত্যের কাছে=।
এমন সত্যের মখুমুখি দাড়িয়ে স্মৃতি হাতরিয়ে মায়ের মূখের অমুল্য বচন স্মরন করে দিন সাতেক পরেই ২৭ শে
নভেম্বরে বলা হলো ঘন পিরিতে বালিশ পোড়ে। মাত্রাতিরিক্ত ন্যাকামো, আর্টিফিশিয়াল স্টাইল ও ঘনিষ্ঠতা '
বালুর বাঁধ' বা 'তাসের ঘর'- নজিরবিহীন তিক্ততার মধ্য দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটে আর একসময় 'বিস্বাদ'-এ
পরিণত হয়। কেউ কেউ ভালো মানুষ সাজে, তবে সেই ভালোমানুষীর ভানও অচিরেই ফাঁস হয়ে যায়। এই ফাঁস
হয়ে যাবার মতই কিছু কথকতা এ পোষ্টের পরের পংতিমালায় দেখা যায় ।
যাহোক, এখান পর্যন্ত কিছু কথা বলে পোষ্টের পরের অংশটুকুর বেলায় যাদের জন্য এটা তারা বুজহে সুজন বলে
এ মন্তব্যের এখানেই ইতি দিলাম টেনে ।
বেশ উচ্চ মার্গের কথা মালা সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর কমেন্ট, প্রিয় আলী ভাই। প্রতিটা সিকোয়েল ধরে ধরে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাতে আমি যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছি।
আপনার প্রশংসায় খুবই অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকবেন প্রিয় আলী ভাই। অসাধারণ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: "আহ্লাদচাঁদ" - বড্ডো বেশি পছন্দ হয়েছে শব্দটা। আগে কখনো শোনা হয়নাই।
এখন থেকে জায়গা বুঝে চমৎকার এই শব্দটা মাঝে মাঝেই 'অপপ্রয়োগ' করা যাবে।
এখনই একবার চেষ্টা করে দেখা যাক। যেমন ধরেন - "আহ্লাদচাঁদ হইতে ভীত” - অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলা থেকেই 'আহ্লাদচাঁদ' বা 'আল্লাদচাঁন' কথাটার সাথে পরিচিত, যদিও তখন এটার অর্থ বুঝতাম না। বাড়ির খুবই আদুরে, আবদার-মর্জি-ন্যাকামো-ঢং একটু বেশি করে, সবাই তা মেনেও চলে, এমন কাউকে 'আল্লাদচাঁন' বলতে দেখতাম। অর্থাৎ, যে আহ্লাদ করে, তাকেই শুদ্ধভাবে 'আহ্লাদী' এবং ব্যঙ্গ করে 'আহ্লাদচাঁদ' বলা হয়।
অবাক হলাম দেখে যে, 'আহ্লাদ' শব্দটা উইকিপিডিয়াতেও আছে আহ্লাদ
আমরা কমবেশি সবাই প্রিয়জনদের সাথে, বিশেষ করে মা-খালা-বাবার সাথে একটু-আধটু 'আহ্লাদ' করে থাকি, তবে অন্যদের সাথে আহ্লাদ করতে যেয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সেটা অপরের কাছে দৃষ্টিকটু লাগে।
'আহ্লাদ' বা 'আহ্লাদচাঁদ'-কে নিয়ে একটা টীকা লেখো : নম্বর-৫
আহ্লাদচাঁদকে ভয় পাওয়ার বদলে এড়িয়ে চলাই ভালো। অবশ্য, আমরা নিজেরা যেমন নিজের দোষ বুঝতে পারি না, নিজের আহ্লাদটাকেও হয়ত ধরতে পারি না, যা অন্যরা খুবই সহজেই ধরে ফেলেন। মাত্রাতিরিক্ত আহ্লাদপনার পরিণতি সুখকর হয় না, যা আজ প্রমাণিত সত্য।
কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উল্লিখিত সব বচনই চিরন্তন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাধু। শুভেচ্ছা।
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেমিনেটিং করে বাঁধাই করে রাখার মত সত্য কথা।
শুভকামনা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মল্লিক ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগ অস্থির হয়ে পড়েছে।
অনেকে বাজে ভাষা ব্যবহার করছে। কেউ কেউ ব্লগ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আপনি সিনিয়র ব্লগার হিসাবে ব্যবস্থা নিন কিছু।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১
পাজী-পোলা বলেছেন: "ইডিয়টরাই ইডিয়টদের পরিচিতি বাড়ায়।" এই কথাটাই কাউকে বোঝাতে পারি না৷
অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম, ভালো আছেন আপনি?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আমি। আমি ব্লগেই আছি, পিসি যতক্ষণ অন থাকে, আমিও প্রায়ই লগ্ডইন অবস্থায়ই থাকি, তবে, পিসির সামনে হয়ত থাকি না, বা থাকলেও অন্য মিডিয়াতে হয়ত থাকি।
আশা করি আপনি ভালো আছেন।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৯
পাজী-পোলা বলেছেন: আপনার লেখা বিশ্লেষণ করবো এতটা মেধা আমার নাই।
ব্লগের বাহিরে ব্লগের কারো সাথে যদি দেখা করার ইচ্ছা থাকে, সেটা আপনি। সাক্ষাৎ এ আপনার কাছ থেকে নিশ্চয় আরও অনেক কিছু শিখতে পারবো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দু-একজন ব্লগারের সাথে আমার সামনা-সামনি দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে, তবে তারা অফলাইনে আমার পূর্ব-পরিচিত ছিলেন। আমি অসুস্থ থাকায় ঘোরাঘুরিও তেমন করি না।
তবে, কোনো একদিন আশা করি আপনার সাথে দেখা হবে, হয়ত কোনো এক বইমেলায়।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৮
সোহানী বলেছেন: হুম কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য ।
যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কিছু উপদেশ দেখে ভালো লাগলো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।
১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: অভিজ্ঞলব্ধ শৈল্পিক প্রকাশ
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার। শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: অনেক স্মরনীয় বরণীয় বানীগুলি।