নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাকে তুমি বেইমান বলেছো || অনেকদিন পর আমার একটা গান নিয়ে এলাম, তবে পুরোনো গান

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩



সময়টা খুব অস্থির। তার সুস্পষ্ট প্রভাব এই ব্লগেও। আমরা ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি, কারো কথা কারো সহ্য হচ্ছে না, নিজের মতামতই মনে হচ্ছে সেরা মতামত। সবার শরীরেই যেন বারুদ, একটু খোঁচা লাগলেই দেশলাইয়ের কাঠির মতো তীব্র তেজে জ্বলে ওঠে। আমরা কেন এমনটা হয়ে উঠলাম? এর কারণ কী? রাজনৈতিক অস্থিরতা, দ্রব্যসামগ্রীর লাগামহীন উর্ধ্বগতি, বেকারত্ব, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি নৃশংসতা ও নৈরাজ্য, অতঃপর বিচারহীনতা বা বিচারের দীর্ঘসূত্রতা - এরকম নানাবিধ কারণে জনগণের মন-মানসিকতাও সুস্থ-স্বাভাবিক থাকা সম্ভব নয়। আমাদের এ ব্লগ হলো বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার অতি-অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ। আর এই অতি-অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ থেকেই সারাদেশের মানুষের মনোভাব দর্পণের মতোই ফুটে ওঠে যেন।

ব্লগারগণ প্রজ্ঞাবান, শিক্ষিত শ্রেণির একটা অংশ। তাদের আচরণ, কথাবার্তা হবে মার্জিত, পরিশীলিত; সবার মধ্যে সদ্ভাব ও সৌহার্দ্য বিদ্যমান থাকবে। পরমত-সহিষ্ণুতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হবে ব্লগারগণ। প্রাঞ্জল ও সুখী-সমৃদ্ধ-পাণ্ডিত্যপূর্ণ ভাষায় মতামত আদান-প্রদান হবে। আন্তরিকভাবে এই কামনা থাকলো।

এবার আসি শিরোনামে।

আমাকে তুমি বেইমান বলেছো
সবই যে আমার তুমিই কেড়ে নিয়েছো
ওও বলো না তাহলে তোমাকে কী বলিব?

১৮ আগস্ট ২০২২

কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্‌মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড ও মেন্টর : বেবি লাবিব

গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমাকে তুমি বেইমান বলেছো

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।




গত অক্টোবর থেকেই গান ও সাহিত্য থেকে বেশ দূরে সরে যেতে থাকি। পারিবারিক ব্যস্ততা এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। এরপর ছোটো ছেলে বেবি লাবিবের এসএসসির জন্য স্কুলে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে দম ফেলার সময় ছিল না। ওর পরীক্ষা শেষ হবার পর একটু রিলিফ পেলাম, হাত-পা ছড়িয়ে রিল্যাক্স করার জন্য বসলাম। কিন্তু এরই মধ্যে শরীরে দেখা দিল নানান সমস্যা। অনেকেই জানেন যে, আমি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেড পেশেন্ট (১৯ মে ২০১৭ থেকে)। এ ধরনের মানুষরা যত সুস্থই থাকুক না কেন, তাদের বেসিক কিছু সমস্যা আমৃত্যুই বয়ে বেড়াতে হবে। যেমন, আমি দৌড়াতে পারবো না, কঠিন কোনো কাজ করতে পারবো না, কিছু ঠেলতে, তুলতে, বহন করতে পারবো না, লাফাতে পারবো না, ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা আছে, যা একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের নাই।

বাসা থেকে বের হলে সাধারণত স্ত্রী সাথে যায়, যেন কোনো সমস্যা হলে সে ট্যাকল দিতে পারে। স্ত্রী ব্যস্ত থাকলে ছোটো ছেলেকে নিয়ে যাই। গত ০২ এপ্রিল ২০২৪-এ ছোটোছেলেকে নিয়ে বাজারে গেছি। দুপুরের কড়া রোদে হাঁটছি। একটু পর পরই দেখি মাথায় চাকদানা বা চক্বর দিচ্ছে। তখনই সামনে যা পাই, তাতে ভর করে দাঁড়াই। মুরগির বাজারে যেয়ে মুরগির অর্ডার দেয়ার পর দেখি খুব খারাপ লাগছে। উপায়ান্তর না দেখে দোকানের ভেতরে গিয়ে দোকানি যেখানে বসে, সেখানে বসে পড়লাম। মাংস নিয়ে ফেরার পথে দেখি অবস্থা আরো খারাপ। একটা পিক-আপ ভ্যান দাঁড়ানো ছিল, সেটাতে ভর দিয়ে দাঁড়ালাম কিছুক্ষণ। একটু স্ট্যাবল হওয়ার পর রওনা করলাম। গাড়িতে উঠে অনেকক্ষণ বসে থেকে যখন একটু ভালো লাগলো, রওনা দিলাম।

শরীরে ব্যথা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেল - Degenerative changes of dorsal spine. এর আগেও এ ব্যথা হয়েছিল। এক্স-রে তে কিছুই পাওয়া যায় নি তখন। ২০১৬ সালে অবশ্য আমার মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় ধরা পড়েছিল। সেবার প্রায় ৩ সপ্তাহের মতো হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। সেই ব্যথা আর আসে নি। এবার পিঠের ব্যথার সমস্যাটা কিছু হলেও ধরা পড়েছে দেখে ভালো লাগলো। সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে চিকিৎসা করা যায়, সমস্যা ধরা না গেলে চিকিৎসা হবে কীসে?

কিছু মেডিসিন দিয়েছে, আর ২ সপ্তাহের থেরাপি। ভালো দিক হলো, প্রথম দিন থেরাপি দেয়ার পর থেকেই মনে হলো ৫০% ব্যথা কমে গেছে। এ পর্যন্ত ৫দিন দেয়া হয়েছে থেরাপি। প্রগ্রেস খুবই ভালো।

পিঠের ব্যথা নিয়ে তেমন চিন্তিত না। কিন্তু, মাথা ঘোরানো বা মাথায় চাকদানা দেয়া, সর্ষে ফুল দেখা, অস্থির হয়ে যাওয়া - ইত্যাদি নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি।

যাই হোক, এ পোস্টটা শুরু করেছিলাম গান পোস্ট করার ইচ্ছে নিয়ে। নতুন কোনো গান নেই। আগস্ট ২০২২-এ একটা গান শুরু করেছিলাম, শুধু প্রথম অংশ (মুখ)। সেটি এ পোস্টে শেয়ার করেছিলাম, পোস্টের একেবারে নীচে -বহুদিন পর নতুন গান করলাম - এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর - একটা দেশাত্মবোধক গান। এরপর ওটার অন্তরা আর লেখা হয় নি। নভেম্বর ২০২৩-এ এটুকুই আবার নতুন করে গেয়েছিলাম, এডিটিংও শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষ করা হয় নি নানান ব্যস্ততায়। ০২ এপ্রিল ২০২৪-এর সন্ধ্যায় সেই কাজটি শেষ করলাম।

এ গানের প্রথম ভার্সন : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমাকে তুমি বেইমান বলেছো - লিরিক্যাল

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।




ফুটনোট : পোস্ট পাবলিশ করার পর বেশ কয়েকবার এডিট করতে হয়েছে, কারণ, প্রথম পাতায় কোনো টেক্সট বা কন্টেন্ট দেখা যাচ্ছিল না, শুধু আসছিল 'বাকিটুকু পড়ুন'। বেশ কয়েকবার ট্রায়াল অ্যান্ড এরর অ্যাডজাস্ট করার পর বর্তমান অবস্থায় এসেছে :)

সবার জন্য শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: কিসের আশায় এই শহরে পড়ে আছেন? কোন গ্রামে চলে যান, নিরিবিলি জীবন যাপন করুন, কিছু দিন বেশি বাঁচুন। আপনি এই শরীর নিয়ে বাজার করছেন, বাচ্চা স্কুলে নিচ্ছেন, এত স্টেস নিয়ে চলছেন কেন। ভাই, একটু সাহস করে যে কোন গ্রাম বা পিতৃবাড়ি নিন। হা হা হা, কথা গুলো যদিও বলছি, জানি এত সহজ নয়, এর চেয়ে হয়ত মরে যাওয়াই ভাল। হ্যাঁ, আমাদের স্ত্রীদের কে ফেরাবে গ্রামে! আমাদের যে অনেক লজ্জা, এর চেয়ে মরাই ভাল!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কোনোদিনই গ্রাম ছেড়ে শহরে আস্তানা গড়ার কথা ভাবি নি। এমনকি এখনো মনেপ্রাণে গ্রামেই পড়ে থাকি, শুধু দেহটা থাকে ইটপাথরের শহুরে ঘরে। জীবনটা এখন এই ইটবালুর গাঁথুনিতে এতটাই আটকে গেছে যে, 'আমি' বলতে এখন আর একক 'আমি' নই, জড়িয়ে গেছে অনেক শেকড়বাকড়। ফলে, আমি গ্রাম অভিমুখে ছুটতে চাইলেও আটকে যাই, সেই বাঁধন ছেঁড়াও যায় না।

কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ উদরাজী ভাই।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




সাধু সাধু সাধু।
বড়ই চমেৎকার গান।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মে আপনেরে বেইমান কৈছে তার খবর আছে!

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ইদানিং অনেকের শুনছি ভার্টিগো রোগ হচ্ছে, ঢাকায় এবং এখানেও।
সিম্পটম অনেকটা সেইম।
ধুলোর কি সেরকম কিছু হলো কিনা চেক করবে।

ভালো থাকবে ধুলো।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.