নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে গান শেষ হয় ২৯ এপ্রিলে।
তারপর শুরু করি এ গান। ১ম অন্তরা লিখি, কাটি, লিখি, কাটি করতে করতে আরো ২ দিনের মতো চলে যায়, তবু কিছু একটা দাঁড়ালো।২য় অন্তরার লাস্ট ২ লাইন নিয়ে পড়ে গেলাম মহাবিপদে। মনের ভেতরে যে ভাব বা কনসেপ্ট নিয়ে এগোচ্ছিলাম, সেই কনসেপ্ট অনুযায়ী মগজ কোনো পঙ্ক্তি দিতে পারছিল না।
তবু ২ লাইনের কিছু একটা দাঁড় করিয়ে মোটামুটি গাইতে চেষ্টা করলাম। ১ম অন্তরা থেকে ২য় অন্তরার সুরও একটু আলাদা করতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু সেই সুর কণ্ঠে তুলতে পারছিলাম না, কারণ, সুরের শেষ অংশ ছিল খুবই চড়া, কণ্ঠ ফেটে যাচ্ছিল। পাশে বসে বান্ধবী তখন মনে মনে অনেক ভর্ৎসনা করছিলেন, অনুভব করছিলাম। ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ক্ষান্ত দিলাম।
গতকাল সকালের দিকে ২য় অন্তরা ফাইনাল করলাম। এর আগে যেমন একটু চড়া সুর করার চেষ্টা করেছিলাম, সেটা বাদ দিয়ে ১ম ও ২য় অন্তরা একই সুরেই করলাম। তারপর ছোটো ছেলেকে ডেকে তার মোবাইলে রেকর্ড করলাম তার সামনে।
রেকর্ডেড গানটা গতকাল এডিট করা হয় নি। কিন্তু গতকাল রাতের বেলা আবার আরেক ভূত মাথায় চাপলো। গানের প্রথম অংশ (যার নাম নাকি 'মুখ' আবার রি-রাইট করতে শুরু করলাম। কনসেপ্টটা হলো, প্রেমিকার সাথে শেষবার যখন দেখা হলো, সে অশ্রুভেজা চোখে বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছিল, বলতে চাইছিল, আমি অসহায়-অপারগ, তোমাকে আমার পাওয়া হলো না, তবে তুমি আমাকে মনে রেখো না, মন থেকে একেবারে মুছে ফেলো। এটাকে কিছুতেই সুরে ও লিরিকে মেলাতে পারছিলাম না। বলেছিলে বিদায় বেলায়, ওগো মনে রেখো না আমায়। তোমার লেখা শেষ চিঠিতে লিখেছিলে ভুলে যেতে। এরকম আরো নানারকম অপশন ছিল, কিন্তু কোনোটাই মনমতো হচ্ছিল না। এখন যে অংশটি দেখতে পাচ্ছেন - কী করে ভুলবো তোমায় ঝড়ে-পড়া দুখিনি মেয়ে, বলো গো আমায় - এটা একেবারে আদি লাইন, যখন প্রথম বার কণ্ঠে সুর আসে, ঐ সময়ে ইন্সট্যান্টলি গেয়েছিলাম। শেষমেষ ভেবে দেখলুম, আদি লাইনটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে। আর কী করা, গতকাল ছোটো ছেলের সামনে যেটি রেকর্ড করেছিলাম, সেটিই ফাইনাল করলাম। তবে, এবার একেবারে খালি গলায়, কোনো মিউজিক নেই।
এ গানের লিরিক ভবিষ্যতে আরেকটু মোডিফাই করা হবে বলে মনে হচ্ছে।
এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায়
সেই ঝড়ে তুমি আজও দাঁড়িয়ে আছো
কী করে ভুলবো তোমায় ঝড়ে-পড়া দুখিনি মেয়ে
বলো গো আমায়
নদী বয়ে যেতে যেতে
সাগরে মেশে
তোমাকে জীবন যেন
একটি খাঁচায় বেঁধে রেখেছে
আগুনের খোয়ার যেন খাঁচাটি তোমার
নীরবে নিরবধি অন্তরে পুড়ছো তুমি
নীরবে নিরবধি নিঃশেষে পুড়ছো তুমি
আঁধারের বেদনা নিয়ে
রাত্রি আসে
তোমাকে মনে পড়ে
স্মৃতিরা আমায় কেবলই কাঁদায়
এখনো আশায় আশায় রাত কেটে যায়
একদিন ঝড় পেরিয়ে হয়ত-বা ফিরবে তুমি
২৯ এপ্রিল ২০২৪
কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায়
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
এই পোস্ট লেখার সময়ে বৃষ্টি শুরু হলো। তীব্র গরমে জীবন ছিল অতীষ্ঠ। অনেক আগুনে মাটির বুক ফালি ফালি করে অবশেষে বৃষ্টি তুমি এলে। তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমরা সকলে।
শুভ বৃষ্টিপ্রপাত।
০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাদের সবার কমেন্টই আমি আগেই দেখেছি, কিন্তু নানা কারণে যথাসময়ে রিপ্লাই দেয়া হয় নি। আন্তরিকভাবে দুঃখিত সেজন্য।
কমেন্টে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার। অশেষ ধন্যবাদ। শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
২| ০৬ ই মে, ২০২৪ রাত ১:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গানটির লিরিক কি শুধু আপনাকেই যন্ত্রনা দিয়েছে, আমরাও কি যন্ত্রনা কিছু কম পাচ্ছি
গানটির লিরিক তথা কথামালা পাঠে মনে হচ্ছে আমরাও সুরের তাল হারাব মাঝে মাঝে ।
ঝড় বয়ে যাওয়া নদীর পাড়ে যে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ঝড়ের তান্ডবে নদীর গতি বাড়বে যখন
তখন মেয়েটির কি গতি হবে সে কথা ভাবতেও অবাক লগছে ।
গানের লিরিক পাঠের পর গানটি শুনছি আর লিখছি, গানটি শুনে মনে জাগা ভাবনার কথা;
জানা কথাই বাংলাদেশ গানের দেশ, নদীর দেশ ও ঝড়ের দেশও বটে।
মানুষেরো জীবন নদীর ধারা কেবল বয়ে চলে যায়, কারো গতি কাটে তার দূরন্তপনায়।
যা কিছু সামনে থাকে বয়ে নিয়ে যায়, এগিয়ে যাওয়া তার চলতে থাকে তীব্র বাসনায়।
সামনে যখন বাঁধা পেয়ে মুখ ঘুরাতে চায় , তখন সে বুঝতে পারে জীবন এত সহজ নয়।
বাঁধাকে সামনে পেয়ে যখন ঠেলে সরাতে নারে, মুখ ঘুরিয়ে চলতে থাকে সে নিজের বিচারে।
হয় যদি সে নদী ভান্ডারিয়া আর পিরোজপুরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা তীব্র খরস্রোতা আগুনমুখি ,
ঝড়ের বেগে ফুলে ফেপে উঠে আক্রোসে তর্জায় ,কেশর ঝাঁকিয়ে আকাশটা কাপিয়ে রাগে গর্জায়
কালো মেঘে মেঘে ফনা তুলে বিদ্যুত বর্ষায়, ক্ষতি নেই তাতে, ক্ষতি নেই ওগো নদী পাড়ের মেয়ে
সহসী হৃদয় সোনা বীজ ভাই গাইবে লাল ফৌজের গান শুনে সতেজ হবে ওগো মেয়ে তোমার প্রাণ।
জেনে রাখ অস্তিত্ব রক্ষার তরে জীবনের মোড় ঘুরাতে হয়, তা না হলে জীবনে আসবে পরাজয়
বাস্তব কত কঠিন বোঝবে সেদিন জীবন গতির সামন পিছন উভয় চাপে পড়বে যেদিন।
সমতলে পৌঁছে নদী যেমন পথ খুঁজে বেড়ায়, তুমিই তেমন খাঁচায় পোষা পাখির মতন
ছটফট করে নদী পাড়ের ঝড়ঝাপটায় যখন শুকাবে তোমার আখিজল, তখন কেবলই
বলবে তুমি ওগো সোনা বীজ, বল আশায় আশায় থাকা মন মোহনা কোথায় তোমার?
মিশে গিয়ে সেথায় হইব তোমাতেই বিলীন ।
আপনার সুরেলা কণ্ঠের অপুর্ব কথামালা মিশ্রিত গানটি শুনে আমি মুগ্ধ ।
শুভেচ্ছা রইল
০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বরাবরের মতোই আপনার সাহিত্য-নির্ভর বিশদ ব্যাখ্যাসমেত কমেন্টটি আমার অনেক ভালো লাগলো। নিঃসন্দেহে আপনার কমেন্ট এ পোস্টকেও করেছে ঋদ্ধ ও অলংকৃত।
একটা গান বা কবিতা স্বভাবতই বহুমাত্রিক হবে। 'মেঘের উপর আকাশ ওড়ে' - মনে হয় কত সরল ও সহজ একটা কথা, কিন্তু এর ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে গেলেই শুরু হয় সমস্যা ও অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং আমি একবার দেখেছি, এ সাধারণ কথাটির অর্থই একেক জনের কাছে একেক রকম হয়ে যাচ্ছে, আর এভাবেই একটা সাধারণ পঙ্ক্তি হয়ে ওঠে অসাধারণ।
আমার এ সাধারণ কথায় সাজানো লিরিক থেকে আপনার মধ্যে যে ভাব ও অনুভূতির প্রকাশ দেখলাম, তা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। আপনি কল্পনাপ্রবণ ও সৃজনশীল, যা একজন সাহিত্যিকের জন্য অপরিহার্য গুণ। শূন্যের মধ্যেও সুগভীর 'অশূন্যতা' সৃষ্টিতে আপনি নিপুণ। আমাকে মুগ্ধ করে সব সময়।
চমৎকার কমেন্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আলী ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:১১
শেরজা তপন বলেছেন: কাব্য আর সঙ্গীতের ভুত ভয়ঙ্কর- আপনি একেবারে এর নেশায় বুঁদ হয়ে আছেন! আহা সেকেলে নবাব বা জমিদার হলে বেশ হত
তাহলে আরো জমিয়ে কাজটা করতে পারতেন।
০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। অনেক ভালো বলেছেন প্রিয় শেরজা তপন ভাই। হ্যাঁ, ডুবে আছি, বুঁদ হয়ে আছি।
মনে মনে কিন্তু আমি নবাব জমিদারই আছি। অবশ্য মনে মনে রাজা-বাদশাহ তো আমরা সবাই-ই, তাই না?
কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭
অধীতি বলেছেন: আপনার এই কাজ একসময় খুব ভাল লাগবে। সঙ্গীত এখন সব অটো-টিউনের দিকে যাচ্ছে, ফলে কোন একটা সময় মানুষ খালি গলার গানে হারিয়ে যেতে চাইবে।
০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি শুরু করেছিলাম মিউজিক ছাড়াই, মাঝেমধ্যে ছেলেরা এক-আধুটু গিটারের টুংটাং দিত। পরে ছোটো ছেলে একদিন এক সফট-ওয়্যার ইন্সটল করে কিছুটা শিখিয়ে দিল। সেই শুরু।
হ্যাঁ, এটা অটো-টিউনেরই যুগ। কেউ কেউ বলেন, যার অডিও-মিক্সিং যত ভালো, তার গায়কীও তত ভালো। আমি যেহেতু অটো-টিউন ইউজ করি, ব্যাপারটা আমি বেশ ভালোই বুঝি। তবে, কাজটা অনেক কঠিন ও ধৈর্যের দরকার। আমি এ লাইনে খুবই নভিস।
মিউজিক অ্যাড করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। সেটা অ্যাভয়েড করার জন্যই খালি গলা। তবে, খালি গলার জন্যও কিছু এডিট করার প্রয়োজন পড়ে, যা এখানে করা হয়েছে।
কমেন্টের জন্য ও গানটা শোনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অধীতি।
৫| ০৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:১৬
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লিরিক
০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। শুভেচ্ছা।
৬| ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
বাকপ্রবাস বলেছেন:
এই গানটা শুনে আসলাম। খুব সুন্দর।
ভিডিও এডিট কী দিয়ে করেন? আমি কেপকাট দিয়ে করি, দুই পাশের কালো অংশটুকু না থাকলে আরো সুন্দর হবে, করার সময় সাইজটা জাষ্ট ঠিক করে নিলে হবে, ইউটিউব এর সাইজা হিসেবে ঠিক করতে হবে
০৯ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমানে ভিডিও মেকিং-এর জন্য ওয়ান্ডারশেয়ার ইউজ করি। এটা একটু আপগ্রেডেড সফটওয়্যার।
ছবির ব্যাপারটা ভিন্ন। এটা ঠিক করার কোনো উপায় নেই। বর্তমান ভিডিও'র আসপেক্ট রেশিও ১৬ : ৯। পোর্ট্রেইট সাইজে যে-সব ছবি তোলা হয়, ওগুলো কখনো এই আসপেক্ট রেশিওতে আসে না। এমনকি ল্যান্ডস্কেপেও যেগুলো ৪:৩ বা ১:১ আসপেক্ট রেশিওতে তোলা হয়, ওগুলো পুরো ভিডিও কভার করবে না। আপনিও যখন ছবি তোলেন, ক্যামেরায় আসপেক্ট রেশিও ১৬ : ৯ করে নিতে হবে, ক্যামেরা ফোকাস করতে হবে আড়াআড়ি ল্যান্ডস্কেপে।
নায়িকার ছবিগুলো তো আমার তোলা না, সংগ্রহ করা আর ছবি সাধারণত এভাবেই তোলা হয়, ফলে আমার ভিডিওর অনেক ছবির ২ পাশে কালো থাকে। অনেক সময় কিছু কিছু ছবি আমি এডিট করে নিই, একটা-দুইটা ছবি এডিট করে নেয়া যায়, শত শত ছবি এডিট করা শুধু মুখের কথাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: লিরিকটি আমার পছন্দ হয়েছে, সাথে গান তৈরির অভিজ্ঞতা শেয়ার করাতে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
চমৎকার এরকম বিস্তারিতভাবে লেখার জন্য।