নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
গত কয়েকদিন চ্যাটজিপিটি'র উপর ব্লগার নতুন ভাইয়ের পোস্টসহ বেশ কয়েকটা পোস্ট এসেছে ব্লগে। গত বছর দুয়েকের মধ্যে ব্লগার জলদস্যু ভাইও চ্যাটজিপিটির আউটপুট নিয়ে মজার পোস্ট দিয়েছিলেন। আমি গত ফেব্রুয়ারিতে মেয়ের জন্য বেশ আনকমন একটা বিষয়ের উপর ছোটোখাটো একটা রিসার্চ পেপারের কাজ করেছিলাম। নিঃসন্দেহে চ্যাটজিপিটি খুবই ইউসফুল, স্বল্প সময়ে আপনাকে ভালো আউটপুট দিবে।
তবে, আমার ক্রিয়েটিভ কোনো কাজের জন্য এখনো চ্যাটজিপিটির দ্বারস্থ হই নি। আমি জানি, যৎসামান্য যা-ই এক-আধটু ঘিলুতে আছে, চ্যাটজিপিটি দিয়ে গান, গল্প, কবিতা লেখালে সেটুকু অল্প ক'দিনেই নিঃশেষিত হয়ে যাবে মাসখানেক আগে একবার একটা লিরিক লিখতে বলেছিলাম চ্যাটিজিপিটিকে, কিছু ক্লু দেয়ার পর সে যা প্রডিউস করে দিয়েছিল, তা দেখে আমি বরং আরো বেশি দমে গিয়েছি।
চ্যাটজিপিটি সংক্রান্ত সাম্প্রতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে আবার একটু চ্যাটজিপিটিকে নিয়ে খেলার ইচ্ছে হলো। এর আগে আমি 'বিষদাহ' নামক একটা গল্প (বা মুভি-স্ক্রিপ্টও বলতে পারেন) লিখেছিলাম। ওটার উপর ছোটো একটা থিম দিলাম চ্যাটজিপিটিকে, আর বললাম ৫০০ শব্দের একটা ছোটোগল্প লিখে দিতে। নীচে আমার গল্পের লিংক দিলাম। তারপর চ্যাটজিপিটিকে দেয়া আমার গল্পের থিম বা সংকেত। সব শেষে পড়ুন চ্যাটজিপিটির বানানো ৫০০ শব্দের ছোটোগল্প, যদিও এখানে শব্দসংখ্যা ৫০০ হয় নি, বড়োজোর ২০০ হয়েছে। আর এটাকে একটা ফানপোস্ট হিসাবে বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি। সেই সাথে ক্রিয়েটিভ মাইন্ডেড সম্মানিত ব্লগারদের প্রতি অনুরোধ রাখছি, দয়া করে আপনার ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কের জন্য চ্যাটজিপিটিকে কিছু করে দিতে বলবেন না, আপনার ক্রিয়েটিভিটির ১২/১৩টা বাজিয়ে দিবে বলে আমার বিশ্বাস
বিষদাহ, পর্ব-১
বিষদাহ, পর্ব-২
বিষদাহ, পর্ব-৩
চ্যাটজিপিটিকে দেয়া আমার থিম
নীচের বর্ণনা মোতাবেক ৫০০ শব্দের মধ্যে একটা ছোটোগল্প লিখুন।
একটি সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে। একজন নায়িকা একজন নায়কের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে সিনেমায় অভিনয় করে। অভিনয় সূত্রে তাদের মধ্যে সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। অভিনয়ের সময়ে তারা একে অপরকে খুব আবেগঘন অবস্থায় বাহুবন্দি করে। এতে উভয়েই খুব আনন্দ পায়।
এ সিনেমাটি শেষ হলে নায়িকাটি অন্য এক নায়কের সাথে আরেকটি সিনেমার শ্যুটিং করে। সেখানে নায়ক হলো অন্য একজন। দেখতে দেখতে সেখানেও নায়িকাটি খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে নায়কের সাথে। প্রথম নায়কের সাথে তার যে-রকম ঘনিষ্ঠতা ছিল, দ্বিতীয় নায়কের সাথেও ওরকম মধুময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রথম নায়ক একদিন শ্যুটিং স্পটে এলো। নায়িকাটি তার সাথে দেখা করতে এলো, সাথে দ্বিতীয় নায়ক। তার সাথে কুশলাদি বিনিময়ও হলো, কিন্তু আগের সেই সখ্যতা বা আবেগের ছোঁয়া পাওয়া গেল না। প্রথম নায়ক খুবই কষ্ট পেলো। সে বুঝতে পারলো, এ নায়িকার সাথে তার যে-রূপ ঘনিষ্ঠতা ছিল, দ্বিতীয় নায়কের সাথেও সেইরূপ ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সে কোনোদিন কল্পনাও করে নি এই নায়িকা কোনোদিন অন্য কারো বাহুবন্দিনি হতে পারে। বিষাদে তার মন ছেয়ে গেলো।
চ্যাটজিপিটির বানানো গল্প
সকালের রোদ গোধূলির আলোয় মিশে এক রঙিন সুর তৈরি করছে। সিনেমার শুটিং স্পটে সবাই ব্যস্ত, ক্যামেরার লাইট, ক্রু মেম্বারদের চিৎকার, সব মিলিয়ে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ। নায়িকা রূপা এবং নায়ক অভি আজকের শটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা দুজনেই নামকরা অভিনেতা, এবং এই সিনেমার গল্পের মতই তাদের বাস্তব জীবনের সম্পর্কও গভীর। শুটিংয়ের সময় তারা একে অপরকে খুব আবেগঘন অবস্থায় বাহুবন্দি করে অভিনয় করত, যেন ক্যামেরার সামনের মুহূর্তগুলি সত্যিই তাদের জীবনের অংশ।
সিনেমাটি শেষ হলে রূপা আরেকটি নতুন প্রজেক্টে কাজ শুরু করে। এবার তার সহ-অভিনেতা রণ, একজন তরুণ এবং প্রতিভাবান নায়ক। রূপা এবং রণের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। শুটিংয়ের সময় তাদের একসাথে কাটানো মুহূর্তগুলি যেন বাস্তব জীবনের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে।
একদিন অভি পুরনো দিনের স্মৃতিতে ভেসে শুটিং স্পটে আসে। রূপাকে দেখতে পেয়ে তার মন আনন্দে ভরে ওঠে। কিন্তু স্পটের দৃশ্য দেখে অভি হতবাক হয়ে যায়। রূপা রণের সাথে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্কের ছাপ স্পষ্ট। রূপা অভিকে দেখে এগিয়ে আসে, কিন্তু তার সাথে রণও আসে। প্রথমে কুশল বিনিময় হয়, কিন্তু অভি অনুভব করে রূপার চোখে সেই আগের উষ্ণতা নেই।
অভি স্তব্ধ হয়ে যায়, তার মনে পরতে থাকে পুরনো দিনের স্মৃতি। শুটিংয়ের সময় তাদের একসাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত যেন তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেই আবেগময় বাহুবন্দি, সেই উচ্ছ্বলতা, সব কিছুই এখন অতীত।
অভির মন বিষাদে ভরে যায়। সে বুঝতে পারে, রূপা এখন রণের সাথে নতুন এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তার মনে হয়, রূপা কিভাবে অন্য কারো বাহুবন্দিনি হতে পারে, এই প্রশ্ন তাকে গভীরভাবে আঘাত করে।
রূপা কিছু বলার আগে অভি চুপচাপ শুটিং স্পট ছেড়ে চলে যায়। তার মন ভারাক্রান্ত, কিন্তু সে উপলব্ধি করে যে জীবনের পথ এভাবেই চলে। সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়, মানুষ পরিবর্তিত হয়।
অভি তখন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। সে শিখে যায় যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মেনে নিতে হবে। যা চলে গেছে, তা আর ফিরে আসে না।
শহরের ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অভি নিজেকে আবার খুঁজে পায়। জীবনের নতুন পথে হাঁটার জন্য সে প্রস্তুত হয়। রূপার সাথে কাটানো সময়গুলিকে স্মৃতির আল্পনায় রেখে অভি নতুন জীবন শুরু করে।
সেই দিনটি অভির জীবনে এক নতুন উপলব্ধি এনে দেয়। তার মন যেন একটা নতুন গান গায়, যেখানে হারিয়ে যাওয়ার কিছু নেই, শুধু নতুন সূর্যের অপেক্ষা। অভি বুঝতে পারে যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই একটি নতুন অধ্যায়, এবং সেই অধ্যায়কে মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।
ফুটনোট
চ্যাটজিপিটির বানানো গল্পটি আমি এখনো পড়ি নি, পড়বো পোস্ট পাবলিশ হবার পর। কোনো বানান-ভুল বা অন্য কোনো অসংগতি যদি পাওয়া যায়, সেটা তখন সংশোধন করে দিব।
০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে চ্যাটজিপিটি একটা ধন্যবাদার্হ কাজ করেছে, মানতেই হবে।
২| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: নতুন খেলনা পাইছেন মন দিয়ে খ্যালেন।
০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না, এ খেলনা মন দিয়ে খেলার বাসনা আমার নাই, ঐ সময়ও নাই তবে, আপনি যেহেতু এত করে বললেন, মাঝে মাঝে ট্রাই করা যাবে নে ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
আরইউ বলেছেন:
সোনাবীজ,
“ব্লগার চ্যাটজিপিটি“ দেখি বেশ ভালই গল্প লিখেছে। একটু ফরমেটেড, মানবিক আবেগের একটু ঘাটতি হয়ত আছে; আমার মতে গল্প কিছুটা প্রানহীনও বটে। তবে মন্দ নয়।
ভালো থাকুন!
০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা, ব্লগার চ্যাটজিপিটি টার্মটা ভালো লাগলো। আমি অবশ্য যে-কোনো সেলিব্রেটি বা ফ্যামাস ব্যক্তিদের নামের আগে ব্লগার শব্দটা বসাইতে পছন্দ করি, তো আজ থেকে আপনার প্রচলিত ব্লগার চ্যাটজিপিটি শব্দটাও ইউজ করতে থাকবো
একটু ফরমেটেড, মানবিক আবেগের একটু ঘাটতি হয়ত আছে; আমার মতে গল্প কিছুটা প্রানহীনও বটে। তবে মন্দ নয়। আমার ফেয়ার কনফেশন হলো, ব্লগে আমরা বেশিরভাগ যে-সব গল্প পড়ি, তার চাইতে অনেক ভালো লিখেছেন ব্লগার চ্যাটজিপিটি কাজেই তাকে অভিনন্দিত করা যায়
আপনিও ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল
০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাই। শুভেচ্ছা।
৫| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সেই ভাবে রংচড়াতে পারে নাই।
০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, তা ঠিক। এ দ্বারা সে প্রমাণ করিল, সে মানবিক মানুষ নহে, অমানবিক মেশিন
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় জলদস্যু ভাই।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
নতুন বলেছেন: চ্যাট জিপিটির তৌরি লেখাগুলি সুদ্ধ এবং তার শব্দচয়ন, গঠন সুন্দর এবং হয়তো অনেক মানুষের থেকেও ভালো মানের।
কিন্তু প্রানহীন লাগে।
হয়তো মানুষ এই ভুল গুলি করে এবং একটু আবেগ লেখায় দেয় সেটাই লেখাকে জিবন্ত বানায়। যা কম্পিউটার প্রগাম করতে পারবেনা।
এটাও ঠিক স্ট্রান্ডাড রেসেপির খাবারের মতন। রেসেপি দেখে রান্না ঠিকই করা যায় কিন্তু ভালো রাধুনীর হাতের স্বাদের কাছেও তা জায় না।
০৬ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চ্যাট জিপিটির তৌরি লেখাগুলি সুদ্ধ এবং তার শব্দচয়ন, গঠন সুন্দর এবং হয়তো অনেক মানুষের থেকেও ভালো মানের।
শতভাগ একমত। আমি কোনো বানান ভুল দেখি নি ব্লগার চ্যাটজিপিটির লেখায়। বাক্যগঠনও বেশ ভালো মানের, তবে, মাঝে মাঝে কিছুটা জটিল করে ফেলে, আর তখনই লেখাটা প্রাণহীন মনে হয়। অনেক মানুষই এত ভালো লিখতে পারবেন না।
বাকি যে-কথাগুলো বলেছেন, তা খুবই সুন্দর এবং আমি তার সাথেও শতভাগ একমত।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় নতুন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাহ, চ্যাটজিপিটির লেখনিশক্তি তো দেখি অসাধারণ। আমি যেরকম চাইছি, সেরকমটা আমার নিজের গল্পেও ফুটিয়ে তুলতে পারি নি (মূল গল্পটা আরো এডিট করতে হবে), তাই চ্যাটজিপিটির গল্পেও আমার আরাধ্য বর্ণনাটি সেভাবে আসি নি, এটা তার দোষ নহে, আমার দোষ বটে