নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন চলছে দেশ? আমরা কী চাই? অসংলগ্ন স্বগতোক্তি

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩১

দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে বলতে পারি, বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ ছিল তখন, যখন দেশে কোনো সন্ত্রাস ছিল না বললেই চলে। মানুষের মনে শান্তি ছিল, রাতে ঘুমাতে পারতো। দেশের বিখ্যাত/কুখ্যাত/নামকরা একমাত্র সন্ত্রাসী ছিল 'সারোয়ার' নামক এক ব্যক্তি, যে ঢাকা কলেজের নর্থ হোস্টেলে থাকতো। তার নাম প্রচুর শুনতাম। একদিন রুমের জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম, মাঠের মাঝখান দিয়ে সে হেঁটে যাচ্ছে, তার সামনে, আগে-পিছে, দুদিকে কয়েকজন বডিগার্ড। তাকে নিয়ে পিলখানার রাস্তার দেয়ালে লেখা দেখেছি – সন্ত্রাসী সারোয়ারের ফাঁসি চাই। সেই সারোয়ার একদিন পুলিশের হাতে বন্দি হলে ইত্তেফাকে তার শিরোনাম হয়েছিল। সারোয়ারের কথা বললাম বর্তমানের সাথে তুলনা করার জন্য – এখন পথেঘাটে, সর্বত্র সন্ত্রাসীরা সক্রিয়, মানুষ খুন করা হলো মশা বা মাছি মারার মতো তুচ্ছ ঘটনা, অথচ ঐ সময়ে সারাদেশে কদাচিৎ কেউ খুন হলে তা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হতো। সেই সময়টা কোনটা? জিয়া ও এরশাদের শাসনকালটাই হলো সেই সময়।

আমরা কিছুদিন আগে পর্যন্ত বলতাম, এরশাদই এদেশের আনাচকানাচ পর্যন্ত রাস্তাঘাট/সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে গেছেন।

কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এবং সুশীল ও বুদ্ধিজীবী সমাজে এরশাদ হলো এদেশের নির্মম স্বৈরাচার, যাকে উৎখাত করতে যেয়ে নূর হোসেন ও ডাঃ মিলনকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। জিয়ার নামে অজস্র মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মারার অভিযোগ আছে এবং তিনিও সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও রাজনৈতিক দল গঠনকারী একজন স্বৈরাচার হিসাবে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত। জিয়াই যেখানে এদেশের একমাত্র সফল রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে বিবেচিত হতে পারেন, সেখানে জিয়াকেই সবচাইতে বেশি অপবাদ শুনতে হচ্ছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে।

জিয়া ও এরশাদের আমলটাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ বলা যেতে পারে। রেটিং করে বলতে গেলে ১৯৯১-২০০৪ সময়টাও বাংলাদেশের সেরা সময়, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশে।

জিয়া ও এরশাদের সময়টাই দেশের সেরা সময় হলেও আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে, আন্তর্জাতিকভাবে যেমন তার স্বীকৃতি দেখি না, আমাদের সুশীল সমাজও সেটাকে স্বীকার করবে না কখনো। কারণ, সেটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বা সরকার ব্যবস্থা ছিল না।

আমরা ১৯৯১ সাল থেকে গণতান্ত্রিক পরিবেশে প্রবেশ করলাম। তখনো পর্যন্ত চালের মূল্য সহনীয় ছিল। অন্যান্য দ্রব্যের মূল্যও সহনীয় ছিল। দারিদ্র্য ছিল, অভাব ছিল, কিন্তু আজকের মতো এত আতঙ্ক ও ভয়ভীতি নিয়ে মানুষকে রাত কাটাতে হয় নি।

একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমার বেসিক চাহিদা দুটো – (১) দ্রব্যমূল্য থাকবে আমার আয় ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে (২) দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বিদ্যমান থাকবে। একজন নিম্ন আয়ের মানুষ, যাকে প্রতিদিন আয় করে প্রতিদিনই চাল-নুন-তেল কিনতে হয়, তার কাছে দিনের খাদ্য কেনার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আছে কিনা, সেটাই মূল বিষয়; দেশে স্বৈরাচার, নাকি গণতান্ত্রিক সরকার বিদ্যমান, এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় বা প্রয়োজন কোনোটাই তার নেই।

সরকার ব্যবস্থা কেমন হবে, সেটা ভাববেন দেশের নীতিনির্ধারক, বুদ্ধিজীবী সমাজ। তাদের ভাবনাটা শুরু করতে হবে ঐ নিম্ন আয়ের মানুষদের নিয়েই, যে-মানুষগুলোর কার্যত দেশ নিয়ে ভাববার কোনো ফুরসত বা মগজ নেই। তারা যেন অন্তত দিন এনে দিন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারেন, এই ব্যবস্থা করে দিতে হবে আমাদের কর্ণধারগণকেই।

আমাদের কর্ণধার বা দেশচালকগণ বর্তমানে দেশ-সংস্কার ও ক্ষমতা গ্রহণ, এই দুটো নিয়ে ব্যস্ত আছেন। দেশ সংস্কার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সরকারি দলগুলো নিয়ে বসেছিলেন ১৫ ফেব্রুয়ারিতে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের উপর ভূয়সী প্রশংসাবাণী প্রচারিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমার একটা মতামত দিয়ে নিই। কাউকে প্রশংসা করার ব্যাপারে আমরা বাঙালিরা বড্ড উদার ও আবেগী এবং হুজুগীও। আপনি একজনের নামে প্রশংসা শুরু করলেন, আমিও তাতে গলা মিলাইলাম, এবং কপিপেস্ট ও শেয়ারিঙের যুগে শেয়ার করতে করতে হাঁপিয়ে উঠলাম, কোনোরকম ভেবে দেখলাম না, বিষয়টা ঠিক আছে কিনা। এর উল্টোটাও ঠিক। আপনি একজনের নামে বদনাম করলেন, তাকে আমার পছন্দ না, আর অমনি আপনার কথাটা আমি দেধারছে শেয়ার করা শুরু করে দিলাম। দুটোই অযৌক্তিক প্রবণতা।

কাউকে শর্তহীনভাবে সাপোর্ট করা হলো ফ্যাসিবাদ উত্থানের পথ সুযোগ করে দেয়া। আপনাকে একটা ক্ষমতায় বসানোর অর্থ হলো আমাদেরকে সেবা করার জন্য আপনাকে একটা দায়িত্ব অর্পণ করা। আপনাকে শর্তহীনভাবে সাপোর্ট করা এবং অনর্গল তোষণ করার ফলে আপনি বাধ্য হবেন যে, আপনি একটা ব্যাপক ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার জন্য এই তৈলবর্ষণই যথেষ্ট।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও নৃশংস হয়ে ওঠার পেছনে আমাদের তৈলমর্দন, তোষামোদ অনেক বেশি কাজ করেছে। তিনি যা করতেন, তাতেই সুবিধালোভী, সুবিধাভোগীরা বাহবা দিতেন, আরো ১০০ বছর তাকে ক্ষমতায় দেখতে চাইতেন, তার জন্য বেহেশত প্রাপ্য, এসব চটুল কথা বলতেন। তার বিপক্ষে কথা বলার মতো পরিস্থিতিও ছিল না, তা স্বীকার করছি। কিন্তু আমরা এখন অভাবনীয় বাক্‌স্বাধীনতা ভোগ করছি। আওয়ামী আমলের মতো তৈলাক্ত কথার বুলি আওড়ানো একান্ত নিস্প্রয়োজন বলে মনে করি। ঐ আমলে আরো একটা প্রবণতা ছিল, কেউ বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করলেই তাকে জামাত-শিবির-বিএনপি ও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির ট্যাগ দেয়া হতো। আমি আশা করি, সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে দেশ পরিত্রাণ পেয়েছে। এখন আমরা কথা বলতে পারি নির্ভয়ে। আমাদের কথা বলতে হবে, যেখানে অসংগতি সেখানেই। অকারণে কোনো তোষামোদি নয়, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের মঙ্গলের জন্যই আমাদের কথা বলতে হবে।

ড: ইউনূস তার বক্তব্যে কী বলেছেন, তা বুঝতে চেষ্টা করুন। তিনি কি কোনো জ্ঞানগর্ভ, বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলেছেন, যার সুদূরপ্রসারী সুপ্রভাব আছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থাপনায়? তার কথাগুলো শুনে কি মনে হয়, অনেক ভেবেচিন্তে কথাগুলো বলেছেন তিনি? তাঁর কথায় কি বিচক্ষণতার ছাপ আছে? এই ভাষণ মূলত কোনো রাজনৈতিক ঐকমত্যের পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষিপ্ত করবে। তিনি আরো গঠনমূলক বক্তব্য দিতে পারতেন, যাতে একটা সমঝোতা সৃষ্টি হতে পারে। কিছু বাক্য দ্বারা তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে প্যাঁচের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন, যাতে দেশের তৈলমর্দনকারী একটা বিরাট দল এবং কিছু মানুষ না বুঝেই অজস্র বাহবায় ড: ইউনূসকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। আমার মনে হয়, এটা কোনো শুভ ইঙ্গিত নয়।

একটা দেশের সংস্কার শুধু বাহ্যিক অবকাঠামোগত সংস্কারই নয়, এর সাথে দেশের মানুষের মানসিক ও মননগত সংস্কারও প্রয়োজন। উপরের দিকে সন্ত্রাসী সারোয়ারের কথা বলেছি। ওটা ১৯৮৫-৮৬ সালের ঘটনা, যখন আমি ঢাকা কলেজের ছাত্র। তখন সন্ত্রাসীরা ছিল হাতে গুনে মনে রাখার মতো। হতাহতের সংখ্যা ছিল অনেক কম। এরশাদ হটানোর জন্য আমরা দুজনের নাম জানি, নূর হোসেন ও ডাঃ মিলন। শেখ হাসিনাকে উৎখাতের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে ২ হাজারের মতো ছাত্রজনতাকে (কেউ বা ১ হাজারের কথা বলছেন)। আহতদের সংখ্যাও এমনই। ১৯৮৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেশের সার্বিক মানবিকতার যে অবনমন ঘটেছে, যেটা একটা ভয়াবহ বিপর্যয়, এটাও বিবেচনায় আনতে হবে। এই অবনমন বা অধঃপতন ঘটেছে ধীরে ধীরে। এর উন্নয়ন বা উত্তরণও ঘটবে ধীরে ধীরে। আপনি যদি পজিটিভলি ভাবেন, তাহলে এই উন্নয়নের জন্য দরকার বিগত ১৯৮৫-২০২৪ মেয়াদের মতো ২০২৫-২০৬৪ সময়ের আরেকটা মেয়াদ। অর্থাৎ, আপনার পজিটিভ সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য ৪০-৫০ বছরের একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দরকার পড়বে। এর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার। মানুষের মানসিক উন্নতি হলেই আপনার বাকি সংস্কারগুলো সহজ হবে। আপনি আমূল সংস্কার সম্পন্ন করলেন, কিন্তু অফিসের কর্তা-কর্মচারি, পিওন, ড্রাইভারগণ আগের মতোই মানসিকতা বহন করতে থাকলো – কোনো লাভ হবে না সেই সংস্কারে। একজন সুশিক্ষিত, নৈতিকতায় সমৃদ্ধ ছাত্র যখন রাজনীতিতে আসবে, চাকরিতে আসবে, সমাজে বাস করবে, তখনই সমাজ উন্নত ও শান্তিপূর্ণ হবে।

একটা অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকুক, আমার বেসিক চাহিদা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রিত ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকলেও আন্তর্জাতিক মহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা একটা রাজনৈতিক সরকার না দেখা পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না।

সর্বোপরি, দেশের জনগণই হলো রাজনৈতিক দল, কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোই হলো দেশের জনগণ। ৩ বছর, ৫ বছর বা ৭ বছরে এদেশের কোনো সংস্কারই হবে না, যা হবে তা নামে মাত্র সংস্কার, কিন্তু এর সুফল পেতে অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়বে। একটা নতুন রাজনৈতিক দল এসে দেশকে সুখেশান্তিতে ভাসিয়ে দেবে, এটাও অবাস্তব প্রত্যাশা। সময় লাগবে, আমাদের চরিত্র ও মানসিকতায় পরিবর্তন আসতে।

কোনো কথার মারপ্যাঁচ নয়, সমঝোতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করতে হবে। কথার মারপ্যাঁচ চলতে থাকলো, কিন্তু দ্রব্যমূল্য চলে গেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে, দেশে অরাজকতা বাড়তে থাকলো, তখন সংস্কারের কথা দিয়ে জনগণের মুখ আটকানো যাবে না।

জুলাই বিপ্লবের একটা শিক্ষা আছে, যা আমি ০৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পলায়নের সময়েই ব্লগে পোস্ট করেছিলাম – সেটা নীচে তুলে দিয়ে এ দীর্ঘ লেখা শেষ করছি। জনতাই সকল ক্ষমতার উৎস, আবার প্রমাণিত। আগামীর শাসকগণ যেন শেখ হাসিনার পরিণতির কথা মনে রাখেন

---

জনতাই সকল ক্ষমতার উৎস, আবার প্রমাণিত হলো। বাংলাদেশ আবার স্বাধীন হলো।
সাবাস বীর বাঙালি, সাবাস জনতা, তোমাদের জানাই প্রাণঢালা অভিবাদন।

সকল শাসক ও তার তোষামোদকারী দালালদের মনে রাখতে হবে, জনগণের কথা না বললে, জনগণকে গালি দিলে তার পতন হবে শেখ হাসিনার মতোই। শেখ হাসিনার মতো অহঙ্কার ও জেদ দেখিয়ে কথায় কথায় মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে তার পরিণতি হবে শেখ হাসিনার মতো। জনগণকে শত্রু মনে করা যাবে না, জনগণকে শত্রু বানিয়ে ফেলা যাবে না। তিনি হয়ত বিপদ আসন্ন জানতে পেরেই বোনকে নিয়ে পালাবার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন, নইলে জনগণ যেভাবে গণভবনে ঢুকে গিয়েছিল, রোমানিয়ার চসেস্কুর চাইতেও তার অবস্থা ভয়াবহ হতে পারতো। বাংলার ইতিহাসে সবচাইতে কলঙ্কিত অধ্যায় সৃষ্টি করে, ২৫০এর অধিক মানুষের প্রাণ খেয়ে খুবই ন্যাক্কারজনকভাবে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন তিনি। দেশের জন্যও একটা বড়ো লজ্জার বিষয় নিঃসন্দেহে।

আগামী দিনের শাসকগণ যেন জনগণের শাসক হয়, জনগণের দ্বারা জনগণ থেকেই যোগ্য শাসক নির্বাচিত হয়, আমার সোনার দেশের জন্য সেই শুভ কামনা। এত রক্তপাত, এমন নৃশংস স্বৈরাচার আর দেখতে চাই না।

খলিল মাহ্‌মুদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন। দীর্ঘ লেখা হলেও জনগণের মনের কথা তুলে ধরেছেন সুনিপুণ কারিগরের মাধ্যমে। :>

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ কুতুব ভাই।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

রাসেল বলেছেন: আমি ব্লগের লেখক নই, পাঠক। দেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আপনার মত আশাবাদী হবার কিছু দেখি না। দালালরা ব্যক্তিগত স্বার্থে দেশটা অন্যের হাতে দিয়ে দিতেছে। অনেকেই ব্যারিস্টার সুমনের ভুমিকা পালন করতেছে, এমনকি এই ব্লগেও।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার সুন্দর লেখনী পড়ে মনে প্রশান্তি পেলাম। আসলেই জিয়া-এরশাদ আমলটা শান্তির ছিল। এই কথা যদি কামালপাশা২য় পড়ে তাহলে আপনার ওপর রাগ করবেন নির্ঘাত।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবার মতামত এক হবে না। দেশে খুন-খারাবি ও আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে পরিষ্কার বোঝা যায়, জিয়া ও এরশাদের শাসন আমলটাই সেরা ছিল। আমরা তো নিজেরাই এর সাক্ষী, তাই না?

মতামতের জন্য ধন্যবাদ মশিউর ভাই।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মশিউর রহমান@ঘুমন্ত কাউকে খোচা দিয়ে জাগাতে নেই। :-P

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ কুতুব ভাই।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

মনসুররবি বলেছেন: চমৎকার লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। যদিও অনেক বড় লেখা; কিন্তু বাস্তবতা উঠে এসেছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশ নিয়ে এবার আমি আশাবাদি। নতুন প্রজন্ম অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, নতুন প্রজন্ম অবশ্যই অনেক রাজনীতি সচেতন, নতুন স্বাধীনতা তো তাদের হাত ধরেই এলো। তবে, শুধু নতুন প্রজন্মই আশানুরূপ কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না; বরং অভিজ্ঞাসম্পন্ন পুরোনোদের সাথে নতুনদের মিশেল লাগবে, তাহলেই হয়ত প্রত্যাশা পূরণ হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

মতামতের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: সাধারণ মানুষের সত্যিই আর কিছুই চাওয়ার নেই সরকারের কাছে এই দুইটা জিনিস ছাড়া। নিরাপত্তা আর জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রন। এই দুই জিনিস পেলে তাদের আর কোন অভিযোগ থাকবে না। কোন চেতনা ফেতনা তাদের দরকার নেই।

আওয়ামী ভাষ্যমতে শেষ বিএনপির আমলেও নাকি ভয়ানক অবস্থা ছিল । অথচ পরিস্কার ভাবেই আওয়ামী গত ১৫ বছরের জুলুমের থেকে সেই আমল ভাল ছিল। চোখের সামনে দেখা সেই আমল।
আওয়ামী আমলে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করে তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে পুষতো। আমি যে এলাকাতে থাকি সেই এলাকার সব বখাটেদের নিয়ন্ত্রন ছিল এক আওয়ামী পাতি নেতার হাতে। এই রকম বেশ কয়েকজন পাতি নেতা আবার কাউন্সেলরের ডান হাতের নিয়ন্ত্রনে ছিল । এভাবে প্রতিটা এলাকার যত সন্ত্রাসী, ছিনতাই কারি চোর সব ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। এই নেতা পালানোর পরে এই সব সন্ত্রাসী হয়ে গেছে নিয়ন্ত্রণহীন। যেসব এলাকাতে বিএনপি এদের নিয়ন্ত্রন নিতে পেরেছে সেসব এলাকাতে কিন্তু সন্ত্রাসী কার্যক্রম কমে গেছে। যে সব এলাকাতে এখনও পারে নি সেব সব ভয়ানক অবস্থা। জাস্ট পালা বদল হয়েছে, হচ্ছে।

ইউসুফ সরকার চেষ্টা করছে বটে তবে দলীয় সরকার ছাড়া আসলে আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন আনা সম্ভব না। এই কারণে নির্বাচন দ্রুত হয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে দেশ পরিচালনা করতে দেওয়া উচিৎ।



১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর কমেন্ট। কিছু বাস্তব চিত্রও তুলে ধরেছেন। শেষ প্যারার সাথে একমত।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: ব্যক্তি হিসাবে যে যেমন তার বক্তব্য তেমন হয়।
জিয়া এরশাদের আমলের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।এই দুই সরকারের আমলে লোক চক্ষুর আড়ালে অনেক হত্যা হয়েছে।আমার আপন বড় ভাইকে জিয়ার সময় রাতে তুলে নিয়ে ঘুম করে ফেললো।অনেক খুজাখুজি করেও তার খোঁজ পাওয়া গেলো না।
মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের আর্মির লোকদের হত্যা করা হয় এই দিই সরকারের সময়।জিয়ার আমলের পুরো সময়টাতেই রাতে কার্ফু থাকতো।
হাসিনা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসে সেটাই ছিলো তুলনা মুলক ভালো সময়।শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা বদল।পরের বার ভালো ছিলো না।তার বহুবিধ কারণ ছিলো।সে অনেক বড় লেখা।
যখনি পুরনো দিনের গান শুনি তখনি একটা সুন্দর মিউঝিকের সাথে সোনাবীজ নামটা ভেসেউঠে।আপনার কথা মনে পরে যায়।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশের কোনো শাসন আমলই ত্রুটিমুক্ত ছিল না। তবে, এরশাদ ও জিয়ার আমলটাই দেশবাসীর কাছে সবচাইতে শান্তিপূর্ণ ছিল। আমি তো রূপকথা লিখছি না, এটা জীবন থেকেই দেখা। আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, এটা তাদের একটা ক্রেডিট। কিন্তু তাদের আমলে ছাত্র লীগ, যুব লীগের ভয়াবহতা সবসময়ই অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি ছিল। আর বিগত ১৫ বছরের কথা নতুন করে বলার কিছু নাই। জনরোষের কবলে শেখ হাসিনা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

যাই হোক, আমার চ্যানেলে গান দেখেন জেনে ভালো লাগলো। সেজন্য একটু বাড়তি ধন্যবাদও রইল আপনার জন্য। ভালো থাকবেন কামাল ভাই।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৪

এইচ তালুকদার বলেছেন: দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকলে আর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকলে এই দেশের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।
সরকারের সামান্য সহযোগিতা থাকলে এই এগিয়ে যাবার গতি হবে শতগুন বেশি।
তবে সরকার কে হবে সেটা জনগনকেই নির্ধারন করতে হবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকলে আর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকলে এই দেশের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। অসাধারণ উক্তি।

পুরো কথার সাথেই একমত পোষণ করছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ দেশের মানুষের সেনাশাসনের প্রতি একটা তীব্র আকর্ষণ আছে। এই জাতি শক্তের ভক্ত নরমের যম।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেশে ক্রান্তিকাল দেখা দিলেই জনগণের মধ্যে একটা রব ওঠে - সেনাশাসন চাই। আমার মনে হয়, এতে শক্তের ভক্ত নরমের যম কনসেপ্ট কিছুটা সত্য হলেও আসল রহস্যটা অন্য জায়গায়। আমাদের রাজনীতি এত কলুষিত এবং রাজনীতিবিদগণ এত দুর্নীতিগ্রস্ত যে, জনগণ তাদের কাছ থেকে নিষ্কৃতি চায়। সেনাশাসকগণ কড়া, কিন্তু স্ট্রেইট ফরোয়াড। সেনাশাসনের সময়ে বাঘে-মোষে এক ঘাটে গোসলে যেতে বাধ্য হয়। ফলে দেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

যাই হোক, একটা প্রশ্ন ছিল আপনার কাছে। আপনি কি গান লেখেন বা সুর করেন বা সঙ্গীত, ম্যাগাজিন প্রকাশের সাথে জড়িত আছেন?

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মন্দ মিলিয়েই জীবন।
কোনো মানূষই পুরোপুরি ভালো না। আপনি আমাকে অপছন্দ করেন, আবার আরেকজন আমাকে খুব পছন্দ করেন। এই যে পছন্দ অপছন্দ, ভালো লাগা, ভালো না লাগা এসব মেনে নিয়েই আমি জীবনযাপন করতে হবে। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে তাদেরও একই অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.