নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব: এক
নাস্তিকরা নিজেরা নাস্তিক বলে তীব্র আত্মপ্রসাদ লাভ করে। তাদের ধারণা এর দ্বারা তারা আস্তিকদের থেকে যে অনেক উন্নত ও মেধাবী তা অকাট্য ভাবে প্রমাণিত হয়। তারা খেয়াল রাখেনা মানুষ ছাড়া সমস্ত প্রাণীই নাস্তিক। চরম ঘিনঘিনে ঘেয়ো কুকুর থেকে পশুরাজ সিংহ অব্দি- সবাই।
এখন সমস্যা হলো এই অতিশিক্ষিত নাস্তিকরা নিজেদের ঔকাত সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারণে "যত বড় করতল তারচেয়ে বড় মুষ্ঠি" তৈরি করতে সচেষ্ট হয়। আর গোলমালটা এখানেই লাগে।ভারতের মহাকাশবিজ্ঞান সংস্থা ইসরোর চেয়ারপার্সন ডঃ কৈলাশাভাদিভু শিবনের মন্দিরে পুজো দেওয়ার ছবি দেখে তারা এই কারণেই চিলচিৎকার শুরু করে। তারা বিশ্বাস করে( ঠিক আস্তিকদের মতোই) ...
১)ঈশ্বরের ধারণা কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নয়।
২)ঈশ্বরের ধারণার জন্ম মানুষের ক্ষতি, শুধু ক্ষতিই করেছে।
৩) কোন প্রাগৈতিহাসিক চতুর ও ঠগ মানুষ ব্যক্তিগত সুবিধা এবং দুর্বল দের শোষনের জন্য ঈশ্বরের ধারণা এনেছিল( এই ধারণাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মার্ক্স ও এঙ্গেলস)।
এখানে আমি আলোচনা করবো ঈশ্বরের ধারণা সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তা ও পুরাতাত্ত্বিক বাধ্যবাধকতা।
মানুষের পুরাতাত্ত্বিক ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করলে জানা যায় তিন লাখ বছর আগেই হোমোইরেকটাস, নিয়ানডার্থাল বা হোমোস্যাপিয়্যান্সের পূর্বপুরুষেরা আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়। নিত্যব্যবহার্য হিসেবে তখন থেকেই আগুন প্রাইমেটদের সাথেই আছে। কিন্তু আগুনের ব্যবহার জানা স্বত্ত্বেও আদিম মানুষ তখনো খাদ্যশৃঙ্খলের মাঝামাঝির থেকে একটু ওপরের একটা প্রাণী ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। চারলাখ বছর আগে নিয়ানডার্থালরা বড় বড় পশু শিকার শুরু করলেও সিংহ বা হায়নারা তাদের কোনদিনও সমীহ করেনি। বরং সিংহ বা হায়নার পেটে যাওয়া ছিল আদিম মানুষের নিত্যদিনের ঘটনা। এক লাখ বছর আগে প্রায় হঠাৎই হোমোস্যাপিয়্যান্সের উত্থানের সময় থেকে আদিম মানুষ খাদ্য শৃঙ্খলের ওপরে উঠে আসে। আর সত্তরহাজার বছর আগে আদিম মানুষের দুটো যুযুদান প্রজাতির মধ্যে নিয়ানডার্থালরা হোমোস্যাপিয়্যান্সদের হাতে চরম পরাজিত হয়ে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হতে শুরু করে। আফ্রিকা থেকে এক লাখ কুড়ি হাজার বছর আগেও একবার হোমোস্যাপিয়্যান্স বেরিয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে চেয়েছিল কিন্তু সেবার পশ্চিম এশিয়ায় নিয়ানডার্থালদের কাছে চরম লাঞ্ছিত হয়ে হোমোস্যাপিয়্যান্সরা ফিরে যায় পূর্ব আফ্রিকায়। এনথ্রোপোলজি অনুসারে হোমো স্যাপিয়েন্সের এই পরাজয়ের মূল কারণ হলো নিয়ানডার্থালদের মস্তিষ্কের আকার ছিল হোমোস্যাপিয়্যান্সের থেকে বড়। বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে বিবর্তনে আগ্রহী দুটো প্রজাতির মধ্যে সম্মুখসমরে হোমোস্যাপিয়্যান্স হেরে যায়। কিন্তু সত্তর হাজার বছর আগে হোমোস্যাপিয়্যান্স ফের আফ্রিকা বেরিয়ে পড়ে আর তখন থেকেই গোটা মানবের ইতিহাসটার একছত্র অধিপতি হয় হোমোস্যাপিয়্যান্সের বিজয়ের ইতিহাস। এই সময়টার পর থেকে হোমোস্যাপিয়্যান্স তার জ্ঞাতিগুষ্টির প্রায় সব মানুষ প্রজাতিকে একে একে মেরে লাট করে দেয়। তবে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ারডার্থালদের বিরুদ্ধে তারা যে চরম হিংস্রতার পরিচয় দেয় তা সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটে যাওয়া প্রথম এথেনিক ক্লিনজিং। স্টাডি বলছে দশহাজার বছর আগে মানে যখন ভারতবর্ষে মেহেরগড় সভ্যতার রমরমা তখনো হোমোস্যাপিয়্যান্স ছাড়া আরো অনেকগুলো মানব প্রজাতি টিকে ছিল পৃথিবীতে। কিন্তু স্বভাব হিংস্র হোমোস্যাপিয়্যান্সরা তাদের কাউকেই নিস্তার দেয়নি।এখন প্রশ্ন হলো আগুন যে কাজটা করতে পারেনি মানে খাদ্য শৃঙ্খলের পিরামিডের শীর্ষে অবস্থান করার কাজটা হোমোস্যাপিয়্যান্সের করলো কার সাহায্যে? তাদের থেকেও বুদ্ধিমান নিয়ানডার্থালরাও পর্যন্ত হেরে গেল কিভাবে এমন শোচনীয় ভাবে? এর উত্তরে আসার আগে বলে নেওয়া ভালো যে হোমোস্যাপিয়্যান্সের হিংস্রতার অন্যতম কারণ হলো এই শীর্ষ স্থান হারানোর ভয়। যে চরম হিংস্রতায় তারা অপরাপর মানব প্রজাতিগুলি ছাড়াও বেশীরভাগ প্রাণীগুলিকেও বিলুপ্ত করে দিয়েছে( যেমন অস্ট্রেলিয়ার মার্সুপিয়াল সিংহ{ক্যাঙারুর মতো পেটে বাচ্চা রাখার থলি যুক্ত}, এশিয়ার বিশাল গিরগিটি, ইউরোপের সুবিশাল সর্প সহ অগুনতি প্রজাতি) তার কারণ হলো হোমোস্যাপিয়্যান্সের হঠাৎ শীর্ষ স্থান লাভ। এই নব্য মস্তানের সাথে বাস্তুতন্ত্র খাপ খাইয়ে নেবার সুযোগ পায়নি যথেষ্ট। আগে ফুড চেনের শীর্ষে বাস করা সিংহ বা হাঙর লাখ লাখ বছরের প্রচেষ্টায় এই অবস্থানে আসতে পেরেছিল। সেকারণেই সিংহের শক্তিশালী হবার সাথে সাথে হরিণরা সুযোগ পেয়েছিল আরো জোরে দৌড়তে শেখার কিম্বা হায়নারা শিখে নিয়েছিল দলবদ্ধ শিকার কৌশল। আর এই হোমোস্যাপিয়্যান্স নামক একনায়ক তাই এলাকা বিস্তার ও খাদ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টায় যথেচ্ছ প্রাণী নিধন শুরু করে। কম পরিশ্রমে প্রচুর পোড়া মাংস পাবার অভিপ্রায়ে গোটা জঙ্গলটাকেই পুড়িয়ে ফেলেছে হোমোস্যাপিয়্যান্স। জেমস্ জে ম্যাককান্নার " প্রাইমেট এগ্রেশন", রবার্ট আড্রের "আফ্রিকান জেনেসিস" কিমবা ইউভাল নোয়া হারারির "স্যাপিয়েন্স:এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ হিউম্যান কাইন্ড" পড়লে আশ্চর্য হতে হয় এই ভেবে যে এমন হিংস্র একটা প্রজাতির বর্তমান উত্তর পুরুষেরা কি অপরিসীম পটুতায় শান্তির অভিনয় করে যায় অবিরত!
(পরের পর্ব আসছেে ....)
কৃতজ্ঞতা....জয়ন্ত সিনহা ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৪
গেছো দাদা বলেছেন: পরের পর্ব গুলি পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রন জানালাম। আশাকরি আপনাকে আনন্দ দিতে পারব। ভালো থাকুন সততঃ ।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভালো লিখেছেন | চালিয়ে যান |
হোমোইরেক্টাস, নিয়ানডার্থাল ও হোমস্যাপিয়েন্সের মধ্যে আপনার পূর্বপুরুষ কোনটি ?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬
গেছো দাদা বলেছেন: হোমোস্যাপিয়েন্স । আপনার ??
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: Internecivus raptus
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিক বা আস্তিক নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। সব্বাই ভন্ড।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০২
গেছো দাদা বলেছেন: সব্বাই ভন্ড ? মানতে পারছি না ।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিক বা আস্তিক নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। সব্বাই ভন্ড।
রাজীব নুর সাহেব দারুন একটা কথা বলেছেন। আমি তার সাথে একমত।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
গেছো দাদা বলেছেন: আমি একমত নই।
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
নতুন বলেছেন: চালিয়ে চান, আপনার ভাবনা সবাইকে জানান।
সৃস্টিকতা বিশ্বাস করতে স্টাডি করা দরকার নাই।
কিন্তু যারা সৃস্টিকতার বিষয়ে অবিশ্বাস করে তাদের কিন্তু অনেক স্টাডি করেই তারা অবিশ্বাসী হয়। কেন?
কেন মানুষ বেশি গভীরে প্রশ্ন করা শুরু করলেই সৃস্টিকতার কাহিনির মাঝে ঘাপলা খুজে পায়?
বিশ্বের মানুষ কেন সৃস্টিকতার উপরে আস্হা হারাচ্ছে দিন দিন?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০১
গেছো দাদা বলেছেন: পরের পর্ব গুলি পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রন জানালাম। আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
সুপারডুপার বলেছেন: আপনার আগের পোস্টের মত, এই পোস্টটিও কি নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের জন্য লেখা হয়েছে?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
গেছো দাদা বলেছেন: পরের পর্ব গুলি পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রন জানালাম। আশাকরি আপনাকে আনন্দ দিতে পারব। ভালো থাকুন সততঃ ।
৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৪
প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: এখানে ব্লক হওয়ার মত কিছু পেলাম না তবে পোস্ট খুবই বিরক্তিকর লেগেছে।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩২
গেছো দাদা বলেছেন: মোট ৪ টি পর্ব। সবগুলো পড়তে আগাম অনুরোধ করলাম। তারপরেই নাহয় মূল্যায়ন করবেন দাদা !!
৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
গেছো দাদা বলেছেন: ২য় পর্বের লিঙ্ক view this link
১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৬
প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি এখনো গাছে ঝুলছেন?