নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মোদি ভক্ত ! এটা জেনে আপনি দুঃখ পেলে আমি আনন্দিত হব।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুপ্রেরনার আরেক নাম : বেয়ার গ্রীলস

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৩


ছেলেটার বয়স যখন ৮ বছর, মাউন্ট এভারেস্টের ছবি দেখিয়ে তার বাবা বলেছিলো, এর চুড়ায় উঠতে পারবে তুমি? ছেলেটা বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, সেদিন বলেছিলো হ্যা, সে "পারবে"!

স্কুল জীবন শেষে বৃটিশ আর্মির এয়ার ডিভিশনে যোগ দেয় ছেলেটা। মনের ভেতর হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে দাঁড়িয়ে বিজয়ীর চিৎকার দেয়ার ইচ্ছে তখনো দমে যায়নি। এর ভেতর একদিন ঘটে গেলো দুর্ঘটনা।

জাম্বিয়াতে ফ্রি ফল প্যারাশুটিং করার সময় মারাত্মক আঘাত পায় সে, শিরদাঁড়ার তিনটা কশেরুকা ভেঙে যায় তার। ডাক্তার জানিয়ে দেয়, এজীবনে আর সে হাঁটতে পারবেনা কোনোদিন। হুইলচেয়ারে কাটিয়ে দিতে হবে বাকিটা জীবন। আর্মির চাকরি চলে যায় তার। সামনে বাকিটা জীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে কাটিয়ে দেয়ার প্রতীক্ষা।

স্রেফ অদম্য ইচ্ছাশক্তি থেকে ছেলেটা ১ বছরের ভেতর হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, হাঁটতে শুরু করে সে। এরপর দৌঁড়ানো শুরু করে। ডাক্তারদের সব ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যে প্রমাণ করে দেয় ছেলেটি। উঠে দাঁড়ানোর জাস্ট ৬ মাসের মাথায় ছেলেটা মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফেলে, ২৩ বছর বয়সে।

ছেলেটাকে আমরা সকলেই চিনি Man Vs Wild অনুষ্ঠানের সুবাদে তার নাম "বেয়ার গ্রীলস"।

সে চোখে আঙুল ধরে দেখিয়ে দিয়েছে, স্রেফ অদম্য ইচ্ছেশক্তিই যথেষ্ঠ আবারো জীবনে ঘুরে দাঁড়াবার জন্য। সাথে ইস্পাত কঠিন সংকল্প আর দৃঢ়তা।

অথচ আমি আপনি কি করছি?
জীবনে এক দুটো ঝড় আসছে, ব্যাস খড়কুটোর মত উড়ে যাচ্ছি সেই ঝড়ে। চাকরি পাচ্ছেন না, ব্যবসা করতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন, গার্লফ্রেন্ড ছেড়ে দিয়েছে, বউ ডিভোর্স দিয়েছে, ব্যাস এটুকুতেই কাত হয়ে গেলেন আপনি?

আহত বাঘের মত শেষ একটা থাবা বসান নিজের লক্ষ্যে আবারো। একটা মানুষ হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর ৬ মাসের মাথায় মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছে। আর আপনি স্রেফ বুদ্ধিমানের মত ঠান্ডা মাথায় নিজের সমস্যার সমাধান করে আবারো জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না নতুন করে?

You can do it --- আপনিই পারবেন,
প্রয়োজন স্রেফ অদম্য ইচ্ছেশক্তির। যদি এটাকে বিশ্বাস করেন যে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় তাহলে ভেবে নিন আপনি এবার বিজয়ী হবেনই।
বিজয়ের পতাকাধারী এবার আপনিই হবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



আমার খুব প্রিয় ব্যাক্তি। ডিসকভারি এদ্যানিং দেখা হয় না তবে আগে প্রচুর দেখতাম উনার প্রায় সব পর্ব তখন দেখা। শুধু বিশ্রী খাবার সময় দেখতাম না বমি চলে আসত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

গেছো দাদা বলেছেন: আমার ১০ বছর বয়সী পুত্রের কাছে ইনি হলেন রোল মডেল। আমারও ইনাকে কঠিন পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরনাদায়ক মানুষ হিসাবে ভালো লাগে।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বেয়ার গ্রিলস একজন সত্যিকারের হিরো। তার মানসিক শক্তি আশ্চর্য রকমের মজবুত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

গেছো দাদা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে আসলে জীবনে সাফল্য লাভ খুব কঠিন কিছু নয়। আমাদের দেশে সমস্যা হচ্ছে , বেশিরভাগ মানুষ অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে না লাগিয়ে অসততা, অনৈতিকতা অথবা অন্যের ওপড় নির্ভর করে জীবনে সাফল্য পেতে চায়।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: কারো অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলেও লাভ নেই। আমাদের দেশে দুষ্টলোক বেশী। তারা পেছন থেকে খামচে ধরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.