নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একশোটি চিঠি

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৬


বয়স উনিশ হতে হতেই মেয়েটি
নিরানববইটা চিঠি পেলো।
নামে বেনামে রংবেরঙের খামে ভরা এসব চিঠি।
সে কখনো খামও খুলেও দেখেনি সাহস করে!!
মা বলতেন- ভালো মেয়েরা বিয়ের আগে অন্য ছেলেদের চিঠি পড়েনা,
বিয়ের পর শুধু স্বামীর চিঠি পড়ে।

তবুও চিঠি পেতে কি যে ভালো লাগতো।
জমিয়ে রাখতো সকল চিঠি একটি পুরাতন স্টীলের আলমারীর সিন্দুকে।
বিভিন্ন রংগুলো এমনভাবে সাজিয়ে রাখতো
-মনে হতো একটা অলস রংধনু শুয়ে আছে সেখানে।
এই চিঠিগুলোকে আমরা বলি-
লাভ লেটার।

বয়স বিশ হতে না হতেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলো ‌অন্য শহরে।
তাই চিঠির সংখ্যা আর বাড়েনি।

বয়স বাইশ হতেই মেয়েটি ফিরে এলো
আবারো পুরাতন শহরে-
নিজের বাড়িতে,
হাতে একটি সাদা খাম নিয়ে!!
বেবী হবেনা বলে স্বামী তাকে ডিভোর্সের চিঠি দিয়েছে।
একে আমরা বলি-
ডিভোর্স লেটার।
এটাও রাখলো সেই পুরাতন স্টীলের আলমারীর সিন্দুকে।
সাদা খামটিকে মনে হলো রংধনুর মাঝে জলে ভর্তি সাদা মেঘ।
ভালো মেয়েটির কাছে এখন একশোটি চিঠি।

তারপর একদিন খুব ভোর বেলায় মেয়েটি-
একশোটি চিঠি নিয়ে চারতলা বাড়ীর ছাদে উঠলো।
প্রথমে সব রংগিন চিঠিগুলো সে আকাশে উড়ালো।
আর সাদা চিঠি দিয়ে ডানা বানিয়ে সে ছাদ থেকে লাফ দিলো সাদা কবুতরের মতো উড়ার জন্য।

সেদিন খুব সকালে শহরের সমস্ত মানুষ আশ্চর্য হয়ে দেখলো-
আকাশে এক বিশাল রংধনু ভেসে বেড়াচ্ছে,
আর একটি সাদা কবুতর মনের খুশিতে সেখানে উড়ছে।
ছোট্ট কবুতরের ডানার দাপাদাপিতে হঠাৎ হঠাৎ মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ছে এই অসময়ে।

ভালো মেয়েটি একশোটি চিঠি পেয়েছিলো তার একজীবনে।
———————
রশিদ হারুন
১৭/০১/২০২০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.