![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(বিপজ্জনক)
ও বেনু
অমারে কোথায় লুকালি তুই
এতো খুঁজি পাই না নিজেরে
শেষে অবস্থার ফেরে
পাথর, নুড়ির সাথে ঘুরি
দেখি, রুমালের মধ্যে
নীলেরে জখম করে ফেলে রাখে লাল
বেনু, আমিতো ছুরির অগ্রভাগে ধার
গুঁড়া মরিচেল ঝাল
মেঘে মেঘে জলোচ্ছাসের ফনা
কামিজের ফাঁকে, বুকে আমাকে লুকানো বিপজ্জনক..
দূরের নিকটে যাওয়ার আগে
জানার ইচ্ছা জাগে আবহাওয়া কেমন?
গন্তব্য হৃদয় হলে
সেও তো ভ্রমন বটে
ঠোঁটে হাসি রাখাটা জরুরী..
(নিমন্ত্রন)
গ্রামটাকে এবার নিমন্ত্রন করেছি শহরে
কিন্তু সে আবার গাড়ি বা লঞ্চের ঝক্কি পছন্দ করে না
এদিকে চলছে তার ফসল তোলার দিন
মেয়ের পরীক্ষা
মেয়ে তার অরণ্যের স্কুলে পড়ে নবম শ্রেনীতে
বউ তার বাড়ি-ঘর রেখে নাকি কোথাও যাবে না
তাছাড়া পাখিবাহিনীকে রেখে কী করে সে একা একা আসে
অনেক সমস্যার ফলে
শহরে যাওয়া হবে না শুনে
গ্রামের নদী বউ খুশী
বলে-
শহরের অমন জ্যামে কী করে বয়ে যাব দূরে
তাছাড়া সরল পেয়ে আমাদের ঠকাবে মানুষ...
(প্রশ্নবোধক-২)
ভুল করে
মেঘের পাঁজরে
ঢুকে পড়ে
ঝরে যাচ্ছি আজ
ডানার দাপট কেনো?
ওড়ার প্রতিভা আমারও কী ছিল না ভেবেছ...
(প্রশ্নবোধক)
বৃষ্টির ধরপাকরের দিনে
বোমা ফাটাচ্ছে আশ্বিনের মেঘ
যুবতী নদীর এডিটরিয়াল
ছাপা হলো গ্রামীন কাগজে
আমিতো সামান্য পাঠক
লুটেরা বর্ষা কেনো আমাকেও খোঁজে...!
(শ্রী ভাস্কর চক্রবর্তী)
আপনি যে বৃষ্টির মতন রসিক
তা আমি জানি
এও জানি
জীবনের প্রতি আপনার রসিকতা
শ্রোতা হয়ে শুনেছে সময়
শুনে ঠা ঠা রোদে কলকাতা হেসেছে কেবল
আর আপনি তখন পুড়িয়ে চলছেন সিগ্রেট
বাসবীকে লেখা আপনার চিঠিতে
আমিও করেছি ভ্রমন
চিঠি আর কবিতার কলকাতায়
ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যাচ্ছি প্রতিদিন
শ্রী ভাস্কর চক্রবর্তী
আপনি আমাকে স্টেশনে নিয়ে গিয়ে
এবার ট্রেনে তুলে দিন..
(নির্ঘুম)
ও রাত-
হাত দেখে দাও
তুমি না জ্যোতিষ!
(!)
এই মুহূর্তে ইচ্ছা হয়
গাড়ির ছাদে উইঠা ভিইজা ভিইজা বাড়ি ফিইরা যাই
ভেজার কারণে যদি জ্বর আসে
মা আমার মাথার নিকটে সারা রাত
কপালে হাত রাইখা
শৈশবের হাবিজাবি বলবে আর
কখনও হাসবে, কাঁদবে কখনও
চুলায় পুড়তে থাকা সালুনের গন্ধ আসবে ভেসে..
আমিতো অফিস করি
মন ভিইজা বাড়ি ফেরে শেষে...
(শ্রীমন্ত মাসী মা -২)
ও নদী ও মাসী
হাসি মুখে বয়ে যেতে যেতে
ঢেউয়ের তবলা বাজালে শুধু চলে?
তোর মরদ মাঝির বল-
সে যেন গান ধরে সাথে
শেষ রাতে জেগে বসে আছি...
(পর্যটন)
মাঝেমাঝ ঘুরে আসি নিজের ভেতরে
অচেনা অচেনা লাগে
প্রতিবারই মনে হয়
যেন আমি এই প্রথম এলাম বিদেশে
পথঘাট কিছুই চিনি না
যা দেখি তাতেই অবাক
স্বদেশী মানুষ খুঁজি যার সাথে কিছুক্ষণ
মনখুলে কথাতথা বলা যাবে..
ভেতরের এতসব অচেনা শহর
আর অচেনা গ্রাম রেখে
যতবারই ফিরে আসি
ততই বাড়ছে দেখি ভ্রমনস্বভাব...
(যদি মাঝরাতে চাঁদ চিৎকার করে ওঠে)
যদি মাঝরাতে চাঁদ চিৎকার করে ওঠে
যদি মদে ভেজা ঠোঁটে খিস্তি করতে থাকে
যদি নেশা নেশা চোখে জোৎস্না ঝরিয়ে কাঁদে
বরি ঠাকুরের গান শুনে যদি উঁকি মারে জানলায়
যদি ভবঘুরে নৈশ রাখালের বউ হতে চায় মনে
আমি সাথে করে নিয়ে যাবো তাকে গাজিপুর শালবনে...
(মাঝরাতে)
মনের দক্ষিন কোনের বারান্দায়
আমারই অজ্ঞাতে
কে ঢুকে
ডিভিতে গান শোনে
সাথে নিজেও মেলায় গলা
দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে
চায়ের পেয়ালা হাতে
পায়চারি করে মাঝরাতে
আর আমারও ঘুম ভেঙে যায় তাতে..
(ঘটনাটা রমনার)
তার মধ্যে তারে ঢুকায়া
তার মধ্যে তারে
কী সুন্দর কী অপরূপ
একে অন্যতে পোড়ে..
তার ভাবনা সে ভেবে নেয়
সে'র ভাবনা তার
দুয়ের এহেন কীর্তি দেখতে
খোদায় ফিরায় ঘাড়..
ঘটনাটা রমনার...
(অন্য কাউকে নয়)
তুমিতো সাঁতার না জানা মাছ নও
অসময়ে কেনো ঝরে যেতে চাও
থাকো
থেকে যাও
যত হতাশা ভাঁজ করে রাখো
আসবাবে
শিকার তুমিও, হাতে একদিন
ধনুক এবং তীর পাবে...
(এমন হয়)
আপনি ক্যান কাজল চোখে মাখেন?
দেখছি- আগুনও বেশ সামলে সুমলে রাখেন
আপনার কি ঘর-বাড়ি নাই?
আমার মধ্যে আপনি ক্যান থাকেন?
(লাশ)
টানা গদ্যে
নদীর মধ্যে
দেহটা তার ভাসছিল
বহুদিন বাদে
খুব আহ্লাদে
যেন সাঁতার কাটছিল
শুনেছি যতটা
আসলে ওটা
সোয়ামির হাতে
খুব নিশি রাত
খুন হওয়া এক গৃহবধূর লাশ ছিল..
(থেকে যাব)
যে ডাকে ডাকুক-
আর কোনো ভাসানে যাব না
হারানো বাঁশির খোঁজে বেরিয়েছে যে রাখাল
যে মাঝির নৌকায় বিদায় নিয়েছে পাল
উঠেছে ইঞ্জিন
যে বালক হারিয়েছে ঘুড়ি ওড়ানো দিন
যে মানুষ ছোট হতে হতে মনে হয়েছে বনসাই
আমি তাদের বাঁশি, পাল, ঘুড়িদিন, উচ্চতা
খুঁজে দিতে
থেকে যাব...হ্যা..
(আজ)
না তেমন কিছুই ঘটবে না
শুধু আলো আর অন্ধকারের দেখা হবে সন্ধ্যায়
একটা বাজপাখি আমার উড়াল নিয়ে
উড়ে যাবে মহাশূন্যের দিকে
গ্রাম থেকে সদ্য শহরে আসা বধূ
স্বামিকে প্রশ্ন করবে- পূজার ছুটি কয় তারিখে?
কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তার কিছুটা অসুখ
ডায়েরিতে রাখবে লিখে
আর এক তরুন কবির শূন্যতা ছাপা হবে সাপ্তাহিকে...
(দুচোখের বিষ)
কোনো এক শীত মৌসুমে
যখন থাকব ঘুমে
সব সঅঅব গেলে চুকে
বটিতে আমাকে কুটে
রেঁধে খেয়ে নিস-
আমি নাকি তোর দুচোখের বিষ?
(নোটবই)
ভালো কিছু হোক শুভ কিছু হোক
ভেতরের এই ঝড় দুর্যোগ
আমি এর কেউ নই
আমি যার কেউ হই
সে মেয়েটা রাতে ঘুমিয়ে টেবিলে
খোলা রেখে নোটবই...
(ছিনতাই)
তুই আসলে
পাশে বসলে
পান থেকে চুন
একটু খসলে
কারো কোনো ক্ষতি নাই
এমনো বরষা দিন
শর্তবিহীন
তোর থেকে তোকে
করতে চাইছি
সামান্য ছিনতাই...
(বকুল সমাচার)
আমি এক ভুলে ভরা পান্ডুলিপি-
তুই আমার প্রুফরিডার..
(শরতের ছোট ছেলে)
অনেক নারীই করছে যখন দাবি
বহু নারীকেই ভালবাসা দেব ভাবি
সব নারীকেই কাশবন হতে বলে
নিজেই হব শরতের ছোট ছেলে..
(dhulo jhor)
Sroter sohodor
Ami ek dhulo jhor..
(ফুলসহ ফুলদানি)
বহু নরক বাদে
ছবিতে তাকে দেখলাম
হাত রেখেছে কার কাঁধে?
কি তার নাম?
সে তার কে হয় জানি সব জানি
এই জানার মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছি
ফুলসহ ফুলদানি...
©somewhere in net ltd.