নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিরা গাছের মতো, অন্য কবির ছায়ায় বাড়ে না।

মিছিলখন্দকার০০৭

কবি

মিছিলখন্দকার০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

(মেঘের মামলা)

যদি বৃষ্টির সাথে দেখা হয়ে যায় অাজই

বিয়ে করে নেব, থাক বা না থাক রাজি

মেঘ যদি তাতে ক্ষেপে যায় যাক ক্ষেপে

পরোয়া করি না মামলা করুক রেপের



বৃষ্টির সাথে হাইস্পিডে হাওয়া

ধাওয়া করলেই আত্মসমর্পনে

ভেগে যাব উড়ে দূর্গম কোনো বনে

ঝোপে লুকাবো বজ্রের সাইরেনে



জানি, বেশি দিন সে থাকবে না সংসারে

কিছুদিন তাও জল-কাদা আশ্লেষে

মেঘের মামলা মাথায় বহন করে

থেকে যেতে চাই ফেরারি লাভার বেশে..



(লেখাজোখা)

যদি এই সব পলাতক বুনো হাওয়া

সামনে হঠাৎ থেমে মারে ফের ছুট

মুঠোর মধ্যে বৃথাই ধরতে যাওয়া

হাওয়া নয় কোনো উড়ে যাওয়া চিরকুট



সময়ের কাছে পরাজিত প্রতিযোগী

জলে নেমে যদি ভিজতে মোটে না চাও

মরু পথে কেন নৌকায় মারো লগি-

হাট ভাঙে, একা অতীত কিনতে যাও?



কেনাবেচা নয়; বাতাসের বেতারে

কান পেতে থাকি জীবনের সমাচারে

রাত নিভে গেলে পা রেখে দেখি ভোরে

লেখাজোখা এই কথা বলে অক্ষরে!



(মাছ ও পাখিরা আমার জ্ঞাতি)

কাকতাড়ুয়া ভয় পাওয়া পাখিদের

আমি পছন্দ করি না

তার চেয়ে যে পাখি

কাকতাড়ুয়ার মাথার উপর বসে

ফসলের সাফল্য দেখে ডাকে, হাসে

পৃথিবীর ফসলে ভাগ বসায়

তার পাশে বসে থাকতে মনে চায়

কিন্তু সে মানুষ কাছে গেলে উড়ে যায়

তার মানে মানুষ সমন্ধে পাখিদের নেতি ধারনা আছে

মাছেদেরও তাই

পাখি ও মাছেরা মানুষকে ধরে নিয়ে

বনে ও নদীতে আটকে রাখুক, এটা আমি চাই।



(কৌতুহল)

নাইতে গেলে

জলকে শরীর দিতে হয়

সাবানের ফেনাও তখন পায়

গোপন গলির ঠিকানা

পোশাকের বাধ্যবাধকতাহীন

ভেজা শরীরের কোথায় কেমন ভাঁজ

তাওয়ালেরও তা ভালো জানা বলে

ছাদে শুকাতে দেয়া তাওয়াল ও অন্তর্বাসের প্রতি

এতো কৌতুহল আসলে।



(ধাঁধা)

যেন সমুদ্রের মধ্যে

একটা ইঞ্জিনের ফুটা নৌকা আমি

এতো যে সেঁচি তাও তো কমে না পানি

আর যে দিকেই বৈঠা চালাই

স্রোতের টানে সেতো নিজেই ঠিক করে

তার দিক

অামার ইচ্ছায় চলে না

হাহ্! জীবনেরে দিয়া যে কথা বলাতে চাই

হাবিজাবি কতো কী বলে

সে কথা সে কেন যে বলে না!



(গোপন)

অনুকূল মেৌসুমে

যে কোনো মাসের যে কোনো তারিখে

যদি দেখি আমারই বেডরুমে

বুকে নিয়া বসে আছি অন্যের নারীকে



লাঠিরে কিরা দেই

হাটে যেন না ভাঙে সে এহেন হাড়িকে!



(ব্যাপারটা)

ঘড়ির একটা কাঁটা যেমন

অন্যটার উপরে ওঠে রোজ বারোটায়

ব্যাপারটা সে রকম অনিবার্য নয়!



(জীবন)

জীবন কাটানো চুল কাটানোর মতো বিষয় নয়।



(নবায়ন)

সম্পর্কেরও নবায়ন লাগে।



(পিপাসা)

গ্লাসের মাপা পানিতে যে পিপাসা মেটে না

দিদি সেটা বোঝে না মোটেই

এদিকে দীঘিকে, নালাকে সূর্য করছে পান

টিভি ও বিলবোর্ডে পেপসি, মোজোর আহবান



ফারাক্কায় উৎপাদিত বিদ্যুতে

ঝলসে যাচ্ছে বাঙলার বুক



বারিধারা-বনানীতে থাকে যে যমুনা

ধনীর দুলাল দেয় তাহাতে চুমুক!



(!)

আকাশ চাপা পড়ে মরে যেতে পারি!



[দেয়ালে টাঙানো নদী

(মাসুদ খানের প্রতি)]

এখানে ঢেউয়ের মধ্যে

তারইতো প্রবাহ ঢুকে পড়ে

ঘরে, আয়না হিসেবে নাকি

নদীকেই টাঙিয়ে দিয়েছে দেয়ালে

খেয়ালে যুগপৎ

গানকে বলেছে নাচতে

নাচকে বলেছে- ধরো গান

চোরাটানে তারপর হৃদয়ের বনভূমি জুড়ে

যতো কাঠুরিয়া

নিকটে টানিয়া তাদের

দিয়েছে মৌয়াল হতে প্ররোচনা

নদী মুখে শোনা-

সময়ের সাথে তার প্রকাশ্য প্রেম..



(প্রতীক্ষা)

প্রতিশ্রুতি ছিল আসার

অথচ শামুক বিকেলটাই কিনা

ব্যর্থ প্রতীক্ষার ধাক্কায়

সন্ধ্যার গোলক ধাঁধায় ঢুকে গেল

রেস্তোরায় জ্বলে উঠল

হতাশার উজ্জ্বল ভোজবাজি

‌‌‌'সে আসল না'

এই একটা বাক্য

আমার মাথার মধ্যে

ইলেকট্রিক পাখা হয়ে ঘুরল

মহাকাল জুড়ে

আর আমার সাতাশ বছরের জীবনে

একটা মমির বিকেল ঢুকে গিয়ে

আমাকে সহস্রাব্দের স্রোতে ফেলে দিল



একলার বোবা প্রতীক্ষা হয়ে রইল

আপেক্ষিকতার উদাহরণ



ভালো নেই মন...



(পাসপোর্টহীন কবিতা)

অ্যাকোরিয়ামে কাঁচের সাথে মাছের যেমন বিরোধ আছে

কাঁটাতারের আটকানো এই দেশ বিষয়টা তেমনই ঠিক

আমার কাছে!



(সমীকরন)

তুমি বলে কেউ না থাকলে

আপনাকে অর্ধেকটা তুমি মনে হয়

আর অবশিষ্ট অর্ধেকের মধ্যে অস্বস্তিকর

শীতে কথারা অনিচ্ছায় ঘুমোয়

অথবা ভান করে ঘুমোনোর

এবং এই ভানের মধ্যে

দ্বিধা ইতস্তত পায়চারি করে

তখন মনে লয়-

আপনারে জড়ায়া ধরে,

আপনার আসমান থেকে

তুমির জমিনে নামায়ে আনি

১০৭ ডিগ্রি জ্বরে

ঘোরে..



(মিছরির ছুরি)

আমিতো গাঁয়ের ছেলে

ঢেউয়ের দেমাগ আর স্রোতের ছলনা

আমার ভালোই জানা- কতোবার তোমাকে বলেছি

স্মৃতির সেফটিপিনে গাথা

এক বিস্মৃত গ্রাম নিয়ে আমার এই শহরে আসা

নদীকে ঘিরেই ছিল যার শস্যের সংসার

গ্রামটা এখন আর নেই

নেই মানে নদীর পেটে

সেই গ্রাম চেটেপুটে রাক্ষসী নদী

পার্শ্ববর্তী গাঁয়েও বাড়িয়েছে হা

হানছে আঘাত

জানি, তুমিও তেমনি- নদী

গ্রাস করবে বলে এতো করো কি আহ্লাদ?



(মিছরির ছুরি)

আমিতো গাঁয়ের ছেলে

ঢেউয়ের দেমাগ আর স্রোতের ছলনা

আমার ভালোই জানা- কতোবার তোমাকে বলেছি

স্মৃতির সেফটিপিনে গাথা

এক বিস্মৃত গ্রাম নিয়ে আমার এই শহরে আসা

নদীকে ঘিরেই ছিল যার শস্যের সংসার

গ্রামটা এখন আর নেই

নেই মানে নদীর পেটে

সেই গ্রাম চেটেপুটে রাক্ষসী নদী

পার্শ্ববর্তী গাঁয়েও বাড়িয়েছে হা

হানছে আঘাত

জানি, তুমিও তেমনি- নদী

গ্রাস করবে বলে এতো করো কি আহ্লাদ?



(খুন)

ছুরির ফলায় হাসছে যে নৃশংসতা

আমি তাকে খুন করতে চাই..



(সহযোগের ডাক)

সময়ের বারান্দায় পিছলে পড়ে ভেঙেছে আমার সাহসের পা

অথচ অভিযাত্রার প্রলোভনে পর্বতের চূড়া থেকে চিঠি আসে

স্বপ্নের হাওড়ে ডুবেই যেতাম

যদি না টেনে তুলতো ব্যর্থতা

সেই তো আমার প্রকৃত সুহৃদ হতে পারে

সফলতা টফলতা বলে কিছু নেই

ওসব আসলে প্রতিবেশী শয়তানের পাঠানো নিরীহ সাইক্লোনের বীজ

যা আসলে সী বিচেই ফেলে আসা ভালো

আসুন, তার চেয়ে পথের প্রস্তাব মেনে ছুরির উপরে

পা দুটো উপরে তুলে হাটি

কান্নাকাটি করে তো করুক গ্রীষ্মের আকাশ!



(ধূর)

বুকের মধ্যে খালি পায়ে একটা নদী নাচে

আর পাখির কিচিরমিচির রেকর্ডেড একটা বন

ওড়াওড়ি ছাপানো আধটা আকাশ

আর বেসরকারি তরকারি বাগান

আর উঠান সমেত কৃষকের ভাঙাবাড়ি

মাছের পুকুর-

তাই বলে মরার শহরে

আমি কোনো গ্রাম নাকি, ধূর!



(ডাকহরকরা)

মেঘের শাখায় পা দুলিয়ে বসে

সময় মতো বৃষ্টির নিয়ে ঝরে পড়া

যে লোক বৃষ্টি ভিজতে নামছে রাস্তায়

আমি তার কাছে ডাকহরকরা..।



(বনের ভেতরে গেলে)

বনের ভেতরে গেলে

ফুলগাছকে ভাবী

নদীকে বান্ধবী

আর হরিনীকে বাইসাইকেল মনে হয়..



(চৈত্রের হাবিজাবি)

চৈত্রের দুপুরে

তরমুজের আত্মায় ঢুকে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।



(কমলাপুর)

নিজেরে কমলাপুর রেল স্টেশন মনে হলো আজ সারাদিন

মনে হলো, ট্রেন মিস করা যাত্রীর মন খারাপ বসে আছে

আমার ভেতরে আর ট্রেন আসা-যাওয়ার শব্দ বেজে চলছে কেবল..



(সকালের ভোকাল)

আপনি যখন হারমনিতে গলা মেলান

আমার কিন্তু ভাল্লাগে

নিজেকে ঠিক বেসুর থেকে

সুরে আনতে সাধ জাগে...



(পূর্নিমা)

আমার সমূহ অস্থিরতাকে অতিক্রম করে

অনিবার্যভাবে রাত গভীর হয়

রাতের আঁধার এতো পুরু

তবু প্রতি জোস্নায় সে দেখায় তার

মসৃন উরু

আমি সে উরুর মরু সরু চোখে দেখে দেখে

কড়া তামাকের ঘ্রানে পোড়াই ওড়াই ঘুম

নিজেকে অনাত্মীয় মনে হয়ে ।



(তোপধ্বনি)

খরাদগ্ধ দিনে

আসাদগেটের কাছে

সুধাময়ী মেঘের সন্ধান

এই সংবাদ আজকে আমার প্রধান শিরোনাম

এমনই সুধায় মম

ভাস্কর্য গেয়ে ওঠে গান

পাথরের প্রানে আজ

আসাদগেটের কাছে তোপধ্বনি দিচ্ছে কামান!



(খবর)

খবর জবর ভালো-

কিছু কিছু ভেষজ দিচ্ছে হতাশ জীবনে আশার আলো!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.